নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরার্থই মহত্ত্ব

শান্তিবাদ

নুরুলইসলাম খান

নুরুলইসলাম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআন মতে বাঙ্গালীদের আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির আওতায় আনতে হলে বাঙ্গালী নবী রাছুলের প্রয়োজন

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

যে দেশে বা ভাষায় নবী রাছুল নেই কুরআন মতে সে দেশে বা ভাষাভাষীদের শাস্তিও নেই। নবী রাছুল প্রেরণ ব্যতিরেকে কাউকেই শাস্তির আওতায় আনবেন না মর্মে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- “...কোন রাছুল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দেই না ” (১৭:১৫)। এ প্রেক্ষিতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আল্লাহ বাংলাদেশে যদি কোন নবী রাছুল না পাঠিয়ে থাকে তবে কোন বাঙ্গালীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারবেন না। তাছাড়া কুরআনে আরবীয় নবী মুহাম্মদের নবুয়তী কর্মকাণ্ডের পরিসর সুস্পষ্ট বলা আছে। তাঁর দায়িত্ব ছিল কেবলই মক্কা ও আশে-পাশের আরব জনগণের কাছে বার্তা প্রচার করা:

অকাজা-লিকা আউহাইনা...। [৪২: শুরা-৭] অর্থ: এভাবেই আমি তোমার নিকট আরবি ভাষায় কোরান নাজিল করেছি,যাতে তুমি মক্কা ও তার আশ-পাশে যারা রয়েছে (আরব ভাষা-ভাষীদের) তাদেরকে সতর্ক করতে পারো।

এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে (৬:৯২)।

অনারব জাতিসমূহ আরবী কুরআন পরিস্কারভাবে বুঝবে না। আরবদের কাছে অনারবী কুরআন যেমন অপ্রত্যাশিত তেমনি অনারবীদের কাছেও আরবী কুরআন অস্পষ্ট এবং লোকজনের প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক যে এর বাক্যগুলো আমাদের কাছে বোধগম্য করে পাঠানো হয়নি কেন? কী আশ্চর্য! দেশী রাছুল অথচ বিদেশী ভাষায় অহি!

অলাউ...আরাবিয়্যু। [৪১: হা মিম সাজদাহ-৪৪ ] অর্থ: আমি যদি এই কুরআনকে বিদেশি ভাষায় নাজিল করতাম তবে তারা অবশ্যই বলতো, ‘এর বাক্যগুলো আমাদের বোধগম্য করে পাঠানো হয়নি কেন? কী আশ্চর্য! আরব দেশি রাছুল আর বিদেশি ভাষায় অহি!

আরবী ভাষাভাষীগণের জন্য যেমন বাংলা ভাষা বুঝা কঠিন হবে তেমনি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্যও আরবী ভাষার কুরআন-ঐশী শ্লোক পরিস্কারভাবে বুঝা সম্ভব নয় বিধায় কাউকেই দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। কেননা যে বিষয়ে যার পরিস্কার জ্ঞান বা বুঝ নেই সে বিষয়ে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা সঙ্গত বা আইনসম্মত নয়। নবী রাছুলের মাধ্যমে ঐশী শ্লোক প্রেরণ না করে আল্লাহ কখনই কোন দেশে বা জনপথে শাস্তি দিবেন না:

আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রাছুল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে (২৮: ৫৯)।

কোন নির্দেশ পালন করার আগে জরুরী যে বিষয় তা হচ্ছে নির্দেশটি পরিস্কারভাবে বুঝা। বুঝার মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। আর পরিস্কারভাবে বুঝার জন্য সবচেয়ে উপযোগী ভাষা হচ্ছে নিজ নিজ ভাষা। এজন্যই প্রত্যেক নবী রাছুলের নিজের জাতীয় ভাষাতেই আল্লাহর বাণী পাঠানো হয়, যেন নবী রাছুলগণ তাদের জাতির নিকট পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে।

অমা-আরছালনা...হাকীম। [১৪: ইব্রাহীম-৪] অর্থ: আমি প্রত্যেক রাছুলকেই তার নিজের জাতীয় ভাষাতেই অহি পাঠিয়েছি, যেন তাদের নিকট তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞানময়।

