নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোপনে সে আমায় ভালোবাসে- পর্ব ১৪ - নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২


আজকে আসাদ বাসায় নেই।চট্টগ্রামের কোন একটা জায়গায় ব্রিজ হচ্ছে সেখানে সাইট ভিজিটে গিয়েছে। নুশমা পাশের রুমে পড়ছে। নিশো ঘুমিয়ে গেছে। আমার ঘুম আসছে না। এরমধ্যে দুই বার দুধ চা খেয়েছি। যদিও আমার দুধ চা খাওয়া একদমই ঠিক না।গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যায়। কেমন যেন অস্বস্তি লাগে।
যা বলছিলাম মুন্সিগঞ্জ সরকারি হরগঙা কলেজ ক্যাম্পাসটা ছিল মায়ায় জড়ানো। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মনোরম পরিবেশ। স্থানীয় লোকজনের বেড়ানোর জায়গাও বটে । যে কারনে আমাদের কথা বলার জায়গা খোঁজা কঠিন হয়ে যেত।
কলেজে বিশাল খোলা মাঠ ছিল। সেখানে সব সময় ছেলেরা খেলাধুলা করত। চারিদিকে রাস্তা, দুই পাশের গাছের সারি। সেখানটায় বিভিন্ন ভবন গুলো ও আলাদা সৌন্দর্য তৈরি করে।
মাঠের পূর্ব দিকে বাগান। আর দক্ষিনে পুরোনো ভবনটার সাথে শহীদ মিনার। তারপাশেই আরও একটি বাগান। সেই সাথে আছে শতবর্ষী একটি জামগাছ। মাঠের পূর্ব ও দক্ষিনে ছাত্রছাত্রীদের বিশ্রামের জন্য বিশাল পুকুরের পার ঘেষে বেশ কয়েকটা সুন্দর সিমেন্ট পাথরের ছাতা ও আছে। সেখানকার একটা ভবন হয়তো এখন পরিত্যক্ত।
যদিও আমরা দু'জন কখনও এসব জায়গায় বসতাম না। যদি কেউ দেখে ফেলে।
আমাদের কলেজটার নামকরণটা বেশ সুন্দর। একজন হিন্দু ধনী ব্যক্তি আশুতোষ গাঙ্গুলি তার বাবা হরনাথ গাঙ্গুলি ও মা গঙ্গাশ্বরী দেবীর নামের প্রথম অংশ নিয়ে সরকারী হরগঙগা কলেজের নাম রেখেছিল। কতো অভিনব আধুনিক চিন্তাধারার ছিলেন। মানুষের ধন সম্পদ থাকলেই হয় না মানসিক উৎকর্ষতা ও নান্দনিকতাবোধ ও যে জরুরি জীবনে সেটা অনেকেই অনুভব করে না ।
আসলে মায়ায় জড়ানো সেই ক্যাম্পাসটা মনে রাখার মতোই। আর কলেজে যাওয়ার পথে মাঠপাড়ায় একটা স্টেডিয়াম আছে৷ স্টেডিয়ামটা বেশ বড়। প্রচলিত আছে বাংলাদেশের বৃহৎ স্টেডিয়াম গুলোর একটি। সেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আমরা বাতাম খেতাম আর কথা বলতাম। গ্যালারির পেছনে নিচু জমিতে অভিজাত সাদা কাশবনের আভিজাত্য ছিল। ঘন কাশবনে কতো ছেলে মেয়ে চুপচাপ বসে থাকতো প্রকৃতির সাহচর্য পেতে।
আসলে আমার আর অভিনন্দনের তেমন কথা বলার সুযোগ হতো না। বেশিরভাগ সময় ক্ল্যাস মিস করেই ওর সাথে দেখা করতে যেতাম। তেমন কথা হতো না পাশাপাশি শুধু হাটতাম। আর বাসায় কি করেছি, কি খেয়েছি, ছোট বোনরা কি করে, ছোট বোনদের সাথে আমি কি করেছি এসবই।
আমাদের কথা হতো চিঠিতে।ওর চিঠি পড়ে অবাক হয়ে যেতাম। বিজ্ঞান বিভাগের ছেলে হয়ে এতো কবিতা,গান আর এতো সুন্দর সব শব্দ কোথায় পায়!
