![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পছন্দের রবীঠাকুরের একটি গান নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। হিমালয় মন্তব্যের জবাব টা দিতে গিয়ে একটু চিন্তায় পড়লাম। বুঝলাম মন্তব্যটা আমাকে ভাবাচ্ছে। এই মন্তব্যের জবাব শুধু দু চার কথায় দিলে চলবেনা । আমাকে একটা আস্ত পোস্ট ই দিতে হবে।কারন হিমালয়ের করা মন্তব্য থেকে অনেক কিছু এলোমেলো মনে পড়ে গেলো । ভাবছি আমার মনের জন্য সত্যি কি কোনো দুঃখ নিরোধক বা পেইন কিলার প্রয়োজন রয়েছে? নাকি এসবই আমার দুঃখ বিলাস??
আরো ভাবছিলাম মন ভালো রাখার পদ্ধতিগুলো কি সত্যি ই আমার চাইতে কারো বেশী জানা আছে??? হয়তোবা হ্যা হয়তোবা না। তবে এই এলোমেলো ভাবনা গুলো নিয়ে, অনেক মনে পড়ে যাওয়া কথাগুলো নিয়ে ভাবছি কিছু লিখবো। অনেক দিন পরে একটু ফ্রী আছি আজ। দেখা যাক কত টুকু লিখতে পারি।
হিমালের ভাষায় মনের কোন দৃশ্যমান বা বাহ্যিক আকার নেই বলে pain killer এর কার্যকারিতা নিয়ে সে কিছুটা সন্দিহান।।। হাহাহা সে কথা সত্য তবে মনের অদৃশ্যমান আকারের মত মনের পেইন কিলারের আকারও কিছুটা অদৃশ্যমান কিন্তু তার বাহ্যিক প্রকাশ আছে।সেসবকেই বলা যায় পেইন কিলারের কার্য্যকারিতা।
দুঃখ বা সুখ কাকে বলে বা সংগা কি এ নিয়ে নানা মূনীর নানা মত রয়েছে।
তবে সুখ বা দুঃখের কিছু খুব সাধারন চাক্ষুস দৃশ্যমান ব্যাপর স্যাপার রয়েছে যা থাকলে আমরা সুখ ভাবি আর যার অভাবে আমরা দুঃখি বলি মানুষকে।
আমার জীবনের কিছু দুঃখ নিরোধক বা পেইন কিলার:
ছবি আকা: তখন সুখ দুঃখ কি বোঝার বয়স হয়নি। বাবা আমাদেরকে(মা ও আমাকে) ছেড়ে চলে গেলেন। তখনই হঠাৎ বুঝলাম সমাজে আমার মত মেয়েরা কতখানি দুঃখী হয়। আমার মাতৃপক্ষ ও পিতৃপক্ষ মোটামুটি অথবা মোটামুটির চাইতেও কিছুবেশী অর্থনেতিক ভাবে সচ্ছল হবার কারনে দুঃখ আমাকে ছোঁবার কথা ছিলোনা। কিন্তু প্রতিনিয়ত আত্নীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সকলের আমাকে দেখা মাত্র করুন মুখে আহা আহা করা দেখে বুঝে গেলাম আমি একজন দুঃখী মানুষ। পৃথিবীর অগাধ ধন দৌলতে মুড়ে রাখলেও শুধু একটি মাত্র বাবার অভাবে, আমাকে ছেড়ে এইভাবে চলে যাবার কারনে আমি একজন দুঃখী শিশু। তখনই আবিস্কার করলাম ছবি আঁকাআঁকিটা আমার জন্য দুঃখকে ভুলে যাবার খুব স হজলদ্ধ একটি পেইন কিলার।
গান শেখা: মায়ের খুব শখ ছিলো তার জীবনের অপূর্ন ইচ্ছে গুলো আমার ভেতরে ফুটিয়ে তুলবার।হারমোনিয়াম দিয়ে, গানের টিচার রেখে বসিয়ে দিলেন একদিন। অপরীসীম নিস্ঠা ও অখন্ড মনোযোগে গান শিখতে শুরু করলাম আর খুব স হজেই হারমোনিয়ামের রিড টিপে ঐ বয়সেই গান তুলে ফেলা আয়ত্ব করে ফেল্লাম। এখন বুঝি আসলে সেটাও ছিলো আমার এক ধরনের পেইন কিলার।
আমার নাচ: আমার নাচ শেখার ইতিহাস ও স্টেজে প্রথম নাচের অভিগ্গতা আগেই বলেছি । তবে একসময় দেখলাম নাচ ও নাচের মধ্যে ডুবে থাকাটাও পেইন কিলার হিসাবে মন্দ নয়।
বই পড়া: বই পড়াটার শুরু আমাদের বাড়ীর পারিবারিক লাইবরেরীতে।মনে পড়ে প্রথম যে বইটা থেকে এক নাগাড়ে বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠলো সেই বইটার গল্পের মেয়েটার নাম ছিলো আমার ই নামে।সেই আমার বই পড়ার মজা।সবচেয়ে কেন যেন পছন্দ করতাম হাসির বই গুলো পড়তে। যেমন বাংগালীর হাসির গল্প, গোপালভাড়, শিবরাম।দুখের বইগুলো আমার মোটেই পছন্দ ছিলোনা।
দুখবিলাস যবে থেকে শুরু তবে থেকেই দুখের কিছু বই আমার অনেক প্রিয় হয়ে গেলো।উভচর মানুষ, লিটল মারমেইড, নিসংগ গ্রহচারী, সেসব আমার কিশোরীবেলার দুঃখবিলাসের সংগী।
এত কিছুর মাঝেও আমি কিন্তু মোটেই শান্ত শিস্ট খুকিটি ছিলাম না। কি এক অজানা অকারন আক্রোসে সকলেরর উপরে মাঝেমাঝে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠতাম।ইচ্ছে করে নিয়ম না মানা, কিছু অপ্রতিরোধ্য কাজে মেতে উঠতাম। সেসবও ছিলো আমার দুঃখবিলাসের পেইনকিলার।আমার সুখবিলাস।
হিমালয় বলেছে, কষ্ট ব্যাপারটা আপনি কিভাবে নেন জানিনা, তবে ব্যথার মধ্যে পরিশুদ্ধিতা আছে।। যত ব্যথা নিজেকে নিজের কাছে আরও মূর্ত করে তোলা যায়, বেশি আনন্দে থাকলে হয়ত নিজের কাছেই নিজেকে নিয়ে ভাববার অবকাশ হয়না।।।।
এইকথাটা আমার বেলায় অনেকক্ষেত্রেই সত্যি। ব্যাথার মাঝে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পেরেছি কিনা জানিনা তবে নিজেকে জানতে পেরেছি।এটাও জেনেছি কষ্ট গুলো আছে বলেই আমার আছে এত আনন্দ। আমার মত সূখি কে আছে? আমার মত করে জীবনটাকে, জীবনের প্রতিটি সেকন্ডকে কজন মানুষ পারে এইভাবে অনুভব করতে?উপভোগ করতে?আমার জানা নেই ।কিন্তু আমি করি । ভুল হোক শুদ্ধ হোক, ব্যাথা বেদনা যাই হোক আমি জীবনের প্রতিটি কণা উপভোগ করি, প্রতিটি বিন্দু দিয়ে।
হিমালয় তুমি বলেছো: মন ভাল রাখার কিছু সূত্র আছে, এবং এই সূত্রগুলি আপনি চাইলে নিজেই আবিষ্কার করে নিতে পারেন।।। উদাহরণস্বরূপ সেই পাগলের কাহিনীটা বলা যেতে পারে।।। এখানেই একটা বিশাল সূত্র ছিল, হয়ত আপনি গুরুত্ব দেননি।।। এরকম অসংখ্য সূত্র আমাদের আশেপাশেই থাকে।।।। মনকে গুরুত্ব দিলেই মাথায় উঠে যায়, আর অবজ্ঞা করলে ছায়াসঙ্গী হয়...
