নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধূমপানের কুফল জানা সত্বেও বাড়ছে ধুমপানঃ বেশি ধূমপায়ীদের তালিকায় বাংলাদেশী নারী!!

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৮


ধূমপান নিয়ে যখন চলছে হাজার তর্ক-বিতর্ক সেখানে আমাদের দেশ ধূমপায়ীদের তালিকায় এগিয়ে। ধূমপানে ফুসফুস ক্যান্সার, হৃদরোগ, হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া ছাড়াও আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এটি আপনাকে অনেক বেশি বুড়ো বানিয়ে দেবে। এত কিছু জানা সত্বেও যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী বাস করেন তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে ৷এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ধূমপানের জন্য অন্যতম একটি দেশ। এখানে ধূমপানে অভ্যস্ত নেই এমন পুরুষ হাতে গোনা খুব কম। বিশ্বের যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী বাস করেন তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে৷ এছাড়া গত ২৫ বছরে বাংলাদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর শতকরা হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি৷পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যে ধূমপান করে না, তা কিন্তু নয়। তবে নারী ধূমপায়ীর তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করবে তা হয়তো কেউ ভাবেও নি। তবে এমনটাই ঘটেছে। উদ্বেগের বিষয় যে বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা অধিক। নারীদের ধুমপানকারীদের নিয়ে শীর্ষ তালিকা করা হলে, সেখানে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্রোয়েশিয়া। পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া এই তালিকায় ক্রোয়েশিয়ার আগে অবস্থান করছে। ধূমপানবিরোধী নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত এক বছরে কিশোর ও তরুণ ধূমপায়ী বেড়েছে ১১ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৫৭ শতাংশ। এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ শতাংশ। ক্রোয়েশিয়া ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৬২ শতাংশের মতে, দেশে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। কিশোর ও তর“ণ ধূমপায়ীর ৯৮ শতাংশই সিগারেট পান করে। অন্যদিকে এই সময়ে দেশে মোট ধূমপায়ী বেড়েছে সাত শতাংশ। এর ফলে ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে মোট ধূমপায়ীর হার দাঁড়িয়েছে ৪৮ শতাংশে। ক্রোয়েশিয়া ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের ওই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ক্রোয়েশিয়া ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে অন্তত ৩১ শতাংশ নাগরিক ধূমপান করে। এ হিসেবে দিনে প্রত্যেকেই ১৬টি সিগারেট ধূমপান করে। এজন্য প্রতিমাসে মাথাপিছু ৭০ ইউরো দরকার হয় তাদের। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে ক্রোয়েশিয়ার তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ২২টি ধূমপায়ী দেশের তালিকায় ক্রোয়েশিয়া বিশ্বে সপ্তম। দেশটিতে প্রায় তিন বিলিয়ন লোক ধূমপান করে। পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া এই তালিকায় ক্রোয়েশিয়ার আগে অবস্থান করছে। এবং একই হারে বাড়ছে বাংলাদেশী নারী ধূমপায়ীদের সংখ্যা। ক্রোয়েশিয়ার সরকারি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। ক্রোয়েশিয়ার সরকারি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে খোদ ক্রোয়েশিয়া। মোট ২২টি দেশের ওপর গবেষণাটি করেছে 'ক্রোয়েশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ'। গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা 'ক্রোয়েশিয়া উইক' জানায়, নারী ও পুরুষ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ীর তালিকায় ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান সাত নম্বরে। কিন্তু কেবল নারীর হিসাব কষলে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। এ ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশের নাম। তবে বাংলাদেশে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা কত- তা পত্রিকাটি উল্লেখ করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রোয়েশিয়ার ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩১ শতাংশই ধূমপায়ী। এ ক্ষেত্রে একজনের প্রতিদিন গড়ে সিগারেট লাগে ১৬টি। আর মাথামিছু মাসিক খরচের হিসাব করলে দাঁড়ায় ৭০ ইউরো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলছে বেকারত্ব ও মানসিক চাপ। ধূমপানবিরোধী সংগঠন ‘ক্যাম্পেইন ফর ক্লিন এয়ার’ পরিচালিত বাংলাদেশে তামাকের প্রভাব সংক্রান্ত জরিপের রিপোর্টে একই তথ্যই পাওয়া গেছে।
জরিপে অংশ নেয়া ৯৪ শতাংশের ধারণা তরুণরা আগের চেয়ে বেশি ধূমপানের দিকে ঝুঁকছে। জরিপে অংশ নেয়া ৬৩ শতাংশের ধারণা, সিগারেটের সহজলভ্যতা ও ১৯ শতাংশের ধারণা বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা ধূমপানে আসক্ত হয়েছে। আরো জানা গেছে, ধূমপায়ীদের ৮৭ শতাংশ ধূমপানে ক্যান্সার হয় এটা জেনেই ধূমপান করে। এছাড়া প্রতিদিন ৫০ টাকা পর্যন্ত ধোঁয়ায় উড়িয়ে দেন সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী। চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে৷ কয়েকশত বিজ্ঞানীর তথ্য দিয়ে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজেস' শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে৷

