![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। আমাদের দেশে ছোলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। কাঁচা, রান্না করে মুড়ির সঙ্গে বা ডাল হিসেবে। বাজারে ভেজেও বিক্রি হয়। সবচেয়ে বেশি পুষ্টি হলো কাঁচা ছোলাতে। পানিতে ভেজানো ছোলার খোসা ফেলে কাঁচা আদা কুচি দিয়ে খেলে তা শরীরের জন্য জোগাবে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। রান্না ছোলাতে তেল দেওয়া থাকে বলে এতে ফ্যাটের পরিমাণ রয়েছে। মোটা ব্যক্তি বা উচ্চরক্তচাপ আছে যাঁদের তাঁরা কাঁচা ছোলা খান। তাঁদের জন্য অতিরিক্ত তেল, মসলা দেওয়া ছোলা হলো ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে রান্না ছোলা খেতে পারেন নির্দিষ্ট পরিমাণে। যাঁরা খোসাসহ ছোলা খেতে পারেন না, তাঁদের জন্য কাঁচা ছোলা যথেষ্ট উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ। ছোলার প্রোটিন দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
যা দেহের হূৎপিণ্ডের গতিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কিডনির সমস্যা যাঁদের রয়েছে (ডায়ালাইসিস চলছে, রক্তে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক এসিড বা ইউরিয়ার পরিমাণ বেশি) তাঁরা যেকোনো রকম ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ যেকোনো ডালে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তে (যাঁদের কিডনি দুর্বল) সেরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়ায়। তাই ছোলা দুর্বল কিডনির জন্য বর্জনীয়। এতে যে খনিজ লবণগুলো রয়েছে তা দাঁত, চুল, হাড়কে করে মজবুত। বাড়ায় কাজ করার শক্তি। কাঁচা ছোলা চিবিয়ে খেলে এর রস দাঁতের মাড়িকে করে মজবুত। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের জন্য কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। ছোলার গায়ে যে আঁশ থাকে, তা পাকস্থলীকে (যেখানে খাবার জমা থাকে) করে গ্যাসমুক্ত, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজম করতে না পারলে কাঁচা ছোলা খাবেন না।
এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা। সালফার নামক খাদ্য উপাদানের বসতিও এই ছোলাতে। সালফার মাথা গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। তবে ছোলার ডালের তৈরি ভাজা-পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তাই হজমশক্তি বুঝে ছোলা হোক পরিবারের শক্তি।
ছোলা ভাজি
ইফতারের আর একটি মুখরোচক, সুস্বাদু ও লোভনীয় খাবার হল ছোলা ভাজি। আমরা রোযার মাস ছাড়াও সারা বছর কম বেশি ছোলা ভাজি খেয়ে থাকি।
সচরাচর দেখা যায় বিকেলে ক্যান্টিনে বন্ধুরা বসে ছোলা ভাজি বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু রোযার মাসে ইফতারের ছোলা ভাজির যে স্বাদ পাওয়া যায় অন্য সময় সে স্বাদ টা আর পাওয়া যায় না।
ইফতারে আমার পরিবারে ছোলা ভাজি অবশ্যই থাকবে, আপনার ইফতারে কি থাকছে ছোলা ভাজি? যদি না থাকে তাহলে এখনি ঝটপট তৈরি করুন মজাদার ছোলা ভাজি।
উপকরণঃ
ছোলা ও আলু পরিমান মত, কাচা মরিচ, কাচা পেয়াজ, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা, সামান্য মসলা বাটা, হলুদের গুড়া, লবণ ও তেল।
প্রনালীঃ
ছোলা রান্না করার আগের দিন রাতে বা ৪-৫ ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখুন। ভিজানো ছোলা ও আলু টুকরো করে কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর লবণ ও কাচা মরিচ দিয়ে গরম তাপে সিদ্ধ করুন।
গরম পাত্রে পরিমান মত তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি হালকা বাদামী রঙ ভেজে নিন। এবার রসুন, আদা, জিরা ও মসলা বাটা ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাল করে চুলার আচে মসলা গুলো কষিয়ে নিন। কষানো মসলার মধ্যে সিদ্ধ করা ছোলা ও আলু দিয়ে নাড়তে থাকুন প্রায় ২-৩ মিনিট। তারপর ছোলার মধ্যে কাচা-পেয়াজ কুচি একটু বেশি করে দিয়ে ১মিনিট নেড়ে চুলার আচ কমিয়ে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন।
এবার মজাদার গরম গরম ছোলা ভাজা ধনিয়া পাতা দিয়ে ইফতারে পরিবেশন করুন।
সূত্র : নেট থেকে।
©somewhere in net ltd.