![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন এক অজানার পথে চলেছি ভেলায় চড়ে । যেদিন ভেলা ছিন্ন হয়ে যাবে, বুকে টেনে নেব স্বচ্ছ সলিল ধারা । যতদিন ভেসে আছি, উপভোগ করে যাবো দুকূলের সৌন্দর্য ।
মানুষ একমাত্র প্রাণী, যার সাথে বিশ্বাস বলে একটা কনসেপ্ট জড়িয়ে আছে। সারাজীবন মানুষ বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে থাকে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস নিয়ে মানসিক অবস্থা পার করতে হয়।
একেক মানুষের বিশ্বাস একেক রকম। এমনকি, একজন মানুষ যা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে অন্যরা তাকে আবার ১০০% ভুয়াও মনে করতে পারে!
যাহোক, এতো গম্ভীর আলোচনায় না গিয়ে আসল কথা বলি। একজন সহজ সরল মানুষ হিসেবে আমার ব্যক্তিগত কিছু বিশ্বাস অবিশ্বাস আছে। আজ সেরকম দুটো অবিশ্বাস নিয়ে কথা বলছি।
অবিশ্বাস ১ঃ মানুষ সিগারেট ছাড়তে পারে না- এই কথাটা বিশ্বাস করি না
অনেকের কাছে শুনি মানুষ নাকি সিগারেট কখনো ছাড়তে পারে না। এই কথাটা মোটেই বিশ্বাস হয় না।
আমার বাবাকে জীবনে কমপক্ষে নব্বই বার সিগারেট ছেড়ে দিতে দেখেছি। বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ উনি যেমন তেমন ভাবে সিগারেট ছেড়ে দিতেন তা কিন্তু নয়। একদম ইস্পাত কঠিন দৃঢ় প্রমিজ করে সিগারেট ছেড়ে দিতেন।
এভাবে কিছুদিন পর পরই সিগারেট ছাড়তেন তিনি। উনার এতোবার সিগারেট ছাড়াছাড়ি দেখে আমার মনে বিশ্বাস জন্মে গেলো যে সিগারেট ছেড়ে দেয়া সহজ, তাই তো আমার বাপ কয়দিন পর পরই সিগারেট ছেড়ে দেন।
অবিশ্বাস ২ঃ ফেসবুকের নেশা ছেড়ে দেয়া কঠিন, এইটাও বিশ্বাস করি না
এই প্রজন্মে ফেসবুক মানুষের অবিচ্ছেদ্য এক অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এক সময় মানুষ ঘুম থেকে উঠে সবার আগে বাথরুমে ঢুকতো, এখন মানুষ ঘুম ভাঙার পর পরই ফেসবুকে ঢুকে। আগের যুগে ঘুমের পূর্বে মানুষের লাস্ট কাজ ছিল বাথরুম ইউজ করা। এখন ঘুমের আগে মানুষের লাস্ট কাজ হল ফেসবুক ইউজ করা।
এই যুগে ফেসবুক ছাড়া থাকাটা অনেকটাই ইম্পসিবল হয়ে গেছে যেন।
কিন্তু মজার ব্যপার হল, অনেক মানুষ আছে যারা ফেসবুক ছেড়ে দিতে খুব পছন্দ করে। পৃথিবীর সকল মানুষই জীবনে একবার হলেও ফেসবুক ছেড়ে দেবার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এমন কিছু মানুষ আছে যারা একবার দুইবার নয়। অনেকবার ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছে। বিশেষ করে কিছু উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে কয়দিন পর পরই অত্যন্ত আবেগ নিয়ে ফেসবুককে বিদায় জানিয়ে অফলাইনে চলে যায়।
"ফেসবুক আমার অনেক অনেক সময় নষ্ট করে দিয়েছে, আজ থেকে আর ফেসবুক ইউজ করছি না, সবাই ভালো থাকবেন!"