হিমালয় এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছো নারী রহস্যময়ী !!! তাদের আসলেও এত সহজে বোঝা যায়না । যেমন আমার দুঃখবিলাসই যে আমার সুখবিলাস, সে তুমি বুঝতে পারোনি বিন্দুমাত্র। হাহাহাহা।
এত বড় একটা লেখায় কত্ত গুলি যে মাইনাস খাই আল্লাহ জানে!! তবে সেটাও হবে কোনো দুঃখ/ সুখ বিলাস!!!
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে, দিবস গেলে করবো নিবেদন!!
আমার ব্যাথার পূজা হবে সমাপন!!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা। কিচ্ছু আসে যায়না । জগতে সবই তুচ্ছ। কোনো কিছুর কোনো মানে নেই আসলেই।সবই আপেক্ষিক! মায়ার খেলা।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৮
নিঃসঙ্গ বলেছেন: দুঃখে যাদের জীবন গরা তাদের আবার দুঃখ কিসের ??
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৬
অপ্সরা বলেছেন: নো দুঃখ সবই সুক্ষ=সুখ!!
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১৫
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: হিমালয় এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছো নারী রহস্যময়ী !!! তাদের আসলেও এত সহজে বোঝা যায়না । যেমন আমার দুঃখবিলাসই যে আমার সুখবিলাস, সে তুমি বুঝতে পারোনি বিন্দুমাত্র। হাহাহাহা।
হা হা হা হা হা
কিন্তু পেইন কিলারের আইডিয়াটা ভালো। স্মৃতির সবকিছুকে কেমন করে পেইন কিলারের প্যাকেটে ভরে ফেললেন!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৭
অপ্সরা বলেছেন: শুধুই স্মৃতির সবকিছু না।আসলেই এসব আমার পেইন কিলার সে আমি জানি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৭
শফিকুল বলেছেন:
আমার মন খুবই খারাপ ,
এত খারাপ যে কি বলব ,
আমার ৭টা পোস্ট রেখে সব পোস্ট ডিলিট করে দিসি।
আমার এখন কি পেইন কিলার দরকার।
সরি অপ্রাসংগিক কথা বলে ফেললাম।
খুব সুন্দর হয়েছে লেখা।
+++++।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩০
অপ্সরা বলেছেন: তোমার যেই পেইন কিলার টা দরকার সেটা হল, যত গুলো পোস্ট ডিলিট করেছো সব মনে করে করে আবার লিখে ফেলো।সেটা শুধুই পেইন কিলার না বেশী ইমোশনাল না হবার শাস্তি স্বরুপ সেই স্মৃতিটাও ভবিস্যতেও পেইন কিলারের কাজ দেবে।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৭
আমিই রূপক বলেছেন: আপনার দুঃখের উৎসটা কোথায় বোঝা গেলনা।
দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা যারা করে তারা আসলে দুঃখ কি জিনিস তাই জানেনা।
আমি দুঃখিত। কড়া কথা বলে ফেললাম।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: তুমি তার মানে এত বড় লেখাটা দেখেই ফাকি দিয়েছো । পড়নি ভালো করে। হাহাহা এতে অবশ্য তেমন দোষ নেই । বড় লেখা দেখলে আমিও পড়তে একটু ভয়ই পাই।
তবে লেখাটা ভালো করে পুরোটা পড়লে হয়তো দুখের উৎসটা বুঝতে পারতে।
দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা যারা করে তারা আসলে দুঃখ কি জিনিস তাই জানেনা।
আমি দুঃখিত। কড়া কথা বলে ফেললাম।
কড়া কথা নয়, ভুল বলেছো। বুঝতে পারছি অনেক দুঃখ পাওনা আছে জীবনে।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৮
মাহবুবুল আলম লীংকন বলেছেন:
"আমার সকল দুঃখের..." গানের লিংক আছে?
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪২
অপ্সরা বলেছেন: Click This Link
এইখানে শুনো গানটা।
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৯
পাপী বলেছেন: দুঃখ জিনিষটাই মজার, তবে কষ্টগুলো সহ্য করে যাওয়ার পর। আপনার প্রথম পেইন কিলারটার মতই আমার পেইন কিলার হচ্ছে গান আর গিটার বাজানো। বাবা যখন আমাদের ছেড়ে চলে যায় তখন বুঝতে পারি বাস্তবতা থেকে শিখতে হবে অনেক কিছু। দুঃখ না থাকলে কিছু শিখতাম না, নিচু স্তরে যে থেকে যেতাম তা প্রায়ই অনুভব করি। হেপি দু:খ বিলাস!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৭
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা। নরকের পাপী তবেই উপভোগ কর জীবনের সকল দুখ-কষ্ট ,ব্যাথা-বেদনা জীবনের প্রতিটি বিন্দু প্রতিটি কণা।গান আর গীটারের ভেতর দিয়ে অনেক ব্যাথা-বেদনা কষ্টগুলিকেই ঐ দূর আকাশে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে আমারও বিশ্বাস ।এটা নিশ্চয় আমার লেখায় আভাস পেয়েছো?
অনেক ভালো থাকো।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৫
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: হিমালয় এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছো নারী রহস্যময়ী !!! তাদের আসলেও এত সহজে বোঝা যায়না । যেমন আমার দুঃখবিলাসই যে আমার সুখবিলাস, সে তুমি বুঝতে পারোনি বিন্দুমাত্।।।
এই "নারী" শব্দটির সঙ্গেই আমার তীব্র আপত্তি আছে; প্রত্যেক মানুষই নিজেকে নিয়ে অদ্ভুত কিছু ফ্যান্টাসিতে ভুগে, প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে "মাইন্ড গেম" খেলে , নিজেকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা,ব্যতিক্রম ভেবে পুলকিত হতে চায়।।।আসলে একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রিতে সবাই ব্যতিক্রম অন্যের সাপেক্ষে, এটাকে আমি বলতে চাই স্বাতন্ত্র।।। তবে greater respect এ সবাই একই রকম, আসলে ব্যতিক্রম বলে আমরা যাকে ভাবছি সেটা হচ্ছে "অতি common" এর একটু অপ্রচলিত রূপ।।।।তাই এই রহস্য-রহস্য খেলাটা লিঙ্গ নিরপেক্ষ, বরং বলা যেতে পারে এই রহস্যটুকুই বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।।। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে নারী রহস্যময়ী এই আপ্তবাক্যটির জন্ম হল কিভাবে??এর দায়ভার পুরোটাই আমাদের জগদ্বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের।।। কবিগুরু রবিঠাকুর থেকে, মিল্টন,বায়রন, দান্তে,শেলী গ্যেটে, শেক্সপিয়ার....কে বাদ আছে বলুন যিনি নারীকে রহস্যময়ী করে তুলতে নিজের সৃজনশীলতার সর্বস্ব উজাড় করে দেননি।। এমনকি দ্য ভিঞ্চিও মোনালিসাকে রহস্যময়ী করেছেন।।। আপনি যদি একেবারে শৈশব থেকে শুনতে থাকেন যে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে, একসময় আপনার মনে এই বিশ্বাসটিই স্থির হয়ে যাবে, এই ব্যাপারটিও তেমন।।। গল্প-সিনেমা সর্বত্র এই জরাজীর্ণ বাক্যটি শুনতে শুনতে আমরা ধরেই নিয়েছি "নারী মাত্রই mysterious island'....যে কারণে সে যদি "আমি ভাত খাই" এর মত অতি নির্দোষ কোন বাক্য বলে তারও বহুবিধ অর্থ খুজতে আমরা তৎপর হয়ে উঠি; ক্ষেত্রবিশেষে এইসব বাক্য নারীদের মাঝেও ধারণার জন্ম দিয়েছে যে 'তারা রহস্যপুরী"..সমস্যাটি এখানেই।।।।
মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে, লেখার মত মন্তব্যও পর্ব করে দেই।।।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২২
অপ্সরা বলেছেন: হায় খোদাহ!! আবারও এই মন্তব্যের জন্য আরো একটা পোস্ট লিখতে হবে নাকি আমার??তোমার দ্রুত চিন্তাশৈলী , মননশীলতার সমতুল্য আমি মোটেই নই।
আবার আরো একটা পোস্ট লিখে তোমার এই মন্তব্যের জবাব লিখতে হবে বলে মনে করছি আর কান্না পাচ্ছে এত সময় কই পাই এখন? সামনে খুব বেশী ব্যাস্ত থাকতে হবে কিছু দিনের জন্য। তবে মনে রেখো নারী রহস্যময়ী এই নিয়ে তোমার সাথে একটা যুদ্ধ হবেই আমার!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৫
অপ্সরা বলেছেন: এই "নারী" শব্দটির সঙ্গেই আমার তীব্র আপত্তি আছে; প্রত্যেক মানুষই নিজেকে নিয়ে অদ্ভুত কিছু ফ্যান্টাসিতে ভুগে, প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে "মাইন্ড গেম" খেলে , নিজেকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা,ব্যতিক্রম ভেবে পুলকিত হতে চায়!
