নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে ও শুনতে এ পথচলা। কুসংস্কার ও কুরসম দূর হয়ে সত্যের শুভ সকাল হোক; এমনটাই কামনা করি। ইহকাল পরকালে যা কিছু সত্য তা-ই আমার ধর্ম; আমার বিশ্বাস।
আগামী কাল পহেলা বৈশাখ। সে উপলক্ষ্যে পৌরসভা এলাকা রামগড বাজারে বৈশাখী মেলা ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়। যার দুরত্ব আমাদের এলাকা থেকে প্রায় দশ থেকে বারো কিলোমিটার হবে। আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে মেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিকেল চারটার দিকে বাস যোগে আমরা সকলে মেলাঙ্গনে পৌঁছি। মেলায় ঘোরাঘুরি আর ফূর্তি করে'ই সময় পার করছিলাম। সময় তখন প্রায় সাত কি তার একটু বেশি হবে। মেলাঙ্গন হঠাত্ ধর ধর মার মার আওয়াজে ভারি হয়ে ওঠে। পাশ ফিরে তাকাতেই দেখি লোকেরা কাউকে ধরার জন্য দৌডাচ্ছে। আমিও তাদের পিছু নিলাম। অল্পতে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। সাথে সাথে শুরু হয় গণপিটুনি। পাশের কাউতে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম লোকটি পকেটমার। তা-ই গণপিটুনি। এসব হৈ হুল্লোডে পরে কখন যে আমি আমার বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি, তা আঁচও করতে পারলাম না। সারা রামগড বাজার তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কোথাও ফেলাম না। এদিকে রাত আস্তে আস্তে গভীর হতে লাগলো। পাহাডি এলাকা আবার গভীর রাত। তাই রাস্তায়ও কোন যানবাহন নেই। মেলাঙ্গনও সময়ের তালে তালে মানবশূণ্য হতে লাগলো। নিরবতায় পুরো এলাকাকে বেষ্টন করে পেললো। কি করবো? কোথায় যাবো? কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। এক প্রকার কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পরলাম। অনন্যোপায় হয়ে একা হেঁটেই বাডি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। একেতো গভীর অন্ধকার রাত। অন্য দিকে একা ও দীর্ঘ পথ; -এমন সিদ্ধান্ত নেয়া দুস্কর। তাছাডা ভূত পেতনিরও তো একটা ব্যাপার আছে! নাহ ভূত পেতনির বিষয়টি তেমন ভাবছি না। কারণ, আমার দাদা একজন বৈদ্য। তিনি প্রায় জ্বিন হাজিরা দেখেন। মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেন। তার সাথে ঘটে যাওয়া প্রায় ঘটনা আমার সাথে শেয়ার করতেন। যার সব গুলোই থাকতো ভূতের কাহিনী। তাই ভূত টুতের ভয় আমার একটু কম'ই ছিলো। আল্লাহর নাম নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। রাস্তার বর্ণনাটি দিয়ে রাখলে ভালো হয়। রাস্তার এক তৃতীয় অংশ, যার দু'দ্বারে চা বাগান। আর কিছু ছিলো রাবার বাগান। চা বাগানের মাঝে মাঝে সম পরিমাণ দুরত্বে অনেক গুলো বট গাছ আছে। আমাকে প্রথমে চা বাগান অতিক্রম করতে হবে। আর চা বাগান এলাকায় রয়েছে একটি ব্রীজ। যাকে ঘিরে নানা কাহিনী মানুষের মুখে শুনা যায়। ব্রীজটি ভয়ংকর হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। তার পশ্চিমের দিকে একটি বিরাট বট গাছ রয়েছে। যেটি সম্পূর্ণ ব্রীজটির উপর ঝুলে আছে। যার ফলে দিনেও সেখানে সন্ধে সন্ধে ভাব থাকে। আর তার ঠিক দক্ষিণ পার্শ্বে কয়েকটি পুরনো কবর। আল্লাহর নাম স্মরণ করতে করতে সামনে এগোতে লাগলাম। চারো দিকে ঝিম ধরা নিরবতা। মাঝে মাঝে কুকুর আর শিয়ালের চিত্কার শুনা যাচ্ছে। অনেকটা ভয় কাজ করছে আমার ভেতর। যত'ই ব্রীজটির কাছে আসছি তত'ই ভয় বেডে চলছে। এভাবে চলতে চলতে ব্রীজটির একদম নিকটে এসে পৌঁছে যাই। আল্লাহর নাম জপতে জপতে যখন'ই ব্রীজটির ঠিক মধ্যখানে এসে পৌঁছি, তখন'ই আমার জীবনের সব চেয়ে ভয়ংকর ও স্মরণিয় ঘটনাটি ঘটে। ব্রীজের দু'পাশ থেকে দুটো মোটা হাত এসে আমার দু পা আঁকডে ধরলো। সাথে সাথে অদৃশ্য থেকে আকাশ পাতাল ভারি করা তাচ্ছিল্যের হাসি। হাহ হাহ হাহ হিহি হিহি উম্ম্ম্ম পাইছিইইই। পেছন থেকে ঝডো হাওয়া। কিন্তু কোন গাছের পাতাই নডছে না। যখনি সামনের দিকে নজর দিলাম। দেখতে পেলাম এক অবর্ণনিয় দৃশ্য। ইয়া বডো দেহের অধিকারী এক দানব আমার দিকে এগিয়ে আসছে। তার দেহে দুটি মস্তক। সারা শরীর চক্ষু বিশিষ্ট। নাভির অল্প উপরেও তার একটি মুখ রয়েছে। তার অট্ট হাসিতে যেন পুরো ভুবন কাঁপছে। আস্তে আস্তে সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। এ কঠিন দৃশ্য আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। পরে যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন দেখতে পেলাম দু'দল দানব আমাকে নিয়ে তুমুল ঝগডায় লিপ্ত। এক দল আমাকে উপর থেকে নিচের দিকে নিক্ষেপ করছে। আরেক দল আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না। আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সকালে শরীরে সূর্যের তাপ পডতেই আমার চেতনা ফিরে আসে। নিজেকে আবিষ্কার করি চা বাগানের অনেক ভেতরে। শরীরে অনেক কাঁটা ছিডার দাগ। ক্লন্ত শরীর। সেদিন অনেক কষ্টে বাডি ফিরে আসি। বাডিতে আসতেই সবাই ঘিরে ধরে জানতে চায় তাদেরকে না বলে কাল রাতে কোথায় ছিলাম? কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমার দাদা এমন ভাব করছেন যেন তিনি সব'ই জানেন! আমার পক্ষ থেকে সব প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দিচ্ছেন। যেমন সে আমার এক বন্ধুর বাডিতে ছিল। সেখানে খাওয়া দাওয়া করেছে ইত্যাদি। পরে তিনি আমাকে এক পাশে ডেকে নিয়ে বল্লেন "আমি তাবিজ দোয়ার কাজ করি বিধায় কিছু খারাপ জ্বিন আমার শত্রু হয়ে আছে। আর তারাই সুযোগ পেয়ে তোর উপর হামলা করেছিলো। পরে আমার বন্ধু জ্বিন গুলো গিয়ে তোকে বাঁচিয়েছে"। তিনি পরে আমাকে নিষেধ করে দেন এসব যেন কাউকে না বলি
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৫
ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ বলেছেন: আপনাকে পেলে আমি ঘাড় মটকে দিবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: তবু্ও বলে ফেললেন? আপনার কিন্তু খারাপি আছে বলে দিলুম! আরেক দিন পেয়ে নেই।