নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন ভাল পাঠক,এবং সমালোচক।

C:\Users\ASUS\Desktop0.jpg

এম . এম ওবায়দুর রহমান

ভাল লাগে কবিতা আর গল্প লিখতে। স্বপ্ন দেখি সাহিত্যকে নিয়ে অনেক দুর যাবার। বিশ্বাস করি মানুষকে ভালবাসার চেয়ে বড় কোন ইবাদত নেই। সামনে দাড়িয়ে সমালোচনা করি যা কিছু খারাপ লাগে তার। নিশ্চয় আল্লাহ আমার সাথে আছে সব সময়। সম্প্রতি তুমি এলে বাদল দিনে নামের একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে

এম . এম ওবায়দুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তারদের অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য, রুখবে কে?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১



স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে বিভিন্ন সময়ের সরকার গুলি সাধারণ জনগণের কল্যানে কাজ করার জন্য ডাক্তারদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন এবং নানান প্রদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে সত্যি হল তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সম্প্রতি সরকার ডাক্তারদের গ্রামের হাসপাতালে কাজ করতে বলেছেন। সরকার প্রধান হুশিয়ার করে দিয়েছেন যে যাদের গ্রামে যেতে ইচ্ছে করে না ,তাদের চাকুরী করার দরকার নেই।

২০ডিসেম্বর ২০০৯ সালে মাননীয় রাষ্ট্রপ্রতি জিল্লুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করার জন্য আহব্বান জানিয়ে ছিলেন। মাননীয় রাষ্টপ্রতির সময়চিত সেই আহব্বানে ডাক্তাররা কর্নপাত করেনি। বরং ক্রমশ তা বেড়েই যাচ্ছে।

পাড়ায় মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে বাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজী সেন্টার। তারা নিয়োগ দিচ্ছে দালাল। কন্টাক করছে ডাক্তারদের সাথে। ৫০% থেকে ৬০% পযন্ত টেষ্টের বিল ডাক্তারদের ঘুষ দেবার প্রদ্ধতী চালু হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুঃনীর্তিগ্রস্থ দেশ বলেই হয়ত সরকারের নাকের ডগায় এসব চললেও সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় এবাপ্যারে নিশ্চুব!

ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেডের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

সমাজে প্রভাবশালী এবং সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেনীর মানুষ গুলোর অর্থ লিপ্সা কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা বানিজ্যর দ্বারা। মানবিকতার লেস মাত্র থাকলে হয়ত তারা অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য হতে বেরুতে পারতেন।

কমিশন প্রথা না থাকলে হয়ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় টেষ্টগুলো করার জন্যই ডাক্তাররা উপদেশ দিত বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস।

সেবা এখন হয়ে গেছে ব্যবসা, সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়। ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা নাহোক তার পরিবার কে অর্থনৈতীক ভাবে অসুস্থ্য করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগী। কিছু কিছু ব্যস্ত ডাক্তারগণ রোগীর সমস্যার কথা ভাল করে শোনার সময়ও পায়না।

ইদানীং পট কোম্পানি বলে কিছু ভূইফোড় কোম্পানি বেরিয়েছে। যারা ডাক্তারদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে মানহীন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে থাকেন। একপটের দাম দেড়শ থেকে তিনশত টাকা পযন্ত! এই মানহীন বেনামী কোম্পানির ঔষুধ লিখে ডাক্তারগণ কিছু কামিয়ে নিলেও ভুক্তভোগি রোগী নিরবে প্রতারিত হয়। উচ্চ শিক্ষিত এই সব মানুষদের কাছে সমাজ যা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

এছাড়াও নামী কোম্পানি গুলিও নানান অসাধু প্রতিযোগীতা করছে। তারা মেডিসিনের দাম বাড়াচ্ছে অযোক্তিক হারে। সরকার নির্বিকার কেননা এইসব বড় কোম্পানি গুলিই রাজনৈতীক দলের ডোনার!

এছাড়াও প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে বরাদ্দ সরকার রাখে, তার অর্ধেকও জনগণের কল্যানে ব্যায় হয় না। সরকারী হাসপাতালের বেতন ভুক্ত ডাক্তারগণ নিয়মিত অফিসে আসেন না। আর সরকারী ঔষুধ ও ঠিক মত বন্টন করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী হাসপাতাল গুলির নানা অনিয়ম ও নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন পত্রিকা আর স্যাটেলাইট চ্যানেলে নিউজ হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ কোন উন্নতি চোখে পড়েনি।

