![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম অর্থ শান্তি আর হেফাজত অর্থ যদি রক্ষা হয় তবে হেফাজত ইসলাম অর্থ শান্তি রক্ষা। হেফাজত ইসলামের কী নিদারুন সেই শান্তি রক্ষার কর্মকাণ্ড তা গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জাতির সামনে প্রকাশিত হল । হেফাজতের সহিংস তাণ্ডবে চিরচেনা ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো এখন কেবলই স্মৃতি। মতিঝিল, দৈনিকবাংলা, পল্টন এলাকার আইল্যান্ডের কাটা গাছগুলো দেখে মনে হবে এ কোন করাতী দলের কাজ। কেননা প্রতিটি গাছ করাত দিয়ে মসৃণভাবে কেটে তা রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়েছে যাতে কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারে। আইল্যান্ডের ইট খুলে ছুড়ে মারা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। হেফাজত ইসলাম সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি ইট-পাটকেল ও ককটেল ছুড়ে মারে। অনেক টং ঘর কয়েকজন মিলে উচু করে রাস্তার মাঝখানে এনে তাতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব প্রতিবন্ধকতার এ পথ দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মানুষ হেঁটে চলতেও হিমশিম খাচ্ছে।
হেফাজতের তাণ্ডবে বাদ যায়নি রাস্তার পাশের দোকানগুলোও। জুয়েলারি দোকান লুটপাট, এমনকি হতদরিদ্র লোকজনের রাস্তার ধারে ফুটপাতের দোকান-পাট লুটপাটের পর আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে করে দিয়েছে সারা জীবনের জন্য নি:স্ব।
তাদের যতো রাগ, ক্ষোভ যেন কোরানের ওপর! পোশাক পরিচ্ছদে নবীর উম্মত সেজে-গুজে আল্লাহ-রাছুলের কোরানে আগুন দিতে হেফাজতিদের হৃদয় এতটুকুও কাপেঁনি। বায়তুল মোকারম, সিপিবি ও হাউস বিল্ডিংয়ের সামনের বইয়ের দোকানগুলোর আর চিহ্নমাত্র নেই । বিবেকের কাছে প্রশ্ন – একি হেফাজতে ইসলাম নাকি গায়রিল ইসলাম??
হেফাজতের সৃষ্ট এহেন ভয়ংকর সহিংস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কষ্টদায়ক যে ব্যাপারটি পীড়া দিচ্ছে তা হচ্ছে শিশু অধিকার লঙ্ঘন। ওরা মাদ্রাসায় পড়ুয়া এতিম নাবালক কোমলমতি অবুঝ শিশুদের হাতে লাঠি-সোটা তুলে দিয়েছে যা গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমরা দেখেছি। এসব শিশুরাতো আপনার আমারই সন্তান। হেফাজত নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাই এহেন সহিংসতায় নিক্ষিপ্ত করে এই কোমলমতি শিশুদেরকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে ভবিষ্যত নষ্ট করার অধিকার আপনাদেরকে দিল কে? আপনাদেরই রুটিরুজির যোগান দেয়া মাদ্রাসায় পড়া এতিম শিশুটির হেফাজত করা কি আপনার চাকুরী নয়?
দায়-দায়িত্ব ও নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডই হেফাজত নেতৃবৃন্দের গায়রিল ইসলাম চরিত্রকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মাদ্রাসার এতিম কোমলমতি শিশুদের ঢাকায় এনে জড়ো করে, বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ভয়ংকর সহিংস আন্দোলনে দিন-রাত গুজার করে হেফাজত নেতৃবৃন্দ শেষ রাতে মাঠ থেকে পলায়ন করলো। কিন্তু সাথে নিয়ে আসা এতিম বাচ্চাটির একবারও কী খোঁজ নিয়েছেন তারা? না! নেয়নি! তারা এসব বাচ্চাদের বিনা হেফাজতে রেখে নিজেরাই এখন পলায়নপর! তাণ্ডবের ভুতুরে ঢাকা শহরে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এসব অসংখ্য এতিম শিশুরা আজ দিগ-বিদিগ ছটোছুটি করছে। তারা জানে না কোথায় তাদের বাবা, কোথায় মা বা কী তাদের ঠিকানা??? চোখে ঘুম নেই, না খেতে পেয়ে দুর্বল, হাঁটার শক্তি নেই, তদুপরি গাড়ীও নেই, শিশুগুলোর দৃশ্যে শুধুই সহিংসতা আর সহিংসতা। দিশাহারা এসব অসহায় এতিম শিশুদের বিনা হেফাজতে রেখেই পলায়নপর হেফাজত নেতৃবৃন্দ এ কোন ইসলামের হেফাজত করতে চায়??
বিনীত।
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
অমৃত সুধা বলেছেন: ‘ইসলামের বড় ক্ষতি করছে হেফাজত’ : মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ
http://dhakajournal.com/?p=6108
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: যারা এই দিশেহারা শিশুদের লেজগুটিয়ে পালিয়েছে তারা বদ, আর যারা গভীর রাতে আলো নিভিয়ে তাদের উপর নির্মম ভাবে হামলা করেছে তারা আরও বেশী বদ
৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: এই ছবি টা কি রাতের ,যখন বিদুৎ বন্ধ করা হয় এবং দিগন্ত ,ইসলামিক টিভি বন্ধ করা হয়...?
নাকি দিনের যখন লীগ সন্ত্রাসী এবং সরকারী বাহীনি মিলে ১০ জন কে হত্য করেও হেফাজত কে সরাইতে পারে নাই??
না কি পরের দিন কাচপুরে মাত্র অল্প কিছু (শাপলা থেকে) লোক কে সরাতে ২২ জন হত্যা করতে হয়েছে তখন কার?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
প্রািন্ত বলেছেন: যারা এই দিশেহারা শিশুদের লেজগুটিয়ে পালিয়েছে তারা বদ, আর যারা গভীর রাতে আলো নিভিয়ে তাদের উপর নির্মম ভাবে হামলা করেছে তারা আরও বেশী বদ।