নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোপনে সে আমায় ভালোবাসে- পর্ব ১৫ - নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৮


আগের পর্ব লিংক গোপনে সে আমায় ভালোবাসে ১৪ - নুরুন নাহার লিলিয়ান
#গোপনে সে আমায় ভালোবাসে
#পর্ব ১৫
গতকাল দুপুরে আসাদ ঢাকায় ফিরেছে। আর আজ সকালেই আমরা লৌহজং পদ্মা রিসোর্ট দেখতে এসেছি। আমাদের সাথে আরও দুটো পরিবার আছে।একটা পরিবার ঢাকা থেকেই এসেছে। আরেকটা পরিবার ফরিদপুর থেকে।
তাঁরা সবাই বিভিন্ন সময়ে এখানে চাকরি করে গিয়েছেন।আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার আসাদ আহমেদকে বোঝা খুবই কঠিন। তিনি হঠাৎ এই করোনাকালে এমন একটি জায়গায় নিয়ে আসবেন আমি ভাবতেও পারিনি।
তবে কেন জানি ভাল ও লাগছে। আবার ভয় ও লাগছে। আমি করোনাকালের এই সময় গুলোতে এতো বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম যে মনে হতো আসাদ আমাকে মেরে ফেলবে। অদ্ভুত একটা ডিপ্রেশন! এই বেড়াজাল থেকে বের হওয়া ভীষণ রকম কঠিন।
অনেক দিন ঘরে বন্দী , জীবনের ফেলে আসা স্মৃতিদের কাছে বন্দী । এই বন্দীদশা থেকে মুক্তির উপায় আদৌ কি জানা আছে!
তবে শোক কে শক্তিতে পরিনত করা যায়। নিজের একটা স্বপ্নকে পূর্ণ করা যায়। যখন অপ্রাপ্তি জীবনের আষ্ঠেপৃষ্ঠে আঁকড়ে থাকে তখন মানুষের স্বপ্নই একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠে।
একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য এমন একটি জায়গায় ঘুরতে আসাটা খারাপ হয়নি।
মানুষ কখনও লাশ হয়েও জীবিত থাকে।আলোর মধ্যে যখন অন্ধকার দৃশ্যমান থাকে।
আসাদের ভেতরে কেমন একটা পরিবর্তন। বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছি। আমি অনলাইনে আইইএলটিএস এর মক টেস্টের রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম। সেটা নিয়ে নিজেও একটু ব্যস্ত ছিলাম। সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তির মোটিভেশনাল ভিডিও, নারী উন্নয়ন, সেল্ফ স্কিলড, সোস্যাল বিজনেস প্ল্যাটফর্ম, বিভিন্ন ব্লগারদের নানা রকম অভিজ্ঞতা গুলো কিছু হলেও মনে প্রভাব ফেলে৷ আমি নিয়মিত এসব পজিটিভ পারসোনালিটি এবং প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাথে এটাচ থাকি।
অনেক বছর হয় মাস্টার্স শেষ করেছি। তেমন কিছুই করতে পারিনি৷ ছেলে মেয়ে দুটোও বেশ বড় হয়ে গেছে। নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিতে পারব কিনা জানিনা তবে সমৃদ্ধ করার জন্য চেষ্টা তো করা যায়।
আমি নুশমাকে পড়তে বসিয়ে নিজেও একটু একটু পড়াশুনা করি। এটা সব সময় করেছি। যেকোন বই, ম্যাগাজিন, জার্নাল আমি নিয়মিত পড়ি। যেন নিজের ভেতরের আলোটা নিভে না যায়।
আর একান্ত খারাপ লাগলে ডায়রি লিখি। কয়েকদিন আগে আসাদ নুশমার টেবিলে দু'টো অফিশিয়াল ডায়রি রেখে বলল, " অফিসে ছিল। কাজে লাগাতে পারো।"
আমি কোন কিছু বলিনি। কোন কিছু জানতেও চাইনি।তাকিয়ে দেখলাম কালো রঙের বড় সাইজের একটা ডায়রি। সাথে সোনালি ও সাদা রঙের একটা কলম ও আছে।
আমার নিজের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে এতো বছর হয়ে গেল। কখনও এই জাতীয় কিছু উপহার সে আমাকে করেনি।
আবার আসাদের এমন আচরণে একটু ও অবাক হয়নি।কিছু মানুষ থাকে তাঁদের মধ্যে বোধের চর্চা থাকে। অনুভূতির প্রকাশ ও থাকে না। একটা প্রশ্ন বার বার আমাকে বিচলিত করেছে।
"সে কী তাহলে লুকিয়ে আমার ডায়রি পড়েছে? "
