নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সুন্দর কিছু প্রাণঘাতী বিষাক্ত উদ্ভিদ

১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯


গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯শ’ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এদের মধ্যকার বেশিরভাগই মানুষের জন্য উপকারি। যেগুলোর প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে মানুষ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে যুগ যুগ ধরে। কিছু কিছু গাছপালা, গুল্ম, চারাগাছ, ছোটখাট উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলোকে দেখে মনে হয় একদমই নিরীহ। তবে সব সময় যে গাছপালা আমাদের উপকার করবে এমনটি নয়। উদ্ভিদের কিছু প্রজাতি রয়েছে যেগুলো মানুষের জীবন কেড়ে নিতে সক্ষম। এমনকি অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল সম্বলিত এবং মিষ্টি ফলের গাছও রয়েছে যেগুলোকে প্রথম দেখায় কেউই ভাববে না এসব বিষাক্ত। এমনকি এই সকল ফল গাছের ছায়ায় ও আপনি কোন দিন মাড়াতে চাইবেন না। এ ধরনের গাছ এবং গাছের ফুল, ফল, মূল ইত্যাদি থেকেই তৈরি হয় পৃথিবীর যত প্রাণঘাতী বিষ।। প্রকৃতিতে উদ্ভিদ সংগ্রহ করার সময়, এটি মনে রাখা উচিত যে তাদের মধ্যে রয়েছে বিষাক্ত, মানব এবং প্রাণীর পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর মধ্যে অনেকগুলি শক্তিশালী ওষুধ তবে ডোজটি অবশ্যই জানা উচিত। অতীতে একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্যারাসেলসাস বিজ্ঞতার সাথে বলেছিলেন: "কেবলমাত্র একটি ডোজই পদার্থকে বিষ বা ওষুধ তৈরি করে। এবার জানুন বিশ্বের তেমন কিছু প্রাণঘাতী উদ্ভিদ সম্পর্কে।

১। তামাকঃ
এক নম্বরে তামাকের নাম দেখে কারোরই অবাক হবার কথা নয়। কারণ আমরা সকলেই জানি তামাকের ক্ষতিকর দিকের কথা। তামাকই হলো বিশ্বে সবচাইতে বেশি জন্মানো উদ্ভিদ, যা মূলত কোনো খাবারের শ্রেণীতে পড়ে না। উদ্ভিদটির প্রায় সবখানেই, বিশেষ করে এটির পাতায় রয়েছে বিষাক্ত অ্যালকালয়েডস নিকোটিন এবং অ্যানাবেসিন, যা সরাসরি গ্রহণ করলে পরিণাম হবে মারাত্মক। যদিও একে হৃদপিন্ডের জন্য একটি বিষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তবুও তামাকের নিকোটিনকে বিশ্বব্যাপী চিত্তপ্রভাবকারী, আসক্তিকর এবং নেশাকর হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

২। অলিন্ডারঃ
অলিন্ডার দেখতে অত্যন্ত চমৎকার একটি উদ্ভিদ। এটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর ফুলগুলো। বিভিন্ন প্রতিষেধক এবং অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হলেও অলিন্ডার উদ্ভিদের আগাগোড়া পুরোটাই বিষাক্ত। কারণ এতে রয়েছে অলেন্ড্রিন এবং নেরিয়াইন নামক বিষাক্ত কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড। অলিন্ডারের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nerium oleander। কোনোভাবে এটি খাওয়া হলে তা বমি, ডায়রিয়া, অস্থির নাড়ির স্পন্দন, সিজার, কোমা এবং মৃত্যু ঘটায়। উদ্ভিদটির পাতা এবং রসের সংস্পর্শে আসলেও শরীর জ্বালাপোড়া করে। এমনকি অনেক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুধু মৌমাছিজাত মধু পান করে, যে মৌমাছিগুলো ঘটনাক্রমে এই অলিন্ডার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেছিলো! তবে অলিন্ডার বিষ থেকে মৃত্যুর ঘটনা খুব কম। কারণ উদ্ভিদটি বেশ তিক্ত। তাই কেউই ভুলেও উদ্ভিদটি শাকসবজি ভেবে ব্যবহার করেন না।