তোমাকে অন্যদের থেকে একটু ব্যতিক্রম ভাবতে হবেনা। তুমি যে বেশ ব্যাতিক্রম সে আমি খুব ভালো বুঝতে পারছি।
৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: এবার, আপনার দুঃখবিলাস প্রসঙ্গে বলি।। প্রত্যেক ক্রিয়েটিভ মানুষের ভেতরে একজন দুঃখী মানূষ বাস করে, সেটা হয়ত সব মানুষের ক্ষেত্রেই সত্য।। ক্রিয়েটিভ মানুষদেরকে আলাদা করছি কারণ তাদের দুঃখগুলো একসময় তারই একটি "বিকল্প সত্তা" হয়ে উঠে।। সে তার দুঃখগুলোকে তারই প্রতিবিম্ব হিসবে সামনে চলাচল করতে দেখে, আর সেখান থেকেই তার দুঃখবিলাসের সূচনা..অন্যদের ক্ষেত্র দুঃখ একটি "নির্মাত্রিক অনুভূতি" আর ক্রিয়েটিভদের ক্ষেত্রে দুঃখ একটি "থ্রি ডাইমেনশনাল ইমেজ"..........একইসঙ্গে প্রতিটি ক্রিয়েটিভ মানুষ মনের কাছে খুবই নিঃসঙ্গ, ব্যাপারটি এমন যে তার কর্মে লাখো মানুষ আমোদিত হয়,অথচ তার মাঝে চলছে আমোদের কৃষ্ণপক্ষ।।।আপনার ক্ষেত্র দুঃখগুলো ক্শেত্রবিশেষে এরকম নিয়ন আলোর মত কাজ করেছে।। এই ধরনের থিম নিয়ে "..র্দাপ" নামে একটা গল্প লিখেছিলাম।। আমি নিশ্চিত এই গল্পের নারী চরিত্রটির সঙ্গে আপনি একটি অদৃশ্য যোগসূত্র খুজে পাবেন আপনার।। আর এই গল্প সংক্রান্ত যে কোন দুর্বোধ্যতার জবাব আমার ব্লগে অবশ্যই আপনাকে দেব।।।
অফটপিক: আমার ৫০তম পোস্ট "শত উদাসীন বেকার ঘুরে..." আপনার মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।।। আর "....র্দাপ" এ আপনার আগমনের প্রতীক্ষায় রইলাম।।।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
অপ্সরা বলেছেন: .........একইসঙ্গে প্রতিটি ক্রিয়েটিভ মানুষ মনের কাছে খুবই নিঃসঙ্গ, ব্যাপারটি এমন যে তার কর্মে লাখো মানুষ আমোদিত হয়,অথচ তার মাঝে চলছে আমোদের কৃষ্ণপক্ষ।।।
যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একেএকে তারা
আকাশ পানে ছুটবে বাঁধন হারা,
অস্তরবীর ছবির সাথে মিলবে আয়োজন!!
আমার ব্যাথার পূজা হবে সমাপন।
আমার সকল দু:খের প্রদীপ জ্বেলে
দিবস গেলে করবো নিবেদন।
এই ধরনের থিম নিয়ে "..র্দাপ" নামে একটা গল্প লিখেছিলাম।। আমি নিশ্চিত এই গল্পের নারী চরিত্রটির সঙ্গে আপনি একটি অদৃশ্য যোগসূত্র খুজে পাবেন আপনার।।
তবে তো অবশ্যই পড়তে হয় দার্প!! আর "শত উদাসীন বেকার ঘুরে..." তারপর পড়ছি।
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
যারা শান্তির জীবন যাপন করে তাদের জন্যই দু:খ বিলাস।
তবে পোষ্টে প্লাস দিসি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৭
অপ্সরা বলেছেন: দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
যারা শান্তির জীবন যাপন করে তাদের জন্যই দু:খ বিলাস।
হাহাহা হয়তোবা।
প্লাস এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০০
নিবিড় বলেছেন: বাহ জটিল লিখাতো ...
পোস্টের মধ্যে জীবনের রূঢ় কথা আর হিমালয়ের কমেন্টে আরো কিছু অনুভূত আত্মিক দ্বন্দ্বের সংঘাত দেখতে পাচ্ছি।
সত্যই দুঃখ একসময় মানুষকে এন্টি -আহত করে দেয়।তখন মানুষ নিজস্ব সৃ্জনশীলতায় আর ভিন্ন আঙ্গিকে একটু ভাল থাকার পথ খুঁজে নেয়.....যেমনটি করেছেন আপনি আর যেমনটি ভাবছেন হিমু ভাই।
জীবনদর্শনশাস্ত্রটাই হয়ত এরকম।চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশের মধ্যে রহস্যঘনতা উপাদন হিসাবে কাজ করে....নারীস্বত্মার প্রতি যুগে যুগে চলা মোহচিত আবেগ তাকে একে দিয়েছে ভিন্নতার রহস্য। এই রহস্য যে কোন কিছু নিয়ে হতে পারে বলে হিমু ভাই যা বলেছেন তার সাথে আমি একমত না।রবীন্দ্র,মিলটনরা যুগে যুগে নিজের জীবনে একই অনুভূতির সন্ঞার এর গতিবাঁধকে ধরে রাখতে কিংবা বিঝে উঠটে পারেননি বলেই নারীকে তারা রহস্যময় করেছেন...
এই অনুভূতির সন্ঞার কে নিয়ন্ত্রন করটে চাওয়ার অভিলাষ সেই যুস ঠেকে শুরু করে আধুনিক ডিজুস বয় পর্যন্ত সবার মধ্যে কাজ করে ..তবে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিজস্ব স্টাইলে।
বেশি বলে ফেলছি।এর পর তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে...পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম++
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৮
অপ্সরা বলেছেন: অপ্সরা বলেছেন: নিবিড় বলেছেন: বাহ জটিল লিখাতো ..
বাহ বলায় প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সত্যই দুঃখ একসময় মানুষকে এন্টি -আহত করে দেয়।তখন মানুষ নিজস্ব সৃ্জনশীলতায় আর ভিন্ন আঙ্গিকে একটু ভাল থাকার পথ খুঁজে নেয়.....যেমনটি করেছেন আপনি আর যেমনটি ভাবছেন হিমু ভাই।
হয়তোবা হ্যা, হয়তোবা না।
রবীন্দ্র,মিলটনরা যুগে যুগে নিজের জীবনে একই অনুভূতির সন্ঞার এর গতিবাঁধকে ধরে রাখতে কিংবা বিঝে উঠটে পারেননি বলেই নারীকে তারা রহস্যময় করেছেন...
তাইত বলি ওনারাই পারলোনা যা তা কি আর হিমু পারবে?? হাহাহা
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৫
ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন: +
আপনার ভাবনা দ্বারা সত্যই প্রাণবন্ত।
বড্ড ভালো লাগলো আপনার লিখাটি।
যদিও আমরা তেমন করে লিখতে পারি না!
বরাবরে মতোই আপনার লিখাটি ভালো হয়েছে।
কেমন আছেন আপনি?
