নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাতলা ইউনিয়নের প্রথম প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ দলিলউদ্দিন বালীর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৫


প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রাম। সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রাম/ইউনিয়ন নিয়ে সুন্দর একটি ভিডিও।

বিভিন্ন ধর্মের মেলবন্ধন ঐতিহ্যবাহী এবং অসাম্প্রদায়ীক গ্রাম সাতলায় যে কয়টি গোত্র বা বংশ আছে বালী বংশ তাদের মধ্যে অন্যতম। বালী বংশ শক্তি ধন-জন ও শৌর্য-বীর্যে ও প্রতিপত্তিতে প্রভাবশালী ছিলো বিধায় এই গোত্র প্রথমে বলীয়ান পরবর্তীতে বলীক বা বলী এবং সবশেষে বালী বংশ বা গোত্র হিসেবে নিজেদের আলাদা পরিচয় ধারণ করে। এই বংশে বহু সমাজ সেবক, সমাজ সংস্কারক ও জন প্রতিনিধির আগমন ঘটে যারা ঘটনাবহুল জীবন অতিবাহিত করে সাতলার ব্যপক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। বালী বংশের প্রাতস্মরণীয় অনেক প্রতিথযশা মহৎজনের অন্যতম আলহাজ্ব দলিলউদ্দিন বালী। হাজী দলিলদ্দিন বালী ১৮৫৯ ইংরেজী এবং বাংলা ১২৫৬ সালে সাতলার ঐতিহ্যবাহী বালী বংশের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সি ছকরি বালী এবং মাতার নাম আলেকজান বিবি। সচেতনতার অভাব অথবা প্রতিকুল পরিবেশে তার সঠিক জন্ম তারিখ সংরক্ষিত হয় নাই বিধায় তাঁর জন্ম তারিখ উল্লেখ করা গেলনা। শিক্ষা জীবনে দলিলউদ্দিন বারী মক্তবে পড়াশুনা শেষ করে মুন্সি উপাধি ধারণ করেন। পরবর্তীতে মক্তব মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে আদালতে নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনায় সহয়তা করার জন্য তিনি বরিশাল জেলার বিচার বিভাগের জুরি বোর্ডের সদস্যের দ্বায়িত্ব পালন করেন। জীবদ্দশায় তিনি সাতলা এবং সাতলার জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। অনস্বীকার্য যে তৎকালীন সময়ে ভৌগলিকভাবে সমগ্র গ্রামটি ছিলো বিল এলাকা।

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শাপলার সর্গরাজ্য সাতলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
জনশ্রুতি আছে সাতলার গোড়াপত্তনের সময় সাতলায় উল্লেখযোগ্য সাতটি বসতবাড়ি ছিলো এবং তা একটির থেকে অন্যটি অনেক দূরত্তে অবস্থিত। অর্থাৎ সাতলায় পাতলা পাতলা সাতটি বাড়ির নাম অনুসারে সাতলার নামকরণ হয় সাতলা। সাতলার যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা ছিলো খুবই নাজুক। এক বাড়ী থেকে অন্য বাড়ীতে যাতায়াত করা ছিলো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো নৌকা। তুলনামূলকভাবে অনুন্নত সাতলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জনের জন্য সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি সাতলার যোগাযোগ ও শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণীভূমিকা পালন করেন দলিলউদ্দিন বালী। জনপ্রতিনিধিত্ব ও সমাজ সেবার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি সাতলায় পঞ্চায়েত সভা গঠন করেন এবং সাতলার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বলাবাহুল্য সে সময়ে সাতলায় পাণীয় জলের সুব্যবস্থ্যা না থাকায় নদী ও পুকুরের পানিই ছিলো একমাত্র ভরসা। নদী ও পুকুরের দুষিত পানি পান করার কারণে সাতলা গ্রামে কলেরা মাহামারী হিসেবে দেখা দিতো। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে গ্রামের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য নিজ বাড়িতে টিউবওয়েল স্থাপন করেন দলিলউদ্দিন বালী। যেখানে ছিলো সবার অবারিত দ্বার। তাঁর সময়কালে সাতলার বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বিরাজমান ছিলো। মুসলানদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে যেমন অন্যধর্মের মানুষেরা আতিথিয়তা গ্রহণ করতো তেমনি মুসলমানরাও অন্য ধর্মের উৎসবে অবাধে যোগ দিয়ে সার্বজনীন উৎসবের আবহ সৃষ্টি করতেন । তাঁর নেতৃত্বে সাতলার বাজারটি এক সময়ে সাতলা বন্দরে রূপ লাভ করে। দূর দুরান্ত থেকে বড় বড় বাণিজ্যিক নৌকায় বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়ে মহাজনরা এখানে ব্যবসায় করতে আসতেন। সারাদিন মাঝি মাল্লাদের কলরবে মুখর থাকতো সাতলা বন্দর। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ সফলভাবে প্রেসিডেন্টের দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিচার বিভাগের জুরি বোর্ডের সদস্যের দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে সাতলায় সমাজসেবক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, মোহাম্মদ সিদ্দিক বালী, হাজী ফেলান উল্লাহ বালী, বাবু হরনাথ বাইন প্রমূখ। ধর্মভীরু দলিলউদ্দিন বালী ইসলামের অন্যতম রোকন হ্জ্বব্রত পালনের জন্য ইস্টিমার যোগে পবিত্র মক্কানগরীর উদ্দেশ্যে গমণ করেন। যাত্রার পর প্রায়একমাস নানা চড়াই উৎরাই পার করে তিনি সফলভাবে হজ্বব্রত পালন করে গ্রামে ফিরে আসেন। তিনিই ছিলেন সাতলার প্রথম হাজী। হজ্বব্রত পালনের পর বহুদিন তিনি সাতলার ঐতিহ্যবাহী জুম্মা বাড়ির মসজিদে ইমামতি করেছেন। সে সময় এই মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ানো হতো বলে এই বাড়িটি জুম্মা বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

