নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদ্র পাখি আবাবিলের কাছে ইয়েমেনের শাসক দাম্ভিক আবরাহার পতন

০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৬


৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে নবী মুহাম্মাদের জন্মগ্রহণের পূর্বে মক্কার পার্শ্ববর্তী ইয়েমেনের শাসক ছিলেন আবরাহা। আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতা ও শক্তি। মক্কা নগরীতে অবস্থিত কাবা শরীফের ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও পবিত্রতায় মুগ্ধ হয়ে মানুষ যখন দলে দলে কাবা ঘরের দিকে আসতে থাকে তখন ইয়েমেনের রাজা আবরাহা ঈর্ষা'ণিত হয়ে কাবা ঘর ধ্বং'স (নাউজুবিল্লাহ) করার পরিকল্পনা করেন। এই ঘটনার কথা আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা আল ফীলে বর্ণনা করেছেন। ইতিহাসে এসেছে: ইয়েমেনের শাসক জুনাওয়াস নাজরানের খ্রিস্টানদের ওপর নৃশংস নির্যাতন করতেন যাতে তারা খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগ করে। সেখানকার একজন খ্রিস্টান নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে গিয়ে রোমে এসে সেখানকার তৎকালীন সম্রাটের কাছে ঘটনা তুলে ধরে। রোমের খ্রিস্টান সম্রাট আবিসিনিয়ার রাজা নাজ্জাশির কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে নির্যাতনের প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ দেন। নাজ্জাশি ৭০ হাজার সেনার এক বিশাল বাহিনী ইয়েমেনে পাঠান আরিয়াত নামক এক সেনাপতির নেতৃত্বে। আবরাহাও ছিল এই বাহিনীর অন্যতম সেনা-কমান্ডার। যুদ্ধে জুনাওয়াস হেরে যায় এবং আরিয়াত হন ইয়েমেনের শাসক। কিছুকাল পর আবরাহা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরিয়াতকে হত্যা করে নিজেই ইয়েমেনের শাসক হয়। এ খবর নাজ্জাশির কাছে গেলে তিনি আবরাহাকে দমনের সিদ্ধান্ত নেন। এ খবর পেয়ে আবরাহা দ্রুত আনুগত্য স্বীকার করে এবং নাজ্জাশিও তাকে ক্ষমা করে ওই পদে বহাল রাখেন। এ অবস্থায় আবরাহা নিজেকে খ্রিস্ট ধর্মের মহান খাদেম বা সেবক হিসেবে তুলে ধরার জন্য ইয়েমেনে অসাধারণ সুন্দর ও বড় ধরনের একটি গির্জা নির্মাণ করে। আবরাহা কাবা ঘরের দিকে না গিয়ে এই গির্জায় এসে ইবাদত বা উপাসনা করতে আরবদের প্রতি আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং এ গির্জাকেই হজের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায় যাতে জনগণ এখানে এসে এই গির্জার চারদিকেই প্রদক্ষিণ করে। এই লক্ষ্যে আবরাহা আরব দেশে অনেক প্রচারক পাঠায়।কিন্তু বাদ সাধল, সারা পৃথিবীর মানুষ। হজ পালনের জন্য তাদের ধর্মীয় পিতা ইব্রাহীম আ:-এর তৈরি ঘর কাবা থেকে কোনোক্রমেই সানার কাবায় যাচ্ছিল না। এতেই একসময় ক্ষেপে যায় দোর্দণ্ড প্রতাপশালী আবরাহা! সিদ্ধান্ত নেয় ইব্রাহীম আ:-এর কাবা ভেঙে ফেলতে হবে! সিদ্ধান্ত মোতাবেক সৈন্য-সামন্ত নিয়ে কাবা অভিমুখে রওয়ানা হয় সে। সাথে ৯-১৩টি শক্তিশালী হাতি। পথিমধ্যে প্রভাবশালী কুরাইশ বংশের নেতা আবদুল মোত্তালিব (রাসূল সা:-এর দাদা) আবরাহার পথরোধ করে দাঁড়ালেন। সে সময় আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন ম’ক্কার সবচেয়ে বড় সর্দার। তিনি বলেন, “আবরাহার সাথে যু’দ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই। এটা আল্লাহর ঘর। তিনি চাইলে তাঁর ঘর রক্ষা করবেন।” তিনিআবরাহাকে সতর্ক করলেন । তাকে বললেন, এমন বিপজ্জনক কাজ থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে উন্মত্ত আবরাহাকে থামানো গেল না। তবে যাত্রাপথে কিছুটা বিঘ্ন ঘটাল হাতিগুলো। হাতিগুলোর দৃষ্টি সীমানার মধ্যে পবিত্র কাবা শরিফ আসার পর তারা আর অগ্রসর হতে চাইছিল না। তাই তারা হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। চতুর আবরাহা হাতিগুলোর অভিপ্রায় বুঝতে পেরে ওগুলোর মুখ ঘুরিয়ে অন্যমুখী করল। তারপর তাদের খাওয়াল ভালো ভালো খাবার। উপরন্তু কিছু খাবার কাবামুখী পথে ও কাবা প্রাঙ্গণেও জমা করে রাখল।

