![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় ককসবাজারের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক। সুশিক্ষা বিতরণের মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের মানবিক মানুষে পরিনত করা আমার ব্রত। পেশাকে অন্যরকম ভালবেসে চাকরীর সাড়ে চৌদ্দ বছরে মাত্র তিনদিন ছুটি নিয়েছি। অনন্য শিক্ষকতার স্বীকৃতি স্বরূপ দেশবরেণ্য উপস্থাপক হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে দু’বার সম্মানিত হয়েছি। দেশের ভিন্ন মাত্রার দৈনিক প্রথম আলো’র অন্যরকম সম্বর্ধনা পেয়ে আপ্লুত হয়েছি। পেয়েছি বিএসবি ফাউন্ডেশন এওয়ার্ড ২০০৯, আলহামদুলিল্লাহ! আমার পেশায় আমি বেশ ভাল আছি। আপনাদের দোয়া কামনা করছি।
‘‘আমি একজন মুসলমান, আমি কখনো এটা বরদাশত করবোনা যে, কেউ আমার নবী করিম (সাঃ)কে নিয়ে কোন কটুক্তি করবে। আমি এটাও বরদাশত করবোনা যে, কেউ এই কটুক্তিকে পত্রিকায় ছাপিয়ে তা প্রচারের ব্যবস্থা করবে। কাজেই যারা বলবে আর যারা ছাপাবে তারা সমানভাবেই দোষী - আমি এটাই বলবো।’’
মাননীয় প্রধানন্ত্রী,
আপনার এই বক্তব্যে আমরা খুশি হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি বরাবরের মতোই। আমরা দেখেছি, নবী করিম (সাঃ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে আপনি জাতির পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়েছেন, প্রচারকারী ইউটিউব বন্ধ করেছেন (সাধারণ অনলাইন ব্যবহারকারীর জন্য)। তাছাড়া দেশের সর্বত্র মিছিল করে ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের হৃদয় উৎসারিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছেন অবলীলায়। তাবৎ দুনিয়ার ধর্মপ্রিয় মানুষগুলোর সাথে আমরাও একসাথে গর্জে উঠতে পেরেছি কোন ধরনের বাধা ছাড়াই। তাছাড়া, দেশের যে তরুন আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে তার নষ্ট মস্তিষ্কের লেখাগুলো ব্লগ থেকে মুছে দেওয়ার কাজটিও নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্যোগ। কারণ তার ব্লগে এসব পড়তে গিয়ে আমার ভয় লেগেছে যে, এসব পড়লেও বোধহয় মারাত্মক গুনাহ হতে পারে। লেখাগুলো ব্লগ থেকে মুছে দেওয়ার জন্য আপনাকে স্ব-শ্রদ্ধ সালাম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
কুরূচিপূর্ন লিখাগুলো ঐ ব্লগারের কিনা তা আজ সাধারণের মনে সন্দেহ জেগেছে। ধর্মপ্রিয় মুসলমানের এই দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো সমূহ স্পর্শকাতর বিষয়টিতে আইটি বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়ে সে সন্দেহ আপনি দুর করে দিন। সঠিক হলে তাকে দেওয়া ‘শহীদ’ উপাধি ফিরিয়ে নিয়ে আমাদের সাধারণ মুসলমানের হৃদয় থেকে দুঃখগুলো মুছে দিন। তারুন্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমরা যেন অপরের উদ্ধত ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধকে পাশ কাটিয়ে না যাই, সেই সুশিক্ষা আমাদের দিন। ইতোমধ্যে তা আবার দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে ‘আমার দেশ’। এসব প্রকাশে মাহমুদুর রহমানের নৈতিকতার বিষয়টি দেশের স্বকীয় বিচার ব্যবস্থায় ফায়সালা হবে - এই বিশ্বাস আমার আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনি এদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বানিয়েছেন। আপনি অবাক হবেন, বাংলাদেশের সিংহভাগ তারুন্য এখন মোবাইল ফোনেই অনলাইন দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। পত্রিকার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে ঐ লেখাগুলি আসার পূর্বেই তারা তা অনলাইন থেকে পেয়ে গেছেন এবং অনেকেই সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রতিশোধের ভাষা দেখে অখুশি হয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
দেশের যেকোন মানবিক ও যৌক্তিক প্রয়োজনে তারুন্য তার হৃদয়ের অদম্য সাহস দেখাবেন, এগিয়ে যাবেন দূর্বার গতিতে ইস্পাতসম দৃঢ়তায় - এখানেই তো তারুন্যের জয়। দেশের অমানিসায় তাদের হৃদয়ের অনন্য আলোয় আলোকিত হবে আমার দেশ - এটাই তারুন্যের কাছে আমাদের প্রত্যাশা। দেশের অনন্যসাধারণ তারুন্য তা করে দেখিয়েছেন যুগে যুগে। এই শুদ্ধ তারুন্যকে আমাদের সালাম।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
নুরুল ইসলাম স্যার বলেছেন: সহমত প্রকাশের জন্য বিনীত ধন্যবাদ
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
২০১৩ বলেছেন: ঘিলুহীন প্রধানমন্ত্রী আবেগে মাঝে মাঝে কাচা বিষ্ঠা খেয়ে ফেলে, অখ্যাত রাজিব তার আন্দোলনের কাটা ছাড়া কিছুই ছিলনা, যখন বিএনপি সাহবাগের আন্দোলন নিয়ে খাবি খাচ্ছিল তখন রাজিবকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে কি ভুল যে তিনি করেছেন তা এখন মর্মে মরমে বুঝতে পারছেন। এখন মাহমুদুর রহমান কে গ্রেফতার করলে আমার মনে হয় বিএনপি আর বসে থাকবেনা, শাহবাগের আন্দোলন যে কিছুই না তা গত ২২/০২/১৩ তে প্রমান হয়ে গেছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
নুরুল ইসলাম স্যার বলেছেন: রাজীবের ব্যাপার খোলাসা হওয়া দরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা সহজেই করতে পারেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভালো লেখা । একমত পোষন করছি ।