ব্যক্তিগত জীবনে হাজী দলিলউদ্দিন বালী ছিলেন দৃঢ়চেতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যার কারণে কখনো কখনো তাকে হতে হয়েছে কঠোর। অন্যায়কে দমন করেছেন কঠোর হস্তে। তাই কারো কারো কাছে তিনি অপ্রিয় হলেও সংখ্যাগুরুদের মাঝে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট। দুই পুত্র ও ৫ কন্যার জনক হাজী দলিলউদ্দিন বালীর প্রথম পুত্র হেমায়েত উদ্দিন বালী অকালে মৃত্যুবরণ করলে তিনি মুষড়ে পরেন। তাঁর অপর পুত্র মকসেদ আলী বালী সাতলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। দীর্ঘ কর্মময় জীবন অতিবাহিত করে ১৯৬৪ সালের ১৪ জুলাই বাংলা ১৩৭১ সালের ১লা শ্রাবণ পরলোক গমন করেন সাতলার প্রথম প্রেসিডেন্ট হাজী দলিল উদ্দিন বালী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ১১৫ বছর। জীবন সায়হ্নে তিনি ১ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। হাজী দলিলউদ্দিন বালীর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত সর্ব জনাব সোহেল চৌধুরী ও ড. আব্দুর রাজ্জাক সম্পাদিত সাতলার ইতিহাসভিত্তিক গ্রন্থ "ফিরে আসি বারে বারে মা ও মাটির টানে" তে সংযোজন করাতে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ হাজী দলিলউদ্দিন বালীর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। সাতলা ইউনিয়নের প্রথম প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ দলিলউদ্দিন বালীর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তথ্য সরবরাহেঃ উকিলউদ্দিন বালী,আচমত আলী বালী, নূর হোসেন বালী, মিজানূর রহমান বালী
গ্রন্থনাঃ নূর মোহাম্মদ বালী
লাল শাপলার স্বর্গরাজ্য সাতলা বিল নিয়ে একটি গান
যেভাবে যাবেন সাপলা ফুলেল স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নামের আগে যারা আলহাজ লেখেন এরা হজ্জ নিয়ে পার্থিব সুবিধা কামনা করেন।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
৫৫ বছর আগে যার মৃত্যু হয়েছে তিনি সব কামনা বাসনার উর্ধ্বে।
একমাত্র আল্লাহই তার কামনা বাসনা পূরণ করার মালিক।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ২০০৯ সালে বেড়াতে গিয়েছিলাম - অনেক ভালো লেগেছে- তবে জনবসতি তখনও পাতলা পাতলা ছিল! আর রাতের বেলাটা ভয়েই ছিলাম! সত্যি শাপলা ফোটার সময় অন্যরূপ যা ভুলবার নয়! নৌকায় বসে - সুনীলের বিখ্যাত কবিতা - কেউ কথা রাখেনি আবৃত্তি করেছিলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রিফাত ভাই।
সাতলার বর্তমান অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত
হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও আরো ভালো।
সময় সুযোগ করে আবার একবার দেখতে
পারেন।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি নিশ্চয়ই জীবিত কালে নামের শেষে আলহাজ্জ ব্যবহার করতেন। ঐ সময় উনি এই খারাপ কাজ করেছেন। আর এখন যারা তার নামের আগে লিখছেন তারা ভুল করছেন জেনে বা না জেনে। আলহাজ্জ নামের কোনও অংশ না। কাজেই মৃত ব্যক্তির নামের আগে এভাবে আলহাজ্জ লেখা ঠিক না। কারণ ঐ মৃত ব্যক্তি ভুল করতেন। বাকিদের ভুল করার দরকার নাই।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অলহাজ এবং হাজী শব্দের মানে একই; অর্থাৎ যিনি মক্কায় হজ করেছেন।
কাউকে আপনি সাহেব বলবেন বা মিস্টা বলবেন সেটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।
আমি যদি কাউকে সম্মন প্রদর্শনের জন্য হাজীসাহেব বলে ডাকি তাতে আমার কি
সম্মান হানী হবে। কেউ নিজেকে বলেনা যে আমি মিস্টার অমুক।
আর আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন যে তিনি নিজের নামের আগে আলহাজ্জ ব্যবহার করতেন।!!
তবে তাকে হাজীসাহেব বলে মানুষ সম্মোধন করতো। তিনি নিজে বলতেন না।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নাম স্বার্থক হয়েছে। নয়ন জুড়ানো ফুল।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ সরকার ভাই
সম্বব্ হলে একবার বেড়িয়ে আসবেন
শাপলা ফুলেল স্বর্গ সাতলা গ্রামে।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: দলিলউদ্দিন বালী কে শ্রদ্ধা জানাই।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব
দলিলউদ্দিন বালীর মৃত্যুদিনে
তাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: সাতলার ইতিহাস জানা হলো।
এতগুলো সাপলা ফুল একসাথে আগে কখনো দেখা হয়নি।

মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ ঢুকিচেপা
বাস্তবে দেখতে হলে চলে আসুন একদিন।
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২

কৃষিজীবী বলেছেন: যাক অবশেষে বালির ভুত মাথায় থেইক্কা নামলো। বেশ কিছুদিন যাবত এই ভুত মাথার ভিতরে কিলবিল করতে ছিলো। প্রথম যেদিন আপনার ফেসবুক আইডি দেখলাম, সেদিনই মাথা ঢুকছিলো বালি ভুত। বালি নামে কোন বংশ থাকতে পারে এইরকম কোন ধারণাই আমার ছিলো না। ফেসবুকে আপনার নাম ইংরেজিতে লেখা, আমি আবার ইংরেজিতে একদম কাচা, তো যেভাবেই উচ্চারণ করি, দেখি ঘুইরা ফিরা উচ্চারণ হয় বালি।এ কেমন কথা, বালি নামে তো কোন বংশ নাই, তাইলে উচ্চারণ বালি হচ্ছে কেন? অনেকবার চেষ্টা করলাম, ঘুইরা ফিরা ঐ একই সুর, বালি। চেষ্টা করতে করতে বিকেল থেকে রাত কিন্তু সমাধান নাই, মনে মনে স্কুলের ইংলিশ টিচার রে গাইল দিয়া ঐদিনের মতো মিশন সমাপ্তি। তো পরের দিন আপনার একটা পোষ্টে দেখলাম আপনার ভাতিজার নামের শেষে বংশ পদবি বালি ( বাংলায় লেখা) । এইবার বুঝলাম উচ্চারণ ঠিকই ছিলো তবে বালি নামের বংশ সম্পর্কে ধারণা ছিলোনা বলেই ভুল মনে হয়েছে। এরপর এই অজানা বংশের নারী নখত্র দেখার জন্য গুগলে সার্চ দিলাম । সিলেকশন বালি, আস্তর বালি, ভিটিবালি, ইন্দোনেশিয়ার বালি সহ দুনিয়ায় যত বালি আছে, গুগল মামা সব দিলেন কিন্ত বরিশালের বালি সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে পারলেন না। গুগল ওঝা ফেইল মারলো, বালি ভুত মাথায়ই থেকে গেলো। অবশেষে এই পোষ্ট মন্ত্র পড়ে মাথাটা হালকা হইলো । আচ্ছা এই প্রেসিডেন্ট ভদ্রলোক তো আপনাদের বংশেরই, সম্পর্কে তিনি আপনার কি হয়?