আল্লাহ তার প্রতি বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু একটা দেখানোর জন্য হাতিগুলোকে সেই রক্ষিত খাবারগুলোর প্রতি অনুরক্ত হওয়ার পথে আর বাদ সাধলেন না। তাই খাদ্যলোভী হাতিগুলো এবার জোর কদমেই এগোতে থাকল কাবার দিকে। মক্কার বিশ্বাসী কিন্তু দুর্বল মানুষগুলো দু-হাত তুলে ফরিয়াদ জানালেন আসমান ও জমিনের মালিক আল্লাহর কাছে। বললেন, ‘ইয়া রাব্বুল আল-আমীন! একমাত্র তুমিই পার এই দানবের হাত থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় কাবা ঘরটিকে রক্ষা করতে।’ ধৈর্যশীল আল্লাহ তাঁর ধৈর্যকে আর প্রলম্বিত করলেন না। তাঁরই সৃষ্ট সর্ববৃহৎ স্থলপ্রাণী হাতির সমন্বয়ে গঠিত ও বিবিধ সমরাস্ত্র সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি পাঠালেন তাঁর অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ‘আবাবিল’ পাখিকে। কুরআনে পাখিটি বোঝাতে "তইরন আবাবিল" শব্দগুচ্ছটি ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাংলায় শব্দগুচ্ছটি অনুবাদ করা হয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি হিসেবে। অস্ত্র হিসেবে তাদের সাথে দিলেন প্রতি পাখির হাতে-পায়ে বহনযোগ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোড়ামাটির তৈরি শক্ত ঢিল। ঝাঁকে ঝাঁকে তারা উড়ে এলো বৃহদাকার হাতি ও সুসজ্জিত সেই বাহিনীর হামলা প্রতিরোধে, দু’হাতে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র দু’টি ঢিল নিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গবাদি পশুর খাদ্য, গমের ভুসি তুল্য বস্তুতে পরিণত হলো শক্তিশালী সেই বাহিনী ও হাতিগুলো। অতঃপর বাতাসে উড়তে লাগল সেই ভুসি! হাতিতে বসা আবরাহার নেতৃত্বাধীন বিশাল সেনাদল যখন কাবাঘরকে ধ্বংস করে দিতে চারদিক থেকে ছুটে আসছিল তখনই সাগরের দিক থেকে এসে হাজির হয় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। তাদের সবার সঙ্গে ছিল তিনটি করে ছোট্ট ঢিল বা কঙ্কর। আবরাহার বাহিনীর ওপর এসব ঢিল ছোঁড়া হয় বৃষ্টির মত। যখন আব্রাহার হ’স্তী বাহিনী ম’সজিদুল হা’রাম শরীফের কাছাকাছি পৌছান তখন আল্লাহ হাজার হাজার আবাবিল পাখি প্রেরণ করেন। পাখিগুলো