অতএব কুরআন মতে স্পষ্ট যে, বাঙ্গালী জাতিকেও আল্লাহ শাস্তি প্রদান করতে চাইলে বাঙ্গালী নবী রাছুল প্রেরণ করবেন। তাই বাঙ্গালী হিসেবে দাবী যে, বাঙ্গালীদের আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির ভয় দেখানোর আগে বাঙ্গালী নবী রাছুলগণের পরিচয় প্রকাশ এবং তাঁদের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা। কৃতজ্ঞতা:http://humanrelreformation.org/

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

এম আবু জাফর বলেছেন: ম জ বাসারের মাল্টি নিক মনে হচ্ছে।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

লুজার ম্যান বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে ভাল ভাবে যেনে পোস্ট করুন প্লিয! এই সামান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি । কুরানে কিন্তু ২ বা ৩ টা আয়াত না ৬ হাজারের ও বেসি আয়াত!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: মঙ্গল হোক লুজার ম্যান।
পোস্টটির পক্ষে/বিপক্ষে কুরআনিক রেফারেন্স প্রদান করে উপকৃত করুন।
বিনীত।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ভাল তো! যার যা ইচ্ছা, এখানে তা-ই লিখে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়!!! কুরআনের আয়াত নিয়ে তার সঙ্গেই আলোচনা চলে যার মধ্যে এর নুন্যতম জ্ঞান আছে!! ছাগল দিয়ে হাল চাষ সম্ভব নয় জনাব!! এসব ইতরামি বাদ দেন!!! X((

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই আমি আপনাকে অনেক দিন থেকেই চিনি আপনার বিনীত শব্দই বলে দেয় আপনি কে?আমি জানি আপনি আমার কমেন্টসের পর কিছু খোরা কথা বলবেন। আমি তার উত্তর আপনাকে দেবোনা। আমি জবাব টুকু লিখছি কারন আপনার এই পোষ্ট পড়ে যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। যদিও আপনার এই পোষ্ট দেওয়ার পিছনে বড় কারন হচ্ছে মানুষ কে বিভ্রান্ত করা।


“...কোন রাছুল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দেই না ” (১৭:১৫)।

আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রাছুল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে (২৮: ৫৯)।

জবাবঃ

এমন কোন গোত্র বা সম্প্রদায় নেই যেখানে আমি কোন সতর্ক কারি প্রেরন করিনি। (সুরা ফাতির , আয়াত ২৪)
আমি মোহাম্মাদের কাছে কয়েকজন নবী রাসুলের কথা বলেছি এবং বাকিদের কথা বলিনি। (সুরা মুমিন, আয়াত ৭৮)




[৪২: শুরা-৭] অর্থ: এভাবেই আমি তোমার নিকট আরবি ভাষায় কোরান নাজিল করেছি,যাতে তুমি মক্কা ও তার আশ-পাশে যারা রয়েছে (আরব ভাষা-ভাষীদের) তাদেরকে সতর্ক করতে পারো।

[১৪: ইব্রাহীম-৪] অর্থ: আমি প্রত্যেক রাছুলকেই তার নিজের জাতীয় ভাষাতেই অহি পাঠিয়েছি, যেন তাদের নিকট তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞানময়।

এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে (৬:৯২)।

জবাবঃ

আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারি হিসেবে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা। (সুরা সাবাহ, আয়াত ২৮)

আমি তোমাকে কে কোন কবিতা শেখাইনি কারন কবি হওয়া তোমার জন্য কোনভাবেই শোভনীয় নয়। এটা সুস্পষ্ট কোরআন যা মানব জাতির জন্য উপদেশ। (৬৯, সুরা ইয়াসিন)

আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকো হেকমতের সাথে। ( সুরা নাহল, আয়াত ১২৫)

এবার প্রশ্ন করতে পারেন আল্লাহ দুই ধরনের কথা কেনো বলছেন? তার উত্তরও আল্লাহ দিয়েছেনঃ

আল্লাহ কোন আয়াত রহিত করেন না বরং এর চে ভালো এবং সমমান সম্পন্ন আয়াত দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করেন। ( সুরা নাহল, আয়াত ১০১)

আমার মনে হয় বোল্ড করা শব্দ গুলো আপনার যুক্তি গোলোকে বোল্ড আউট করার জন্য যথেষ্ট ও ভালো কথা আপানার হতাস হবার কিছু নেই, আপনার জন্যও আল্লাহ তাআলা আয়াত দিয়েছেনঃ

