নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাওয়াল মাসের ছয়দিন রোজা পালনের ফজিলতঃ হাদিসে রাসুল (সাঃ) নং- ১১৭৩

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩২


রহমত-বরকত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজানুল মোবারক অতিক্রাান্ত হয়ে এখন চলছে শাওয়াল মাস। মাহে রামাযানের পরবর্তী মাস এবং চন্দ্র মাসের দশম মাস হচ্ছে শাওয়াল। রমজানের পরে ফজিলতপূর্ণ মাসগুলোর মধ্যে শাওয়াল অন্যতম। শাওয়াল মাসে অনেক আমল রয়েছে এসব আমলের ফজীলত-ও অনেক বেশী। শাওয়াল মাসের গুরত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে শাওয়ালের ‘ছয় রোজা’। আর এ রোজাকে শাওয়ালের ছয় রোজা বল হয়। রমজানের ফরজ রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। এই রোজার অনেক ফজীলত রয়েছে যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত । রাসুল আকরাম (সাঃ) নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকে ও রোজা রাখার জন্য নির্দেশ দিতেন। হযরত উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন একদিন রাসুল সা: কে জিজ্ঞাসা করলাম ,ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি কি সারা বছর রোযা রাখতে পারব? তখন রাসুল সা: বললেন,“ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে কাজেই তুমি সারা বছর রোযা না রেখে রমজানের ফরজ রেযা রাখ এবং রমজানেরর পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোযা রাখ, তাহলেই তুমি সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাবে। – তিরমিযি শরিফ:১ম খন্ড,১৫৭পৃঃ । শাওয়ালের রোজা পুরুষ, মহিলা, যুবক, বৃদ্ধসহ সকলেই রাখতে পারবে। আবার একবার রাখলে বারবার তথা প্রতি বছর রাখতে হবে এইরকম কোন বিধি-বিধান শরীয়তে নেই । কেউ ইচ্ছা হলে প্রতি বছর রাখতে পারবেন অথবা নাও রাখতে পারবেন।