ও চিঠি পাঠাতো বইয়ের ভেতরে, ডায়েরির ভেতরে, কখনও বাতাম কিনে বাতামের ঠোঙার ভেতরে।
আমার যখন বিয়ে হয়ে গেল। অনেক দিন আমার কাছে চিঠি গুলো ছিল। আমার টেবিলে বই খাতার ভেতরেই। যখন অনার্স পরিক্ষা দিতে বাবার বাড়ি যেতাম তখন লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি গুলো পড়তাম। কখনও বুকে জড়িয়ে ধরে রাখতাম। আবার কখনও চিঠি গুলোতে চুমু খেতাম।
নিস্তব্ধ ঘরে নির্বাক কাগজের টুকরোতে অভিনন্দনের লেখা ভালোবাসার শব্দ গুলো আমার দিকে কী বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতো। মনেহতো অভিনন্দন পৃথিবীর সবটুকু মায়া মমতার সৌন্দর্য নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়েছে। আমি ভালোবাসার সে গোপন গহীন সমুদ্রে তলিয়ে যেতাম। নিস্তব্ধতায় মোড়ানো সেই পৃথিবীটা আমাকে আবার ও স্মৃতি কাতর করছে। সে সময় তো আশা ছিল একদিন অভিনন্দনের সাথে দেখা হবে। কিন্তু হায় নিয়তি সব কিছু পেয়ে ও কতো কাছাকাছি থেকেও চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেললাম।
নিজের সংসারে কখনও সে চিঠি বা কোন চিরকুটই আনিনি।নুশমা জন্মের পর কোন একদিন মা আমাকে খুব আদর করে বলে," মা তোমার পড়াশুনা তো প্রায় শেষ । বই খাতা আর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাবধানে রেখো । আর যেসব অপ্রয়োজনীয় সেগুলো ফেলে দিও। "
আমি বুঝতে পেরেছিলাম মা কি বুঝাতে চেয়েছে। নুশমার বয়স প্রায় এক বছর হয়েছে । এক বার ভেবেছিলাম অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিব । তারপর মনে হল এসব লৌহজং না নেওয়াই ভাল । এমনিতেই ছোট মেয়ে অন্য দিকে সংসারে এতো কাজের মাঝে ভুল হয়ে যেতে পারে ।
আসাদের হাতে চলে যেতে পারে । সংসারে অশান্তি শুরু হতে পারে । আমার সাজানো সংসার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে । আমার চরিত্রে কলংক লেগে যেতে পারে । পারিবারিক সম্মান নষ্ট হতে পারে ।
প্রতিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে ফেরার সময়ে মা বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে । সেবার দুই তিন আগে থেকে সংসারের সব কাজ ফেলে শুধু আমার কাছেই বসে ছিল । আমার সংসারে কোন সমস্যা আছে কিনা । আসাদ কি অনেক বেশি অত্যাচার করে কিনা। আমার শ্বশুর ভাসুর ননদ ননাসেরা ঠিক মতো আচরন করে কিনা।
আমি ও যেন সংসার মনোযোগ দিয়ে করি। আসাদের সাথে কোন ঝামেলায় না যাই । আমার বাবার মান সম্মানের দিকে যেন খেয়াল রাখি। আমার ছোট বোন গুলো বড় হচ্ছে । ওদের বিয়ে দিতে হবে।আমি কোন সমস্যা করলে ছোট বোনদের বিয়ে দিতে সমস্যা হবে। মায়ের চোখে মুখে ভয়ংকর টেনশন আর আতংক।
আমি নিরাবেগ আর ভাবলেশহীন ভাবে মা কে বুঝাই এখন মেয়ের মা হয়ে গেছি! এখন এই বয়সে কি অঘটন ঘটাব !
মায়ের চোখে মুখে তবুও অবিশ্বাস আর আতংক!সেই বার মা ফিরে আসার দুই দিন আগে থেকেই আমাকে জোরে চেপে ধরে অসহায় বিলাপ করছিল। মায়ের সেই অসহায় আর্তনাদ আজ ও আমার বুকে বিঁধে আছে । মনে হলে বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠে !
মায়ের অমন গগনবিদারী চিৎকার আর অসহায় আর্তনাদে আতংকিত হয়ে নিজের হাতে অভিনন্দের দেওয়া সমস্ত উপহার , চিঠি আর চিরকুট গুলো ধ্বংস করি ।
নুশমার জামা রাখার ছোট পুরনো ব্যাগে সবকিছু ঢুকাই । মুন্সিগঞ্জ থেকে ফেরার পথে ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার প্রস্তুতি নেই । কিন্তু কেন জানি আমি পারিনি । আমার ভেতরের মানুষটা ফেলতে দেয়নি । আমার সংসারেই আরও কয়েক মাস থাকে । তারপর একদিন পদ্মার জলে ভাসিয়ে দেই । চোখের সামনে ব্যাগটা স্রোতে ভাসতে ভাসতে হঠাৎ কোন এক জায়গায় গিয়ে ডুবে যায় । আমিও সেই সাথে একটু একটু করে মরে যাই । আমার দেহটা রয়ে গেলে ও মনটা পদ্মা নদীর গভীর অতলে হারিয়ে যায় ।
যেদিন পদ্মা নদীতে ফেলি তখন টাকিয়া ভাবি আমার সাথেই ছিল।। নুশমাকে কোলে করে নদী দেখাচ্ছিল। তিনি কিছু বুঝেছিল কিনা জানি না।
কিছু কথা খুব কাছের মানুষকে যেমন বলা যায় না। তেমনি কাছের মানুষটাও জানতে চাইতে পারে না। শুধু সেই অস্বস্তিকর গোপন কথাটা পরস্পর অনুভব করে নেয়।
টাকিয়া ভাবির অবয়বটা কেমন অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উনারা ও অন্য জেলায় বদলি হয়ে যায়।
বেশ কয়েক বছর কেটে যায়। আমার কোল জুড়ে নিশো আসে। জীবন আপন গতি ফিরে পায়।
কান্না গুলো কেউ নাই বা জানুক।হাসিটুকু সবাই ভালোবাসুক।সব সময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। নিজেকে নিজের ভেতর থেকে বের করে আনতে চেয়েছি।
আমার মতো একটা জলজ জীবনের মানুষকে তো টিকে থাকতে হবে।মাঝে মাঝে নিজের জীবনকেই নিজের মনে হয় না।কবি মহাদেব সাহার মতো ভাবনায় আসে
"এ জীবন আমার নয়,
আমি বেঁচে আছি অন্য কোনো পাখির জীবনে,
কোনো উদ্ভিদের জীবনে
আমি বেঁচে আছি লতাগুল্ম-ফুলের জীবনে;"
আজকে নিস্তব্ধতায় মোড়ানো বাসাটায় নিজেকে কেমন অন্য রকম লাগছে।এখন বসন্ত কাল। নিসর্গ ছুঁয়েছে বসন্ত!প্রকৃতিে ফাল্গুন আর চৈত্র মাসের সত্যিকারের আচরণ! পুরোনো পাতারা ঝরে গিয়ে নতুন পাতারা জন্ম নিচ্ছে। কুয়াশার চাদর ফেলে প্রকৃতি সোনালি রোদের হাসি দিয়ে পৃথিবীকে স্বাগত জানাচ্ছে।গাছে গাছে পাখিদের কলকাকলীতে মুখর চারিদিক। বাতাসে বসন্ত ছুঁয়ে যাওয়া ভালোবাসা।।
ফুরফুরে বাতাস শরীর মন হালকা করে রাখে। এখন মধ্য রাত। আমার দশতলা ভবন থেকে বাইরের আলো আঁধারের পরিবেশটা বেশ আপন মনে হচ্ছে।
এমন পরিবেশে মানুষ না চাইলেও নিজেকে নিজের কাছে গোপন রাখতে পারে না। স্মৃতির দুয়ার এমনি খুলে যায়। মনে করিয়ে দেয় ভুলে থাকা জীবন। মরে যাওয়া একটা জীবনের গল্প।
গত এক বছর ধরে আমার মতো পৃথিবীও মরে গিয়েছে কোভিড/ ১৯ নামক ভাইরাসে। বাংলাদেশে ২০২০ সালের শুরুর দিকে এই ভাইরাস নীরবে কিংবা সরবেই প্রবেশ করে।চোখের সামনে প্রাত্যহিক জীবন কেমন পাল্টে গেল।
সব কিছুই অদ্ভুত রকম। সবারই দমবন্ধ অবস্থা। এমন জীবনে পুরোনো কিছু স্মৃতি জীবনকে নাড়াতেই পারে। বন্দী ঘর। বন্দী জীবন। শুধু হৃদয়ের আকাশটা উন্মুক্ত। যেখানে কাল্পনিক মনটা ভালোবাসা ছুঁয়ে হাজারও স্মৃতির মেঘেদের ভেলায় ছুটে চলে।
আমাদের বিল্ডিংয়ের পরই একটা বাসায় বিয়ে হচ্ছে।মানুষের পোশাক, কথাবার্তা আর সাজসজ্জা দেখে মনেহল কোন হিন্দু বাসা হবে।বাংলা বছর শেষে চৈত্র মাসে বিয়ে। নবদম্পতি নতুন জীবন শুরু করবে।তারমধ্যে সঙ্গনিরোধকালে বিয়ের বিষয়ে ও রাষ্ট্রীয় অনেক বিধি নিষেধ আছে কিন্তু মানুষের জীবনের প্রয়োজনের কাছে কোন নিয়মই যায়না । মানুষ তাঁর প্রয়োজনের কাছে দাস। ভীষণ অসহায় ও । শুনেছি গ্রাম অঞ্চলে প্রচলিত মাসে হিন্দু বিয়ে ভাদ্র আর চৈত্র মাসে হয় না। অবশ্য হিন্দু বিয়েতে অনেক শুভ কিংবা অশুভ লগ্ন বিচার করা হয় ।