তবে এত কিছুর পরও সমাজে সব ডাক্তারই অর্থের পেছনে ছুটছে এটা বলা অন্যায়। অনেক ভাল মনের ডাক্তার রয়েছে যারা দুস্থ্যদের বিনা মূল্যে স্বাস্থসেবা দিয়ে থাকেন। ফ্রি স্যাম্পল পাওয়া ঔষুধ গরীব রোগীদের মাঝে বন্টন করে দেন। টাকা নয় তারা মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করেন। যারা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাদের সর্বোচ্চ্য শ্রম দিয়ে থাকেন। আশা করছি প্রিয় ডাক্তারগণ তাদের মহৎ হৃদয় নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন যে একজন রোগী যখন আপনাদের কাছে যায় তখন উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনারাই তার সহয়, এই অবস্থায় অসহয় মানুষ গুলোর প্রতি দয়া করে সদয় হোন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

রিপেনডিল বলেছেন: হম, কথাগুলো অনেকখানি সত্য, তবে সর্বত্র একই রকম নয়। আমরা আসলে দূর্নীতি করার সুযোগ দেই বলে দূর্নীতি বাড়তেই থাকে। টেস্ট আসলে হেতুক না অহেতুক সেটি যাচাই না করে আসলে বলা সম্ভব নয়। আর যদি কোন ডাক্তার বেনামী কম্পানির ওষুধ লিখে থাকেন তাহলে রোগীর কিন্তু সুযোগ আছে একই ওষুধ ভাল কম্পানির কিনে নেবার। আর ভিজিট এবং সময়জনিত সমস্যা এড়াতে আমার পরামর্শ একটাই আপনারা সর্দি কাশি হলেই বড় বড় প্রফেসর এর পিছনে লাইন না লাগিয়ে আপনার নিকটস্ত জেনারেল প্রাকটিশনার এমবিবিএস ডাক্তার কে দেখান এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে বড় ডাক্তার দেখান। ৫০০-৬০০ ১০০০ টাকা ভিজিটের ডাক্তার যেমন আছে তেমন ২০০-১০০ টাকার ডাক্তার ও আছে। সারা পৃথিবীতে এমবিবিএস ডাক্তাররেই সরসরি প্রথমে রোগী দেখেন তারপর তাদের প্রয়োজন অনুসারে অন্য কোথাও পাঠান। আর দেশে সরকারি হাসপাতাল গুলো আছে, চিকিৎসার মান এখানে খারাপ না হলেও ধৈর্য রাখতে হয় একটু বেশি। এখানে আপনি টেস্ট বানিজ্যের শিকার হবেন সবচেয়ে কম। সবাই যদি স্বাস্থ্য সেবার এই ধাপগুলো বুঝতে পারেন তাহলে আর এই অহেতুক হয়রানি কারো হয় না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০২

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: আপনার যুক্তি গুলো চমৎকার। আশা করছি এতে পাঠক উপকৃত হবে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

িট.িমম বলেছেন: @ রিপেনডিল, যে কোন এমবিবিএস ডাক্তারের বর্তমান ভিজিট ৪০০/- টাকার কম না। আর জেনারেল প্রাকটিশনার এর কথা বলছেন? এইত গত ২/৩ দিন আগে সম্ভবত মানবজমিন পত্রিকায় একটা নিউজ এসেছিল, একটি মেয়েকে টিউমার অপারেশন করার জন্য অচেতন করার জন্য একটি ইনজেকশন দিয়েছিল, মেয়েটি যে জ্ঞান হাড়িয়েছে আর জ্ঞান আসেনি। অর্থাৎ মেয়েটি মারাগেছে।
এখন আপনি বলেন কোন বিশ্বাসে জেনারেল প্রাকটিশনার এর কাছে মানুস যাবে?
আসেলে কি জানেন আমাদের মত মানুষদের জন্মই আজন্ম পাপ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: অসুস্থ্য মানুষ নিয়ে ফামের্সি গুলো পযন্ত নানান টেস্ট করতে দেয়। এই জগতে এখন কারে ভাল বলবেন?

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল) বলেছেন:

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫

নীলফরিং বলেছেন:


জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। দা, বটি, শাবল নিয়ে তাড়া করতে হবে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: B-) B-)
কি কইলেন এইডা হাসতেই আছি =p~

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২

রায়হান কবীর বলেছেন: আমার ভিসিট সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। গরীব রোগী হলে ১০০ টাকা। পরিচিত ও বন্ধু হলে ফ্রি।
আমি ল্যাব থেকে কমিশন খাইনা, আমার সাথে তেদের কোন চুক্তি নেই, তাই আমি রোগীকে ৩০% কমিশন লিখে দিলেও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগীকে কমিশন দেয় না।

আমি পুরোপুরি জিপি ও না, ডায়াবেটলজিস্ট হিসেবেও কাজ করছি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: অনেক ভাললাগলো আপনার পরিচয় পেয়ে। আপনার মত ভাল মনের মানুষরা আছে বলেই সমাজ টিকে আছে।
বহু লোভি মানুষের ভিড়ে এমন সৎ জীবন যাপন অনেক কষ্টসাধ্য। ভাল থাকবেন। নিজের মনকে এমন পবিত্র রাখবেন। শুভ কামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.