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,যে রমজানের রোজা এবং শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল (পুরস্কারের দিক থেকে)। হাদিসে রাসুল (সাঃ) নং- ১১৭৩, (মুসলিম শরীফ :১ম.খন্ড ৩৬৯পৃঃ) এই সওয়াব এভাবে যে, মহান রাব্বুল আলামিন মানবতার মুক্তির সনদ মহা গ্রন্থ আল কুরআন কারীমের সুরায়ে আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, “যে লোক একটি নেক কর্ম করবে সে লোক দশগুণ বেশী সওয়াব পাবে। সে হিসেবে রমজানের ত্রিশ রোজায় ৩০০ রোজার সওয়াব হয়। আর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজায় ৬০ রোজার সওয়াব হয়। এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা দশ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬ টি রোজায় সারা রছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। তবে শর্ত হলো, কেবল মাত্র তারাই শাওয়ালের ৬ রোজার সওয়াব পাবে যারা রমজানের রোজা সঠিকভাবে পালন করেছে। কারণ রমজানের রোজা হচ্ছে ফরজ আর শাওয়ালের রোযা হল মুস্তাহাব। মুস্তাহাবের সওয়াব তখনই পাওয়া যায় যখন ফরজ পালন করা হয়। তবে বিধান হলো যে ব্যক্তি শাওয়ালের রোজা রাখবে সে প্রথমে রমজানের কাজা আদায় করে নিবে, যদি তার দায়িত্বে রমজানের কাজা থেকে থাকে। এরপর শাওয়ালের রোজা রাখবে। কারণ যে ব্যক্তির উপর রমজানের কাজা রোজা রয়েছে তাকে রমজানের রোজা আদায়কারী বলা হবে না যতক্ষণ না তার দায়িত্বে থাকা কাজা রোজা সে পূর্ণ করে নেবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে।
রমাযানের ফরজ রোজা রাখার পর পুনরায় রোজা রাখা রমাযানের রোজা কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ। যেহেতু মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দার নেক আমল কবুল করেন, তখন তার পরেই তাকে আরো নেক আমল করার তওফীক দান করে থাকেন। যেমন উলামাগণ আরো বলে থাকেন, “ নেক কাজের সওয়াব হল, তার পরে পুনঃ নেক কাজ করা”। (ইতহাফু আহলিল ইসলাম বিআহকামিস সিয়াম ৯২ পৃঃ)। এ রোজার ফজীলত সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন,“ যারা পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের আরো ছয়টি রোজা রাখবে তারা সেই ব্যক্তির মত হয়ে যাবে যে ব্যক্তি সদ্য তার মায়ের পেঠ থেকে দুনিয়াতে আগমণ করেছে। অর্থাৎ সে শিশু যেভাবে পুত-পবিত্র তথা নিষ্পাপ, তার কোন গোনাহ নেই, যারা শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে তারা ও সেই নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে যাবে। (সোবাহান আল্লাহ)! হাদিস থেকে শিখলাম যে ব্যক্তি পুরো রমজান সিয়াম পালনের পর এ রোজা ছয়টি করবে সে যেন সারা জীবন রোজা করল।এ এক বিরাট আমল এবং বিশাল অর্জন।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “ যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি। আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে”। (মুগনিঃ ৪/৪৪০) তাছাড়া ওয়াজিব আদায়ের দায়িত্ব পালন নফল আদায়ের চেয়ে অধিক গুরত্ব রাখে। মহান শরিয়ত প্রণেতা ফরজের আগে পরে নফল প্রবর্তন করেছেন যেমন- ফরজ সালাতের আগে শাবানের রোজা আর পরে শাওয়ালের রোজা। এই নফলসমূহ ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতি পূরণ করে। কারণ রোজাদার অনর্থক বাক্যালাপ, কুদৃষ্টি প্রভৃতি কাজ থেকে সম্পূর্ন বাচতে পারে না যা তার রোজার পুণ্যকে কমিয়ে দেয়। শাওয়াল মাসের এ ৬ টি রোজা মাসের যেকোন দিন রাখা যায়। উত্তম হল, উক্ত ছয় রোযাকে লাগাতার রাখা। কেননা, এমনটি করা রমাযানের অভ্যাস অনুযায়ী সহজসাধ্য। আর তাতে হবে বিধিবদ্ধ নেক আমল করার প্রতি সাগ্রহে ধাবমান হওয়ার পরিচয়। তবে এই রোজো লাগাতার না রেখে বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা চলে। যেহেতু হাদীসের অর্থ ব্যাপক তাই মাসের শুরুতে রাখা যায়, আবার মাসের মধ্যে বা মাসের শেষে যেকোন সময় তথা যেকোন দিন রোজা রাখা যায়। যার যার সুযোগ-সুবিধা মত এক সাথে ছয় রোজা, আবার আলাদা আলাদা করেও রাখা যায়। এমনকি শাওয়ালের ভিতরে ছয়টি রোজা রাখলেই হবে। কিন্তু শওয়াল মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে তা কাযা করা বিধেয় নয়। যেহেতু তা সুন্নত এবং তার যথাসময় পার হয়ে গেছে। তাতে তা কোন ওযরের ফলে পার হোক অথবা বিনা ওযরে। (ইবনে বায ফাতোয়া, ইসলামিয়া )

যেহেতু রাসুলের হাদিস দ্বারা এই ছয় রোজার অনেক ফজীলত পাওয়া যায় এবং রাসুল (সাঃ) নিজেও শাওয়ালের এ ছয় রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, সেজন্য এ রোজা রাখা আমাদের জন্য উচিত। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা এখলাসের সাথে রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন ।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই ছয় রোজার অনেক ফজিলত।

