![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারিদিকে অন্ধকার।
আকাশটা নিস্তব্ধ।
আনমনে হেঁটে চলছি আমি।
আজ আকাশে চাঁদটা অনেক বড় দেখাচ্ছে।
জ্যোৎস্নার আলোয় হাঁটতে অনেক ভালো লাগছে।
কানে হঠাৎ বেজে উঠলো একটা কান্নার আওয়াজ।
চারিদিকে তাকালাম।
দেখলাম, রাস্তার এক কোণেতে ফুটপাতে ছোট্ট ছেলে একটা কাঁদছে।
পাশে নিশ্চয়ই তার মা বসা।
বুকে ভরা হাহাকার নিয়ে।
কেনই বা কাঁদছে? জানার জন্য এগিয়ে গেলাম আমি।
তাদের সম্পর্কে জেনে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল আমার।
একদিন সব ছিল তাদের।
নদী ভাঙ্গন তাদের সব নিয়ে যায়।
নিঃস হয়ে যায় তারা।
কাজের খোঁজে শহরে এল তারা।
কিন্তু কাজ যেন তাদের ধরা দিতে চায় না।
চিকিৎসার অভাবে ছেলের বাপ মারা গেল।
আজ একদিন ধরে তাদের পেটে খাবারের ছিটেফোঁটাও জমেনি।
তাদের জন্য খুব মায়া লাগলো আমার।
চিন্তা করলাম অদের খাবারের ব্যাবস্থাটা যদি এবারের মতো করে দিতে পারি।
যেই ভাবা সেই কাজ।
পকেটে হাত দিয়ে দেখি ৫০ টাকা আছে।
ছোটো খাটো একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে ওদের পেটপুরে খাওয়ার ব্যাবস্থা করলাম।
মনটা অনেক প্রশান্ত হলো আমার।
ছেলেটিকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষন আদর করলাম।
তারপর বিদেয় নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম আবার।
মাথার মধ্যে চিন্তার ফুলঝুড়ি,
প্রকৃতি কি তাদের জন্য এমন নিয়তিই ঠিক করে রেখেছিল?
নিয়তি কেন এত খারাপ?
আমারই উত্তরঃ জানিনা। সহজ উত্তর।
আসলেই সহজ উত্তর। আনমনেই হাসতে লাগলাম।
©somewhere in net ltd.