আল্লাহর নি’র্দেশে পায়ের তালুতে ২ টি ও মুখের মধ্যে ১ টি করে পাথর নিয়ে আব্রাহার হাতি বা’হিনীর উপর নি’ক্ষে’প করতে থাকে এবং তাদের পুরোপুরি ধ্বং’স করে দেয়। হযরত ইবনে আব্বাসের বর্ণনা মতে, ‘যার ওপরই পাথর কণা পড়তো তার সারা গায়ে ভীষণ চুলকানি শুরু হতো এবং চুলকাতে চুলকাতে চামড়া ছিঁ’ড়ে গো’শ’ত ঝরে পড়তে থাকতো। গো’শ’ত ও র’ক্ত পানির মতো ঝরে পড়তো এবং হা’ড় বেরিয়ে পড়তো। আবরাহার অবস্থাও এই রকম হয়ে পড়ে।ফলে ওই বাহিনী চর্বিত খড়ের মত জমিনে কূপোকাত হয়। আবরাহা নিজেও এসব খোদায়ি ঢিলের আঘাতে আহত হয় এবং ইয়েমেনে পালিয়ে যায়। ইয়েমেনেই সে মারা যায়। ্এভাবেই রক্ষা পেল পবিত্র কাবা ঘর। আর তার কিছু দিন (পঞ্চাশ/পঞ্চান্ন দিন ) পরই এই পৃথিবীতে সুখ ও শান্তির প্রতীক হিসেবে আগমন ঘটল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ-সা: এর। পৃথিবীর মানুষগুলোর জন্য শেষ নবী হিসেবে। এটি কোনো মানুষ্য রচিত গল্প-কাহিনী নয়। নয় কোনো মতলববাজ ঐতিহাসিকের বর্ণনা। এ বর্ণনা স্বয়ং আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর। যিনি তা করেছেন পবিত্র সুরা-১০৫; আল-ফিলের মাধ্যমে। যেখানে কোনো এক ইস্যুতে নিরাশ রাসূল-সা:কে তিনি সান্ত্বনা-সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক কাবাঘর ধ্বংস করতে আসা হাতিওয়ালাদের সাথে কী আচরণ করেছিলেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? তিনি তাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল-পাখি। যারা সেই হাতিওয়ালাদের ওপর পোড়ামাটির পাথর নিক্ষেপ করেছিল। অতঃপর তিনি সেই হাতিওয়ালাদের পরিণত করেছিলেন ভক্ষিত ভুসির ন্যায়।’ জালিম ও খোদাদ্রোহী শক্তিগুলো যত বড় অস্ত্র-শক্তি আর লোকবলের অধিকারীই হোক না কেন মহান আল্লাহর অশেষ শক্তির কাছে তারা যে অসহায় ও অক্ষম এবং খোদাদ্রোহিতা ও খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিণামে নির্মূল হয়ে যেতে হবে- এই সতর্ক-বার্তা তুলে ধরে সুরা ফিল। সে যুগের সবচেয়ে বড় ও ভয়ানক সামরিক যান ছিল হাতি। অথচ ছোট্ট পাখি ও ঢিল দিয়েই মহান আল্লাহ হাতি-সজ্জিত ক্ষমতা মদমত্ত ওই খোদাদ্রোহী শক্তিকে নির্মূল করেছেন!

