নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসভ্য, বর্বর সউদ পরিবার কোন মতেই, ক্রেন দুরঘটনা এবং মিনাতে ১৩০০ এর ও বেশি হাজীর মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেনা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

সৌদি আরবের জাতীয় ব্যাবসা দুইটি। এক তেলের ব্যবসা, দুই হজ্জ ব্যবসা।
মানুষ মারা গেছে ১৩০০ এর ও বেশি। সৌদি সরকার পরিস্কার করে কিছুই বলছেনা, কারন হাজীরা তাদের কাছে হজ্জ ব্যবসার কাস্টমার মাত্র। সেটা বোঝা গেছে যখন বুলডোজার দিয়ে নিহত হাজীদের লাশ সরানো হচ্ছিলো।
ক্রেন দিয়ে লাশ ঊঠিয়ে স্তুপ করে ফেলে রাখার মত ঘটনা জীবনে প্রথমবারের মত দেখলাম। তাও আবার তাদের লাশ যারা হজ্জ্ব করতে গিয়েছিলো। লাশকে সম্মান করা পৃথিবীর সবচাইতে পুরানো প্রথাগুলোর একটি। এই নুন্যতম সম্মানটুকুও দেয়নি বর্বর সৌদিরা। স্রেফ নির্বাক হয়ে থাকলাম। ছবিটা প্রমান করে দিলো অসভ্য, বর্বর সৌদি আরবের কাছে হজ্জ্ব স্রেফ একটা ব্যাবসাই..


সৌদি প্রিন্সের গাড়ির নিচে চাপা পড়া এই মানুষগুলির টাকা তাহলে কোথায় যায়?
আমরা প্রায়ই জানতে পারি সৌদি যুবরাজরা 'মাগীবাজ'। তারা হাজীদের হজ্জ করার টাকা ইনকাম করে 'মাগী'দের পেছনে ঢালতে অভ্যস্ত। অশ্লিল শব্দ উল্লেখ করবার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এর চেয়ে ভদ্রস্থ করে বলার মতো ভাষা আমার জানা নেই।
১৩০০ জন হাজী মরবার পরের দিনের খবর একজন অনিচ্ছুক নারীকে ধর্ষন করতে গিয়ে ধরা খেয়ে একজন সৌদি যুবরাজ জরিমান দিয়েছেন ৩ লক্ষ ডলার বা ৪৭ জন হাজীর হজ করার টাকা।
এর আগের এক খবরে জানা যায় কিম কার্দাশিয়ানের পাছার জন্য একজন সৌদি যুবরাজ এক রাতে খরচ করেছেন ১০ লক্ষ ডলার বা ১৫৬ জন হাজীর হজ্জ করার টাকা।

মিনার দুটি আগমন আর দুটি নির্গমন পথ রয়েছে।লক্ষ লক্ষ
হাজী যখন মিনা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন কুত্তার বাচ্চা রাজপুত্র
সালমান বিরাট বহর নিয়ে নির্গমন পথ আটকে মিনায় প্রবেশ করছেন।
ফলে লক্ষ লক্ষ জনতার স্রোত বিনা নোটিশে হঠাৎ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ১৩/১৪ শত হাজী প্রান হারাল পদদলিত হয়ে। সৌদিরাজের এমন
অনৈসলামিক কর্মকান্ডের বলি হয়ে এতগুলো মানুষকে সরাসরি কেউ
যদি বেহেস্তে পাঠানোর শান্তনা খুজেন তাহলে আমার বলার কিছু নেই।

ইসলামে কোথাও, রাজবংশের অনুমতি নাই। আল কোরানের পরিষ্কার ভাবে গনতান্ত্রিক ভাবে শাসনের নির্দেশ দেয়া আছে।

সৌদি আরবের সউদ পরিবারের শাসন, পরিষ্কার ভাবে অনইসিলামিক একটা শাসন ব্যবস্থা। কিন্ত, তাদের বিলাসিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দাস প্রথা, মিথ্যাচারিতা, মানুষের মৌলিক অধিকার হরনকে আজ সারা বিশ্বের মানুষ- ইসলামের চেহারা হিসেবে জানছে।

সউদ পরিবারের বিশ্বচিন্তা বিভিন্ন দরিদ্র মুসলমান দেশে টাকার বিনিময়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে আজকে কয়েক দশক ধরে। এবং বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিশ্বের অনেক গুলো দেশে, এই সউদ পরিবারের বিশ্ব চিন্তা বা ওয়ার্ল্ড ভিউকেই- ইসলামের নামে চিনেছে।

মুসলমান বিশ্বের বড় একটা অংশ, আজ মক্কার এবং মদিনার কাস্টডিয়ান এই সউদ বংশকে ইসলামের মূল প্রতিনিধি হিসেবে জানছে- যা তারা নয়।

সিরিয়ার বিপর্যয়ের বড় একটা দায় এই সউদ পরিবারের। লেবানন এবং তুরস্ক প্রায় তিন মিলিয়ন শরনারথিদেরকে আশ্রয় দিলেও, সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, এরা সিরিয়ান হজ্ব যাত্রীকে ভিসা দেয় নি।

আবার বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ইউওরোপে পালিয়ে যাওয়া মাইগ্রেন্টদের কারনে যখন মুসলমান বিশ্বের দায় নিয়ে, এরা প্রশ্নের মুখে পড়েছে তখন এরা রাষ্ট্রীয় ভাবে মিথ্যাচার করেছে যে, সৌদি আরব প্রায় ১ মিলিয়ন শরণার্থী নিয়েছে যেইটা একটা জল জ্যান্ত মিথ্যা কথা, যেইটা বিভিন্ন ভাবে প্রমানিত হয়েছে।
এই ঈদের সময়েও দরিদ্র ইয়েমেনীদের উপরে, ইজরায়েল এবং আমেরিকার থেকে কেনা অস্ত্রে হামলা থামায় নি।

