নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের সেরা সুন্দরী শাসকদের সাতকাহন

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৩


আদিকাল থেকেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখে নারীকে সংসারের গন্ডিতে আবদ্ধ করে, নারীর ক্ষমতার বিকাশকে অবরুদ্ধ রেখে তাঁর শক্তিকে কুক্ষিগত করাটাই ছিলো পৌরুষের কারিশমা। আজো এ দৃষ্টি রণাঙ্গন থেকে সমাজ সংস্কার বিশেষ করে প্রাচীন যুদ্ধকলায় যোগ্যতা, সামর্থ্য, বীরত্ব ছিল পৌরুষের অপর নাম। অপরদিকে নারীদের নমনীয় শারীরিক গঠন ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিকাংশ সময়ই তাদেরকে দুর্বল হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে নারীর বৈশিষ্ট্যকে প্রতিপন্ন করা হয়েছে। অথচ তলোয়ার চালানো বা তীর-ধনুকে লক্ষ্যভেদ করা, নেতৃত্ব প্রদান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কিংবা আর্থ-বানিজ্যিক ক্ষেত্র-- এই প্রতিটি স্তরে নারী যুগে যুগে তার কৃতিত্বের স্মরণীয় ইতিহাস গাঁথা রচনা করেছে। নারী নিয়ে আমরা কত রকমের কথা শুনি। কোনটা ইতিবাচক আবার কোনটা নিতিবাচক। তবে নারীদের সৌন্দর্যের প্রশংসায় সবাই পঞ্চমুখ। বিশ্ব বিখ্যাত মনীষীরাও নারীদের সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন। তবে নারীদের সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এক একজনের কাছে ভিন্ন। আমাদের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদ বলেছিলেন, যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।। কবির ভাষায়, নারী হেসে ওঠার আগে পৃথিবী ছিল বিষণ, বাগান ছিল জঙ্গল আর পুরুষ ছিল সন্ন্যাসী। শতাব্দীর পর শতাব্দী সৌন্দর্য আর কোমলতার প্রতীক হলো নারী। যার মায়াজালে আটকা পড়েছে অনেক বাঘা বাঘা পুরুষ। অথচ এই নারীরাই হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র, অর্জন করেছে যুদ্ধকলায় যোগ্যতা, সামর্থ্য, বীরত্ব। যুগে যুগে এমন সুন্দরী নারীর আবির্ভাব ঘটেছে, যারা সম্মুখ সমরে পরাজিত করেছেন বহু বীরকে আবার দেশ পরিচালনাও করেছেন দক্ষ হাতে। যারা সৌন্দর্য এবং নেতৃত্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল প্রাচীন বিশ্বকে। তাইতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে। যুগে যুগে এমন কিছু সাহসী নারীর আবির্ভাব ঘটেছে যারা সম্মুখ সমরে পরাজিত করেছেন বহু বীরকে। যাদের নেতৃত্ব তাক লাগিয়ে দিয়েছিল প্রাচীন বিশ্বকে। কালের স্রোতে তারা নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অহংকারী পুরুষেরা অনেক সময় তাদেরকে হেয় করেছেন আর পরিণতিতে অবধারিতভাবেই পতন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও প্রাচীন ইতিহাস গবেষক মাসুম খান সুস্পষ্টভাবেই কৃষিভিত্তিক প্রাচীন সভ্যতার উৎসরণে নারীদের ভূমিকার বিস্তারিত উপস্থাপন দিয়েছেন। যারা এসেছিলো তিমির রাতের অন্ধকার ঘোচাতে। ইতিহাসে অমর হয়ে থাকা এমন কতক সাহসী সুন্দরীদের নিয়ে আমার আয়োজন ইতিহাসের সেরা সুন্দরী শাসকদের সাতকাহন।