সূত্রঃ সুরা আল ফীল। যারা আল্লাহর অস্তিত্ব/ক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান তাদের জন্য উৎসর্গীকৃত...........
সম্পাদনায়ঃ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: ডরাইলাম

০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্তরে খোদা ভীতি থাকা ভালো!

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

শিরোনামহীনভক্ত দিহান বলেছেন: অনুগ্রহ করে এসব না লিখে বর্তমান রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি নিয়ে লিখুন।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেজন্য তো আপনারা আছেন।
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার
শ্রেষ্ঠ সময়!
আমরা বৃদ্ধ মানুষ পড়ন্ত বেলায়
থাকতে দিননা এসব নিয়ে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনুগ্রহ করে এসব রুপকথা না লিখে বর্তমান রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি নিয়ে লিখুন।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাব এটা কোরআনের কথা
সুরা আল ফীল নাজিল হবার ঘটনা।
বিশ্বাস করা না করা আপনার বিষয়। তবে
এই ঘটনাকে রূপ কথা বলে নিজেকে পবিত্র
কোরআনের বিপক্ষে দাঁড় করাবেন না।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অথচ রাজীব নুর কোরআনের সূরা নিয়ে পোস্ট করেন :(

০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব অস্থির প্রকৃতির মানুষ !
কোন কিছুতেই তিনি থিতু হতে
পারেন না। তাই তার কথাবার্তা
তার জন্য বুমেরাং হয়। তবে তিনি
সাদামনের মানুষ একটু বুঝিয়ে
বললেই সঠিক লাইনে চলে আসেন।
তার জন্য শুভকামনা।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শুভ কামনা , অসখ্যবার পড়েছি তবুও আপনার লেখায় আবার পড়লাম । ভাল হয়েছে ধন্যবাদ

০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পডার জন্য আল্লাহ আপনাকে
উত্তম পুরস্কার দান করুন। আমিন

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম মুরুব্বী।

আমি তো কোনো মন্তব্য করি নি। ২নং মন্তব্যটাই কপি করেছি।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব দ্বিতীয় মন্তব্যকারী কিন্তু
কোরআনে বর্ণিত ঘটনাকে রূপকথা
বলেন নি, অথচ আপনি একে রূপকথা
আখ্যা দিয়েছেন। আর একবার মিলিয়ে
দেখবেন কি?

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:





এটা আপনার কাছে স্হানীয় রূপকথা বলে মনে হয়, নাকি আল্লাহের কাজ বলে মনে হয়? অষ্ট্রেলিয়ার 'রবিন" ও বাংলাদেশের "দেচ্ছা" পাখীর বাসার কাছ দিয়ে গেলে, এই ২ প্রজাতির পাখী মানুষকে তাড়া করে, তবে এরা পাথর ফেলে না আকাশ থেকে। আপনি লজিক্যালী ভাবুন এক ঝাঁক পাখী একটা সৈন্যদলকে কেন আক্রমণ করবে?

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পবিত্র কোরআনের বানীকে রূপকথা
মনে করার ধৃষ্টতা দেখাবার সাহস কার?
মনে রাখবেন, বিশ্বাসী মানুষের জন্য ইহকাল-
পরকালের মুক্তির সনদ হলো পবিত্র কোরআন।
একঝাঁক পাখি আল্লাহর নির্দেশে একদল দম্ভকারী
সৈন্যদের সায়েস্তা করতে এই আক্রমন করে। এমন
অনেক ঘটনা আছে পবিত্র কোরআনে।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একই ঘটনা বিশ্বাসীর জন্য হয় হৃদয় প্রশান্তকারী, বিশ্বাস দৃঢ়কারী, আবার অবিশ্বাসীদের জন্য তাই হয় পীড়াদায়ক!
তাদের হৃদয় জ্বলতে থাকে। তারা বিশ্বাসীদের নিয়ে উপহাস করতে থাকে।

উপহাসকারীেদর নিয়ে বলা হয়েছে-
"যারা অবিশ্বাস করছে, তাদের পার্থিব জীবন সুশোভিত করা হয়েছে এবং (এজন্যে) তারা বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-উপহাস করে থাকে। অথচ কিয়ামতে বা উত্থান দিবসে তাঁরা অতি উচ্চ মর্যাদায় থাকবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দান করেন।" (২:২১২)

দুনিয়ার চাকচিক্য কাফেরদের কাছে কত মোহনীয় যে তারা এজন্যে অহংকারী হয়ে পড়ে এবং বিশ্বাসীরা দুনিয়ার চাকচিক্যকে নির্বোধ বা বোকা বলে ঠাট্টা করে। অথচ মানুষের মর্যাদার মাধ্যম হলো ঈমান ও খোদাভীতির মত আধ্যাত্মিক ও ঐশী মূল্যবোধ।

কোরআনের বর্ণিত ঘটনাগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে।
ভোগ আর পূজির দাসত্বের বাইর সত্য মুক্ত মনের যে সুন্দর ধর্ম আছে- যা জীবনকে তার অর্থ অনুভব করায় এবং চলার পথে দিশা দেয় সেইভাবে তাদের বোঝাতে হবে।