৩। রোজারি পিঃ
রোজারি পি আরেকটি নামেও বেশ পরিচিত, জেকুইরিটি বিনস। বাংলাদেশেও এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন রতি, রত্তি, গুঞ্জা, চূড়ামণি, কুঁচ, কইচ গোটা ইত্যাদি। নামের দিক দিয়ে বেশ রাজকীয় এবং নিরীহ মনে হলেও এই উদ্ভিদে রয়েছে বিষাক্ত এব্রিন, যা রাইবোজোম দমন করে থাকে। রোজারি পিকে মূলত দেখতে পাওয়া যায় গ্রীষ্মপ্রধান এলাকাগুলোতে। মাঝে মাঝে এটিকে বিভিন্ন অলংকার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রোজারি পি’র বৈজ্ঞানিক নাম হলো Abrus precarious। এটির বীজ অক্ষত থাকা অবস্থায় মোটেও ক্ষতিকর নয়। কিন্তু যখনই বীজটি ভাঙা হয় বা ফেটে যায় এবং চিবোনো হয়, তখনই এটি হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী বিষ। মাত্র ৩ মাইক্রোগ্রাম এব্রিনই যথেষ্ট একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলতে। আর একটি রোজারি পি’র বীজে ৩ মাইক্রোগ্রামের বেশি এব্রিন থাকে। প্রচলিত আছে অনেক অলংকার নির্মাতারা এই বীজটি নিয়ে কাজ করার সময় ঘটনাক্রমে আঙুলে খোঁচা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন; অনেকে মারাও গিয়েছেন। রাইসিনের মতো এব্রিনও রক্তে আমিষের সঞ্চালনে বাধা প্রদান করে এবং মাত্র চারদিনে যেকোনো অঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।

৪। ক্যাস্টর বিনঃ
শোভাবর্ধক হিসেবে বেশ পরিচিত ক্যাস্টর বিন হলো আফ্রিকার একটি অন্যতম আকর্ষণীয় উদ্ভিদ। তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটি দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে উদ্ভিদটি রেড়িগাছ ভেন্নান গাছ নামে পরিচিত। ক্যাস্টর অয়েল একটি সাধারণ পদার্থ যা সাবান থেকে রঙে, কালি এবং এমনকি সুগন্ধি পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাস্টর অয়েল medicষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এক রেচক হিসাবেও পরিচিত। তবে, আপনি কেবল উত্সটিতে যেতে চান না - ক্যাস্টর বিন - আপনি যদি কোনও ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন। ক্যাস্টর শিমের মধ্যে রিকারিন রয়েছে, এটি একটি অত্যন্ত বিষাক্ত জ্ঞানযুক্ত উপাদান। এমনকি একক ক্যাস্টর শিম চিবানো অসুবিধার লক্ষণগুলি নিয়ে আসে যা আপনাকে হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং চার বা ততোধিক বীজ গ্রহণের ফলে মারাত্মক গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস হতে পারে। উদ্ভিদটি মূলত আফ্রিকার স্থানীয়, তবে এটির সৌন্দর্য এবং দরকারীতার কারণে (ডান প্রক্রিয়াকরণ সহ), এটি বিশ্বজুড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে।

৫। সাদা স্নেকরুটঃ
এই উদ্ভিদটিকে দেখতে পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকাতে। এতে বেশ সুন্দর সাদা ফুল হয়। কিন্তু এই ফুলগুলোতেই থাকে একপ্রকার বিষাক্ত অ্যালকোহল, যার নাম ট্রিমাটল। দেখতে বেশ নিরীহ প্রজাতির এই স্নেকরুট উদ্ভিদটিই আব্রাহাম লিংকনের মা ন্যান্সি হ্যাংকসের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তবে তিনি অন্যদের মতো সরাসরি উদ্ভিদটির ফুল খাওয়ার ফলে মারা যান নি। তিনি শুধু একটি গাভির দুধ পান করেছিলেন। যে গাভীটি ঘটনাক্রমে এই স্নেকরুট উদ্ভিদটি খেয়েছিলো। ফলে এটির দুধও বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিলো। উদ্ভিদটি এতটাই বিষাক্ত যে এটি যে প্রাণী খাবে তার মাংসও বিষাক্ত হয়ে পড়বে। স্নেক রুটের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Ageratina altissima। এই মারাত্মক উদ্ভিদ খাওয়ার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ প্রথমে ক্ষুধামন্দা হয়। তারপর বমি বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা, উদরীরোগ, জিভ লাল হয়ে যাওয়া, রক্তে এসিডিটি এবং সবশেষে মৃত্যু হয়। তবে বর্তমানে কৃষকদেরকে এই উদ্ভিদ সম্পর্কে সচেতন করে দেওয়া হয়েছে। তাই তারা বেশ সতর্কতার সাথে তাদের পালিত পশুদের বনে চারণ করছেন।

