![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্বন্ধে কী আর লিখব! মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ (আমরা যখন পাশ করেছি তখন ঐ নামই ছিল) থেকে বের হয়ে বুয়েট-এ ঢুকেছিলাম। ক্লাশ শুরু হবার আগেই যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলো। বুয়েট থেকে প্রকৌশলি হয়ে বের হতে হতে ১৯৭৬। কর্মজীবন শুরু হল। চাকরী পেলাম তিতাস গ্যাস-এ। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে চলে গেলাম মধ্যপ্রাচ্যের এক দেশে। ৪ বছর থেকে ফিরে এলাম, যোগ দিলাম বাখরাবাদ গ্যাস-এ। দিনে দিনে হয়ে গেলাম একটা পাইপলাইন প্রকৌশলী। এখনো যদিও ঐ পেশাতেই আছি, তবে আমি আমার পেশায় কতটুকু সফল তা একমাত্র ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।
জীবনানন্দ দাশ-এর নাম আমরা সবাই জানি। রূপসী বাংলার এই কবির কল্যাণে ধানসিঁড়ি নদীটি আমাদের অতি চেনা। নাটোরের বনলতা সেনকে এই জীবনানন্দ দাশই আমাদের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন। কত যুবক নাটোরের বনলতা সেন, যার চোখ ছিল পাখির নীড়ের মত, সেই বনলতা সেনের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে। জীবনানন্দ দাশ-এর মা ছিলেন আরেক কবি। নাম তাঁর কুসুম কুমারী দাশ। কুসুম কুমারী দাশ-এর লেখা সম্বন্ধে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। তাঁর লেখা এক কবিতা নিচে দিলাম। আশাকরি ভাল লাগবে। আমাদের অনেকের অপরিচিত হলেও কবিতাটি বহু পঠিত, বহু উদ্ধৃত।
আদর্শ ছেলে
কুসুম কুমারী দাশ
মুকুল, পৌষ, ১৩০২।
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
“মানুষ হইতে হবে” ― এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান,
নাই কি শরীরে তব রক্ত মাংস প্রাণ?
হাত, পা সবারই আছে মিছে কেন ভয়,
চেতনা রয়েছে যার সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়,
আসে যার চোখে জল মাথা ঘুরে যায়।
সাদা প্রাণে হাসি মুখে কর এই পণ ―
“মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন”।
কৃষকের শিশু কিংবা রাজার কুমার
সবারি রয়েছে কাজ এ বিশ্ব মাঝার,
হাতে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান
তোমরা মানুষ হলে দেশের কল্যাণ।
©somewhere in net ltd.