বিশ্ব রাজনৈতিক পটভুমিতে মুসলমানদের এখন যে দুরাবস্থা তার বড় একটা দায় এই হাউজ অফ সউদ এর।

এই সউদ পরিবারের ব্যবস্থাপনায়, মিনাতে পদদলিত হয়ে ,১৩০০ হাজীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দিন আগে, ক্রেন দুর্ঘটনায় মারা গ্যাছে ১০৭ জন হাজী।

সউদ পরিবার কোন মতেই, ক্রেন দুরঘটনা এবং মিনাতে ১৩০০ হাজীর মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেনা। বিশেষত, ক্রেন দুর্ঘটনাটা সম্পূর্ণ অমার্জনীয়। কারন , কন্সট্রাক্সান সাইটের সেফটি সম্পর্কে সামান্য ধারনা যার আছে, সে জানবে, এতো লক্ষ মানুষের সমাবেশের সময়েই কোন মতেই মাথার উপরে এতো বড় একটা ক্রেন থাকতে পারেনা, তাকে সরিয়ে নিতে হবে। এতেই বোঝা যায়, হাজীদের সেফটির চেয়ে খরচ কমানো তাদের প্রায়োরিটি ছিল।

অভিযোগ উঠেছে, একজন প্রিন্স এবং তার ২০০ জন সঙ্গীর কারনে,শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে মিনাতে হাজীদের এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সউদ পরিবার, অবশ্যই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে, হাজীদের উপরেই দোষ চাপিয়েছে।

সউদ পরিবারের এই প্রিন্সরা লাস ভেগাসের ক্যাসিনোতে এক রাতে, ৮ কোটি টাকা উড়িয়ে নিউজ হয়। পুরো শহর দখল করে, ব্যাপক ভোগ বিলাসিতায় গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে নিউজ হয়। রেপ করে নিউজ হয়, টর্চার করে নিউজ হয়।

স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিলাসিতা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য - যেখানে ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্তপুরন একটা নীতি হচ্ছে কৃচ্ছ জীবন যাপন।
এবং এদের এই সব অনিয়ন্ত্রিত ভোগ বিলাসের গল্প শুনে সারা বিশ্বের মানুষ মুসলমানদের সম্পর্কে অত্যন্ত নেগেটিভ ধারনা ধারন করে।

মক্কা শরিফের ঠিক পাশেই, কাবা ঘরকে ছাপিয়ে বিশাল বড় হোটেল তুলতে এদের সামান্য বিবেকে বাধেনি।

সারা বিশ্বের মুসলমান (এবং অমুসলমানদেরকেও) বুঝতে হবে, মধ্য প্রাচ্যে ইজরায়েল আমেরিকার সকল অপকর্মের সাথী , সউদ পরিবার, বর্তমান সৌদি শাসক গোষ্ঠী - কোন মতেই মুসলমানদের এবংইসলামের মানবিকতার ভ্যালুর প্রতিনিধিত্ত করেনা। তারা প্রতিনিধিত্ত করে, তাদের লোভ, বিলাসিতা, সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র ব্যাবসা, বদ্ধ চিন্তা, ক্যাসিনো, দাস প্রথা এবং সীমাহীন স্বেচ্ছাচারীতার।

দুঃখ জনক ভাবে, সারা বিশ্বের মানুষেরা এই সউদ পরিবারের ভ্যালুগুলোকেই ইসলামের ইসলামিক ভ্যালু হিসেবে জানছে এবং তাদের অপকর্মের দায় সারা বিশ্বের শান্তিকামি মুসলমানদেরকে নিতে হচ্ছে।


এই ১৩০০ হাজীর মর্মান্তিক মৃত্যু কোন মতেই মেনে নেয়ার নয়। আমরা আশা করবো, সউদী আরব থেকে সউদ পরিবারের শাসনকে ভেঙ্গে, সৌদিরা একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের সন্ত্রাস ব্যবসার পার্টনার এবং ফাইনান্সার হওয়া বন্ধ করবে। এবং হাজীদের নিরাপদ হজ্ব নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

ওরা দায় এড়ায় না; ২০ বিলয়ন হাজের টাকা থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে দিবে; সাথে সাথে বেহেশতে চলে গেছে বলে ফতোয়া দিয়ে দিবে।

আগামীতে আপনি নিজেই ক্রেনের নীছে বসার চেস্টা করবেন।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

ওরা দায় এড়ায় না; ২০ বিলয়ন হাজের টাকা থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে দিবে; সাথে সাথে বেহেশতে চলে গেছে বলে ফতোয়া দিয়ে দিবে।

আগামীতে আপনি নিজেই ক্রেনের নীছে বসার চেস্টা করবেন।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

নতুন বলেছেন: উপরের ছবিটা ভুল ভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে লাশ সরানো হয়নি। এটা মিথ্যা

কিন্তু সৌদি রাজপরিবারের ব্যপারে আপনার কথা সত্য।

রাজতন্ত্র কখনোই ইসলাম সমথ`ন করেনা। এরা যেই রকমের বিলাশী জীবন জাপন করে তা কল্পনাতিত।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

বিজন শররমা বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.