৬। প্রাণঘাতী নাইটশেডঃ
একটি কিংবদন্তি থেকে পাওয়া যায়, ম্যাকবেথের সৈন্যদল ডেনসের আক্রমণকারী সৈন্যদের একটি মিষ্টি ফল থেকে তৈরি ওয়াইন খাইয়ে হত্যা করেছিলো। সেই মিষ্টি ফলের উদ্ভিদটিই হলো এই প্রাণঘাতী নাইটশেড। এই উদ্ভিদটিতে রয়েছে ছোটছোট জামের মত দেখতে মিষ্টি ফল, যা বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দেরকেও আকৃষ্ট করে। দক্ষিণ ও মধ্য ইউরেশিয়ার বন এবং পরিত্যক্ত এলাকায় এই ধূসর সবুজ রঙের পাতা এবং ঝকমকে জামজাতীয় ফল সম্বলিত গাছটির দেখা পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Atropa belladonna। নাইটশেডের কাণ্ড, পাতা, ফল এবং মূলে রয়েছে রয়েছে এট্রোপিন এবং স্কোপোলামাইন, যা দেহের অনৈচ্ছিক পেশী যেমন হৃৎপিণ্ডে পক্ষাঘাতের সৃষ্টি করে। এমনকি শুধু এই উদ্ভিদটিকে স্পর্শ করলে বা দেহের কোনো অংশ উদ্ভিদটির সংস্পর্শে আসলেও শরীরে জ্বালাতন করে।

৭। আবরাস প্রাক্টরিয়াসঃ
মনোরম এই ছোট্ট উদ্ভিদটি মূলত ভারত এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে, এবং জপমালা হিসাবে বা বাদ্যযন্ত্রের যন্ত্রের জন্য কারুশিল্পগুলির আকর্ষণীয় চেহারা এবং দরকারীতার কারণে - ফ্লোরিডাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এটি চালু হয়েছিল। তবে সমস্যাটি এটি দ্রুত আগাছা হয়ে উঠতে পারে। যদিও এটি নিজের মধ্যেই বিরক্তিকর, সমস্ত সমস্যার আরও খারাপ করে তুলেছে কারণ বীজগুলি সম্ভাব্য মারাত্মক। এগুলিতে আবর্ন নামে পরিচিত একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা ইনসুলিন, রিকিন, বোটুলিনাম, কলেরা এবং ডিপথেরিয়া বিষের সাথে একই রকম বীজের শক্ত খোলটিতে সাধারণত বেশিরভাগ টক্সিন থাকে, যারা এটিকে হালকাভাবে পরিচালনা করেন তাদের উপর এটির প্রভাব তৈরি করে। তবে, শেলটি খোলা বা পিষ্ট হলে, প্রভাবগুলি বিপর্যয়কর। পুরোপুরি চিবানো এবং গিলে ফেলা একটি একক বীজ শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মারাত্মক let আসলে এটি আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য অনেক ব্যবহারের কারণে, এই উদ্ভিদটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক উদ্ভিদের তালিকার শীর্ষে থাকলেও এখনও এটি মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়।এই গাছের বীজের প্রশংসা করুন, তবে ফসল কাটাবেন না।

৮। ম্যানচিনেলা ট্রিঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর এবং বিষাক্ত গাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ এই গাছ থেকে এক প্রকার বিষাক্ত রস নিঃসরিত হয়। এর বিস্তার ট্রপিক্যাল নর্থ এবং সাউথ আমেরিকায়। তবে খুব বেশি দেখা যায়, ফ্লোরিডা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে। এটি দেখতে খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয়, দেখেই মনে হতে পারে, রুপ দেখতে এতো সুন্দর, যদি সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এই গাছের নীচে নিশ্চয় জিরানো যায়। আমরা সাধারণত কোনো গাছের নীচে বসলে মনের অজান্তেই পাতা ছিঁড়ি মনি করে থাকি। কিন্তু সেখানেই শুরু হয় মহাবিপদ, কারণ পাতা স্পর্শ করার সাথেই আপনার হাতে ডার্মাটাইটিস এর প্রদাহ শুরু হবে। এমনিতে কস নিঃসৃত হয় আর তখন যদি গাছে স্পর্শ করা হয়, তবে সাথে সাথে ফুসকা পড়ে যায়, চোখে গেলে অন্ধ হবারও সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সময় এই গাছের নীচে একদমই দাঁড়ানো যাবেনা। এই জন্য এই গাছকে tree of death বলা হয়। এইতো গেলো গাছ, এইবার আসি ফলে, এর ফলগুলো দেখতে অনেকটা ম্যানগ্রোভ অয়াপলের মতো, এটিকে ডেথ অ্যাপল বা বিচ অ্যাপলও বলা হয়। এই ফল খেলে, আপনার ঠোট থেকে শুরু করে পেটের নাড়ীভুরি-পাকস্থলি সবই জ্বলতে থাকবে। এই জন্য deadliest tree হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছে।