অসম্ভব কিছু না। আবার কোন প্রস্তুতি ছাড়াই আজকে লৌহজং নিয়ে এল! একটা ভয় বুকের কোণে মোচর দিয়ে উঠল। আচ্ছা এই যে আমি ডায়রিটা লিখছি এটা কে দেখবে? এটা কাকে পড়ানোর জন্য লিখছি? আমার ভেতরে এমন হাজারও প্রশ্ন এসে আমাকে ঝাপটে ধরছে। এসব প্রশ্নের কোন উত্তরই আমি খুঁজে পাই না।
তবে পদ্মা রিসোর্টটা দেখতে বেশ! পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর যথেষ্ট গোছানো। ভোরে রওনা করাতে দেড়
ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গেছি।পদ্মার তীরে নয়নাভিরাম রিসোর্টটা সত্যি মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
চারিদিকে পানি আর মাঝখানে রিসোর্ট। বর্ষা মৌসুমে রিসোর্টটা একদম দ্বীপের মতো দেখায়৷ চারিদিকে থৈথৈ পানি পুরো পরিবেশটাকে আরও বেশি কাব্যিক করে তোলে। শীতকালে রিসোর্টের চারিদিকে প্রচুর ফুল ফোটে তখন যেন চেহারাটায় একটা মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করে। আমরা এসেছি ভুল সময়ে বসন্ত কালে। তারপরও খারাপ লাগছে না।মাথার উপরে চৈত্র মাসের রোদ৷ একটু ভ্যাপসা গরম। তবে নদীর ঢেউ থেকে আসা শীতল বাতাসে যেন মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
ষোলটা ডুপ্লেক্স কটেজ, রেস্টুরেন্ট আর নদী তীরের নানা রকম আয়োজন নিয়ে বেশ ছিমছাম করে সাজানো রিসোর্টটি।আমরা দেড় ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গেছি। ডায়রিটা নিয়ে আসতে ভুলিনি। সকাল আর দুপুরের মাঝামাঝি সময় হলেও পরিবেশটা বেশ শান্ত। মাথার উপরে খরতাপ কিন্তু চারপাশে স্নিগ্ধ বাতাস অশান্ত মন ক্লান্ত শরীরকে আপন করে রাখে। খাবার দাবার শেষ করে নিশোকে ও নুশমাকে নিয়ে আসাদ ঘুড়ি উড়াতে নিয়ে গেল। পাশেই অনেকে ঘোড়ায় চড়ছে। কেউ কেউ বোটে নদীতে আনন্দে মেতেছে।
আমি চুপচাপ রুমে ফিরে ডায়রি খুলে বসি।
পশ্চিম দিকের কটেজ গুলো একটু বেশি নিরিবিলি।আমরা পশ্চিম দিকের একটি কটেজে উঠেছি।
কটেজের চারপাশে বেশ গাছগাছালি আছে। গাছে গাছে পাখিদের কলকাকলী আর নদীর ঢেউয়ের শব্দ মিলে মিশে একাকার।
কটেজ গুলোতে বড় একটা বড় বেডরুম,দু'টো ছোট বেড রুম, একটি ড্রয়িং রুম, দু'টো নান্দনিক ব্যালকনি আর একটি বাথরুম আছে। সুবিশাল বারান্দায় দাড়িয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে অনুভব করা যায় জীবনের প্রশান্তি।
কটেজ গুলোর ছাদ সুন্দরি পাতা দিয়ে আচ্ছাদিত হয়েছে আলাদা সৌন্দর্য নির্মানে। বাঁশ ও তাল গাছের কাঠ দিয়ে কটেজ গুলো তৈরি হয়েছে।
বারোটি কটেজ বাংলা বারো মাসের নামে। আর চারটি কটেজ বাংলা মাসের নামে। আমাদের কটেজের নাম চৈত্র। কী রকম অদ্ভুত। এই চৈত্র মাসে আমরা এসেছি আবার কটেজের নাম ও চৈত্র।ব্যাপারটা একটু আনন্দ দিল। মনে কেমন একটা ভাল লাগা ছুঁয়ে গেল।
বেড়াতে আসা মানুষ গুলো এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে আর আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করছে।
আমি রুমে কিছুটা সময় পায়চারি করি। কি করব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেকটা সময় ঘুরে ঘুরে কটেজটা দেখি। তারপর জানালার পাশে এসে বসি।
আমাদের সাথে যে দু'টো পরিবার এসেছে তাদেরই একজন মনির ভাই ও পরিবার। একটু বয়স্ক তবে বেশ আন্তরিক।
জানালা দিয়ে দেখি কি সুন্দর লেভিস বিচ চেয়ারে বসে কটেজের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈসর্গিকতা উপভোগ করছে।
মানুষকে সুখী করার কতো রকমের উপকরণে ঠাসা এই কর্পোরেট সুখ স্বগ।এমন পরিপাটি সুখরাজ্যে থেকেও আমার বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা।
আমি ডায়রি খুলে পেছনে ছুটে যাই। পদ্মার চড়ে সুবিশাল ফসলের ক্ষেত, সবুজের সমারোহ। একটা সময়ে এই পদ্মারচরে আমাদের একট স্বপ্ন ছিল। একটা ফেলে আসা স্মৃতি।