ভালো থাকুন।
ভালোবাসা নিয়ে...।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২৯
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্য বাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৭
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ, মিল্টন...অনেক কবির নামই তো বলে শেষ করা যাবেনা...কিন্তু তাদের সমপর্যায়ের কয়েকজন মহিলা কবির নাম বলুন....১.২ স্টার্ট....সংখ্যাটা খুব বেশি হবেনা আশা করি...........তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও এককেন্দ্রিক.........বিরহের জন্যও রবিঠাকুর, রোমান্সের জন্যও রবিঠাকুর...রবিঠাকুর, মিল্টন তাই ব্যক্তিকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন আশ্রমের মত; নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সেখানে পরম আশ্রয়।।।। কিন্তু এটাতো ভুললে চলবেনা যে তারা আশ্রম হলেও আগেতো আশ্রিত অবশ্যই...আর সেটাই তার পুরুষসত্তা.......কাজেই তারা যত যা-ই কিছু প্রকাশ করুক সেখানে সংগোপনে একটা পুরুষতান্ত্রিকতা বিরাজ করছে..কারণ মানুষ হয়ত অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর হতে পারেনা...কেবলমাত্র ঈশ্বরেরই নারী-পুরুষ সংক্রান্ত কোন সংকট নেই।।।
বেগম রোকেয়ার একবার ধর্মীয়বিধান প্রসঙ্গে বলেছিলেন" এইসব শাস্ত্রীয় বিধান পুরুষ মুনীদের নারীকে শাসিত করার বিধান বৈ কিছু নয়।।। যদি কোন নারী মুনী থাকিত তাহলে অবশ্যই শাস্ত্রের ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকত।।।"
এটাই সমস্যা, কোন রবীন্দ্রনাথ-মিল্টন পর্যায়ের মুনী নেই।।। এই সংক্রান্ত বাকি আলোচনা অন্য সময়....
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭
অপ্সরা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের সমপর্যায়ের মহিলা কেনো, কোনো কবির নামই জানতে চেয়োনা। আমার অন্তর, চেতনা ভিতরে বাইরে সবখানে রবীন্দ্রনাথ বিরাজমান।বিরহের মধ্য দিয়ে, ভালোবাসার মধ্য দিয়ে একজন পুরুষকেও নারী দেখতে চায় ও দেখতে পায় রবীন্দ্রনাথের মাঝেই।পুরুষস্বত্তায় রবীন্দ্রনাথকেই আশ্রম হিসেবে নারীই দেখতে চায় বলে আমার বিশ্বাস। রবীন্দ্রনাথের মহানুভতা, প্রেম নারীকে কখনও পুরুষতান্ত্রিকতার দ্বন্দে ভোগায়নি। নারী সানন্দে পরমান্দেই মেনে নিয়েছে তার পুরুষস্বত্তাকে।মনে প্রাণে চেয়েছে রবীন্দ্রনাথের মত একজন প্রেমিক হৃদয় পুরুষ।
১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২২
আমিই রূপক বলেছেন: 'দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা' ব্যাপারটাকে আমার কাছে তার থেকেও বড় বিলাসিতা মনে হচ্ছে। যার কিছু আছে সে যদি আরও চায় তবে বলা যেতে পারে যে সে দুঃখী। আসলে উপরের দিকে তাকালে দুঃখ বাড়ে। নিচের দিকে তাকালে সুখটাকে বুঝা যায়। দুঃখকে ভুলে থাকার জন্য পেইন কিলার হিসেবে গান, কবিতা বা নাচ ইত্যাদী গ্রহন করাও একপ্রকার বিলাসিতা। অনেকটা সুখে থাকতে ভুতে কিলানোর মত আরকি!
মৌলিক চাহিদাগুলো যার পূরণ হয়েছে তার আসলে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকাটাই শ্রেয়। নাহলে জীবনে দুঃখ বাড়বে বৈ কমবে না।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৫
অপ্সরা বলেছেন: একথাটা হয়তো সত্যি, মৌলিক চাহিদা গুলি পুরোনের পরেই যদি কেউ বলে থাকে আমার এতে 'দুঃখ তাতে দুখ তাহলেই সে হয় 'দুঃখ বিলাস।তোমার কথাটাও ফেলে দেবার নয় যে সেসব মৌলিক চাহিদা পূরণ না হবার মত দুঃখ আমার ছিলোনা তবে তারপরেও ছিলো বুকের গভীরে পে রাখা এক প্রচন্ড দুঃখগাথা।
এই ব্যাথায় যারা ভুগেছে শুধু একমাত্র তাদের পক্ষেই বুঝা সম্ভব........কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশিবিষে দংশেনি যারে......কবির ভাষায় ব্যপারটা তেমন একটা কিছু।
মানুষের জীবনে সুখ ও দুঃখ অবিচ্ছেদ্য অংগ। আপাত দৃষ্টিতে দুঃখী কাকে বলে যাদের মৌলিক চাহিদা গুলোই ঠিকমত পুরন হয়না। তোমার মন্তব্যে মৌলিক চাহিদার অভাবে যে দুঃখটা বুঝিয়েছো সেটাও ঠিক। কিন্তু এর বাইরেও, এর চাইতেও মানুষের দুঃখের আরো প্রকার ভেদ থাকতেও পারে।সেটাও কোনো ভাবেই হেলাফেলার মত নয়। যেমনটা আমার ছিলো। একটা ব্রোকেন ফ্যামিলীতে ছেলেমেয়েদের কি নিয়ে বেড়ে উঠতে হয় তা হয়তো তুমিও জানবেনা। যদিনা ভুক্তভোগি হয়ে থাকো।
তোমার কাছে দুঃখ মানেই মৌলিক চাহিদা মেটানোর অভাব।
কিন্তু আমার কাছে অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অভাবহীন যে দুঃখটা ছিলোনা তার থেকেও বেশী ছিলো ঐ ভাবে সমাজের চোখে ছোটো হয়ে বেড়ে উঠবার বা হেয় হয়ে যাবার দুঃখটা যা শুধু একজন বাবার অভাবে আমার জীবনে আমার কাছে অনেক বেশী প্রখর হয়ে উঠেছিলো।
আর কবিতা নাচ গান নিয়ে সেসব ভুলে থাকবার বিলাসিতা কেনো করেছিলাম, সে হিমালয়ের প্রশ্নের জবাব।কারণ হিমালয় আমার একটি পোস্টের মন্তব্যে বলেছিলো দুঃখ না পেয়ে, কষ্ট না পেয়ে আমি জীবনের প্রতিটি প্রান্ত থেকেই তুলে নিতে পারি সুখের খোরাক।আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম আমার নাচ,গান,কবিতা ইত্যাদি ইত্যাদি এক একটা অবলম্বন হয়ে উঠেছিলো আমার সে এক ও অদ্বিতীয় দুঃখ ভুলে যাবার পথে।
১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০৪
বাবুয়া বলেছেন:
দুঃখ'কে বিলাশিতা নয়-বন্ধু ভাবুন। আমার জীবনে দুঃখ হলো আমার সব চাইতে আপন জন! আমি দুঃখ লালন করি।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬
অপ্সরা বলেছেন: দুঃখ কে বন্ধু ভাবিনি বরং শত্রু ভেবেই তুড়ি মেরে উড়াতে চেয়েছিলাম। তাই আনন্দ মাঝে সব সময় চেয়েছিলাম তাকেই ভুলে যেতে।তবুও মাঝে মাঝে দুঃখবিলাসে আমি দুঃখকেই পাত্তা দিয়ে ফেলতাম, আজো ফেলি।
১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৩
উধাও ভাবুক বলেছেন: হুমম...
পড়লাম লেখা থেকে মন্তব্য সবকটি। অনের যুক্তি অনেক দর্শন। ভালই,
মন্দ নয় !