৯। সুইসাইড ট্রিঃ
প্রাকৃতিকভাবেই এটি ভারতে জন্মায়। বিশেষ করে উপকূলীয় লবণাক্ত জলাভূমিতে দেখা যায়। পাতাগুলো দেখতে যেমন সাজানো ফুলও কিন্তু খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয়, সহজেই ভালোবেসে ফেলার মতো। এই গাছের সারাগায়ে বিষাক্ত হুল রয়েছে, যেখানে কার্ডেনোলাইড এবং কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড নামক বিষাক্ত উপাদান পাওয়া যায়, যা আমাদের হৃদপেশীর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। মানুষের গায়ে একবার যদি লাগে প্রায় দুবছর পর্যন্ত যন্ত্রণা হতে পারে।

১০। স্ট্রেচনিই ট্রিঃ
এটিও প্রাকৃতিকভাবে ভারতে জন্মায় তবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতেও দেখা যায়। দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। এইযে ছবিতে লোভনীয় ফলের ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন হয়ত। এই গাছের পাতা, বাকল ও ফলে স্ট্রিকনিন ও বুসিন নামক বিষাক্ত টক্সিন রয়েছে, তবে বলা হয়ে থাকে ফল মারাত্মকভাবে বিষাক্ত। এই বিষ আমাদের স্নায়ুকার্য বন্ধ করে দেয়, ফলে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, দুর্বলতা ও ধনুষ্টংকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এবার কিছু বিষাক্ত পাতাবাহার গাছঃ
অনেকেই নিজের নান্দনিক রুচির প্রকাশ ঘটাতে ঘরের কোনে, ব্যালকনিতে, বারান্দায় এমনকি ড্রয়িং রুমে পাতাবাহার ও মানিপ্ল্যান্ট গাছ রাখেন অনেকেই। কিন্তু উদ্ভিদবিদরা জানিয়েছেন, এসব পাতাবাহারের মধ্যে এমন অনেক গাছ আছে যা বেশ বিষাক্ত। এই বিষাক্ত উদ্ভিদগুলোর সংস্পর্শে থাকা আপনার শিশুসহ বড়দের জন্যও ক্ষতিকর। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে এই গাছগুলো। যেমনঃ

১১। ফিলোডেনড্রনঃ
ফিলোডেনড্রন নামে দক্ষিণ আমেরিকার এই পাতাবাহারটির নাম অচেনা হলেও অনেকেরই এই গাছটি খুব চেনা। অনেকেরই ঘরের ব্যালকনি অথবা পড়ার টেবিলেও সাজানো থাকে এই লতানো গাছটি। সাধারণভাবে মানিপ্ল্যান্ট বা পাতাবাহার হিসেবে পরিচিত আপাতনিরীহ এই গাছটির সংস্পর্শে আসলে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। সুইডেনের ইনস্টিটিউট অব হেলথের অণুজীব রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক ফিলিপ রস জানান, বিরল এক ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ ছাড়া গলা ও মাথাব্যথা, শ্বসনতন্ত্রে সমস্যাও দেখা দেয়। এ ছাড়া ঝোপালো এই গাছটি বাসায় বেশি পরিমাণে থাকলে এই প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যাসহ অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। ফিলিপ রস আরো জানিয়েছেন, এই ক্ষতিকর গাছটির প্রভাব খুব তাড়াতাড়ি বোঝার সাধ্য নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে গাছটি মানুষ ও পোষা প্রাণীকে আক্রান্ত করে। তাই শিশু, বৃদ্ধ ও পোষা প্রাণীদের এই গাছ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেন এই অণুজীব রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ।

