নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বনাশা মাদকের নাম ‘এলএসডি’

২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪


বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য চালু আছে। মদ, গাঁজা, ভাঙ, আফিম, চরস, ভদকা প্রভৃতি নেশাকর দ্রব্য বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। আমাদের যুবসমাজ সাধারণত যেসব ড্রাগগুলোকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করে তাদের মধ্যে সিডাকসিন, ইনকটিন, প্যাথেড্রিন, ফেন্সিডিল ইত্যাদি। তাছাড়াও ইয়াবা নামক মাদকের সর্বনাশা ছোবল বর্তমান যুবসমাজকে দংশন করছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে মাদকদ্রব্যেরও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বর্তমানকালে মাদকদ্রব্য হিসেবে হিরোইন, মারিজুয়ানা এলএসডি, প্যাথেড্রিন, কোকেন, মরফিন, পপি, হাশিশ, ক্যানবিস, স্মাক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবার চেয়ে শতগুণ মারাত্মক মাদক ‘আইস’। ‘এমডিএমএ’, ‘আইস’ ডিমেথ, মেথান ফিটামিন বা ক্রিস্টালমেথ নামে পরিচিত অত্যন্ত দামি এই মাদক সমাজের অতিবিত্তশালীদের সন্তানরা ব্যবহার করে থাকেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা আইস মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতি ১০ গ্রাম বিক্রি করে থাকে এক লাখ টাকায়, যা রাজধানীর অভিজাত ও উচ্চবিত্তরা ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিবার মাদক আইস সেবনে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এ মাদক সেবনের ফলে ধ্বংস হচ্ছে অভিজাত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে মাদকদ্রব্যেরও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম স্টিমুলেটিং ড্রাগস’ নামে পরিচিতি এই মাদক ইয়াবার চেয়ে শতগুণ ক্ষতিকারক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আইসের অন্যান্য নাম সেবু, ক্রিস্টাল ম্যাথ ডি-ম্যাথ। তবে এর কেমিক্যাল নাম মেথাম ফিটামিন। অতি সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক অভিযানে দেশে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ মাদক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড‘(এলএসডি)’ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর একটি বাসায়। পুলিশ বাসাটি থেকে ২০০ পিস এলএসডি জব্দ করেছে। দেশে এলএসডি জব্দের ঘটনা এটাই প্রথম। এলএসডি দেখতে ডাক টিকিটের মতো। সেবনকারীরা ঠোঁটের নিচে এলএসডি রেখে দিত। এলএসডি নতুন মাদক, ব্যয়বহুল এবং অতিরিক্ত ক্ষতিকারক। খুবই শক্তিশালী এলএসডির ডোজগুলো সাধারণত মাইক্রোগ্রাম হিসেবে নেয়া হয়। এই মাদক উত্তেজক ও আনন্দদায়ক। মনের ওপরও এর প্রভাব রয়েছে। কখনো কখনো এর প্রভাবে ভীতিকর অনুভূতি তৈরি হয়, যাকে ব্যাড ট্রাপ বলা হয়। এর সেবনকারী নিজেকে অনেক শক্তিশালী এবং সে উড়তে পারে ভাবে। তার অতীত স্মৃতি চলে আসে। এটি সেবনের পর তারা মনে করে তারা ট্রেনকেও ধাক্কা দিতে পারবে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি সদস্যরা এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সন্ধান পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যু ও এলএসডি উদ্ধারের ঘটনাটি মূলত একই সূত্রে গাঁথা। হাফিজুরকে এলএসডি সেবন করানো হয়েছিল। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তিন ছাত্র হলেন- লুপল, তুর্জ ও আদিব। এদের মধ্যে লুপল ও তুর্জ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। আদিব ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। গতকাল বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার লুপল সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ‘আপনার আব্বা’ নামে একটি গ্রুপ পরিচালনা করেন। ওই গ্রুপের মাধ্যমে মাদকের ক্রেতা সংগ্রহ করা হয়। এক হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে গ্রুপটিতে। এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) যার প্রতি পিসের মূল্য ৩,০০০/= তিন হাজার টাকা। অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেন (পেমেন্ট) ব্যবস্থা পেপ্যালের মাধ্যমে সুইডেন থেকে দেশে এলএসডি মাদক আমদানি করা হয়। ঢাকায় যে এলএসডি পাওয়া গেছে, তাতে দুই ধরনের নকশা রয়েছে। একটিতে সূর্য-বাড়ি ও সাগরের ঢেউয়ের নকশা। অন্যটিকে সাগরের গোলক স্রোতের মাঝে সূর্যকে দেখানো হয়েছে। সহজলভ্য করতে ব্লটার পেপার বা নকশা করেই মূলত বিশেষ কাগজে এলএসডি মেশানো হয়। এ ছাড়া ট্যাবলেট- ক্যাপসুল-তরল বা কিউব আকারে এলএসডি পাওয়া যায়।