তারপর, ২৪ ঘন্টা যাবার আগেই এদের নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলতে দেখবেন। কয়দিন পর হয়তো কারো সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে, অমনি দুম করে ওরা আবার স্ট্যাটাস দিয়ে ফেসবুককে চিরতরে বিদায় জানিয়ে চলে যাবে। এভাবে কোন কোন মাসে তারা দুইবার তিনবারও চিরতরে ফেসবুক ছেড়ে দেয়। মন চাইলেই ফেসবুক ছেড়ে দিতে পারে ওরা। ওদের ফেসবুক ছাড়াছাড়ি দেখলে মনে হয় যেন ফেসবুক ছেড়ে দেয়ার মত সহজ কাজ পৃথিবীতে আর একটাও নাই।
কাজেই, ফেসবুক ছেড়ে দেয়া কঠিন এটা বিশ্বাস করি না।
[বিশ্বাস অবিশ্বাসের আলোচনা দেখে যারা সিরিয়াস পোস্ট ভেবে আমার এই খামাখা লেখাগুলো পড়লেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।]
২৪ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৫
নাজিম সৌরভ বলেছেন: সর্বাগ্রে, আপনাকে সিগারেট ছাড়ার কারণে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই।
আমার বাবাও সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিলেন, যখন উনার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তখন। সিগারেটবিহীন দুই বছর কাটিয়ে, অবশেষে ২০১০ সালে তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ফেসবুক ছেড়ে দেয়া আবশ্যক মনে করি না, নিয়মমাফিক ফেসবুক চালালে ফেসবুকের উপকারিতাটাই বেশি।
ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৯
নতুন বলেছেন: ব্লগের নেশা ছাড়া অন্য কোন নেশা নেই বলেই আপাত মনে হয়।
অনেকেই আছে যারা সিগারেট অনেক বার ছেড়েছেন।
নিকোটিনের নেশা আসলে বেশ কঠিন নেশা, গান্জা থেকেও বেশি কস্ট সিগারেট ছাড়া।
২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৩
নাজিম সৌরভ বলেছেন: ঠিক। অনেককে দেখেছি, নিছক সময় কাটানোর জন্য কয়েকদিন গাঞ্জা খেয়েছে। এরপর আর খায়নি, এখন তাদের মনেও নাই কোন এক সময় তারাও গাঞ্জা খেতো। অথচ সিগারেট খাওয়া ব্যক্তিরা অনেক চেষ্টা করেও কেন যেন ছাড়তে পারে না।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২০
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এমন বহুবার করেছি আবারো করবো । নিজের উপর বিশ্বাস আছে ।
২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৫
নাজিম সৌরভ বলেছেন: অবশ্যই! আপনার উপর আমারও বিশ্বাস আছে, স্বাধীনতার মাসে ছেড়ে দেন।
এপ্রিলে আবার ধরিয়েন।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ধূমপান করি। একবার মনে মনে ভাবলাম দেখি তো সিগারেট না খেয়ে থাকতে পারি কিনা। আমি পেরেছি। টানা একমাস সিগারেট খাই নি। আমি ইচ্ছা করলেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারি। ফেসবুকও পারি।
২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৭
নাজিম সৌরভ বলেছেন: ফেসবুক না ছাড়লেও চলবে। তবে যদি পারেন সিগারেটটা ত্যাগ করবেন প্লিজ, নিজের স্বার্থেই। নিকোটিনের নেশা আপনার যেহেতু নেই তাহলে এই জিনিস ছেড়ে থাকতে কষ্ট হবে না।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
চাইলেই সম্ভব তবে সাকসেস রেট খুব কম কেন?
ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছি,সিগারেট অনেকবারে ছেড়েছি,ধরেছি সর্বোচ্চ ৪ মাস ছিলাম ছাড়া অবস্থায়।
২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৪১
নাজিম সৌরভ বলেছেন: ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে আপনি ব্লগে সময় ব্যয় করছেন, তাই হয়তো ফেসবুক ছাড়া থাকতে পারছেন। অন্যদিকে নিকোটিনের নেশার বিকল্প কিছু সম্ভবত নেই, তাই সিগারেট ছেড়ে দেবার সাকসেস রেট কম।
একদম ছেড়ে দিতে পারলে ভালো হতো আপনার।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমি জীবনে কোন দিন সিগারেট খাই নি, তাই এটা ছাড়ার প্রশ্ন আসলে অবান্তর । ফেসবুক আমি নিয়মিত ব্যবহার করি । এটা যেমন সময় কাটানো অন্য দিকে আবার প্রয়োজনও । আমার অর্থ আয়ের একটা অংশ আসে ফেসবুকের কল্যানে । তাই দরকারেই আমাকে এটা ব্যবহার করতে হয় । চাইলে সবই ছাড়া সম্ভব । সত্যিই সম্ভব । যারা বলে যে সম্ভব না তারা আসলে চায়ই না ।
২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৪৪
নাজিম সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। আমিও আপনার দলের লোক, কখনো সিগারেট খাইনি। একজন চেইন স্মোকারের ছেলে হয়েও আমি সিগারেটমুক্ত।
ফেসবুক আমাদের অনস্বীকার্য একটি মাধ্যম, এটা ছেড়ে দেবার আবশ্যকতা দেখি না। আর ভালো কাজে ব্যবহার যিনি করতে পারবেন, ফেসবুক ব্যবহারের অধিকার তারই।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৭
জটিল ভাই বলেছেন:
হে হে হে..... ঘটনা সত্য। আমার কাছে তথ্য আছে
তা বিশিষ্ট্য ব্যক্তি নিয়া আপনার এনালাইসিসের ২য় পর্ব কি আসিবে?
২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬
নাজিম সৌরভ বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বের কোন এনালাইসিস করবো তা তো বলিনি। হুট করে একবার সেরকম লেখা লিখেছি, তবে আর লিখবো না।
ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফেসবুক যেমন নেশা, তেমন প্রয়োজনও। তাই ফেসবুক ছাড়ার প্রয়োজন বোধ করি না। তবে হ্যাঁ, ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি অনেকদিন ধরেই।
তবে সিগারেট আমি ছেড়েছি বটে। ৬ বছর হলো। তার আগে যথারীতি আপনার বাবার মতো অনেকবার ছেড়ে আবার ধরতে হয়েছে। এটা আসলেই খুব কঠিন কাজ। অবশেষে সফল হয়েছি!