১২। তীরমাথা গাছঃ
উজ্জ্বল সবুজ রং আর হৃদয় আকৃতির পাতার জন্য তীরমাথা গাছ (অ্যারোহেড) প্রকৃতিপ্রেমীদের খুব পছন্দ। এই গাছটির ক্ষতিকারক দিক অনেকটা ফিলোডেনড্রন লতার মতোই। অল্প বয়সী অ্যারোহেড গাছের পাতা থাকে গাঢ় সবুজ এবং হৃদয় আকৃতির। আর বয়স্ক হতে হতে গাছের পাতা কালচে সবুজ এবং তীরের মাথার আকার ধারণ করে। এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে শিশু ও পোষা প্রাণীর গলা ও মাথাব্যথা এবং শ্বসনতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া শিশু ও পোষা প্রাণীর পেটেব্যথা ও বমিভাবও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া বৃদ্ধরাও এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে সরাসরি আক্রান্ত হতে পারেন।

১৩। ডায়ফেনবাসিয়াঃ
যে গাছটির ছবি দেখছেন, তার পোশাকি নাম হলো ডায়ফেনবাসিয়া। অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডরে, এমনকি ফ্ল্যাটের বারান্দায় এই গাছটি হামেশাই দেখা যায়। আমাদের পরিচিত ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক এই গাছটির ভয়াবহতা অনেকেই কল্পনা করতে পারবেন না। হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গাছটির একটি পাতা আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। পাতা খেলে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। শিশুদের বেলায় তো এটি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে, এই গাছের পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামের এক উপাদান, যা মানুষের কিংবা পোষা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। এক অভিভাবকের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, যে বাড়িতে শিশু আছে, সেখানে এই গাছ না রাখাই উচিত। কারণ যুক্তরাজ্যের অধিবাসী ওই অভিভাবকের তিন বছর বয়সী এক মেয়েশিশু ডায়ফেনবাসিয়া গাছের পাতা গিলে ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে যায় এবং মৃত্যু ঘটে। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু হতে পারে ১৫ মিনিটের মধ্যে। এমনকি এই গাছ হাত দিয়ে ধরলে এবং সেই হাত চোখে লাগালে অন্ধত্বের সম্ভাবনা থাকে।

১৪। ক্যালাডিয়ামঃ
নান্দনিক এ পাতাবাহার গাছটি আমরা সবাই চিনি। অনেকের ঘরে অথবা বারান্দার বাগানের সাজিয়ে রাখা আছে এই গাছ। লাল, গোলাপি অথবা সাদা পাতার ক্যালাডিয়াম নামে পরিচিত এ গাছটি বাগান সাজাতে বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার এই গাছটি সম্পর্কে উদ্ভিদবিদরা জানিয়েছেন ভয়ংকর তথ্য। গাছটির পাতায় আছে দীর্ঘস্থায়ী বিষ। আর শিশুরা এ গাছের পাতা মুখে দিলে আক্রান্ত হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী পেটের পীড়ায়। শুধু তাই নয়, ঘরের পোষা প্রাণীদের জন্যও সমান ক্ষতিকর এই গাছটি। পরীক্ষার পর জানা গেছে দীর্ঘদিন এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে এক ধরনের স্থায়ী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। যার ফলে মুখ, জিহ্বা ও ঠোঁটে জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা, গিলতে সমস্যা এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।

১৫। শ্বাশুড়ির জিহ্বা/পাতাবাহার গাছঃ
শুনতে অবাক লাগলেও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের গুল্মটির নাম এটাই। বাংলাদেশে এই গাছটিও পাতাবাহার গাছ হিসেবে বহুল প্রচলিত। বাগানের সীমানায় বেড়া হিসেবেও এই গাছটি লাগানো হয়। এ ছাড়া অফিসে, বাসায় গৃহসজ্জায় এই ঝোপালো গাছটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারণত এই গাছটি গাঢ় সবুজ রঙের দেখা যায়। তবে অঞ্চলভেদে সাদা এবং হলুদ রঙের হয় ‘শ্বাশুড়ির জিহ্বা’ গাছ। ইতালি ও স্পেনে আবার এই গাছটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। তবে উদ্ভিদবিদরা জানাচ্ছেন, এই গাছটি স্বাস্থ্যগতভাবে শিশু এবং পোষা প্রাণীদের জন্য একেবারেই সৌভাগ্য বয়ে আনে না। অন্য গাছগুলোর তুলনায় এই গাছটি কম বিষাক্ত হলেও তা শিশু ও পোষা প্রাণীদের ক্ষতির জন্য যথেষ্ট। গাছের পাতা খাওয়া অথবা দীর্ঘদিনের সংস্পর্শে গলা ব্যথা ও নাসারন্ধ্রের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই গাছটি আবার দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়সহ অন্যান্য পেটের পীড়ার কারণ হয়েও দেখা দেয়।
সূত্রঃ বিভিন্ন উদ্ভিদবিষয়ক ওয়েব সাইড
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০৭