আফ্রিকান রাজকন্যা আমিনা
১৬ শতকে জন্ম নেওয়া আমিনা নামের এই নারী ছিলেন অসীম সাহসী, অসম্ভব শক্তিশালী যোদ্ধা, সামরিক নেতা এবং খুব সম্ভবত বর্তমান নাইজেরিয়ায় অবস্থিত তত্কালীন জাজ্জাওয়ের ( যাকে আমরা এখন জারিয়া বলে চিনি ) শাসক। প্রাচীন শাসক বাকওয়া তুরুনকুর বড় মেয়ে হওয়ায় বংশগতভাবে সিংহাসনে বসেন আমিনা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। একটু একটু করে বাড়িয়ে তুলেছেন নিজের এলাকা। ধারণা করা হয় যে, নিজের সিংহাসনের ওপর একচ্ছত্র মালিকানা রাখতেই কখনো বিয়ে করেননি আমিনা। চাহিদা মেটানোর জন্যে দেহরক্ষকদের ভেতর থেকে পুরুষ বাছাই করতেন তিনি। সেটাও কেবল এক রাতের জন্যে। রাত শেষে মেরে ফেলা হত রক্ষীকে। তবে দূর্ভাগ্যক্রমে একবার এক রক্ষী সকালবেলায় পালিয়ে যায়। আর তাকে হত্যা করতে গিয়ে মারা পড়েন আমিনা।

সুন্দরী নারী নৌবাহিনী প্রধান আরতেমিশিয়া
আরতেমিশিয়া ছিলেন পারস্যের পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইওনিয়ার শাসনকর্তা। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম নারী নৌবাহিনী প্রধান। রণক্ষেত্রে মহাপরাক্রমশালী ছিলেন এই নারী। তীক্ষ্ন বুদ্ধি আর অভিনব রণকৌশলে দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে এই নারী নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সালামিসের যুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য তাকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয়। একমাত্র আরতেমিশিয়াই পারস্যের রাজা জারজিসকে সমুদ্রে যুদ্ধ না করে গ্রিক বাহিনীর সঙ্গে স্থলযুদ্ধের পরামর্শ দেন। জারজিস তার রণকৌশলে খুবই মুগ্ধ হন। তিনি বলেন, ‘আমার পুরুষেরা সব মেয়েমানুষ হয়ে গেছে আর মেয়েরা পুরুষ হয়ে উঠেছে।’ রাজ্যের স্বার্থে আরতেমিশিয়া অন্য জেনারেলদের পরামর্শের বিরুদ্ধে যেতে দ্বিধাবোধ করতেন না। এমনই অসীম সাহসী ছিলেন বীরযোদ্ধা আরতেমিশিয়া।

সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিদ্রোহী সুন্দরী রানী ব্যুদিক্বা
ব্যুদিক্বা ছিলেন নরফোকের রানী। তার স্বামী নরফোকের রাজার মৃত্যুর পর রাজ্য যখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে তখন রানী ব্যুদিক্বা রাজ্যকে যৌথভাবে তার কন্যাদের এবং রোমান সম্রাটের অধীনে ন্যস্ত করে দেন। কিন্তু রোমানরা বেঁকে বসে। এ যৌথ শাসন তারা মেনে নেয়নি। তারা পুরো সাম্রাজ্য দখল করে। ব্যুদিক্বাকে নির্যাতন করে বিতাড়িত করা হয়। আর তার কন্যাদের ধর্ষণ করা হয়। এরপর রানী ব্যুদিক্বা রোমান সাম্রাজ্যের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। শেষ পর্যন্ত নরফোক এবং প্রতিবেশী এলাকার জনগণ ব্যুদিক্বাকে সমর্থন করে। তার নেতৃত্বে রোমানদের ওপর হামলা করা হয়। এ যুদ্ধে ব্যুদিক্বার সেনাবাহিনী ব্যাপক সাফল্য পায়। তারা রোমান নেতৃত্বাধীন কামুলোডুনম শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেন। এই রানীর মূর্তি এখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতীক হয়ে আছে।
ফ্রান্সের সর্বশেষ সুন্দরী রানী মেরি আঁতোয়ানে
ফরাসি বিদ্রোহের আগে মেরি আঁতোয়ানেই ছিলেন ফ্রান্সের সর্বশেষ রানী। দেখতে অসামান্য সুন্দরী ছিলেন এই রানী। চারদিকে তার রূপের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। এক পোশাক তিনি কখনো দ্বিতীয়বার পরতেন না। এভাবে তার পোশাকের পেছনে বছরে বিশাল পরিমাণের অর্থ খরচ হতো। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী যা প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে! ধারণা করা হয়, তৎকালে ফ্রান্সে শিরাকে নীল রঙে রাঙানোর জনপ্রিয় ফ্যাশনের একজন অনুসারীও ছিলেন রানী মেরি। সেই সময় ফ্রান্সের নারীদের মাঝে কে কতটা কৃশকায় হতে পারে তা একটা ফ্যাশনে রূপ নিয়েছিল। তারা নিজেদের শিরাগুলোকে নীল রঙের পেন্সিল দিয়ে এঁকে বোঝাতে চাইতেন যে, তারা এতটাই শুকনা যে তারা আলোকভেদ্য হয়ে গেছেন। আর এসবই করা হতো পুরুষদের আকৃষ্ট করার জন্য। প্রতি রাতে রানী বিশেষ ফেসমাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতেন। মাত্র ২২ বছর বয়সেই মারা যান অসামান্য এই সুন্দরী।