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ বাঙালী ভাই।
সবাই শাওয়াল মাসের এই ছয়
রোজা রেখে অশেষ পূণ্যের ভাগীদার
হোক। আমিন

২| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান
আল্লাহ সবাইকে এই ছয় রোজা রাখার তৌফিক দিন

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমিন। ছবি আপু
আপনার প্রার্থনা কবুল
হোক মহান আল্লাহর দরবারে।
আজ আমার ৫টি শেষ হবে।
ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আজকে আমার ছয়টি রোযা হবে। আল্লাহ তায়ালা যেন কবুল করেন। সুন্দর পোস্ট।

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আলহামদুিলিল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের সবার
রোজাগুলিকে কবুল আর মঞ্জুর করুন। আমিন

৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার আজ ৯ম রোজা। ঈদের পরদিন থেকে রাখতেছি আলহামদুলিল্লাহ

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখার বিধান।
তবে অনেকেই প্রতিমাসের সোম ও বৃহস্পতিবার
রোজা রেখে থাকেন। আল্লাহ আপনার রোজাগুলাে
কবুল করুন। আমিন

৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গত বছর রেখে ছিলাম। এবছর এখনো শুরু করি নাই।

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আজ শাওয়াল মাসের ১০ তারিখ
এমাসের মধ্যেই রোজাগুলো
পালন করে নিবেন। তা হলেই
সারা বছর রোজার সওয়াব লিখা
হবে আপনার আমল নামায়।
শুভকামনা রইলো।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @আপু নবম রোজা! আমি তো ৬টা শেষ করলাম আর আপনি কি ৬+৩=৯ নাকি ৬+++++++++++??
ডা. কবীর ফর্মুলা না-তো :( :(

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হয়তো আপুর রমজানের রোজা
ভাংতে হয়েছিলো নয়তো আপু
প্রতিমাসেই ২/৪টা নফল রোজা
রেখে থাকেন। হিসাবে গড়মিল
হবার কথা নয়।
ডা. কবীর ফর্মূলা হলেও হতে পারে!! =p~
আপনি গোস্যা করেন ক্যান !! :((

৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৭

মাহিরাহি বলেছেন: আজকে নিয়ে দুইটা।

মোটেও খারাপ লাখছে না। উপরন্তু সন্ধ্যায় সেহেরি খাবার সময় আনন্দ বহুগুন বেড়ে যায়।

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এবছর লকডাউনে ঘরে আছি তাই
অখন্ড অবসর। রোজা রখার কোন
কষ্টই অনুভূত হচ্ছে না। আর আত্মতপ্তি
অফুরাণ ।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #রিফাত ভাইয়া মেয়েদের রোজা প্রাকৃতিক গত কারণে ভাঙ্গা পড়ে সেটা তো অবশ্যই জানেন । সেই রোযাও ক্বাযা রাখতে হয় :) ধন্যবাদ

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপু রিফাত ভাই পোলাপাইন মানুষ !! =p~
বেচারা ৬/৭ এর মাজেজা জানেনা। তাই
আমি তাকে তার মন্তব্যের জবাবে ক্লিয়ার করে
দিয়েছি। আশা করি তার কাছে খোলশা হয়েছে।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।
নামাজ রোজা করা খুব ভালো। পরকালে শান্তি পাওয়া যাবে।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনিও নিয়মিত নামাজ রোজা পালন করুন।
তাতে দূনিয়তে এবং আখেরাতে মিলবে পরম শান্তি।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

Muntakim Islam বলেছেন: আমারা যারা পারব অব্যশই এই ছয়টি রোযা রাখার চেষ্টা করা দরকার বা উচিত । এই ছয়টি রোযা পুরো বছরে রোযা রাখার সমপরিমান সওয়াব দিবে । ইসলাম অনেক সহজ । আল্লাহ আমাদের জন্য সব কিছু সহজ করে দিয়েছেন । আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করো ।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

