নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের একজন সালমান শাহ ছিলো, যার তুলোনা সে নিজেই

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ ঢালিউডের তৎকালিন অসুস্থ সময়ে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নামে একটা ছবি মুক্তি পেল। তখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বেহাল অবস্থা, চলচ্চিত্র প্রেমিরা সবাই হল বিমুখ। এই ক্রান্তি লগ্নে মুক্তি পায় ছবিটি। ছবিটিতে অভিনয় করল নবাগত এক নায়ক। মানুষ হলে আসলো, ছবিটি দেখল আর মন্ত্রমুগ্ধের মত আবিষ্কার করল এক নবাগত নায়কের অসাধারন অভিনয়শৈলী। বাংলা চলচ্চিত্রের ত্রাতা হয়ে একে একে উপহার দিলেন দুরদান্ত ২৭টি ছবি। সবগুলো ছবি ব্যাবসা সফল। ঠিক যেন রুপকথার রাজপুত্তুর। রাজপুত্তুরটির নাম সালমান শাহ।

এলেন, অভিনয়ের যাদু দেখালেন, সবার মন জয় করলেন। আবার কাউকে কিচ্ছুটি না বলে এক বুক চাপা অভিমান নিয়ে চলেও গেলেন না ফেরার দেশে। হাজার হাজার ভক্তদের কাঁদিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেমে গেলো তার জীবনরথ।
----
সালমান শাহের মৃত্যু রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। আত্নহত্যা বলে চালালেও প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ডা। ব্লগ থেকে আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলো সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে।
.
সালমান মারা যাওয়ার আগের রাতে ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৬, তার মামাকে ফোন করে বলেছিল-মামা এ বউ কে নিয়ে ঘর করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি কালই ও কে ডিভোর্স দিব। সেই কাল আজও আসে নি।
.
সালমান যে দড়ির সাথে ফাঁস দেয়া ছিল সে দড়ির সাথে ফ্যান এ বাঁধা দড়ির মিল নাই।
.
সালমানের বউ এর সাথে আজিজ মো: ভাই নামক এক পরিচালকের নাকি পরকিয়া ছিল-সালমানের সন্দেহ ছিল। মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগেও সে পরিচালকের সাথে সালমানের বউ সামিরাকে ড্যান্স করা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে।
.
সালমানের পাশের ফ্ল্যাটে থাকা বাসিন্দারা সে রাতে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়েছিল বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিল।
.
সালমানের ড্রেসিং রুম যেখানে সালমানের লাশ পাওয়া গিয়েছিল তার পাশে বড় একটা মই রাখা ছিল। লাশ নামাতে এতো তারাতারি উচু ফ্ল্যটে কিভাবে একটা বড় মই ম্যানেজ করা সম্ভব- সেটাও রহস্যজনক।
.
সালমান যে ব্র‌্যান্ডের সিগারেট খেত, সালমানের মৃত্যুর ঐ রুমে ঐ দিন অন্য ব্র‌্যান্ডের সিগারেট পাওয়া গেছে।
.
সালমানের মৃত্যুর পর খুব তাড়াতারি তাকে দাফন করার ব্যবস্থা হয়েছে। মনে হয়েছিল সবই পরিকল্পিত। দাফণের সময় তার বউ সামিরাকে ঢাকা থেকে সিলেটে আসতে দেয়া হয় নাই। কেন?
কবর থেকে লাশ উঠিয়ে সালমানের যিনি রি-পোষ্টমর্টেম করেছেন। তিনি তার এক দুসম্পরর্কের আত্মীয়ের কাছে বলেছেন-সালমানকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমি যদি সে কথা প্রকাশ করতাম, আমার দুইটা মেয়েকে ওরা মেরে ফেলত।
.
ওরা মেরে ফেলত।
এই ওরা কারা?
যানা যায় যাকে ভালবেসে সালমান বিয়ে করেছিল সেই সামিরার আবার বিয়ে হয়েছে। তিন সন্তানের জননী। খুব সুখেই আছেন উনি। সালমানের মৃত্যু সংবাদ শুনে ঐদিন সালমান পাগলা বাংলাদেশী তরুনী আত্মহত্যা করেছিলেন। আর সামিরা.....!!!
.
এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই বাংলাদেশে ইয়াবা এনেছিল যার করালগ্রাসে আজ তিরিশ লক্ষ তরুণ আসক্ত। সে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পক্ষে সে সময় সালমান কে হত্যা করা অসম্ভব কিছু ছিলনা।
(তথ্য সংগ্রহ)
----------------
সালমানের মৃত্যুটা তাই আজ পর্যন্ত একটা রহস্য রয়ে গেল। আমরা এখনো জানলাম না আমরা আমাদের সালমান কে কেন হারালাম। ১৯ বছর আগে সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে সালমান মারা যায়। কে খুন করেছে জানি না। যে বা যারা বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গানকে এতো বড় ক্ষতি করল, তাকে বা তাদের কি বিচার হবে না?
আমরা যা হারিয়েছি তা পূরণ হবার নয়। আমরা চিরিকালই বড় দুর্ভাগা এক জাতি। তার পরেও গর্ব করে বলতেই পারি আমাদের একজন সালমান শাহ ছিলো, যার তুলোনা সে নিজেই...
সালমান শাহ আপনি আমাদের হ্রদয়ের মধ্য খানটি আছেন এবং থাকবেন চিরকাল...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.