| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
 
জেসিনা সারমিন। বাংলাদেশে নতুন পেশা ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টে এক পরিচিত মুখ। অত্যন্ত সাহস আর প্রত্যয় নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠান “এলোমেলো ইন্টেরিয়র” রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। যা প্রতিনিয়ত খুব দাপটের সাথে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টেরিয়র পেশার সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যতায় এখন বাংলাদেশের অনেক ছেলে-মেয়েই এই পেশায় এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটা সময় ছিলো যখন মানুষের এই পেশাটা সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। কেউ কেউ সকাল ১০টা টু ৫টা তথাকথিত পরিচিত চাকরির পিছনে না ছুটে নতুন পেশাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে অল্প সময়ে সফলপথে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তরার “এলোমেলো ইন্টেরিয়র” এর কর্ণধার জেসিনা সারমিন তেমনি এক সৃজনশীল ব্যবসায়ী নারী ব্যক্তিত্ব। 
 
  
   
যিনি অত্যন্ত পরিশ্রম, মেধা আর সৃজনশীলতার পথ ধরে তার পেশাকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। দিনে দিনে এখন মানুষ ঘর-বাড়ি অফিস সাজানোর জন্য অভিজ্ঞ ফার্মগুলোর কাছে যায়। জেসিনা সারমিনের সাথে ফেসবুক আলাপচারিতায় জানা যায় তার পেশাগত সংগ্রাম এবং সফলতার কথা। ২০০৬ সালে তিনি ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট বিষয়ে বিএ অনার্সে ভর্তি হয় শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। পড়াকালীন সময়েই ২০০৮ সালে জব নেন। তারপর ২০১০ সালে শেষ করেন তার পড়াশুনা। তারপর ২০১১ সালে তিনি পুরোদুস্তর নিজের ব্যবসা শুরু করেন। রাজধানীর উত্তরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “এলোমেলো ইন্টেরিয়র” কে ঘিরে তার সৃষ্টিশীল জগৎ। তিনি মনে করেন আগে ডিজাইন পরে ব্যবসা। ডিজাইনের বৈচিত্র্যতায় কোন কম্প্রোমাইজ করেন না। গাজীপুরে নিজের জমিতে করা তার একটি ফার্নিচার কারখানা আছে। যা অনলাইনে সার্ভিস দেওয়া হয়।  
 
 
  
   
২০১১ থেকে ২০১৬ সালের এই অল্প সময়ে তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ অনেকগুলো কাজ করে প্রশংসা অর্জন করেছেন। খুব দ্রুতই তার প্রতিষ্ঠান নিজ গুণে পরিচিত গন্ডি পেরিয়ে সম্প্রসারণ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
তার প্রতিটি ডিজাইনিংয়ে আলাদা বৈচিত্র্যতা এবং নান্দনিকতা থাকায় খুব সহজেই গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করে। তিনি শুধুই ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয় সৃজনশীলতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন। 
 
  
 
   
তিনি ভবিষ্যতে সুবিধা বঞ্চিত এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। তার সৃজনশীল পৃথিবী “এলোমেলো ইন্টেরিয়র” যেনো আরও দ্রুততর উপায়ে গ্রাহক সেবা পেতে পারে তাই আধুনিকায়ন এবং ডিজিটাল করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি এই সময়ে যারা “ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট” আসতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন অনেক সম্ভবনা এবং সুযোগ প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। সময় এবং সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই এই পেশায় সাফল্য পাওয়া যাবে। 
এটি একটি সৃজনশীল মুক্ত পেশা। এখানে স্বাধীনতা আছে সুন্দর স্বপ্ন দেখার। কোন বাঁধা ধরা নিয়ম সৃষ্টিশীলতা কে আটকাতে পারে না। শুধু একাগ্র প্রচেষ্টা, ধৈর্য আর পরিশ্রম সব স্বপ্ন কে হাতের মুঠোয় এনে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক পৃথিবীতে ভালো ইউনিভার্সিটি এবং তথাকথিত ভালো সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করে একটা টিপিক্যাল চাকরি করে জীবন পার করার সময় অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। এই প্রজন্ম অনেক বেশি আধুনিক, সাহসী এবং স্বাধীন চিন্তা করে। তাই নতুন নতুন চিন্তা ক্যারিয়ারের পথকে আরও অনেক বেশি প্রসারিত করছে। যেকোন সৃষ্টি সময় আর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে সময় এবং ধৈর্য ধরতে হয়। আর যে এই বিষয়গুলো মুখোমুখি হয়ে পরিশ্রম করবে এবং সৃষ্টিশীল জগৎকে সমৃদ্ধ করবে, সফলতা সরবেই এসে ধরা দিবে।
আশাকরি বাংলাদেশ দ্রুতই বেকার এবং দারিদ্র থেকে মুক্ত হবে। নতুন নতুন স্বপ্ন সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হবে। নারী উদ্যোগক্তা জেসিনা সারমিনের প্রতি সামু ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা রইলো। তার সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে বিশ্বময়। 
 
 
 
  
বি:দ্র: জেসিনা সারমিনের “এলোমেলো ইন্টেরিয়র” এর কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করার সুযোগ আছে।
https://www.facebook.com/elomelointerior/?pnref=lhc
https://www.facebook.com/elomelo.bd/?pnref=lhc।
http://www.elomelointerior.com/
 
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  রাত ৯:৫২
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: তোমার কাজে মুগধ হয়েই ব্লগ টা লিখলাম। অনেক শুভ কামনা রইলো।
২| 
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১২:৪০
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: ভাল একটা বিজ্ঞাপন হয়ে গেল
 