রিপোর্টে বলা হয় , সারা বিশ্বে ১০টি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য দায়ী ধূমপান৷ এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যকই চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়ার নাগরিক৷ ঐ চারটি দেশের ধূমপায়ী সংখ্যার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন্স, জাপান, ব্রাজিল আর জার্মানির ধূমপায়ীর সংখ্যা যোগ করলে, তা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর সংখ্যার প্রায় সাড়ে ৬৩ শতাংশ হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷
উচ্চকর, প্রচারণামূলক কর্মসূচি, সতর্কতামূলক বাণী প্রচারঃ – এ সব কারণে কয়েকটি দেশে শতকরা হিসেবে ধূমপায়ীর হার কমেছে৷ যেমন ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল – এই ২৫ বছরে ব্রাজিলে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ২৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ এবং নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা ১৯ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে৷ তবে বাংলাদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর শতকরা হারে (৩৮ শতাংশ) কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ ইন্দোনেশিয়া (৪৭ শতাংশ) আর ফিলিপাইন্সেও (৩৫ শতাংশ) পরিবর্তন আসেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷
বিশ্বব্যাপী শতকরা হিসেবে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমলেও ধূমপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি৷ প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে চারজন পুরুষের একজন ও ২০ জন নারীর মধ্যে একজন ধূমপান করেছে৷ ২৫ বছর আগে ১৯৯০ সালে তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন ও ১২ জন নারীর মধ্যে একজন ধূমপান করেছিলেন৷
তবে ২০১৫ সালে ধূমপানের কারণে ৬৪ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ ১৯৯০ সালের তুলনায় সংখ্যা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি৷ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷
২০১৫ সালে ৯৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন ধূমপান করেছেন৷ ১৯৯০ সালে সংখ্যাটি ছিল ৮৭০ মিলিয়ন৷