সিমোনেত্তা ভেসপুচ্চি
ইতিহাসের অসামান্য সুন্দরী সিমোনেত্তা। তিনি খুবই কম সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন। উত্তর ইতালির সেরা সুন্দরী বলে মনে করা হতো ভেসপুচ্চিকে। তবে মাত্র ২২ বছর বয়সেই যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। জন্মগতভাবেই ভেসপুচ্চি ছিলেন স্বর্ণকেশী। তার দেখাদেখি অন্য অনেকেও নিজেদের চুলকে সোনালী রঙের বানাতে চাইতেন। তার সৌন্দর্যের কথা ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশজুড়ে। এই কারণেই বত্তিচেল্লিসহ তৎকালীন ফ্লোরেন্সের অনেক চিত্রশিল্পীরই চিত্রের মডেল হয়েছিলেন এ তরুণী। ১৪৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অঙ্কিত পৃথিবীখ্যাত চিত্রকর্ম ‘দ্য বার্থ অফ ভেনাস’ এ ভেনাসরূপে দাঁড়ানো নারীই স্বয়ং ভেসপুচ্চি। ইতালীয় নারীরা ফ্যাশনের জন্য ভেসপুচ্চির অন্ধ অনুকরণেই অভ্যস্ত ছিলেন। খুব কম সময় পৃথিবীতে থেকেও এই নারী সৌন্দর্যে সবার মন জয় করেছিলেন।

দ্য নাইট ইন দ্য প্যানথারস স্কিন তামারা
রাজাদের রাজা ও রানীদের রানী তামারা ছিলেন জর্জিয়ান রাজার কন্যা। জীবিত থাকতেই কন্যা তামারাকে যুগ্ম শাসক নিয়োজিত করেছিলেন এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকার ঘোষণা করেছিলেন জর্জিয়ান রাজা। তামারাও তার বাবার মৃত্যুর পর অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। শাসক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। তার শাসনকালে জর্জিয়া সাম্রাজ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছায়। প্রজারা তামারাকে ভালোবেসে ‘রাজাদের রাজা’ ও ‘রানীদের রানী’ উপাধি দিয়েছিলেন। তামারার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা হয় মহাকাব্য ‘দ্য নাইট ইন দ্য প্যানথারস স্কিন’। তামারা নিত্যনতুন রণকৌশলে জর্জিয়া তখন অনেকগুলো শহর অধিগ্রহণ করতে সমর্থ হয়।সেন্ট তামার নামটি জর্জিয়ানদের কাছে সবচেয়ে প্রিয়, এটি বহু শতাব্দী ধরে শহীদ ও সাধুদের নামের মধ্যে জর্জিয়ান চার্চের দিগন্তে জ্বলজ্বল করে। ১২০৪ সালে তামারা তার সেনাবাহিনী নিয়ে ক্বার শহর দখল করেন। অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এই রানী ১২১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মেরি স্টুয়ার্ড যিনি বাথটাব পূর্ণ করতেন হোয়াইট ওয়ান দিয়ে
মেরি স্টুয়ার্ড স্কটল্যান্ডের রানী হন মাত্র ছয় দিন বয়সে। ১৫৪২ সালের ৮ ডিসেম্বর যখন তার জন্ম হয় তখন তার পিতা পঞ্চম জেমস মৃত্যুশয্যায়। আর ৯ মাস বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টার্লিং প্রাসাদে তার অভিষেক হয় যখন মেরির পক্ষে শপথবাক্য উচ্চারণ বা মাথায় মুকুট ধারণ কোনোটাই সম্ভব ছিল না। রানী মেরি জন্মগতভাবে অতটা সুন্দরী ছিলেন না। নিজের চেহারা আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য মেরির নির্দেশে একদল চাকর-বাকর বাথটাব পূর্ণ করত হোয়াইট ওয়াইন দিয়ে। এরপর তাতেই গা ভেজাতেন রানী। এই পদ্ধতি এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রচলিত আছে। এটি ভাইনোথেরাপি নামে পরিচিত। তবে এখন ভাইনোথেরাপিস্টরা পানযোগ্য অ্যালকোহল জাতীয় ওয়াইন ব্যবহার করেন না।
রানী জুডিথ যিনি একটানা ৪০ বছর রাজত্ব করেন।
৯৬০ খ্রিস্টাব্দে দামোত নগরের শাসনকর্তা ছিলেন রানী জুডিথ। রানী জুডিথের নিষ্ঠুরতায় আমহারিক ভাষায় তাকে ‘এসাতো’ বলে ডাকা হতো, যার অর্থ আগুন।তিনি সেই সময়ে স্মৃতিসৌধ ও গির্জা ধ্বংস করে এক্সমনগরী ও তার আশপাশের এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন। তিনি রাজবংশের সব সদস্যকে, সেবার রানীর বংশধরদের হত্যা করে তাদের সম্পূর্ণ চিহ্ন মুছে দিতে চেষ্টা করেন। তার ভয়ানক কর্মকাণ্ড লোকমুখে বছরের পর বছর বর্ণিত হয়ে এসেছে। নানা ঐতিহাসিক দলিলেও তার নিষ্ঠুর আক্রমণের কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি একটানা ৪০ বছর রাজত্ব করেন। তিনি ইথিওপিয়ার রাজ কোষাগার ডেবরে ডেমো লুটপাট ও রাজার পুরুষ স্বজনদের জন্য তৈরি জেলখানা ধ্বংস করেন।