শায়মা বলেছেন: হায় হায় কি বলো এসব ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!
সবগুলি পাতাবাহারই তো আমার আছে!!!!!!!!!!!!!! :((

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তা হলেতো বিষের
মধ্যেই আপনার বসবাস।
কি করে নিচ্ছেন শ্বাস !!

২| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: পাতাবাহার আমার আছে। ঘরে, সিড়িতে।
আচ্ছা, এই সব গুলো ফুল কি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ।
সবগুলো ফুল বাংলাদেশে
পাওয়া যায়না। কোথায় পাওয়া যায়
তার উেল্লেখ আছে লেখায়।

৩| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

জটিল ভাই বলেছেন: দেশের সুন্দর কিছু প্রাণঘাতী বিষাক্ত মানুষ নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারেন।

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জটিল কথা !! বিষাক্ত মানুষের
কথা বললে চাকরী থাকবেনা।

৪| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাালিকাটা জানা রইলো।

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পাছ পালা নিয়ে আপনার কারবার
আপনারতো আমার চেয়ে বেশী
ভালো জানার কথা।
ধন্যবাদ দাদা।

৫| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

আরইউ বলেছেন: একদম ১ম লাইনেই তথ্যবিভ্রাট/ ভুল থাকলে পুরো লেখা পড়ার আগ্রহ কমে যায়, নূর! গাছপালার প্রজাতি সংখ্যা আপনি যা লিখেছেন তার থেকে অনেক বেশি। বিবিসি-র ২০১৬ এর রিপোর্ট দেখুন; ওরা বলছে প্রায় ৪০০,০০০! ভালো থাকুন। Click This Link

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অল্পতে খুত ধরে আগ্রহ হারানো ঠিক নয়।
এতো কাকের পারিসংখ্যানের মতো।
৯,৯৯,৯৯৯ টি কাক আছে শহরে,
বেশী হলে বুঝবেন কেউ বেড়াতে'
এসেছে আর কম হলে মনে করবেন
কেউ বেড়াতে গেছে। হিসাব বরাবর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৬| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ যেসব শাক ও মুল খাচ্ছেন, সেগুলোর মাঝে কোনটা বিযাক্ত?

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আগড়া শাক বিষাক্ত, খেলে আপনার মৃত্যু হতে পারে।
বাংলাদেশের সিলেট জেলায় ২০০৭ সালে এই গাছ
খেয়ে ১৯ জন লোক মারা গেছে এবং ৭৬ জন লোক
পিরীত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তা ছাড়া রাজধানীতে বিক্রির আগে বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানিতে
ধোয়া হয় শাক-সবজি। যা হাত ঘুরে চলে আসছে মানুষের
খাবার টেবিলে। যা ভোক্তাদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ
পরিণতির দিকে। এই শাক-সবজি খেলে নিউমোনিয়া,
মেনিনজাইটিস, ক্রনিক ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
ছোট বা বৃদ্ধ যারা পরিবারে আছে তারা যদি এ ধরনের
খাবার গ্রহণ করে থাকে তাহলে বড় ধরনের রোগ হতে পারে।

৭| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব প্রানঘাতী ফুলের চাষ কারা করে? কেন করে?