আমার চোখের সামনে অভিনন্দনের অবয়বটা স্পষ্ট হতে থাকে।আমি আবার হারিয়ে যাই সেই সব স্মৃতিতে।
এখনও মনেহয় না সে পৃথিবীতে নেই। মনে হয় কোথাও হয়তো আছে। আবার হয়তো গোপনে যোগাযোগ হবে। হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে। আবার আমাকে বেঁচে থাকতে অনুপ্রেরণা দিবে। আমি আবারও কল্পনার ঘোরে চলে যাবো। আবার ও সময় সেঁচে স্বপ্ন কুড়াবো। কিন্ত জীবন মানুষকে কল্পনার জগৎ থেকে টেনে আনে নিষ্ঠুরতম অভিজ্ঞতায় ফেলে দেয়। আমরা আবার সেই জীবনের নিষ্ঠুর অধ্যায় ভুলতে কল্পনায় হারিয়ে যাই।
আমি আসাদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম হঠাৎ লৌহজং কেন?
কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে বলেছিল বাচ্চাদের ঘুরিয়ে আনি। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল অন্য কিছু। এখনও পরিস্কার না। গাড়িতে থাকতে পুরোটা সময় জুড়ে ভেবেছি। কিন্তু এখন ভাবনাটা মিলিয়ে যাচ্ছে। এই পদ্মার চরে এসে আমার কেবলই অভিনন্দনের কথা পড়ছে। আমি অভিনন্দনের হাত ধরে দিগন্ত জোড়া মাঠে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছি! আমি ডিঙি নৌকায় বসে আছি সে কাঁচা হাতে নৌকার বৈঠা ঠেলে আমাকে নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। এমন গহীন গ্রামীণ পথে আমরা দু'জন আজন্ম প্রেমের বসতি গড়েছি। সব কিছু যেমন আমার মনের গোপন গহীন প্রোকষঠে জন্ম নেয়। আবার গোপনেই হারিয়ে যায়। অভিনন্দনকে আর পাওয়া হয় না।
বারান্দায় কিংবা জানালার পাশে দাঁড়ালেই একটা নিভৃত জনবসতি চোখে পড়ে।যারা এই বিশাল পদ্মার চরের মাটি, আকাশ, বাতাস আর প্রকৃতিতে জীবনের বীজ রোপন করেছে। তাঁদের বেঁচে থাকাটা চোখে পড়ে। মনের কোনে প্রশ্ন জাগে মাটির মানুষদের দু'বেলা দুমুঠো ভাতের যুদ্ধ করা জীবনের কাছে আমার জীবনটা নেহায়েতই খারাপ না। আমার তো ভাতের লড়াই নেই। আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের লড়াই আছে। তবে সে লড়াইয়ে অবশ্যই আমি জিতব। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জিতব। সব কিছু সহ্য করে টিকে থাকার যে চেষ্টার লড়াই সেই লড়াইয়ে জিতব।
কটেজে আগত অতিথিরা একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত। আমাদের সাথের আরেকটা পরিবারকে দেখলাম প্রচুর মাছ মাংস কিনছে। পদ্মার তীরে অনেক ধরনের নদীর মাছ, গরুর মাংস, শাক সবজি পাওয়া যায়। এই ভাইটির নাম ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ । তিনি আসাদের মতোই। বয়সটা হয়তো সামান্য বেশি হবে। চলন বলনে তেমনিই মনেহল যিনি জীবনের প্রয়োজন মেটাতেই ব্যস্ত।
এতো সুন্দর প্রকৃতির আভিজাত্য! এতো নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈসর্গিকতা! যেকোন প্রেমিক মন চাইবে তাঁর
প্রিয় মানুষটার হাত ধরে, তাঁর পাশে বসে এই রহস্যময় পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ওদিকে মনির পরিবারের সবাই কিন্তু ঠিকই নিজেদের জীবন সপে দিয়েছে প্রকৃতির নান্দনিকতায়। ছেলে মেয়েরা খেলছে, ছবি তুলছে। আর ভাই ভাবি পাশাপাশি বসে আছে। কখনও ভাবি ভাইয়ের কাঁধে মাথা রাখছে৷ কখনও ভাই ভাবির হাতটি ধরে খোশগল্পে মেতে উঠছে।
এই পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য যেন ভাই ভাবির হাতে। আমি রুম থেকে সেই পবিত্রতম দু'টো হাতের দিকে তাকিয়ে থাকি। কতো বিস্ময়কর ভালোবাসা সেখানে লুকিয়ে আছে। কতো শত নারী পুরুষ এমন স্বপ্ন দেখে প্রিয় মানুষের প্রিয় স্পর্শে ছোট ছোট সুখ কুড়িয়ে আজীবন কাটিয়ে দিতে। কয়জনের ভাগ্যে তা হয়!
