![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘ধর্ষণ’ একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ব্যাধির ব্যাপকতা একই মানব পরিবারের সদস্য হিসেবে নর-নারীর সহাবস্থানে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যদিও নতুন নয় তথাপিও সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ‘ধর্ষণ’-এর মত পাশবিকতা তার নখের আচর বসিয়েছে, বিধ্বস্ত করেছে মানবতাকে । একই মানব পরিবারের সদস্য নর-নারীর সহ অবস্থানে সমাজ যেখানে আরও বিকশিত হওয়ার কথা সেখানে ধর্ষণের মতো পাশবিকতার কারণে নারী ও পুরুষের মাঝখানে তৈরী হচ্ছে দূরত্ব এবং ঘৃণা- যা থেকে বিদ্বেষের জন্ম হচ্ছে।
মূলত: নৈতিকার অবক্ষয় থেকেই ‘ধর্ষণ’ নামক এ ব্যাধি মহামারী রূপ নিচ্ছে। নৈতিকতা অবক্ষয়ের অনেক কারণের মাঝে একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অশ্লীল পোষাক পরিচ্ছদ। মানুষ সভ্য মানে তার পোষাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সে সভ্য। কিন্তু মানব জাতি আজ পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ বশত: মূল ঐশীগ্রন্থের দিক নির্দেশনা পরিত্যাগ করে জাহিলিয়া যুগে অধ:পতিত হচ্ছে। মার্জিত পোষাক পরিচ্ছদ পরিত্যাগ করে জাহিলিয়া যুগের পোষাক পরিচ্ছদকে সাজ সজ্জা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলে, ‘ধর্ষণ’ নামক এ সামাজিক ব্যাধি বারবার মানবতাকে বিব্রত করছে। অথচ কোরানের সতর্ক বাণী মেনে চললে এমনটি হত না:
# ‘জাহিলিয়া যুগের মতো সাজসজ্জা করে রাস্তায় বের হয়ো না।’ (সূরা: আহজাব-৩৩)।
নারীদেরকে পন্য হিসেবে ব্যবহার করে অশ্লীলভাবে প্রদর্শন করার প্রতিযোগিতা চলছে। ইদানীং কালে কতিপয় পুরুষও এমন কিছু প্যান্ট পরিধান করে যে পশ্চাতদেশের প্রায় অর্ধেক অংশই প্রদর্শিত হয়। কিন্তু নারী পুরুষ উভয়কেই তাদের লজ্জাস্থান হিফাজত করার জন্য কোরানের দিক-নির্দেশনা নিম্নরূপ:
# ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।’ (সূরা: নূর-৩০)।
# ‘মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।’ (সূরা : নূর-৩১)
এখানে উল্লেখ্য যে, কতিপয় মৌলবাদী এ সুযোগে অতি উৎসাহী হয়ে নিজস্ব মনগড়া ফতোয়া জারী করে বৈচিত্রময় জলবায়ু সত্ত্বেও সকল দেশের সকল মানুষকেই একই রকম পোষাক পড়তে বাধ্য করে, যা মোটেও সঙ্গত n নয়, কারণ ভিন্ন ভিন্ন দেশ কাল পাত্র ভেদে পোষাক পরিচ্ছদেরও বৈচিত্র থাকতে পারে বা থাকবে; যেমন: আরবীয় জলবায়ুতে আরবীয় পোষাক, সাইবেরীয় জলবায়ুতে সাইবেরীয় পোষাক, বাংলাদেশের জলবায়ুতে বাংলাদেশী পোষাক এ ধরণের বৈচিত্র থাকা স্বাভাবিক, এতে ধর্মের কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু মানুষের কিছু সহজাত শারিবীক অঙ্গ (লজ্জাস্থান) আছে যা দেশ কাল পাত্র সকলের মাঝেই এককভাবে বিদ্যমান। তাই কোরান ভিন্ন ভিন্ন দেশ কাল পাত্রভেদে পোষাকের বৈচিত্র বজায় রেখে লজ্জা নিবারণ করতে মার্জিত পোষাক পড়ার জন্য একটি একক ঘোষণা দেয়:
# হে আদমজাত! তোমাদের লজ্জা নিবারণের জন্য ও বেশ-ভূষার জন্য পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং ধর্মভীরুতাই সর্বোৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ। (৭: আরাফ-২৬)
# ‘মুমিন নারীরা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তাদের গলা এবং বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।’ (সূরা নূর : ৩১)।
# হে আদমজাত! ছালাতের সময় সুন্দর পরিমার্জিত পোশাক-পরিচ্ছদ পরবে। (৭: আরাফ-৩১)
বিনীত।
©somewhere in net ltd.