রানী প্রথম এলিজাবেথ সুন্দরী হিসেবে গোটা বিশ্বে যার সুনাম ছিল।
রানী প্রথম এলিজাবেথ ছিলেন অসম্ভব রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকারিণী। নারী হয়েও যে রাষ্ট্র শাসনের ভার সফলভাবে পালন করা যায় সেটার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় তার মাধ্যমেই। ইতিহাসে তার স্থানটি রয়েছে তাই বিশেষ মর্যাদায়। রানী প্রথম এলিজাবেথ ছিলেন ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের রানী। তিনি আনুমানিক ১৭ নভেম্বর ১৫৫৮ থেকে শুরু করে ২৪ মার্চ ১৬০৩ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তার রাজকীয় অভিষেক হয়েছিল ১৫ জানুয়ারি ১৫৫৯ সালে। তার পূর্বসূরি ছিলেন ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরি। তিনি রাজবংশের ছোটবেলা থেকেই রাজকীয় পরিবেশে বেড়ে উঠেন। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রানী, ফ্রান্সের রানী ও আয়ারল্যান্ডের রানীও ছিলেন। তিনি নারী নেতৃত্বের আধুনিক উপস্থাপনা রেখে গেছেন।

হাতির পিঠে চড়ে দুই তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে যেতেন নেফারতিতি
পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সুন্দরীদের একজন মানা হয় নেফারতিতিকে। আর মিসরীয় সভ্যতার ‘সিগনেচার’ বা চিহ্ন হিসেবে পিরামিড আর মমির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই সুন্দরীর আবক্ষমূর্তির ছবি বা প্রতিলিপি। এই ফারাও সম্রাজ্ঞীর প্রহলিকাময় আবক্ষমূর্তিটি সারা বিশ্বে প্রচণ্ড জনপ্রিয় এবং আগ্রহের বিষয়। মিসরের ফারাও সম্রাজ্ঞীদের মধ্যে এমনকি তখনকার মিসরবাসীর মধ্যেও তার রূপ ছিল কিংবদন্তির মতো। যিশুখ্রিস্ট জন্মেরও ১৩৭০ থেকে ১৩৩০ বছর আগ পর্যন্ত নেফারতিতির ইতিহাস খুঁজে পাওয়া গেছে। আর ঠিক এরপর থেকেই মিসরের সব ঐতিহাসিক দলিল, দস্তাবেজ থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। প্রত্ম তাত্ত্বিক জিনিসপত্রে তার আর কোনো চিহ্ন রক্ষিত হয়নি যেমন রক্ষিত রয়েছে অন্যান্য ফারাও আর তাদের সম্রাজ্ঞীদের স্মৃতি। নেফারতিতি নামের অর্থ হলো সুন্দর আসছে।