ধূমপান আপনাকে স্রেফ বুড়ো বানিয়ে দেবে। ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলেঅর অন্যতাম হলো অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের চেহারায় আগেভাগেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়। সামপ্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধূমপানের কারণে চোখের নিচের পাতা ঝুলে পড়া, ঠোঁটসহ মুখাবয়বে বলিরেখা পড়ে। ধূমপায়ীরা সহজেই ত্বকের লাবণ্য হারায়। গবেষকরা দুইজন ধূমপায়ীর অবয়ব পরীক্ষা করে দেখতে পান একজনের চেহারা অন্যজনের চেয়ে ৫৭ ভাগ সতেজতা হারিয়েছে। পরে দেখা গেছে, দু’জনই ধূমপায়ী, একজন সমপ্রতি ধূমপানে অভ্যস্ত হয়েছেন আর অপরজন দীর্ঘদিন ধরে তা করে আসছেন। গবেষণা সম্পর্কে ড. এলিজাবেথ তানজি বলেন, ধূমপান আপনাকে স্রেফ বুড়ো বানিয়ে দেবে। এর বাহ্যিক ক্ষতিই এটি। তিনি আরও বলেন, ধূমপানে ফুসফুস ক্যান্সার, হৃদরোগ, হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া ছাড়াও আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এটি আপনাকে অনেক বেশি বুড়ো বানিয়ে দেবে। আর তাই এ অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে দুটি অনুষ্ঠানের দিন পরিকল্পিতভাবে তোলা ৭৯ জোড়া ছবি থেকে প্রাথমিক কাজ করা হয়। ‘কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্চ ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব ক্লেভেনডের’ ড. ব্রাহাম গাইরন ও তার সহকর্মীরা গবেষণার ফল বিশ্লেষকদের দেখান। এরপর তাদের বয়সভিত্তিক চেহারার অবস্থা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে বলা হয়। ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীদের নিয়ে ৪৫ জোড়া ছবি থেকে মূল্যায়নে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের মুখে ভাঁজ পড়েছে বেশি। ধূমপানের ফলে পুরুষের চেয়ে নারীদের শরীরে যে বিশেষ সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে সেই প্রধান সমস্যাগুলোকে :
১. ক্যান্সারঃ
সিগারেট খাওয়ার ফলে পুরুষের ন্যায় নারীদেরও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিগারেট ফুসফুসে ‘এমফাইসেমা’ সৃষ্টি করে। ‘এমফাইসেমা’ হলে ধীরে ধীরে ফুসফুস পঁচে যায়। ‘এমফাইসেমা’ রোগীর যখন তখন ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে। যেকোনো সময় হার্ট কিংবা ফুসফুসের স্পন্দন বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া ধূমপানের ফলে ঠোঁট, মুখ, দাঁতের মাড়ি, খাদ্যনালী, শ্বাসনালীতে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা খুব বেশী। মূত্রথলি, কিডনী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদ্রান্ত্র, মহিলাদের জরায়ু এবং স্তনেও ক্যান্সার হবার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
২. হার্টের সমস্যাঃ
সিগারেট খেলে পুরুষের মত নারীদেরও হার্টেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোক ঘটাতে পারে। ধমনীতে বিভিন্ন ব্লকেজ তৈরি করে ফেলে। তখন এনজিওপ্লাস্টি করে আর্টারিতে রিং পরাতে হয়, এই রিং ১০ বছরের মতন থাকে। এরপর অবস্থার উন্নতি না হলে বাইপাস সার্জারি করানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
৩. গর্ভের সন্তানের ক্ষতিঃ
নারীর একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে সেটি আমরার সবাই জানি অর্থাৎ তারা গর্ভ ধারণ করতে পারেন, মানবশিশু জন্ম দিতে পারেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কোনো নারী ধূমপান করলে ঘনঘন গর্ভপাত, জন্মের আগেই বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে। আর বাচ্চার যদি জন্ম হয়ও দেখা যায় সেই বাচ্চা কম ওজন নিয়ে বা অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহন করে।
৪. ত্বকের সমস্যাঃ
পুরুষের তুলনায় নারীদেও ত্বক অনেকটাই পাতলা এবং মলিন হয়ে থাকে। অনবরত ধূমপান করলে নারীদেও ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সিগারেটের ধোঁয়াটা সরাসরি তাদেও মুখে গিয়ে লাগে। এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জি হয়ে থাকে। ত্বক কালো হয়ে যায় এবং বেশ রুক্ষ হয়ে যায়।
৫. ঠোঁটে দাগঃ
নারীদের ঠেঁটের যে লাবণ্যতা বা কমনীয়তা তা সিগারেট খাওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সিগারেট খেলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। এছাড়া নারীদের ঠোঁটে কালো কালো ছোপ বা দাগ তৈরি হয় যার ফলে নারীদের সকল সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
৬. বয়স বেড়ে যায়ঃ
সিগারেটের কারণে ত্বকে অক্সিজেন কম আসে, ফলে অল্প বয়সে বৃদ্ধদের মত রুক্ষ ত্বকের সৃষ্টি হয়। সিগারেট যেহেতু ত্বককে রুক্ষ করে তোলে তাই দেখা যায় অনবরত সিগারেট খাওয়ার ফলে বিশেষ করে নারীদের বয়স অনেক বেশি মনে হয়। সিগারেটে থাকা নিকোটিনের প্রভাবে এমনটা হয়ে থাকে।
৭. হাড়ের ক্ষয়ঃ
সিগারেট খাওয়ার ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়। নারীদের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি মারাত্মক। কেননা নারীরা এমনিতেই অস্টিওপরেসিসে ভোগে বেশি, তার উপর ধুমপায়ী নারীরা ১০-১৫% বেশি এ রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে পড়েন। তাই সময় থাকতে পুরুষ নারী নির্বিশেষে ধূমপান পরিহার করুন ।
সুত্র্ঃ
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কানাডায় বেশি ধুমপান করে চীনারা।আমার আশে পাশে চীনাই বেশি থাকে।অনেকে গাজা খায়( গাজা কি খাওয়া হবে) গাজা খাওয়া নিষেধ নাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি বাদ থাকছেন কেন?
চীনাদের অনুকরণে শুরু করে দিন।
নিশ্চয় এতে সুফল পাবেন। কারণ
বিদেশীরা যাই করে তাই নাকি ভালো।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমিতো এখানে বিদেশিই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তা হলতো কথাই নাই
গাজা, চরস, হাসিস,মদ
দ্রাক্ষার রস সবই আপনার
জন্য হালাল !!