" দূঃখ আমাকে দিয়েছে যা
অন্যে তা দেয়নি কভূ
তাইতো কষ্টই আমার ভালবাসা
কষ্টই আমার প্রভু।"
সুখকে বন্টন করলে তার মজা বাড়ে আর ততটাই দূঃখটাকে নিজের ভেতরে রাখলে। যখন দূঃখের তল থেকে অতলে গিয়ে যখন তুলে আনা যায় একফোটা শিশিরের মত আশার আলো, তখন সেই কষ্ট আর কষ্ট থাকেনা, সেই আঁধার আর আঁধার থাকেনা। এর এটা আমার কাছে কখনই বিলাসিতা মনে হয়না। এটা মানুষের জীবন যাপনের একটা সহজিয়া পন্থা।
আপনার পেইন কিলার আপনার মনে যেভাবে আঁচড় কাটে তা অন্যের বোঝার সাধ্যের বাইরে। আপনার পেইনকিলার এর ব্যপারটা আমি পূর্ণ সমর্থন করি। আর কিছূ লিখছিনা।
ভাল থাকুন সর্বদা। আপনার পেইনকিলার নিয়ে...একটা কাজ না করলে আরেকটা নিন। কোনটাতেই কোন কাজ না হলে নতুন আরেকটা পেইনকিলার আবিস্কার করুন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: উধাও ভাবুক বলেছেন: হুমম...
পড়লাম লেখা থেকে মন্তব্য সবকটি। অনের যুক্তি অনেক দর্শন।
হাহাহা মাথা ঘুরায়নি? আমার তো মাথা ঘুরছে এত শত চিন্তুক ভাবুকদের মাঝে।সত্যি হিমালয়, রুপক অনেক বেশী ভাবুক, চিন্তুক এরা কত কিছু নিয়ে ভাবে, সুচিন্তিত মতামত দেয়। আর তুমি তো আগে থেকেই আছো উধাও ভাবুক!!! হাহাহা
দূঃখকে নিজের ভেতরেই রেখেছিলাম। লালন করেছিলাম অন্তরে।তবে খুব বেশীই হয়তোবা প্রশ্রয় দিয়েছিলাম। তাই সকল সুখের মাঝেই প্রছন্ন ভাবেই দূঃখটা মিশে ছিলো। কখনও এক মুর্হুতের জন্য ভুলিনি। তাই হয়তো নিজের কাছেই মনে হয়,এ আমার দূঃখবিলাস!!!
আপনার পেইনকিলার নিয়ে...একটা কাজ না করলে আরেকটা নিন। কোনটাতেই কোন কাজ না হলে নতুন আরেকটা পেইনকিলার আবিস্কার করুন।
সে আবিস্কারে অহরহ মেতে রয়েছি।একটার পর একটা পেইন কিলার আবিস্কার করে চলেছি। আমার দুখের স্রষ্টা আমি ছিলাম না, কখনও আবার নিজেই নিজের দুখের স্রষ্টা ছিলাম। কিন্তু পেইনকিলার গুলো স্রষ্টা একমাত্র আমি নিজেই। অবধারিত ভাবেই।
১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪১
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: সুখগুলো মোর বিন্দু বিন্দু
দুঃখগুলো মহাসাগর..............................................................।
দারুন একটা লেখা। মন দিয়ে না পড়লে বঝা যাবেনা।
দুঃখ যাঁহার নেইকো সাথে
সুখযে কি তা বুঝবে কিসে?????
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটি মনদিয়ে পড়বার জন্য ও মন্তব্যের জন্য।
১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: বঝা টা হবে বুঝা।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: ওকে!!
১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
আজনবী বলেছেন: সম্পূর্ণ পোষ্টটি কয়েকবার পড়লাম, লেখাটা অনেক পরিপক্ক, সুচিন্তার ফসল। নতুন কিছু বলার মত খুজে পাচ্ছি না। শুধু একটি কথা - দুঃখ মানুষকে যা দিতে পারে সুখ তা পারে না। নিজের মধ্যে তুমি যা খুঁজে পেয়েছ, তা খুব কম মানুষেই পায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই তুমি খুব ভাগবতী। অপরিনত বয়সে পথ হারিয়ে ফেলার অনেক সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু তা হতে দাওনি নিজের চেষ্টা আর মনোবল দিয়ে, জয় করেছ নিজেকে। তাই পরিনত বয়সের কষ্টগুলোকে সহযেই পরাজিত করতে পারো। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তোমাকে।
নারী রহস্যময়ী !!! তাদের আসলেও এত সহজে বোঝা যায়না ।
এই রহস্য উন্মোচনে যে আনন্দ তা অপার্থিব, অদৃশ্যমান। নারী সর্বদা রহস্যের জাল বুনে শুধু রহস্য উন্মোচনের আশায়, পরাজিত হবার অপেক্ষায়। এই পরাজয়ের সুখ শুধু নারীই পারে উপভোগ করতে। এই রহস্য নিয়েই নিচের শেরটুকু -
আঁখোসে যো দর্দ না সামঝে
বো আশিক হ্যায় ক্যায়া?
বাতোসে যো গ্যাহেরাই না সামঝে
বো শায়ের হ্যায় ক্যায়া?
অপটপিকঃ আমার অনুমান যা বলছে তাতে নিজেকে কিছুটা অপরাধী মনে হচ্ছে। যাহোক, অশংখ্য শুভ কামনা তোমাদের জন্য।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭
অপ্সরা বলেছেন: তোমার মন্তব্যে প্রথম অংশটুকুর জন্য আর শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।শ্রদ্ধা জানিওনা। আমি শ্রদ্ধার পাত্র নই। রবীঠাকুরের ভাষায় এটাও বলবোনা "নহি দেবী নহি সামান্যা নারী" শুধু জেনে রাখো তোমাদের ভালোবাসাটুকুই অনেক অনেক কিছু আমার জন্য।
রহস্যময়ী নারী নিয়ে যা বলেছো সেটা নিয়ে ভাবলাম আর ভেবে মনে হল তুমি একেবারেই সঠিক কথাটাই বলেছো। নারী আসলেই সে হয়তোবা নিজের ইচ্ছে রহস্যজালে আড়াল করে রাখতে পছন্দ করে নিজেকে।এক রহস্য উন্মচনের মজার খেলায় মেতে থাকে ।সেটাই তার কাছে এক মহা উপভোগ্য ব্যাপার!!
জানিনা কি তোমার অনুমান, তবে যেটাই অনুমান হোক অপরাধী ভেবোনা নিজেকে।এমনিতেই এই জগতের কাছে নিজেরি অনেক অপরাধ জমে গেলো।
মন্তব্য শুভকামনার জন্য আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!
২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯
আমিই রূপক বলেছেন: দুঃখ করে আসলে বিশেষ একটা লাভ হয়না কখনও। দুঃখ বা বিষণ্ণতা আসলে একধরনের মানসিক ব্যাধি। আপনি চিন্তা করে দেখুনতো-নাচ, গান, কবিতা ইত্যাদী কি আপনার দুঃখকে সারিয়ে দিচ্ছে নাকি কেবল ভুলে থাকতে সাহায্য করছে। আপনি যতক্ষণ এগুলোর মধ্যে থাকেন ততক্ষণ আপনার কাছে জীবনটাকে উপভোগ্য মনে হয়। কিন্তু তারপর? যে লাউ সেই কদু। যারা নেশা করে তারা নেশার দ্রব্যটাকে ঠিক সেইভাবে গ্রহণ করে যেভাবে আপনি আপনার পেইনকিলার গুলো গ্রহণ করেন। কোন স্থায়ী সমাধান আসে কি? আসে না। আমি জানি, আপনি এরকম যাতনা মনের ভিতরে নিয়ে কষ্টে থাকেন। নিজের দুঃখকে বিলাসিতাপুর্ণ দৃষ্টিতে দেখে দুঃখকে ভুলে থাকার চেষ্টা করেন, নিজের সাথে অভিনয় করেন। কিন্তু শেষ অবধি কি হবে? কিছুই না। কবিতা লিখতে লিখতে কলম থেমে যাবে, নাচতে নাচতে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, ছবি আঁকতে আঁকতে রঙ ফুরিয়ে ফেলবেন কিন্তু তারপর। হতে পারে তারপর একসময় মরে যাবেন। তাহলে কি লাভটা হল? দুঃখটা দূর হল কি? মাঝখান থেকে নিজেকে প্রতারিত করলেন!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হে রুপক তুমি তো চরম হতাশাবাদী দেখছি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি কিন্তু মোটেই হতাশাবাদী নই বরং চরম আশাবাদী একজন মানুষ।
হাহাহাহা জানিনা কি থেকে কি হবে বা কি হয় ? এত কিছুর হিসেব নিকেশ ও করিনা।সব কিছুরই শেষ আছে।প্রতিটি জিনিসের একদিন না একদিন শেষ আছে তাই বলে কি জগৎ সংসার থেমে আছে?