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৫:৩৮
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: মানুষের কাছে  এই পেশাটা পরিচিত করার জন্যইতো ব্লগটা লিখলাম।
যদি বিজ্ঞাপনের মতো ও হয় সমস্যার তো কিছু নেই।
৩| 
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৬:০০
বিজন রয় বলেছেন: জেসিনা সারমিন নিজেই ব্লগে নিক খুললেন।
বাহ, বেশ তো।
ধন্যবাদ সকলকে।
 
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৫:৩৫
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: জেসিনা সারমিন আমার কারনেই নিক খুললেন।
তার কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। এই পেশাটাও দেশে প্রতিষ্ঠা পাচেছ। 
আমাকে এই জন্য আরও একটা বেশি ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ব্লগে মানুষকে নিয়ে এসেছি। ব্লগ সম্পর্কে অনেকে জানে না। ব্লগের পজিটিভ দিক গুলো তুলে  ধরা আমার দায়িত্ব মনেকরি। ধন্যবাদ।
৪| 
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  রাত ৯:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশে নতুন পেশা ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টে  পরিচিত মুখ  জেসিনা সারমিন এর কৃতিত্ব , তাঁর অধ্যবসায় ও সাহসী প্রত্যয় নিয়ে সচিত্র লিখাটি গভীর মনোনিবেশ সহকারে দেখলাম। অভিভুত হলাম । 
সৃজনশীল ইনটেরিয়র  ডিজাইন আর্কিটেকচারের প্রয়োগ  এখন বিশ্বজোড়ে ।অন্য আর সকল ক্ষেত্রের মত এর   একটি বিশাল  প্রয়োগ ক্ষেত্র  রয়েছে  দেশ ও বিদেশের নামী দামী হসপিটালিটি সেকটরে । আমার ধারনা এই মন্তব্যটি পড়তে পারে জেসিনা সারমিনের নজরে ।  তাই   হসপিটালিটি সেকটরের Rooms Division Operations Management  এর উপরে আমার লিখা হতে  হসপিটালিটি সেকটরে ইনটেরিয়র ডিজাইনের বিষয়ে কিছু  নির্বাচিত অংশ তুলে দিলাম , শুধু গুরুত্বটা দেখানোর জন্য, অাশা করি জেসিনা সারমিন বিষয়টা গুরত্ব সহকারে নিবেন তাঁর ইনটেরিয়র প্রযুক্তি  কর্মী বাহনী গড়ে তোলার জন্য  যারা অবদান রাখতে পারে দেশে ও বিদেশে ।  
In this section efforts have been  given to describe the  most striking interior design  and trends to  shape up today’s luxurious hotel scenario.  Planning  for a next  ambitious  business trip towards a sophisticated  hotel ,  interior design is the  new twists. A class one  hotel should focus on  offering a striking first impression with its front area design and culture. The importance of entrance lobbies is growing, as social encounters become more and more dependent on this particular hotel area.  Creative space segmentation is necessary, providing both intimate and social zones, as well as furniture delivering comfort and functionality. More extravagant entrance features in today’s class one  hotel  include large green walls, indoor waterfalls, large chandeliers and multimedia station.
Blurring Indoor-Outdoor Boundaries
 
  
 
 
Green Features
 
 
Guest room configuration plays important role.  In today’s world guests expect surprises and where else, but away from home.  Probably why each interior in the modern hospitality industry is very different from others  Sometimes innovative ideas such as suitably sized-windows allows more natural lighting, green walls and green roofs are just a few of the hotel trends for staying green. No ,matter how luxurious, technology friendly and weird-themed the room, inspired decorating items, carpets, curtains,  a TV set and the possibility to play guest’s favourite music- all these   can add  up to a memorable stay in the  hotel.
দেশ ও বিদেশে বিশেষ করে দ্রুত বিকাশমান হসপিটালিটি সেকটরে ইনটেরিয়র ডিজাইন  আর্কিটেকচারের একটি বিশাল চাহিদা থাকার প্রক্ষাপটে  আমাদের দেশের মেধাবী  তরুন তরুনীদেরকে যদি এ পেশায় দক্ষ করে তুলা যায় তবে দেশে বিদেশের শ্রম বাজারে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে আশা করি । এক্ষেত্রে আপনার সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও বলতে পারি  আশাকরি বাংলাদেশ দ্রুতই বেকার এবং দারিদ্র থেকে মুক্ত হবে। নতুন নতুন স্বপ্ন সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হবে। 
নারী উদ্যোগক্তা জেসিনা সারমিনের প্রতি  অনেক শুভ কামনা রইলো। তার সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে বিশ্বময়। 
পোস্ট লিখকের প্রতিও  ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল 
 
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৫:৩১
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ড: এম এ আলী, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার সমৃদ্ধ লেখা এবং সুন্দর ছবি গুলো আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে।
নতুন উদ্যোগ আর সৃষ্টিতে দেশ এগিয়ে যাক।
১০-৫টা চাকরি।।। কেরানী মনোবৃত্তি ছেড়ে আমরা নতুন  সৃষ্টি নতুন উদ্যোগ নেই।
দেখবেন দেশে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ভাল থাকুন।
৫| 
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৫:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । 
শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  রাত ৯:২৭
জেসিনা সারমিন বলেছেন: আমাকে নিয়ে এতো সুন্দর করে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।আমার করা আরো অনেক ডিজাইন এখানে দেখতে পাবেন । এলোমেলো ইন্টেরিয়র