রূপ আর রণকৌশলে সবাইকে ছাড়িয়ে রানী ক্লিওপেট্রা
এই নারীকে নিয়ে যুগের পর যুগ অনেক বড় বড় সাহিত্যিক লিখে চলেছেন নানান উপাখ্যান। এই তালিকায় যেমন আছেন শেকসপিয়র তেমনি আছেন জর্জ বার্নার্ড শ, হেনরি রাইডার, হ্যাগার্ডের মতো সাহিত্যিক। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নারী শাসক ক্লিওপেট্রার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ’৬৯ সালে প্রাচীন মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায়। সাধারণভাবে তিনি ক্লিওপেট্রা সপ্তম হিসেবে পরিচিত। রূপ-লাবণ্যে যেমন ক্লিওপেট্রা সবাইকে ছাড়িয়ে তেমনি রণক্ষেত্রেও পুরুষের সমান পরদর্শী। ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে ফারসালুসের যুদ্ধে দায়িতপ্রাপ্ত সেনাপতি পম্পে পরাজিত হন। সে বছরই আলেকজান্দ্রিয়ায় ফেরার পথে পম্পে ফারসালুসের হাতে নিহত হন। যুদ্ধ থেকে পালাতে গিয়ে ক্লিওপেট্রার স্বামী টলেমি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ক্লিওপেট্রা হয়ে ওঠেন মিসরের একচ্ছত্র রানী।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দরী মেয়েদের প্রতি আপনার দুর্বলতা আছে? আমার কিন্তু আছে।

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সুন্দরী নারীর প্রতি আপনার যে দূর্বলতা
তা যে্ৗবনের ধর্ম। তবে ঘরে বউ থাকতে
অপর নারীতে আসক্ত হওয়া দুষ্ট লোকের
কাজ। আপনিতো দুষ্ট না !!

২| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হঠাৎ সুন্দরী শাসকদের পিছনে পড়লেন কেন?

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি ধর্ম নিয়ে লিখলে বলবেন ধর্ম নিয়ে লিখি কেন!
অন্য ধর্মের গুনীজনদের শ্রদ্ধা জানালে ভ্রু কুচকাবেন।
ইতিহাসের বীরদের নিয়ে লিখলে বলবেন নাস্তিকদের
নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি করেন। বি.বাড়িয়া নিয়ে লিখলে
বলেন ক্যাচাল করেন ক্যান। রম্য লিখলে কারো কারো
কেউ কেউ রবে মাথা ধরে যায়। আমি যাবো কই !!! :(( :( B-))

৩| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খালেদা জিয়ার নাম কৈ?জীবিত বলে সেকি ইতিহাসের অংশ না?

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি সম্ভবত গতকালের নিউজ পড়েন নি
তাই এত সাহস। এখানে দেখুন

৪| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দরী নারী নিয়ে লিখেছেন এবার পুরুষ নিয়েও লিখবেন

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সারা জীবনতো পুরুষ নিয়েই লিখলাম
তার পরেও বিদ্বেষ !!! কয়জন পুরুষের
পরে একজন নারীকে নিয়ে লিখবো তা
যদি বলে দিতেন তা হলে আমার জন্য
উত্তম হোত !!

৫| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা কেহই সরকারী কর্মচারি না।তাছাড়া আপনি সত্য লিখবেন।সত্য প্রকাশে সাহস থাকা চাই।

০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব সত্য সব সময় প্রকাশ করা যায়?
সত্য লিখে ব্লগেই টেকা দায় !!

৬| ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: দারুন পোষ্ট নূরু ভাই। তবে প্যানথার স্কিন তামারার ছবিটা বোধ হয় অন্য কারো ত্রয়োদশ শতাব্দীর জামাকাপড় মুখের সাজ সজ্জা মিলছে না।

০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শের শায়রী ভাই , আপনার জন্য
জার্জিয়ান রানী নাইট ইন দা প্যা্নথার স্কিন তামারার আর একটি ছবি
দেখুনতো আগের ছবির সাথে কান মিল খুঁজে পান কিনা !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.