কবিতা লিখতে লিখতে কলম থেমে যাবে, নাচতে নাচতে ক্লান্ত হয়ে পড়বো, ছবি আঁকতে আঁকতে রঙ ফুরিয়ে যাবে, তাতে কি হয়েছে? জীবনও একদিন থেমে যাবে, জীবনের রং ও ফুরিয়ে যাবে তাই বলে সে দুঃখ নিয়ে এখন থেকেই আমাকে বসে থাকতে হবে নাকি??
হাহাহাহা আমি মানিনা এইসব নিয়ম। দুঃখকে জয় করবার জন্য আমি দুঃখ নিয়েই বিলাসিতা করবো।দুঃখকে জয় করাটা নিজেকে প্রতারিত করা নয়, সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখা বা এইভাবেই দুঃখকে জয় করার প্রচেস্টাটাই সঠিক। কিন্তু নেশার দ্রব্যের সাথে তুলনীয় ব্যাপারটা মোটেই পছন্দ হোলোনা।
বরং সেটাই নিজেকে প্রতারিত করা। তুমি দুটো জিনিস এক করে ফেলেছ মনে হচ্ছে।
২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:১২
কঁাকন বলেছেন: দু:খ না থাকলেই দু:খ বিলাস করা যায়
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হুমম!!!!!!! সেকথাটাও কিছু অংশে সঠিক কাঁকণ!!!
২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২০
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: @ আমিই রূপক, এভাবে অ্যাক্রোশ দ্য লাইন খেলে টৌয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২-১টা ছয় মারা যায়, কিন্তু ভাই লেখক এবং আমার মাঝে টেস্ট ক্রিকেট চলছে....এখানে খেলতে হবে খুব ধৈর্য্য ধরে, উল্টা-পাল্টা খেলে ১/২ওভারের বেশি টেকা যাবেনা।।। দয়া করে উনি কথাগুলো যে লাইনে বলতে চেয়েছেন সেই লাইনে খেলুন, নয়তো এলবিডব্লিউ হওয়া নিশ্চিত।।।
আর লেখক তো বলেছেন, ব্রোকেন ফ্যামিলির কথা; সেটা আপনি ভুক্তভোগী না হলে আসলেই বুঝবেননা, আমি বুঝি, কারণ আমিও ভুক্তভোগী।।।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০
অপ্সরা বলেছেন: এই ছেলেরা । মারামারি করেনা। শান্ত হও!
২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
নিহন বলেছেন:
ভালো থাইকেন ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪১
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিহন!
২৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪
নিহন বলেছেন: আপনার আঁকা ছবি দেন ,দেখুম ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: আমার শিল্পচর্চা না কোন পোস্টে যেন আমার আঁকা ছবি আছে। একটু অপেক্ষা করো লিন্ক দিচ্ছি।
তোমার আঁকা ছবিগুলিও অনেক সুন্দর!!
২৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪
উধাও ভাবুক বলেছেন: না মাথা ঘুরায়নি। রবি বাবু একটা কথা বলেছিলেন না ! সভ্যতার খাতিরে মানুষ মন নামক আপনার এক অংশকে প্রশ্রয় দিয়ে এমনভাবে বাড়িয়ে তুলেছে যে, এখন মানুষ চাইলেও মন আর মানুষকে ছাড়েনা।
এই মানের খাতিরেই মানুষ সারাদিন কাজ করেও বা কাজের ফাঁকেও কিছু একটা করার জন্য কেউ লেখালেখি করে, কেউ ছবি আঁকে, কেউ গান করে... ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আর সেই মনের তাগিদ আর নিজের ব্যতিক্রমি হবার সুপ্ত বাসনার প্রশ্রয়ে কত কিছু ভাবে। যা সোজা ভাবে ভাবা যায় তাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে ভাবে, অনেক সহজ জিনিসকে কঠিন করে তোলে। সত্যকে খুঁজে ফেরে মানুষ সত্যের নেশায় নিজের দর্শনকে প্রাধান্য দেয়ার খাতিরে অনেক যুক্তি দাড় করানো যায়। আবার যুক্তির পিঠে যুক্তি। চলছে...
আসলে সত্যটা হাতির একপিঠ দেখার মত নয়কি !!! বস্তুর পঞ্চম মাত্রা হল ইমাজিনেশন। আর সেই মাত্রার সুবাধেই আমরা আমাদের কল্পনার রঙে রঙ্গীন করে তুলি সবকিছু। একজন পাগল কি মুল্য আছে তার কল্পনার ! বিস্মৃতি ঘটলে কি চেনা যায় পারিপার্শ্বিকতাকে ! যেমনটা ছিল বিস্মৃতির পুর্বে ?
দূঃখিত কি বলতে গিয়ে কি বলে ফেললাম !
নিমন্তন্ন রইলো আমার ব্লগে...
আসেন না কেন ?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
অপ্সরা বলেছেন: নাহ যা বলেছো ঠিকি বলেছো। একজন উধাও ভাবুকের যর্থাথ কথা।
আমিও কলপনার রংএ ভেসে চলি অনেক ক্ষেত্রেই সেও জানি।জানিনা এ কথা শুনে আবার কে কোথা থেকে ক্ষেপে উঠবে।
তবে যাই হোকনা কেন আমি কিন্তু ভালোই থাকি । এই পৃথিবীর মাঝে হাজারো মানুষের হাজারো রকম মন ও মন সংক্রানত সুখ দুখের মাঝে এই একটি আমি ভালোই আছি, ভালোই তো থাকি।
তোমার ব্লগে যাইতো। শুধু ইদানিং একটু ব্যাস্ত ছিলাম, ব্যাস্ত আছি, তাই যাওয়া হয়নি।
ভালো থেকো উধাও ভাবুক!!
২৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৩
আমিই রূপক বলেছেন: @ হিমালয়, এ কথাটা সত্য যে আমি ব্রোকেন ফ্যামিলির নই। কিন্তু তাই বলে যে আমার কোন দুঃখ থাকতে পারেনা তা কিন্তু নয়। অবশ্যই আমার কিছু কিছু দুঃখ আছে। কিন্তু আমি সেগুলোকে দুঃখ হিসেবেই দেখি। আমি সেগুলোকে বিলাসিতায় পালটে ফেলিনা। আমি একটা কথা লিখেছিলাম আগের একটি মন্তব্যে-"উপরের দিকে তাকালে দুঃখ বাড়ে। নিচের দিকে তাকালে সুখটাকে বুঝা যায়।"
এ কথাটা মূলত আমার না। আমি মহান একজনের কাছ থেকে এই উপদেশটি গ্রহন করেছি। তিনি একেবারে শৈশবেই নিজের বাবা-মা'কে হারিয়েছিলেন। তাঁর এই উপদেশের জন্য নিজেকে আমার দুঃখী মনে হয়না। ইন্টারনেটে বসে কফি খেতে খেতে যে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে আর দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করে সে কি প্রকৃত অর্থেই দুঃখী? যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সয়াহ স্বম্বলহীন হয়ে তারা যদি এ কথা শোনে তাহলে কি এ কথা তাদের জন্য বিরাট প্রহসন বলে মনে হবেনা?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহাহা একেবারেই ক্ষেপে গেলে দেখছি।
কতবার বলবো মৌলিক চাহিদা অভাবসংক্রান্ত দুঃখ গুলো ছাড়াও দুঃখের অনেক প্রকারভেদ আছে।
বারবার কেনো অভাবসংক্রান্ত দুঃখ গুলো কেই টেনে আনছো। তোমার দুঃখ আর অন্যের দুঃখ গুলো এক হতে হবে এমন কোনো কথা কি আছে?