বর্তমানে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই তা আমাদের গ্রাস করছে। এর তীব্র দংশনে আজ ধ্বংসের পথে আমাদের আগামী দিনের তরুণ সমাজ। এলএসডির ইতিহাস হচ্ছে, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাই-ইথ্যালামাইড বা এলএসডি এক ধরণের তরল পদার্থ। যা ১৯৩৮ সালে সুইস রসায়নবিদ আলবার্ট হফম্যান প্যারাসাইটিক ফাঙ্গাস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এলএসডি আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারের প্রথমদিকে এলএসডি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তবে ওষুধটি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে বলে একে নিষিদ্ধ করা হয়। জীবনঘাতী এই মাদক ব্যবহার করা হয় মূলত স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়াতে। এটি সেবনে মস্তিষ্ক বিকৃতিসহ মৃত্যুও ঘটতে পারে। এই মাদকের মূল উপাদান মেথা ফেটামিন বিষণœতা থেকে মুক্তি ও প্রাণসঞ্চারে উজ্জীবিত হতে ১৯৫০ সালে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরে তা বিবর্তিত হয়ে ভয়ংকর মাদকে রূপ নেয়। ইন্দ্রিয় অনুভূতি, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এ মাদক পরিচিতি পেলেও এর ক্ষতিকর দিকই বেশি বলে জানা গেছে। এই মাদক সেবনে অনিদ্রা, অতিরিক্ত উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, শরীরে চুলকানিসহ নানা রোগ দেখা দেয়। ধোঁয়ার মাধ্যমের চেয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে এ মাদক নিলে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এর কার্যক্রম শুরু হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো কর্মকা- ঘটাতে দ্বিধা করে না এই মাদক গ্রহণকারীরা। এলএসডি অত্যন্ত দামি একটি মাদক। সাধারণত ব্লটিং পেপারের ওপরে এই তরল মাদক ফেলে সেই কাগজ শুঁকে নেশা করে মাদকাসক্তরা। এলএসডি মাখা এক টুকরো ব্লটিং পেপারের দাম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।মাদকদ্রব্যের ল্যাব বিষেশজ্ঞ জানান, এই মাদক অনেক দামী। আমেরিকান ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। একজন সামরিক কর্মকর্তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি ক্যানাডা থেকে এনেছিলেন। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ২১ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, সাধারণত এলএসডি নেওয়ার পর একজন মানুষ চোখ বন্ধ করেও দেখতে পায়। তার দেখা এসব দৃশ্য সবসময় বাইরের পৃথিবী বা স্মৃতি থেকে আসে না বরং তাদের কল্পনাশক্তি অনেক বেড়ে যায়। ‘এলএসডি’র প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তিনি আরো জানান, এলএসডি নেওয়ার পর প্রকৃতি ও বাইরের জগতের সঙ্গে এমন এক সম্পর্ক অনুভূত হয় যাকে অনেকসময় ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক রূপ দেওয়া হয়ে থাকে। এই মাদকের প্রভাব কেটে গেলেও ওই রকম অনুভূতি থেকে যেতে পারে। আবার এই মাদক ব্যবহার করলে মানুষের স্মৃতির ভা-ার খুলে যায়। নেশার চূড়ান্ত পর্যায়ে কেউ কেউ মাতৃগর্ভের স্মৃতিও মনে করতে পারেন। তবে সেসব স্মৃতির ভার অধিকাংশ মানুষই সহ্য করতে পারেন না। ফলে মস্তিষ্ক বিকৃতির প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অধিকাংশ মাদকগ্রহণকারীই স্মৃতির চূড়ান্ত স্তরে প্রবেশের আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এলএসডি গ্রহণকারী অনেকেই এমন দাবি করেন। এটি ব্যবহার করলে যে কারো মাথা ভার হয়ে যাবে। হেলোজেনিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। কেউ যদি গান শোনে তার সামনে গানের মিউজিকগুলো বিভিন্ন রংয়ের মতো ঘুরতে থাকবে। সেবনকারী অত্যন্ত হিংসাত্মক ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে। একটি এলএসডি ব্লট সেবন করলে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত এর প্রতিক্রিয়া থাকে। অতিরিক্ত সেবনে ২০ ঘণ্টা পর্যন্তও প্রতিক্রিয়া হয়। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্যালুসিনেশনই এসব অনুভূতির মূল কারণ। ভারতের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এই মাদকটি আলোচনায় আসে। তার বিরুদ্ধে এই মাদক নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

