![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম কদিনের জন্য। সাত দিনে তিনটে ওয়াজ মাহফিল হল। কিন্তু আমি যাই নি কোনটাতেই। ওয়াজ মাহফিলের কথা মনে পড়লে গত চার বছরের ওযাজ মাহফিল গুলোতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বলতে হয়। গত চার বছরে পাঁচটা ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছি। কিন্তু আমার কাছে এগুলো ওয়াজ মাহফিল বলে মনে হয় নি। মনে হয়েছে রাজনৈতিক কোন সমাবেশ।
.
সাধারনত ওয়াজ মাহফিল গুলোতে যাদেরকে বক্তা হিসেবে আনা হয় তাদের অনেকেই ইসলামী দল গুলোর বেশ গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিবর্গ। কিন্তু ওয়াজ মাহফিল গুলোতে তারা এটা ভুলে যান আর সবাই না হলেও অনেক বক্তাই দলীয় সমাবেশ গুলোতে যেভাবে বক্তৃতা দেন,ওয়াজ মাহফিল গুলোতেও সেভাবে কথা বলেন। হ্যাঁ,অবশ্যই। আপনার নিজস্ব মতামত থাকতে পারে যেকোন সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি আপনার মতামত অবশ্যই তুলে ধরতে পারবেন কিন্তু সেটা ওয়াজ মাহফিল গুলোতে না করলেই নয় কি! আপনি সরকারের ভুল ত্রুটিগুলো নিজস্ব দলীয় সমাবেশে বলতে পারেন, গন মাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে পারেন। ওয়াজ মাহফিলের ধর্ম ভীরু মানুষগুলোকে উস্কে দেওয়ার তো কোন মানে হয় না। ধর্ম ভীরু মানুষগুলোর এমন অনেকেই থাকতে পারেন যারা আপনার এক কথায় যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে যাবেন কোন চিন্তা ভাবনা না করেই। ধর্ম ভীরু বাংলার মানুষ আপনাকে যে সম্মান দিয়ে আপনার আদর্শ মনে পুষে রাখছেন, সে সম্মান তো আপনার রাখাই উচিত। কেননা ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ আপনার একটি বার্তাই অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে।
.
গত চার বছর যেসব ওয়াজ মাহফিলগুলোতে গিয়েছিলাম সেগুলো তে ইসলামের কথার চেয়ে সরকার বিরুদ্ধ কথাই আমি বেশি শুনতে পেরেছি। আর তাদের গলায় যে স্বর শুনেছি সেটা মোটেও একজন আদর্শ ধর্মীয় ব্যাক্তির স্বর হতে পারে না। এটাই বোধ হয় জিহাদি ভয়েস! যাই হোক, আমার মনে হয় এমন স্বর ছাড়াও ওয়াজ মাহফিলে ইসলামের কথা বলা সম্ভব। এমন ভাবে ইসলামের বাণীগুলো ছড়িয়ে দেওয়া উচিত যেন মুসল্লিগণের হৃদয়ে ক্ষমা,ঈমান,অনুশোচনা,পরকাল ও মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ব্যাপারটা শক্তভাবে গেঁথে যায়। একটি মানুষও যদি বক্তার কথায় তার জীবন পুরোপুরি ইসলামের দিকে রাখতে পারে সেটাই কম কিসে!
.
এছাড়াও অনেক সময়ই দেখা যায় ওয়াজ মাহফিল গুলোতে অর্থ উত্তোলনের জন্য রাস্তার ধারে মাইক নিয়ে বসে পড়েন মাহফিলের আয়োজকগন। সত্যি বলতে এমন দৃশ্য দেখার পর খুবই কষ্ট লাগে। কারন অন্য কোন ধর্মাবল্মবীদের আমি এভাবে মাইক দিয়ে,রাস্তার যানবাহন দাড় করিয়ে দান গ্রহন করতে দেখিনি। কিছু কিছু জেলায় সারা বছরই অর্থ উত্তোলনের জন্য স্থায়ী মাইকিং ব্যবস্থা দেখা যায়। মসজিদ, মাদরাসার নির্মান কাজের জন্য কিংবা যেকোন ধর্মীয় কাজে দান সংগ্রহ করার বা অর্থ উত্তোলন করার এর চেয়ে ভাল উপায় অর্থ উত্তোলন কমিটি বের করবেন এমনটাই প্রত্যাশা রাখি।
©somewhere in net ltd.