নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প : "নাগেশ্বরী "

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬





নাগেশ্বরী গাছটায় হঠাৎ করেই ফুল নেই। গবেষনাগারের সবাই খুব অবাক। মালী মতিন প্রায় প্রতিদিন গাছটার যত্ন নেয়। দুই মাস হলো চিটাগাং ক্যামিক্যাল গবেষনাগারের নতুন ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ড.নির্মল কুমার সেন। তার পরিবার ছেলে মেয়ে আর বউ কেউ সাথে নেই। তারা সবাই ঢাকা থাকে। ডিরেক্টরের বিশেষ বাংলোতে তিনি থাকেন।বিশাল চিটাগাং গবেষনাগারে অনেক অনিয়ম। সরকারের এতো সময় কোথায় ঢাকার বাইরে কি হয় না হয় জেনে। খুব নিরব আর রহস্যময়।প্রথম রাতেই ড.নির্মল বাংলোতে ঘুমাতে পারলেন না। কেমন অস্থিরতা কাজ করছিল। বাংলোর পিছনেই বার্বুচি মানিকের বাসা।প্রতিদিন মালী মতিন নাগলিজ্ঞম, জবা,আর গোলাপ দিয়ে তোরা বানিয়ে বাংলোতে রেখে আসে। এখানে আসার পর ড. নির্মল ক্ষমতা আর লোভের মোহে পড়ে গেল। বিশাল বিরানভূমিতে লোকজন নেই বললেই চলে।এটাতে একটা সুবিধা হলো বেশী আয় রোজগারের অনেক ধরনের পথ আছে। চিটাগাং অসৎ ব্যবসায়ীদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী হল। সরকারি অনেক মূল্যবান ক্যামিক্যাল তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে পাচার করে দেয়। এই কাজে ব্যবহার করে মালী মতিনকে। এভাবে আরো কয়েক মাস গেল। দুই তিন দিন হয় রাতে কেমন ভয় ভয় লাগে। কারনটা হয়তো অন্য কিছু হতে পারে। বিশ্বস্ত মালী মতিন কি বিশ্বাস ঘাতকতা করবে নাকি তাকে আরো সাবধান হতে হবে। এই দিকে মালী মতিনের বউ অন্তঃসত্তা। মতিনের ছুটি দরকার। কিন্তু এই সময়টায় ড.নির্মল তাকে ছুটি দিলে গোপন ব্যবসার ক্ষতি হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালীকে ছুটি দিল না। অনেক অনুনয় বিনয় অনুরোধ করার পর ও ছুটি পেল না মতিন। ওদিকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে বউটা মরে গেল। মালী মতিন বউটাকে খুব ভালবাসতো। প্রচনড আঘাতে মতিন প্রতিবাদী হয়ে উঠলো। যার কারনে সন্ত্রাসীদের সহযোগীতায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সবাই জানলো বউয়ের মৃত্যু যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁসি দিয়েছে। ওই যে নাগেশ্বরী গাছটা সেটা কিন্তু সব দেখেছে।ডিরেক্টর তার পরিবারের সবাইকে চিটাগাং নিয়ে এলেন। বেশ সুন্দর জীবন চলছিল।হঠাৎ একদিন খাগড়াছড়ি ঘুরতে গিয়ে ভয়ংকর দূর্ঘটনায় একমাত্র ছেলের চোখ দুটো হারায়, স্ত্রী চিরদিনের জন্য পরপারে চলে যায়,মেয়েটি মাথায় আঘাত পেয়ে বোবা হয়ে যায়। সেদিন থেকে শুধু ড.নির্মল নাগেশ্বরী গাছটার নিচে মতিন কে দেখতে পায়। আর কেউ দেখতে না পেলেও ড.নির্মল দেখে দাঁ হাতে মতিন কি কঠিন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

প্রামানিক বলেছেন: এরকম ঘটনা এখন সমাজে অনেক ঘটছে, তারপরেও মানুষের বধোদয় হয় না।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বোধোদয়ের জন্য বোধোদয় দরকার ভাই।ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.