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কৃষিজীবী আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বালী (বালি নয়) বংশ নিয়ে আপনার
আগ্রহ ও অনুসন্ধানের জন্য। অনেক পরিশ্রম করেছেন এবার তৃপ্ত হলেন।
সাতলার বালী বংশ লিখে গুগলে সার্চ দিলে পেয়ে যেতেন
আপনার আরাধ্য সাতলার বালী বংশ

হ্যা ভাই, এই মরহুম প্রেসিডেন্ট আমার ছিলেন আমার দাদাজান।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: আজ ছি।ল জাতির সূর্যসন্তান লেডি কিলার প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সাহেবের পবিত্র মৃত্যুবার্ষিকী । এই উপলক্ষে আপনি জনগণকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন না । মাইন্ড করলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মাইন্ড করার কিছু নাই। এই দ্বায়িত্ব আপনাকে
দিয়েছিলাম । আপনি তা যথাযথভাবে পালন করলেন।
সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাজী সাহেব বলাটা ঠিক না। আমাদের কোনও সাহাবীকে কেউ আলহাজ্জ বা হাজী সাহেব বলেছেন? ধর্মের ব্যাপারে জোর করে এ ধরনের প্রথা তৈরি করা হয়েছে যা ধর্মে নাই। ধর্মে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। আরবের কোথাও এরকম পাবেন না। ওদের অন্য সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে ওরা আমাদের মত বাড়াবাড়ি করে না। কারও পরিচয়ের সাথে তার হজ্জ করা বা না করার কোনও সম্পর্ক নাই। আমাকে একজন, অন্য মানুষের সামনে বার বার হাজী সাহেব বলছিল আমি ওনাকে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি যে দয়া করে আমাকে হাজী সাহেব বলবেন না। কিন্তু লোকটা আমাকে খুব পছন্দ করে ও উনি আমার বন্ধু। এই ধরনের তোষামোদ পূর্ণ কথা বলতে ধর্মে নিষেধ করেছে। কারণ এতে মানুষের মধ্যে অহংকার চলে আসে। আমি ওনাকে না থামালে কয়েকদিনের মধ্যে এলাকায় সবাই আমাকে হাজী সাহেব বলে ডাকা শুরু করত। সাহেব আর হাজী সাহেব এক জিনিস না। কারণ এখানে হজ্জ নামক একটা ধর্মীয়আচার যুক্ত। যখন ধর্মীয় কোনও বিষয় চলে আসছে তখন ধর্মের নিয়ম মানতে হবে। রসূলের জমানায় কে কাকে হাজী সাহেব বলেছে আমাকে আপনি এর পক্ষে কিছু দেখাতে পারবেন। হাজী সাহেব বলা তো আমরা বাঙালিরা বানিয়েছি। এটা একটা কু প্রথা (বেদাত)। অনেক আলেম বলছেন এটা রিয়া। উনি নিজে বলতেন না আবার অন্যেরা বললে মানা করতেন না। ওনার উচিত ছিল আমার মত মানা করা। একটা মানুষের পরিচয়ের সাথে হজ্জ কিভাবে আসে। আমাদের দেশের অনেক সামাজিক প্রথার কারণে ধর্মের দুরনাম হচ্ছে। আলেমরা এটাকে নিষেধ করছেন। আপনি এই ইউটিউব লিঙ্ক থেক্তে পারেন। এ রকম আরও আছে। https://www.youtube.com/watch?v=PLpPvRDH0WY

১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
হাজী আর আলহাজ সর্ম্পকে
বিস্তারিত বর্ণনার জন্য।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭১সালে আপনি কোথায় ছিলেন।আমার মনে হয় ৭১এ আমি ঐ এলাকায় একবার গিয়েছি এবং কয়েক দিন ছিলাম।আচ্ছা ৭১ কি উজিরপুর থানা লুট হয়।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নুরুলইসলাম ভাই ৭১ আমি আমার গ্রামের বাড়ি সাতলাতেই ছিলাম। কোন বাড়িতে গিয়েছিলেন মনে পড়ে?
'৭১ এ উজিরপুর নয় পিরোজপুরের থানা লুট হয়ে ছিলো। ৭১ এর ২৬ মার্চ বিকেলে পিরোজপুর টাউনহল
ময়দানের জনসভায় অস্ত্র সংগ্রহের আবেগময় ও নির্দেশনামূলক আহবান জানালে এ্যাডভোকেট এনয়েত
হোসেন খান, ডাঃ আব্দুল হাই, ডাঃ ক্ষিতীষ চন্দ্র মন্ডল, এ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান, ফজলুল হক
খোকন, জামালুল হক মনু প্রমূখ স্বাধীনাতা প্রেমী জনতা টাউন হলের অদূরে পিরোজপুর মহকুমা
প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন অস্ত্রাগারটি আক্রমণ করে সমস্ত রাইফেল, বুলেট সংগ্রহ করেন নেয়।
১৯ মে ১৯৭১ অস্ত্রাগারের আর.এস.আই. গোলাম মাওলা বাদী হয়ে পিরোজপুর থানায় ৫৫
জনকে আসামী করে এই ৫নং মামলা দায়ের করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.