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মানুষ সুন্দরের পুজারী
ক্ষতিকর জেনেও শুধু
সুন্দরের প্রেমে পড়ে
নিজের সর্বনাশ করে।
যেমন কিলিওপেট্রার
প্রেমে পড়ে রোমান বীর
অ্যান্টনি তার সর্বনাশ
ডেকে এনেছিলো।

৮| ১১ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক জাতের ফুল ও লতাপাতার মারাত্মক কিছু গুণাগুণের সচিত্র তথ্য পাওয়া গেল
লেখাটি হতে । তথ্যগুলি আমাদের বেশ উপকারে দিবে ।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে বিলাই হুঙ্গি বা আলকুশি নামে একটি গুল্ম জাতীয় গাছ জন্মায়
আমাদের দেশে , পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই গাছ জন্মে, অনেকেই হয়তবা এই গাছটি
দেখে থাকতে পারেন । এই গাছের ফুল দেখতে বেশ সুন্দর, ফল দেখতে অনেকটা জংলী
সিমের মত ।
আলকুশি তথা বিলাই হুঙ্গি গাছের ফুল

হুলে ভরা আলকুশি তথা বিলাই হুঙ্গি গাছে জন্মানো সীমের মত লম্বা ফল

এটিকে অনেকে বিলাই-চিমটি বা বিড়ালের-চিমটি নামেও চিনে থাকে। ফলের খোসা
ও পাতায় আছে অসংখ ছোট ছোট হুল, যার কারণে এটা কোনভাবে গায়ে লেগে
গেলে ভিষণ চুলকানির উদ্রেক হয়। খালি গায়ে লাগলে দৌড়াঁয়ে গিয়ে নদী কিংবা
পুকুরের পানিতে না নামলে গায়ের জ্বালা পোড়া কমতোনা ।

ছোটকালে দেখতাম এটা আমাদের এলাকায় জঙ্গলে বিভিন্ন গাছের মধ্যে জড়িয়ে থেকে
গুল্ম হিসাবে বেড়ে উঠা অনেক গাছে হুঙ্গা/হুলে ভরা সীমের মত ফল ঝুলে আছে ।
গরমকালে খালি গায়ে জঙ্গলের ধারে কাছে এসকল গাছের নীচে গেলে বাতাসে বিলাই হুঙ্গির
গাছ থেকে এদের হুল ভেসে এসে গায়ে লাগলে ভিষন চুলকানী হতো । চুলকাতে চুলকাতে
গায়ে ফুস্কা পরে যেতো , লাল হয়ে ফুলে যেতো। এটা সারতে বেশ কিছুদিন লেগে যেতো ।
সে সময় আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করতাম তা হলো ছোট সময় আমাদের এলাকায়
জঙ্গলে অনেক বানর ছিল । কিন্তু যখন বিলাই হুঙ্গি গাছে ফল পুষ্ট হত তখন চুল্কানির ভয়ে
বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যেতো, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা
ফিরে আসত যখন ফলগুলি মাটিতে পড়ে যেতো । মাটিতে পড়ে যাওয়া ফলগুলি বানরেরা
বেশ মঝা করে খেতো। শুনেছি বিলাই হুঙ্গির হুল গায়ে চুলকাণী জাগালেও এর নাকি আছে
ভেষজ ঔষধি গুণ । বুকে জমে থাকা কফ সারাতে এর মূল বেশ কার্যকরি। এর পাতা শাকের
মত রেধে খেলে রক্তপিত্ত থেকে আরোগ্য হয়।মধ্য আমেরিকায় বিলাই হুঙ্গি তথা আলকুশির
বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করে পান করে কফির বিকল্প হিসেবে। একারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য
দেশে এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে। নেস ক্যাফে নামে বাজারে একটি বিখ্যাত ব্রান্ডের
কফিউ পাওয়া যায় ।

মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ

শুভেচ্ছা রইল

ছবি ও তথ্য সুত্র : গুগল অন্তর্জাল

১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলী ভাইয়ের মন্তব্য মা্নেই
নতুন কোন তথ্যের .সংযোজন।
ছোট বেলাতে আমরাও ভয়ে মাড়াতামনা
এই বিলাই হুঙ্গি । তবে আল্লাহ যা্ই সৃষ্টি
করেছেন তা মানুষের কল্যাণের জন্য এটা
বিশ্বাস করতেই হবে। হয়তো আমাদের ক্ষুদ্র
জ্ঞানে তার কারিশমা বুঝিনা। তোমরা তার
কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে !!

ধন্যবাদ আলী ভাই, ভালো থাকবেন।

৯| ১১ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো সারা বিশ্ব থেকে সব ক্ষতিকর বস্ত সমুদ্রে ফেলে দিতাম।

১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোনটি ক্ষতিকর আর কোনটি উপকারী
সে সম্পর্কে কি আপনার পূর্ণ্ জ্ঞান আছে?
আগে জানতে হবে!! বালখিল্যের মতো
কথা বলা মানায়না আপনার মতো বুদ্ধিমান
মানুষকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.