এই দিকে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পাল্টে গিয়েছে।গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সমন্বয় করতে বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলোর দিন পরিবর্তন করা হয়েছে । আগে বাংলাদেশে ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন উৎসব হত । এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি আর পহেলা ফাল্গুন একই দিনে ।
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে প্রথম ছয়মাস হবে ৩১ দিনে আর বাকি গুলো ৩০ দিনে মাস । শুধু ফাল্গুন মাস ২৯ দিন হবে। লিপ ইয়ার হলে ফাল্গুন মাস ৩০ দিনে হবে।
যদি ও এই নিয়ম বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্যই । এর বাইরে যারা আছেন তাদের জন্য প্রযোজ্য না।দুচোখের একটা জীবন কতো কি পরিবর্তন দেখে ।
যদি বাংলা বর্ষপঞ্জির মতো আমার জীবনের সময় গুলো সুন্দর সমন্বয় করা যেতো কতো ভাল হত ।২০২০ সাল পুরো পৃথিবীর গল্প পাল্টে দিয়েছে। কিন্তু আমার জীবনের একান্ত গল্পটা সেই একই রয়ে গেছে।
"সয়ে যাও সমুদ্র ঢেউ
নিস্তরঙ্গ জীবন, বাঁচাতে আসবে না কেউ!"
এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে নিজেকেই নিজের বাঁচিয়ে রাখতে হয় । বিয়ে বাড়ির আলো আর সানাইয়ের সুর রাতটাকে কেমন সৌন্দর্য দিয়েছে। মনে হচ্ছে আমি নিজে ও বিয়ে বাড়িতে আছি ।
এই বাসাটার আগের বাসাটাই নাজনীন ভাবিদের। গত মাসে ভাই ভাবির ডিভোর্স হয়ে গেল। তাদের দাম্পত্যে কোন সমস্যা ছিল কিনা জানা নেই। নাজনীন ভাবি ঢাকায় বদলি হয়ে আসার পর থেকেই ভাইয়ের সাথে নানা বিষয় নিয়ে মত বিরোধ হতো। দু'জন দু'জনকে সন্দেহ করতো।
কোভিড ১৯ ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশের পর অনেক দিন সবাইকে হোম সার্ভিস দিতে হয়েছে। সবাইকে অফিস বাসায় বসে করতে হয়েছে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। এতো দিন ভাবি ঢাকার বাইরে ছিলেন। সন্তান স্বামী নিয়ে ভালই ছিলেন। যখন এক সাথে থাকতে শুরু করলেন তখন থেকেই সমস্যা। অথচ তাঁরা কতো সমস্যা মোকাবেলা করে ঢাকায় সেটেল্ড হয়েছে। এখন প্রিয় মানুষটাই অপছন্দের।প্রিয় মানুষটাই কষ্টের কারন!
তাদের ডিভোর্সের কথা আসাদ আমাকে বলেনি। আমি শুনেছি আমাদের বিল্ডিংয়ের দাড়োয়ানের বউয়ের কাছে।
যদিও নাজনীন ভাবির আচরণ কথাবার্তা আমার পছন্দের ছিল না। কিন্তু কেন জানি ডিভোর্সের কথা শুনে মায়া লাগছে।
এক সময়ে তাঁরা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল। এখন ভালোবাসার মানুষই ঘৃণার পাত্র। এতো ভালোবাসা আর সন্তানদের বন্ধন ও একটা দাম্পত্যকে বাঁচাতে পারল না। মানুষ সত্য সুন্দর পেয়েও আগলে রাখতে পারে না। আবার কেউ একটা মিথ্যার মধ্যেই আজন্ম কাটিয়ে দেয়।
আমার আর আসাদের মধ্যে ভালোবাসা হয়তো নেই। কিন্তু কি অদ্ভুত ভাবে অদৃশ্য প্রয়োজনেই একটা সংসার টিকে আছে।ভাঙা ডালের মতো ঝুলে থেকেও টিকে আছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লিলিয়ান আপু আপনার চমৎকার উপন্যাসটি
ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করে আমাদের পাঠ
করা সহজ করে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: উপন্যাসের রিভিউ জানাবেন । কেমন হয়েছে জানাবেন । ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: শেষ হয়ে গেলো?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আরেকটি পর্ব আছে ।

৩| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর ঝরঝরে লেখা।

০৮ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.