ইন্টারনেটে বসে কফি খেতে খেতে যে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে আর দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করে সে কি প্রকৃত অর্থেই দুঃখী?
প্রকৃত দুঃখী বিচার করার ভার তো কেউ তোমাকে দেয়নি।
যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সয়াহ স্বম্বলহীন হয়ে তারা যদি এ কথা শোনে তাহলে কি এ কথা তাদের জন্য বিরাট প্রহসন বলে মনে হবেনা?
যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সয়াহ স্বম্বলহীন তাদের কে কে শোনাতে যাবে?? তুমি?? সে যাই হোক আমার দুঃখের সাথে বা তোমার দুঃখের সাথে, ঐ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো সহায় স্বম্বলহীন মানুষগুলোর দুঃখের প্রভেদ আছে। তুমি কেনো বারবার সব দুঃখগুলোকেই একি কাতারে দাড়া করিয়ে ফেলছো?
আমার একটি পোস্টে হিমালয়ের উপদেশ বা শুভকামনা যেটাই বলো, সে ছিলো দুঃখগুলোকে ভুলে থাকবার পন্থা গুলো আমি আমার চারিপাশেই খুজে পেতে পারি। সে জবাবেই এপোস্ট টি লেখা, যে আমি সত্যই ই খুজে পাই আমার চারিদিকে ব্যাথার মাঝে আনন্দ প্রদীপের আলো।
এখানে এত ক্ষেপাক্ষেপির কিছু নেই।
ভালো থাকো শান্ত হও!!!
২৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৪
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: @লেখক, আমার শেষ মন্তব্যের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ২টি পয়েণ্টকে আপনি ইমোশনালী এড়িয়ে গেছেন অন্য একটি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে।। আমি বলেছিলাম, "মানুষ হয়ত সবকিছু হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর হতে পারেনা।।। একমাত্র ঈশ্বরেরই নারী-পুরুষ সংক্রান্ত সংকট হয়না।।।"
আর একটি অংশ ছিল বেগম রোকেয়ার উদ্ধৃতি।।।।
আর রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধার কথা আমি একটিমাত্র শব্দ "আশ্রম" এর মধ্য দিয়েই প্রকাশ করেছি।।।।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
অপ্সরা বলেছেন: তোমাদের এত জটিল জটিল কথা শুনে কোনটা রেখে যে কোনটা এড়িয়ে যাচ্ছি নিজেই বুঝতে পারছিনা।
হুম !! এড়ায়নি । তোমার সাথে অবশ্যই একমত। মানুষ হয়ত না আসলেই সবকিছু হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর হতে পারেনা।।। একমাত্র ঈশ্বরেরই নারী-পুরুষ সংক্রান্ত সংকট হয়না।।।"
তবে মানুষেরই নারী পুরুষ সংক্রান্ত সংকট হয় তাই রবী ঠাকুরের ও হয় । তোমার ও হয় আমার ও হয়।হাহাহাহাহা
আর বেগম রোকেয়ার সাথেও আমি একমত ।" শাস্ত্রীয় বিধান পুরুষ মুনীদের নারীকে শাসিত করার বিধান বৈ কিছু নয়।।। যদি কোন নারী মুনী থাকিত তাহলে অবশ্যই শাস্ত্রের ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকত।।।"
এটাই সমস্যা, কোন রবীন্দ্রনাথ-মিল্টন পর্যায়ের মুনী নেই।।"
তবে শাস্ত্রীয় বিধানে নারী মুনী না থাকুক। ইদানিংকালে জীবনের বিধানে নারীর মূল্য ও অপরিহার্য্যতাও কম নয়। তবে যাহাই হৌক পুরুষ হৃদয়ের আর্দশ হয়ে রবীন্দ্রনাথ আমার হৃদয়েই বিরাজ করুন!
২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: @ আমিই রূপক, আপনি আবারও এ্যাক্রোশ দ্য লাইন খেললেন, এবার বোধহয় আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিয়ে দেবে।।। আপনি সুখী কি দুঃখী সেই প্রশ্ন কেউ করেনি, সুখী মানুষের তো জামা হয়না..অথচ আপনি-আমি দুজনেই তো দিব্য জামা পড়ে আছি...তাহলে মানে কী দাঁড়ালো???
একেকজনের দুঃখের ধরন একেকরকম,. বস্তিতে যারা থাকে ওদের দুঃখগুলো হচ্ছে এক একটি শিলাখণ্ডের মত, যে কারণে খুব সহজেই দৃশ্যমান...কিন্তু ওদেরও কিন্তু মানসিক শান্তি আছে.....আমি বুয়েটের আশেপাশে এমন অনেক ছিন্নমূল মানুষ দেখেছি, তাদের দুঃখের শেষ নেই, কিন্তু তবুও তাদের মধ্যে আনন্দ আছে।।। আর ইন্টারনেট চ্যাট করা যার দৃষ্টান্ত দিলেন তার দুঃখগুলো abstract.....
আর আপাতত লেখকের সঙ্গে আমা দুঃখ সংক্রান্ত দ্বৈরথ হচ্ছেনা..কী নিয়ে হচ্ছে সেটা আমার মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করলেই বুঝবেন।।।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১১
অপ্সরা বলেছেন: সেই তো আমরা কোথায় দুঃখ ভুলে থাকার উপাদান গুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কোথায় চলে এসেছি নিজেই ভুলে গেছিলাম।
এইমাত্র মনে পড়লো আমরা দুঃখ নিয়ে কথা বলছিলাম শুধু সেটা ভুলে থাকতেই। আর কিনা এখানে এখন কে কেমন দুঃখী তার নিসেবনিকেশের খাতা খুলে বসতে হোলো??
হাহাহাহাহা ।
এখন ভাবছি সত্যি তো এসব দুঃখবিলাস!!!!!!
২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২
আমিই রূপক বলেছেন: @লেখিকা, ছবি আঁকা, গান শোনা, গান গাওয়া ইত্যাদীর দ্বারা দুঃখকে জয় করা যায় এ কথা আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু তা সাময়ীকভাবে। ভাগ্য ভালো থাকলে মরণ পর্যন্ত। কিন্তু এগুলোকে পেইন কিলার হিসেবে দেখলে চলবে না। এগুলোকে তাদের পূর্ণ মর্যাদা দিতে হবে। দুঃখকে সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি যদি জয় করতে চান তাহলে এমন কছু খুঁজে বের করুন যা পরম সত্য। এমন কিছু খুঁজে বের করুন যেখানে সবকিছু ধংস হয়ে গেলেও আপনি নিজেকে খুঁজে পাবেন।
আর একটা কথা, আমি মোটেও হতাশাবাদী নই। আমার আগের মন্তব্যটি পড়লে এ সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
অপ্সরা বলেছেন: দুঃখকে সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি যদি জয় করতে চান তাহলে এমন কছু খুঁজে বের করুন যা পরম সত্য।
কি সেই সত্য ??? তুমি কি খুঁজে পেয়েছো??পেয়েই থাকো যদি তো দয়া করে জানিয়ে দাও।
এমন কিছু খুঁজে বের করুন যেখানে সবকিছু ধংস হয়ে গেলেও আপনি নিজেকে খুঁজে পাবেন।
সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেলে নিজেকে আর কোথায় পাবো?বরং আমি ধ্বংস হয়ে গেলেও আমার দুঃখজয়ের অবলম্বন গুলো ধবংস হবেনা কখনও । আর এই ভাবে হয়তোবা অনেকেই দুখগুলোকে জয় করে নেবে।
৩০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২
আমিই রূপক বলেছেন: @ হিমালয়, দুঃখসংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে আলোচনাতে আপনি ব্যাট-বল নিয়ে আসছেন সম্ভবত এটাও এক ধরণের দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা। কি বলেন?