হা-মীম আস সাজদাহ ৪০ঃ যারা আমার আয়াতসমূহের উল্টা অর্থ করে তারা আমার অগোচরে নয়৷ নিজেই চিন্তা করে দেখো যে ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে সেই ব্যক্তিই ভাল না যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিরাপদ অবস্থায় হাজির হবে সেই ভালো ? তোমরা যা চাও করতে থাকো, আল্লাহ তোমাদের সব কাজ দেখছেন৷

কিছু মানুষ মূর্খতা বশত আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে। এরা প্রত্যেকেই বিদ্রোহী শয়তানের অনুসারী। (সুরা হাজ, আয়াত ৩)

আর যে সব মুসলিম গন এই লেখায় কষ্ট পেয়েছেন তাদের জন্যও আল্লাহ তাআলা আয়াত দিয়েছেনঃ

তোমরা কখনো হীনমন্যতায় ভুগবেনা ও দুঃখিতও হবেনা বরং তোমরাই হবে বিজয়ী যদি তোমরা ইমানদার হও। ( সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৯)

বি নী ত।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারি হিসেবে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা। (সুরা সাবাহ, আয়াত ২৮)
আমি তোমাকে কে কোন কবিতা শেখাইনি কারন কবি হওয়া তোমার জন্য কোনভাবেই শোভনীয় নয়। এটা সুস্পষ্ট কোরআন যা মানব জাতির জন্য উপদেশ। (৬৯, সুরা ইয়াসিন)

মঙ্গল হোক। ধন্যবাদ।
কুরআনের আয়াত সম্পর্কে আমার কোন প্রশ্ন নেই। আয়াতগুলো সঠিক। কারণ, নবী রাছুলদের আদর্শ এবং কুরআন-ঐশী শ্লোক হচ্ছে ইউনিক আদর্শ এবং শ্লোক। এতে অর্থগত দিক থেকে কোন পার্থক্য থাকে না শুধুমাত্র ভাষাগত পার্থক্য ছাড়া। সকল নবী রাছুলগণই বিশ্ব নবী রাছুল। তথাপিও আল্লাহ প্রত্যেক দেশে, জাতিতে এবং প্রত্যেক ভাষাভাষিতে নবী রাছুল প্রেরণ করে থাকেন; যার কারণ পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
বিনীত।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: @ মেংগো পিপোল- ধন্যবাদ ভাই। পোষ্টদাতার পরিচয় সম্পর্কে তথ্য থাকলে জানতে চাই।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: মঙ্গল হোক।
কোরান-ঐশী শ্লোক অবশ্যই সমগ্র মানব জাতির জন্য শুধুমাত্র ভাষাগত পার্থক্য ছাড়া কুরআন-ঐশী শ্লোক এ কোনই পার্থক্য নেই ।
বিনীত

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কুরআনে আছে, "ফাওয়াইলুল্লিল মুসল্লিন" অর্থাৎ, যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নামাযীদের জন্য। এটি সূরা মাউনের চতুর্থ আয়াত। দয়া করে এই আয়তের ব্যাখ্যা দিন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: ---ফাওয়াইলু ল্লিলমুছাল্লীনা
নরকগতিতে পতিত তারা,
নিজের প্রার্থনা বুঝে না যারা।
বেদ্বীন বেইমান কাফের সে,
বঞ্চিত-অভাবীদের ত্রাণ কাজে
ত্রায়মাণ নয় যে।
পাড়া-প্রতিবেশীর কষ্ট ক্লেশে
হস্তটি প্রশস্ত নয়।
অথচ লোকে দেখুক ভেবে
করে নামাজের অভিনয়। Click This Link

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

নতুন বলেছেন: হম আপনার এই লেখা পড়ে.... আল্লাহ সব ভাষার জন্য কিতাব পাঠাবেন...

চাইজিন, বাংলা, থাই, ইংরেজী, ফ্রেন্চ...

একে একে সবই আসবে... অপেক্ষা করেন...

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: মঙ্গল হোক।

পোস্টের সপক্ষে কুরআনের আয়াত দেয়া হয়েছে। অতএব এগুলো আমার নিজস্বকোন কথা নয়।

বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.