নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরার্থই মহত্ত্ব

শান্তিবাদ

নুরুলইসলাম খান

নুরুলইসলাম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অনুভুতি

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

হাত যার অনুভুতি যেমন তার ঠিক তেমন ধর্ম যার অনুভুতিও তার হবে। ধর্মের ব্যাপারে “যার বিয়া তার খবর নাই; পাড়া পরশীর ঘুম নাই” আচরণ কুরআনে নিষিদ্ধ। আর কুরআনে নিষেধ থাকার পরও যারা ধর, মার, কাট করতে চায়, বুঝতে হবে তারা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থেই করছে, এতে আল্লাহর কোন প্রকার অনুমোদন নেই; উপরন্তু মহানবীকেও এরকম আচরণ করতে কুরআনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে (…অস্বীকারকারীদের ওপর তোমাকে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করিনি [৪: নিছা-৮০])। কুরআনে জোর-জুলুম হারাম! বরং স্বতন্ত্র/স্বাধীনতা হালাল সংক্রান্ত আয়াতগুলো নিম্নরূপ:
১. ইন্না...ছাবিলান [৭৩: মুজাম্মিল-১৯] অর্থ: এটা উপদেশ মাত্র; অতএব স্ব স্ব অভিরুচি মতো তার প্রতিপালকের পথ অবলম্বন করতে পারে।
২. ইন্না...বি অকিল। [৩৯: যুমার-৪১] অর্থ: মানুষের জন্য আমি তোমার নিকট সত্য সনাতন বাণী দান করেছি; অতঃপর যদি সে সৎপথ ধারণ করে, সে তা নিজের জন্যই করবে; আর যদি অসৎ পথ ধারণ করে, তবে তা-ও সে নিজের জন্যই করবে। কিন্তু তুমি (মুহাম্মদ) তাদের ওপর খবরদারি করার (জোর-জবরদস্তি) কেউ নও।
৩. নাহ্নু...অঈদ। [৫০: ক্বাফ-৪৫] অর্থ: ওরা যা বলে তা আমরা জানি; কিন্তু ওদের ওপর জোর-জবরদস্তির জন্য তোমাকে নিযুক্ত করিনি...। যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকেই শুধু কোরানের মাধ্যমেই উপদেশ দিতে পারো।
৪. লা-ইকরা...মিনাল গাইয়্যি। [২: বাকারা-২৫৬] অর্থ: ধর্মা-ধর্মে কোনো প্রকার জুলুম জবরদস্তি নেই; যেহেতু সত্য-মিথ্যা দুটোই সুস্পষ্ট...।
৫. লাইছা...মাঈয়াসাউ। [২: বাকারা-২৭২] অর্থ: তাদের সৎ পথে আনার দায়-দায়িত্ব তোমার নয়; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন...।
৬. ইন্না...লাল হুদা। [৯২: লায়ল-১২] অর্থ: আমার কাজ শুধু উপদেশ দেয়া মাত্র।
৭. অকাজ্জাবা...বেঅকিল [৬: আনআম ৬৬] অর্থ: তোমার সম্প্রদায় তো একে মিথ্যা বলেছে অথচ এটাই সত্য সঠিক। বল! আমি তোমাদের ওপর উকিল/দারোগা নই।
৮. অমা আলা...য়াত্তাকুন। [৬: আনআম ৬৯] অর্থ: তাদের কর্মের দায়িত্ব তাদের নয় যারা সাবধানতা অবলম্বন করে; তবে উপদেশ দেওয়া তাদের কর্তব্য যাতে তারাও সাবধান হতে পারে।
৯. উদউ ইলা...বিল মুহতাদিন। [১৬: নাহল-১২৫] অর্থ: যুক্তিপূর্ণ উপদেশ ও কলা-কৌশলের মাধ্যমে তুমি তাদের আল্লাহর পথে আহ্বান করো; তাদের সঙ্গে ভদ্র, নম্র ও অমায়িক ব্যবহার করো। কে পথে আসে আর কে বিপথগামী হয় সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অবগত আছেন।
১০. অলা...মিনাজ্জলেমীন। [৬: আনআম-৫২] অর্থ: যারা তাদের প্রতিপালককে প্রভাতে ও সন্ধ্যায় তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আরাধনা করে, তাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয়; এবং তোমার কোনো কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তাদের নয়। তুমি তাদের বিতাড়িত করলে তুমি অবশ্যই জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
১১. অলা...য়ালামুন। [৬: আনআম-১০৮] অর্থ: যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করে তাদের ঘৃণা করো না, কারণ তারাও অনুরূপ করার অধিকার পাবে। যার যার ধর্ম-কর্ম বিশ্বাস তার তার কাছে আকর্ষণীয় করেছি; যখন আল্লাহর দরবারে হাজির হবে তখন আল্লাহই তার মীমাংসা করবেন।
১২. অ লাওশায়া...বেঅকিল [৬: আনআম-১০৭] অর্থ: আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা শিরক করতো না এবং তোমাকে তাদের রক্ষক নিযুক্ত করিনি; আর তুমি তাদের উকিলও নও।
বিনীত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

আমায় ডেকো না বলেছেন: আপনি কি বুঝাইতে চেয়েছেন তা স্পস্ট নয়। তবে আপনার উদ্দেশ্য বিভ্রান্তিকর।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

এম এ কাশেম বলেছেন: ঐ মিয়া ঝাইড়া কাশেন,
ইনিয়ে বিনিয়ে ঐ এক কথায় তো
বাক স্বধীনতার নামে নাস্তিকের পক্ষে সাফাই গাওয়া ,
নাস্তিককে যে যমর্থন দেয় সে ও নাস্তিক,
কোরান বেশীন বুঝাই ও না
কোরানের আয়াতের শানে নজুল পড়ো আগে।
তারপর কোরান শিখাইতে যাইও।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: মঙ্গল হোক।
পোস্টটি কুরআনিক রেফারেন্সসহ দেয়া হয়েছে। কুরআন আল্লাহর কথা শানে নুযুল মানুষের কথা।
বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.