নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অচেনা লেখক..… তবে চাই চেনা হতে..… সবার মাঝে

একজন অচেনা লেখক

পিতৃপ্রদত্ত নাম মেহেদী হাসান শামীম হলেও,আমি চাই মানুষ আমার নাম বা চেহারা থেকে না চিনুক..…। চিনুক আমার লেখায়।লোকে যেন না বলে ওই ছেলেটা বংশ ভাল বা দেখতে ভাল।আমি চাই লোকে বলুক,ওই ছেলেটা খুব সুন্দর লেখে। সৃষ্টি কর্তা আমায় সে সুযোগ দিয়েছে কিনা জানিনা।দোয়া করবেন। আমার ফেসবুক আইডি লিংক- facebook.com/

একজন অচেনা লেখক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য ঐপন্যাসিকদের রহস্যময়তা!রকিব হাসান ও শামসুদ্দিন নওয়াব!তাদের জনপ্রিয়তার ফারাক সম্পর্কে আমার নিজস্ব ভাবনা!

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩২

আমরা যারা তিন গোয়েন্দার পাঠক তারা সকলেই রকিব হাসান দা কে পছন্দ করি,তার অসাধারন লেখনি শক্তির কারনে।অপরদিকে,শামসুদ্দিন নওয়াব কে অপছন্দ করে এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়!এমনকি রোজ উনাকে ১০ টা করে গালি দেন এইরকম ডাই হার্ড তিন গোয়েন্দা ফ্যান সংখ্যাও বহু!কিন্তু কেন?

একজনকে পুঁজো করবে আর অপরজনকে গালি দিবে,এ বৈষম্য কেন?

আসুন জানা যাক তাদের লিখন পার্থক্য-



১।প্রথমত ধরা যাক প্রান্জলতার ব্যাপারটা।লেখক যেহেতু,তাই তারা অবশ্যই প্রান্জলতার ব্যাপারটি জানে!কথা হচ্ছে তারা লেখার সময় কতটা পালন করে।আমরা সকলেই নিশ্চয়ই ব্যাকরনের 'সরল,জটিল ও যৌগিক' বাক্যের পাঠগুলি পড়েছি?সেক্ষেত্রে আমি শুধু বলতে চাই,রকিবদা যেটা লিখেন সেটা ঘুরিয়ে পেচিয়ে না লিখে সহজ করে লিখেন(এখানে আলাদা আলাদা একটা করে বাক্যের কথা বোঝাতে চেয়েছি)।অবশ্য নওয়াবদাও এই ব্যাপারটি মেনে চলেন।উনি শুধু পারেন না রস ফুটিয়ে তুলতে।ফলে পাঠক কাহিনী হজম করতে পারে না।খাওয়ার সাথে সাথেই বমি করে তা উগরে দিতে হয়!একটু উদাহরন দিয়ে বোঝানো যাক-



# রকিবদার স্টাইল-

টমাসের কথা শুনে মৃদু হাসল কিশোর ও মুসা।কিশোর বললো,'আমি তো ব্যাপারটা আগে থেকেই জানতাম্ִ।



# নওয়াবদা স্টাইল-

টমাসের কথা শেষ হতে না হতেই হেসে দিল কিশোর আর মুসা।

আমি কিন্তু অনেক আগেই আন্দাজ করে ফেলেছিলাম ব্যাপারটা,'বলল কিশোর।



এখানে ভাল লাগা ও না লাগার বিষয়টা হল রকিবদার 'কিশোর বললো' ও নওয়াবদার 'বলল কিশোর'।

অধিকাংশ পাঠকই বুঝতে পারেনা যে তারা ঠিক কোন খুঁতের কারনে নওয়াবদার লেখা পছন্দ করতে পারল না।কিন্তু হাজার হোক তাদের মাঝেও তো একটা অনুভূতি আছে।সেটাই তাদের ধরিয়ে দেয় যে,লেখাটা বাজে!



২। গল্পের সুচনাগত আলোচনা-

রকিবদার বইগুলোতে গল্পের সূচনাভাগেও একটা ন্যাচারাল বিষয়বস্তু থাকত।কিন্তু নওয়াবদার কাহিনীগুলিতে তা কেমন যেন রুক্ষ হয়ে যায়।ব্যাপারটাকে আমরা গ্রাম্য নির্মল পরিবেশ আর শহুরে কঠিন পরিবেশ এর সাথে তুলনা করতে পারি।আরও উদাহরন দিয়ে দেখান যাক-