সারাদিন শেষে আমাদের চলে যাওয়ার সময় হয়ে এলো। আসাদ অনেক বাজার সদাই করেছে।আমরা সন্ধ্যার আগেই ঢাকায় রওয়ানা হবো। দুপুরে রিসোর্টের আকর্ষনীয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া হল। আসাদ খেয়ে দেয়ে ছেলে নিশোকে বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল। আমি নুশমাকে নিয়ে নদীতীরের কাছে গেলাম। কি সুন্দর নিভৃত লোকালয়! এখন নদীর পানিটা কেমন শান্ত। হাল্কা ঢেউ যেন দূর আকাশে রাত নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমার ব্যাগ থেকে ডায়রিটা বের করে নদীতে ভাসিয়ে দিলাম।ডায়রিটা ভেসে থাকার সুযোগ পায়নি। ছুঁড়ে মারার পরই টুপ করে ডুবে গেল। ডায়েরিটা আমার কষ্ট আর কান্না ধারন করতে করতে এতো ভারী হয়েছিল যে ভেসে থাকার মতো কোন শক্তি ছিল না।
কি অদ্ভুত পৃথিবীটা! অভিনন্দনের মতো যারা নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে পৃথিবীকে সবরগরাজ্য বানাতে চায় তাঁরাই রহস্যময় ভাবে হারিয়ে যায়। আসাদের মতো যারা ভালোবাসা বোঝেনা তাঁরা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভালোবাসাহীন কি সুন্দর একটা সুখী জীবন কাটিয়ে দেয়। আর আমার মতো নিরুপায় ভাগ্যবিড়ম্বিত তাদের নিজের বলে কিছু থাকেনা। তাই তাঁদের কিছু আঁকড়ে ধরার সাহস ও থাকে না।
তাঁদেরকে কেউ ভালোবাসে, তাঁরা কাউকে ভালোবাসে। কিন্তু সে ভালোবাসে আপন অন্তদহন নিয়ে গোপনে হারায়। কিন্তু প্রিয় মানুষটা তাঁকে গোপনেই ভালোবেসে যায়।
আমি নুশমার কাঁধে হাত রেখে কটেজে ফিরে আসি।নুশমা কি কিছু বুঝেছে কিনা জানি না। হয়তো বুঝেছে। কিংবা পুরোপুরি বুঝেনি। বড় হলে আরও পরিস্কার বুঝবে। সারাটা সময় মেয়েটি কোন কথা বলেনি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিল।
কিছুক্ষণ পর গাড়ি ছেড়ে যাবে। আমার আর অভিনন্দনের স্মৃতিময় পদ্মার তীর অস্পষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের ভালোবাসা রয়ে যাবে অসীম আকাশে, ধেয়ে চলা নদীর ঢেউয়ে,সবুজ শস্যক্ষেতে, নীরব বালুচরে আর আমার মনের গোপন গহীন কোণে।
গাড়ি ছুটতে থাকে ঢাকার পথে। আমার দু-চোখ ছোটে স্মৃতির শহরে।
দূরের চর থেকে কোন একটা চেনা সুরে গান ভেসে আসতে থাকে।সুরটা কেমন অদ্ভুত চেনা চেনা!
কিন্তু গানের কথা গুলো আর স্পষ্ট শোনা হয় না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: গানটা হয়ত ছিলো সেই গানটা।

আহারে জীবন আহা জীবন
জলে ভাসা পদ্ম জীবন ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এই খানেই শেষ । অনেক ধন্যবাদ ।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ইন্দিরা রোড পড়েই আমি আপনার ভক্ত হয়েছি।

১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.