যে তরুণ যুবশক্তি দেশের প্রাণ, নেশার ছোবলে আজ সেই মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়তে বসেছে। নেশার ছোবলে মৃত্যুতে ঢলে পড়ছে লক্ষ প্রাণ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবার ও সামাজিক শান্তি। এদের কারণে সমাজে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকের কালো থাবা এমনভাবে মানুষকে গ্রাস করে যাতে মানসিক উশৃঙ্খলা, অবসাদ, বিষণœতায় ভোগে। পাশাপাশি কোনো পরিবারের ছেলে, স্বামী, মেয়ে যে কোনো সদস্য মাদকাসক্ত হলে সমগ্র পরিবার সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হয়। সমাজে সবাই এদের অপরাধী মনে করে এবং সে নজরেই দেখে। কারণ নেশার পয়সা জোগাড় করতে এ ব্যক্তিরা নানা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। আত্মীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী কারও কাছে মান-সম্মান থাকে না। অন্যদিকে নেশার টাকা জোগানোর জন্য চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই অপকর্ম ছাড়াও ঘরবাড়ি থেকে আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র বিক্রি করে মাদকাসক্তরা নিজে সর্বশান্ত হচ্ছে পরিবারকেও পথে বসাচ্ছে। এমনও ঘটনা আছে যে, নেশার টাকা না দিতে পারায় মাদকসক্তরা পরিবারের সদস্যকে খুন পর্যন্ত করেছে। কারণ তখন বাবা-মা, ভাই-বোন সম্পর্কে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। মাদকাসক্তি এমন এক দুর্বার নেশা, যাতে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে পরিত্যাগ করা খুবই কঠিন। মাদক কীভাবে মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় তা সে নিজেও জানে না, বুঝতে পারে না এবং অপরকে বুঝতে দেয় না। তাই মাদকের সর্বগ্রাসী থাবা থেকে বাঁচতে এর কুফল সম্পর্কে জানতে হবে, জানাতে হবে অপরকে। বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা। মাদক প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা, পরিমিত জীবনযাপন, বন্ধু নির্বাচন, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের আসল উপায়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এর কুফল জানাতে হবে এবং গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এলএসডি বিষয়টা সম্ভবতো কোনো উপন্যাসে পড়েছিলাম বা কোনো ছিনেমায় দেখেছিলাম।

২| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, এলএসডি'র মুল্য আাদের দেশের মানুষের আয়ের তুলনায় বেশী; আপনি ইহার মুল্য কমানোর কথা বলছেন?

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

জটিল ভাই বলেছেন:
আপনি এগুলো নিজে গ্রহণ করে সত্যতা যাচাই করিয়াছেন? (এই ধরণের মন্তব্য ছাড়া আপনার পোস্টে মন্তব্য করলে কেমন জানি একা-একা লাগে!) =p~ =p~ =p~

৪| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এর কুফল জানাতে হবে এবং গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।

তাতেই কি কাজ হবে ?
এগুলো নিয়ে রাষ্ট্রের আইন কি ব্যবস্থা নিচ্ছে ।
যারা এ মাদকের ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে কি করা হচ্ছে ।
ব্যবহারকারীকে সচেতন করার পাশাপাশি কি এ ব্যবসা বন্ধ করা সমানভাবে দরকার নাহ ?

ইম্পর্টকারী থেকে শুরু করে অনলাইন অফলাইনে যারা বিক্রির সাথে জড়িত তাদেরকে জেল জরিমানাসহ এমন শাস্তি দিতে হবে যেন অন্যরাও সাবধান হয়ে যায় ।

মার্কেটে প্রোডাক্ট এভেইলেবল না থাকলে তার ক্রেতা থাকবে না । সিম্পল ।




৫| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার অনেক গুলো নিষিদ্ধ শখের মধ্যে এলএসডি একবার চেখে দেখার ইচ্ছা আছে।

৬| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৭

আরইউ বলেছেন:

হফম্যান সাহেবের এই আবিস্কার নিয়ে অনেক প্রচলিত মিথ/অতিরঞ্জিত গল্প-কথা প্রচলিত আছে। খুবই পোটেন্ট ড্রাগ; একসময় সাইকোথেরাপিতে ব্যবহার হয়েছে। খুব পোটেন্ট বলে এটার রিক্রেশনাল ইউজ খুবই ভয়াবহ হতে পারে এবং হয়। বিল গেটস, স্টিভ জবসের মত লোক এটা ইউজ করেছেন বলে জানা যায় (তারাই বলেছেন)। আমার জানামতে এখন আর কোথাও সম্ভবত এর ব্যবহার লিগাল না।

আশা করি আপনি সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকুন, নূর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.