#রকিব দার বইগুলিতে কাহিনী শুরু হতো হয় স্যালভিজ ইয়ার্ডে মাঝে কোন মজার ঘটনা দিয়ে(মহাকাশের আগন্তুক,ইন্দ্রজাল,পায়ের ছাপ,ঘরির গোলমাল),অথবা ডেভিস ক্রিস্টোফারের ফোন পেয়ে কিংবা হয়ত ইয়ার্ডের ট্রাক বা রোলস রয়েস নিয়ে বেরিয়েছে,তারপরই কোন একটা রহস্যের মুখে(নিশাচর,রুপালী মাকড়সা,জলকন্যা)।এই টাইপ সূচনাগুলি পড়লেই আমরা হারিয়ে যেতে পারি তিগোর সাথে।



#নওয়াবদা স্টাইল-

উনি তিন গোয়েন্দাকে সবসময় হয় মুসার ফোক্সওয়ানে রাখবেন নয়ত তিন গোয়েন্দার হেডকোয়ার্টারে।তারপর কেউ একজন ওদের ফোন করবে এবং একটা রহস্য তৈরি করে তিগোর হাতে তুলে দেবে!ধরিয়ে দেবে কথাটার মানে হচ্ছে নওয়াবদা মাঝে মাঝেই অপরাধটা কিভাবে করা হল তা এড়িয়ে যেতেন।সেগুলি দেয়া হত কাহিনীর শেষে(বুদ্ধির খেলা,ঘোড়াচোর কিশোর,চ্যাম্পিয়ন গোয়েন্দা,মারাত্মক বিপদ,বনদস্যুর কবলে)।আর শুরুতে ওদের কোন বন্ধু তা ওদের জানিয়ে দিত।এই ব্যাপারটাই আমার সবচেয়ে অপছন্দের।



৩।তদন্ত চলাকালীন হুমকি-

গোয়েন্দাদের হুমকি দেয়া হবে এটা তো স্বাভাবিক।কিন্তু একটা কেসে ১০ টা হুমকি হবে এটা মানা যায় না।অন্তত গোয়েন্দা কাহিনিতে তো নয়ই।কারন গোয়েন্দা কাহিনীর গোয়েন্দারা সর্বদাই পাঠকদের নিকট সপ্নের নায়কের স্বরুপ থাকে(ভিন্নমত থাকলে কমেন্ট করুন) :P।আর ভিলেনরা তাদের নায়ককে হুমকি দিবে এটা তো মানা যায় না।

এখন আমরা অনেকেই হয়ত জানি রকিবদা এইসব হুমকি দিয়ে চিঠি খুব কম দেখাতেন।(গাড়ী নিয়ে পিছু নেয়া ও খুনের চেষ্টাটাকে এখানে ধরা হচ্ছে না।ওগুলো পরবর্তি পর্বে থাকবে)।



আসুন মোটামুটি ধারনা পেতে চেষ্টা করি-



#রকিবদা-

প্রেতসাধনা,ইন্দ্রজাল,মুক্তোশিকারী,অথৈ সাগর(২টি),খাবারে বিষ(মুরগির কাটা কল্লা),পতঙ্গ ব্যাবসা,জাল নোট(২টি),শয়তানের থাবা(সর্বোচ্চ হত্যার চেষ্টা,৪বার,হুমকি ২টি),সিসিসি,অবাক কান্ড,কুকুরখেকো ডাইনী,গুপ্তচর শিকারী,ভাঙ্গা ঘোড়া ইত্যাদি। :D



#শামসুদ্দিন নওয়াব-

সরি ভাই,এতো স্ট্যামিনা নাই :O ।আরে সবগুলা ধরে নিন।গুনে দেখার দরকার নাই।সারাটা বইই তো হুমকি তে ভরা থাকে।

তবে একটা বইয়ের কথা উল্লেখ না করলে আবার গোস্টরাইটারদের অপমান করা হয়।বইটি হল 'মারাত্মক বিপদ'।যেই মদনা এইটা লিখেছে তার আব্বুকে আম্মু।বইটার সম্পর্কে আপনার মধুর মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

আরো একটা কথা,রকিবদা যেসব হুমকির স্ক্রিপ্ট লিখতেন সেগুলার মাঝেও মজা থাকতো। :D



যাই হোক এবার এ পর্যন্তই থাক।পরবর্তি পর্বের জন্য একটু ধৈর্য্য ধরুন।আর পিপাসা বেশী বেড়ে গেলে পানি খান! :P



[বিশেষ দ্রষ্টব্য-এই লেখাটি পুরোপুরি মৌলিক।সুতরাং কমেন্টে ত্যানা প্যাঁচাবেন না।]

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১২

এক্সপেরিয়া বলেছেন: ওয়ান্স আপন এ টাইম তিন গোয়েন্দা পড়তাম...!! এখন আর পড়া হয়না....!

২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১০

একজন অচেনা লেখক বলেছেন: :P :P :P

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

শিপু ভাই বলেছেন:
ক্যারিওন ব্রো~~~~~~~~~~~~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.