০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগু দাদা
বর্তমান প্রজন্মের কিছু লোক কেন যেন কোরআন-
হাদিসের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে চলে।
অথচ কোরআনও হাদিস দেয় সত্য ও সঠিক
পথের সন্ধান। তাই কোরআনের বর্ণিত ঘটনাগুলো
বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে
তারা সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

জগতারন বলেছেন:
নূর মোহাম্মদ নূরু ;
এক্ষন সক্কাল বেলা প্রাবাসে,
মেঘলা আকাশ, কিছু ঠন্ডা মিশ্রিত
আরলিঙ্গটন, টেক্সাস-এর আবহাওয়া।
ইউ,টি,এ, ক্যাম্পাস-এ এসেছি ছেলের কাছে।
বেড়াতে এসে আপনার এ পোষ্টটি পেয়ে খুব ভাল লাগলো।

সুভেচ্ছা জানবেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ জগতারণ দাদা
লেখাটি পরবাসে বসে পাঠ করার জন্য।
আপনার ভ্রমণ সুখকর হোক ছেলের
সাথে। শুভকামনা আপনার জন্য।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আবরাহা ভুল করেছিল হস্তিবাহিনী নিয়ে আক্রমন করে।মরু ভূমিতে দীর্ঘ পথযাত্রার পর তার বেশির ভাগ হাতী অসুস্থ হয়ে যায়।মক্কায় ( হেজাজে) পৌঁছে দেখে কোন লোক জন নাই।আবরাহা আসছে শুনে সবাই মক্কা ছেড়ে দুরে পাহাড়ে গা ঢাকা দেয়।তাদের বক্তব্য ছিল ,দেব দেবির ঘর তাঁরাই রক্ষা করবে।নিরপেক্ষ ইতিহাস থেকে এটাই দেখা যায়।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার বর্ণনায় কিছুটা ত্রুটি রয়েছে
প্রকৃত পক্ষে সে সময় মহানবী (সা.) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন
ম’ক্কার সবচেয়ে বড় সর্দার। তিনি বলেন, “আবরাহার সাথে যু’দ্ধ করার
শক্তি আমাদের নেই। এটা আল্লাহর ঘর। তিনি চাইলে তাঁর তিনিই ঘর রক্ষা করবেন।া
প্রকৃত পক্ষে আল্লাই তার ঘরকে রক্ষা করেছিলেন ক্ষুদ্র পাখিদের মাধ্যম।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: রুপকথা শব্দ ভুলে এসে গেছে । স্যরি।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:২৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আব্দুল মুত্তালিব কি মুসলমান ছিল যে সে আল্লাহ বিশ্বাস করতো।তারা ছিল মুর্তি পুজারী।প্রথান মুর্তিটির নাম ছিল হুবাল,সেখান থেকেই আল্লাহ শব্দের উৎপত্তি।তার উপর দায়িত্ব দিয়েই মুত্তালিব পলায়ন করে।আবার অন্য ইতিহাসও আছে,সেটা অনেক বড়।
মিশরের রাজা হস্তিবাহিনী দ্বারা আক্রমন করেছিল পেট্রাকে।যেটা জর্ডানে অবস্থিত।সে সময় পেট্রা ছিল প্রসিধ্য নগরী। কাবাঘরের মতো একটি ঘর এখনো আছে।যদিও ভাঙ্গা দশায়।উইটিউবে সার্চ দিলে দেখতে পাবেন।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই ক্ষুদ্র আবাবিল পাখি স্বচোখে দেখেছি হারাম শরীফের ভিতর কিচিরমিচির করে

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০৮

স্প্যানকড বলেছেন: আবাবিল তো পাখি। নমরুদ তো গেল এক মশার কারণে। আর কে কি বলল, ঐ গুলা ধইরা লাভ নাই। যার যার ক্ষতি সে করবে। আপনার, আমার কি! জ্ঞানী কি কম খালি নোবেল পায় না। তয় চেষ্টা করলে নীলক্ষেত থেকে একটা নোবেল সনদ নিতে পারে। এইটা পসিবল! ভালো থাকবেন। লেখা ভালো লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.