নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৈশোর থেকে সাহিত্য চর্চা করি। সোশ্যাল একটিভিস্ট হয়ে ওঠা স্বপ্ন ছিল না। প্রত্রিকার সম্পাদনা রবের পক্ষ থেকে অনন্য জিম্মাদারি। পত্রিকা চালাতে গিয়ে স্বৈরাচারের একাধিক মামলায় যুক্ত হওয়াটাও খোদা ইচ্ছে। ধর্মকে যেমন ভালোবাসি, তেমনই ধর্মের নামে অধর্মকে চরম ঘৃণা ক

ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে ও শুনতে এ পথচলা। কুসংস্কার ও কুরসম দূর হয়ে সত্যের শুভ সকাল হোক; এমনটাই কামনা করি। ইহকাল পরকালে যা কিছু সত্য তা-ই আমার ধর্ম; আমার বিশ্বাস।

ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যাচার ও তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে আল্লামা শফী ও হেফাজতকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে -শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আলেমদের যৌথ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

মিথ্যাচার ও তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে আল্লামা শফী ও হেফাজতকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে -শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আলেমদের যৌথ





হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হেফাজতকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় গতকাল (রোববার) এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অরাজনৈতিক সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণ।



বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী এ দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার আধ্যাত্মিক রাহ্বার। তার নেতৃত্বে পরিচালিত হেফাজতে ইসলাম মুমিন মুসলমানদের ঈমানী আন্দোলনের জাগ্রত নাম। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, কতিপয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, কিছু নাস্তিক্যবাদী বুদ্ধিজীবী, জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিক মিথ্যাচার ও তথ্য-সন্ত্রাস চালিয়ে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ও হেফাজতে ইসলামকে সুপরিকল্পিতভাবে কলঙ্কিত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।



হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা আহমদ শফী এমন একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি- যিনি প্রায় শতায়ুর দ্বারপ্রান্তেএসেও তার জীবন ও চরিত্রে কোন প্রকার কালিমা লাগেনি। দুনিয়ার কোনো লোভ তাকে কখনো স্পর্শ করেনি। তিনি একজন মহান বুজুর্গ, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, মুফাসসিরে কোরআন, আধ্যাত্মিক নেতা ও বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিগত ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল ঐতিহাসিক লংমার্চ ও ৫ মে ঢাকা অবরোধে শাপলা চত্বরে এদেশের কোটি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছে। যা বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।



তার মতো এমন মহান ব্যক্তি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণ সৃষ্টি করার দুরভিসন্ধিতে কিছু মিডিয়া সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণের যে জঘন্য মিথ্যাচার করছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আল্লামা আহমদ শফীকে ঘায়েল করার জন্য তার সুযোগ্য পুত্র হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীর নামে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে আল্লামা শফী ও হেফাজতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্তি ও হতাশা সৃষ্টি করে হেফাজত ভাঙার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীকে ব্যবহার করে মাওলানা আনাস মাদানী বা হেফাজতের কোনো নেতা সরকার বা কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে আঁতাত করে নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার এই বৃহৎ ঈমানী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের সাথে জড়িত নয়। যারা এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা প্রকারান্তরে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছেন।



হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তার অর্থ সরকারের সাথে আঁতাত করা বা কোনো আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা নয়। যারা এহেন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগা-া চালাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকার জন্য সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার প্রতি আমরা বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।



হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার পক্ষ থেকে রেলওয়ের জমি লিজ নেওয়ার জন্য আইনসিদ্ধভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছিল। আইনসম্মতভাবেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জমিগুলো মাদ্রাসা বরাবরে বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অতঃপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমি দখলে পাওয়ার পর মাদ্রাসার নামে সাইনবোর্ড ও খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সম্পূর্ণ রেলওয়ের জমিগুলো হাটহাজারী মাদ্রাসার কাজে ব্যবহৃত হবে। আল্লামা আহমদ শফী ও তার পরিবার কিংবা হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক এই জমির সাথে নেই। সুতরাং রেলওয়ের জমিসংক্রান্ত বিষয়গুলো হেফাজতে ইসলাম গঠিত হওয়ার অনেক আগের বিষয়। জমির লিজসংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সাথে হেফাজতের কথিত সমঝোতার প্রচারণা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।



হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকারের কতিপয় মন্ত্রীর বেলাগাম বক্তব্য ও উক্তি এদেশের তৌহিদী জনতার হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত করেছে।



তারা বলেন, এদেশের তৌহিদী জনতা ঘুমিয়ে যায়নি। আল্লামা আহমদ শফী ডাক দিলে নবীপ্রেমিক জনতা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আবার মাঠে নামতে প্রস্তুত রয়েছে। হেফাজতে ইসলাম এদেশে আল্লাহ ও তার রাসূলের ইজ্জত রক্ষার আন্দোলনে নেমেছে। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা ও স্বার্থ আমাদের নেই। হেফাজত তার নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আগেও যেমন আপসহীন ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন হুমকি-ধমকি বা ভয়ভীতি এবং রাজনৈতিক হয়রানির ভয়ে হেফাজত আপস করবে না। আমরা এদেশের নাগরিক, এদেশে আছি, থাকবো। ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোনো অপশক্তির মোকাবেলায় আমরা জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।



বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মাওলানা হাফেজ শামসুল আলম, মাওলানা নূর হোসেন কাছেমী, মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা আবদুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা লোকমান হাকিম, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার, মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা আবদুল বাসেত বরকতপুরী সিলেট, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব বরিশাল, মাওলানা মোশতাক আহমদ খুলনা, মাওলানা জামাল উদ্দিন রাজশাহী প্রমুখ।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ বলেছেন: hi

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.