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি- আমি সিগারেট খাই কিন্তু কম খাই। প্রতিদিন ৭/৮ টা। অনেকে ২০/২৫ টা খায়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধুমপান স্বাস্থ্যের .জন্য ক্ষতিকর
জেনে শুনেও যদি একটা বুদ্ধিমান
মানুষ আগুনের দিকে হাত বাড়ায়
তখন তার জন্য করুনা করা ছাড়া
আর কি থাকে বলেন। ৭/৮ সিগারেটের
দাম ১০০ টাকার কম হবেনা। মাসে ৩০০০
টাকা দিয়ে আপনি মেযেদের জন্য কিছু গিফট
কিনুন আপনারই ভালো লাগবে। মনে্ তৃপ্তি পাবেন।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৭

মেরুভাল্লুক বলেছেন: লেখক সাহেব আপনিতো সিগারেট খাননা, আপনি প্রতিমাসে তিনহাজার দিয়ে কি করেন??
একটা গল্প বলি শুনেন,
যে লোকটার ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছিল সেই লোকটা গতকাল গাড়িচাপা পড়ে মারা
গেলেন।
হা হা হা হা

সিগারেট খেতে আমার একদম ভাল লাগে না, খুব গন্ধ। গায়ে কাপড়ে হাতে গন্ধ হয়, নিশ্বাসে গন্ধ পাওয়া যায়, খাবারের স্বাদ কমে যায় এবং গন্ধ নেবার ক্ষমতা কমে যায়, সকাল বেলা দাতে গন্ধ হয়, দাতে মুখে এবং গলায় সিগারেটের স্টেইন পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা ফুসফুসের জোর খুব কমে যায়। ফুসফুস টাইট লাগে মানে ফ্লেক্সীবিলিটি কমে যায়। তবে গাজা খেতে আমার দারূন লাগে যদি পিউর গাজা হয়। ঢাকায় পিউর গাজা রেয়ার, যা পাওয়া যায় তা ঔষধ মেশানো। পিউর জিনিশ পাওয়া যায় কুস্টিয়া,নেপাল আর নেদারল্যান্ডস। গাজায় সিগারেটের চেয়ে ক্ষতি কম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তার মানে আপনি গাজায় আসক্ত !!
আমি একসময় সব কিছু ট্রা্ই করেছি
জেনেছি, বুঝেছি তার পরে সিদ্ধান্ত
নিয়ে সব ছেড়েছি !!
আসলে এসবের ১০০% ভাগে যদি
১% ভাগ উপকারিতা থাকতো তবে
কোননা কোন যুক্তিতে এক আকড়ে
থাকতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.