Muntakim Islam ভাই এই ছয়টি রোজা পালন করা
খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে এর সওয়াব অনেক।
সারা বছরেে রোজা রাখার সওয়াংব পাওয়া যায়।
সুতরাং এই ছয়টি রোজা আমাদের গুরত্ব সহকােরে
পালন করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল
করুন ।

১১| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উম্মতে মুহাম্মাদি (সাঃ) এর জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা আছে। তার মধ্যে একটা হলও এই ছয় রোজা। আমি আলসেমি করে ১ টা রেখেছি। কালকে আবার রাখব ইনশাল্লাহ। আরেকটা সুবিধা হলও শবে কদরের ইবাদাত। আরেকটা হোল ৫ ওয়াক্তের নামাজ পরে ৫০ ওয়াক্তের সওয়াব। সম্ভবত হাদিসটা ঠিক আছে। এছাড়া আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন আমাদের মর্যাদা অন্য নবীর উম্মতদের চেয়ে বেশী। আমরা সংখ্যায় বেশী হব। পুরো পৃথিবীর জমিন আমাদের জন্য এবাদতের স্থান। অন্যান্য উম্মতের উপর হারাম ছিল এমন অনেক বিষয় আমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। আমাদের মনের খারাপ কাজের কল্পনা/ পরিকল্পনার জন্য আমরা গুনাহগার সাব্যস্ত হব না যদি না টা বাস্তবে পরিনত করি। আমাদেরকে আল্লাহ কেয়ামত ছাড়া কখনও সমূলে ধ্বংস করবেন না। উম্মতে মুহাম্মদির (সাঃ) একটি দল সব সময় সঠিক পথে থাকবে। অর্থাৎ অন্যান্য উম্মতের মত সবাই বিপথে যাবে না। আমাদের নামাজের কাতারকে ফেরেশতাদের কাতারতুল্য সাব্যস্ত করা হয়েছে।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর।
আমরা জানি সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের খালেস অনুসারী ও উম্মাত রয়েছে। অনুরূপভাবে শেষ নবী মোহাম্মাদ সা.-এর অনুসারী ও উম্মাতগণকে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এক বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছেন এবং তাদেরকে এমন সব গুণাবলীর দ্বারা বিভ‚ষিত করেছেন, যা অন্য কোনও উম্মতের ভাগ্যে জোটেনি।
এতদপ্রসঙ্গে আল্লাহপাক আল কোরআনে ইরশাদ করেছেন, তোমরাই হলো সর্বোৎকৃষ্ট উম্মত, তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্য আবিভর্‚ত করা হয়েছে। তোমরা ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ প্রদান করবে। আর যা অকল্যাণকর ও অমিষ্ট তা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করবে।’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার পালনকর্তা বলেছেন, হে মুহাম্মদ, কোনো বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা আর বাতিল হয় না। আপনার উম্মতের ব্যাপারে আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তাদের আমি দুর্ভিক্ষ দিয়ে ধ্বংস করব না এবং তাদের দুনিয়া থেকে ধ্বংস করে দেয় এমন কোনো বহিরাগত শত্রু চাপিয়ে দেব না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৮৮৯)
এই উম্মতের নামাজের কাতারকে ফেরেশতাদের কাতারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটি এই উম্মতেরই একমাত্র বৈশিষ্ট্য। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অন্যদের তুলনায় আমাদের তিনটি বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। (তন্মধ্যে একটি হলো) আমাদের নামাজের কাতারকে ফেরেশতাদের কাতারতুল্য সাব্যস্ত করা হয়েছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫২২)

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ ছবি আপু, সরি আমি এটা মিন করি নি! আমি ভেবেছিলাম যে, ছয় রোজার পর কিটো ডায়েটে শুরু করেছেন!! :D :D

--@ নূর ভাই গোস্যা আমি করি নাই;
আপুর ও আপনার লেখায় অনেক ভালোবাসা পাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.