আর বুয়েটার আশেপাশে যাদের দেখছেন তাদের দুঃখের কোন শেষ নেই এ কথাটাও আমি মানতে পারছি না। তাদেরও দুঃখের শেষ আছে। হোক না তা যতই দূরবর্তী।
আমি প্রথমেই বলেছি আমি দুঃখকে দুঃখ হিসেবেই দেখি। দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করিনা। আমি দুঃখী কিনা সেটা কেউ জিজ্ঞাসা করেনি সত্য। আমি সহানুভূতির আশায় কথাটা বলিনি। বলেছি ষুধু উদাহরণ হিসেবে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
অপ্সরা বলেছেন: আমিও কিন্তু আমার দুঃখ/ সুখ বিলাসের কতগুলো উদাহরণ ই দিয়েছিলাম। হিমালয়ের কথার সূত্র ধরে।
৩১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
আমিই রূপক বলেছেন: আমি বলে দিলেও আপনি সেই পরম সত্যকে পাবেননা। আমিও পাইনি তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আপনিও চেষ্টা চালিয়ে যান। পরম সত্যের অসংখ্য নিদর্শন আপনার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
সবকিছু ধংস হয়ে গেলেও আপনি নিজেকে খুঁজে পাবেন সেই পরম সত্যে। আর সব কিছু ধংস হবেই। আপনি ধ্বংস হওয়ার অনেক পরে হলেও ধ্বংস হবেই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৫
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ধ্বংসের অপেক্ষায় রইলাম।
৩২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
রুবেল শাহ বলেছেন: এই মেয়ে এত দুঃখ কিসের....................?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৭
অপ্সরা বলেছেন: দুঃখ নাতো দুঃখবিলাস! দেখছোনা দুঃখবিলাস সুখবিলাস নিয়ে কি তর্কবিতর্ক চলছে।
৩৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: @ রূপক, আপনি লেখার শিরোনামটা দেখেন, আরও ২বার পড়েন, বুঝেন..তারপর মন্তব্য করেন.........আপনি বিষয়টাকে যেভাবে দেখছেন বিষয়টা মোটেই সেরকম কিছু নয়.........উনি কি বলতে চেয়েছেন সেটাই বোধহয় ধরতে পারেননি এখনো, তাই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেই যাচ্ছেন।।।।।।
আর একটা কথা, আপনার কথা-বার্তা একটু কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের মত মনে হচ্ছে, আপনি কি আসলেই কলেজে পড়েন???
@লেখিকা, লেবুর সব রস কিন্তু শেষ হয়ে গেছে...সুতরাং বুঝতেই পারছেন এবার লেবু তেতো লাগতে শুরু করেছে। আমরা যে ইস্যুতে কথা বলছিলাম মানুষের misinterpretation এর কারণে আমরা তার থেকে অনেক দূরে এসেছি মনে হয়।।।
আপনাকে কাল "...র্দাপ" পড়তে বলেছিলাম.........দয়া করে পড়ুন এবং এ সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নের উত্তর আমার ব্লগে দেয়ার অপেক্ষায় রইলাম।।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৯
অপ্সরা বলেছেন: মেইন ইস্যু থেকে যখন সরেই এসেছি তখন চলো নতুন ইস্যু নিয়েই না হয় আন্দোলন গড়ে তুলি। হাহাহা
হ্যা তোমার "...র্দাপ" পড়তেই এখন লগ ইন করলাম।
৩৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
আমিই রূপক বলেছেন: @হিমালয়, আপনি কেন আমার উপর রাগ করছেন বুঝতে পারছিনা।
"আপনার কথা-বার্তা একটু কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের মত মনে হচ্ছে"
কলেজে পড়ুয়া ছেলেদেরকে কি আপনি অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখেন? নাকি আপনি মনে করেন তারা আপনার থেকে কম জানে?
"আপনি কি আসলেই কলেজে পড়েন???"
জ্বী না, আমি কলেজে পড়িনা।
আমার কথার মানেটা হয়তো আপনি বুঝেননি বা আমিই হয়তো বুঝাতে পারিনি।
দুঃখ শব্দটা একই সাথে সব দুঃখকেই নির্দেশ করে। পরিস্তিতির ভেদাভেদ থাকতে পারে কেবল।
দুঃখকে পুরোপুরি জয় করতে হলে পরম সত্যকে খুঁজে বের করতে হবে। পরম সত্যকে চিনতে হবে, তাকে ভালবাসতে হবে। এই কথার অর্থটা অবশ্য আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩০
অপ্সরা বলেছেন: ওকে রুপক শান্ত হও এখন ! হিমালয়কে বলে দেবো পরম সত্য খুজে বের করতে।
৩৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ভালো লাগলো অপ্সরা তোমার ভাবনাগুলো......।
শুভকামনা রইলো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৫
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজি আপু !! কেমন আছো?
৩৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৫
আমিই রূপক বলেছেন: ধ্বংস হবার পর পরম সত্যকে পেয়ে লাভ নেই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৬
অপ্সরা বলেছেন: এত লাভ ক্ষতির হিসেব কষতে নেই!
৩৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৯
আমিই রূপক বলেছেন: সব কিছু কেমন যেন হাস্যকর হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা! বেশী সিরিয়াস হয়ে যাবার কি দরকার?এত সিরিয়াসনেসে জীবন চলেনা।
৩৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২২
আমিই রূপক বলেছেন:
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!!
৩৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪০
মেহবুবা বলেছেন: পেইন কিলার হিসেবে ব্যবহৃত ঔষধ এবং পথ্য কার্যকরী মনে হচ্ছে । তবে গান আর বই পড়া আমার কাছে অব্যর্থ মনে হয় ।সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা কারো সাথে শেয়ার করা ,ভাল বন্ধুর সাথে ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৭
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক বলেছো মেহবুবা আপু।
গান শোনা গান গাওয়া দুটো ই কার্য্যকরী অব্যার্থ ঔষধ! হাহাহা
ভালো থেকো অনেক অনেক!!!
৪০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৩
আবু সালেহ বলেছেন:
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে, দিবস গেলে করবো নিবেদন!!
আমার ব্যাথার পূজা হবে সমাপন!!!
দারুন...........
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৮
অপ্সরা বলেছেন: হুম !! একদিন সমাপন হবে এই আশায় প্রদীপ জ্বালিয়েছি।
৪১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২১
সুরভিছায়া বলেছেন: পেইন কিলারের থিওরী কাজে লাগিয়েছি আগে পরে ,আজকাল রেজিস্ট্যান্স গ্রো করেছে মনে হয় । ভাল থেক অপ্সরা ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: তোমার পেইন কিলার তো মনে হয় তোমার লেখালিখি।
হাহাহা যাই হোক সেটাও কিন্তু ভালো থীওরী!
৪২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০০
জটিল বলেছেন: কিছু বললাম না থাক ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা! কেন বল্লানা জানিনা ভেবেছো? এত্ত বড় পোস্ট দেখে তোমার মত চন্চলমতি মানুষের পড়ার কথা না । পড়নি তাই বলার কিছুও নাই। হাহাহাহা
আমিও অবশ্য অনেকের বেশী বড় পোস্ট দেখলে পালাই।যাইহোক ঢু মারার জন্য আর এই মন্তব্যটার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস!!
৪৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৬
জটিল বলেছেন: পড়েছি , ভুল জেনেছো আমাকে এটুকুই বললাম ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১৬
অপ্সরা বলেছেন: আমি মানুষকে ভুল জানায় আর ভুল বুঝায় ওস্তাদ! ভুল জানার জন্য স্যরি।
৪৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামীম!!
৪৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৩
আমিই রূপক বলেছেন:
মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাইলাম আরকি!
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৬
অপ্সরা বলেছেন: মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণ টা কি?
৪৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
রাস্তার ছেলে বলেছেন: আরে বেঁচে আছি সেটাই তো আনন্দের? প্রতিটা মুহূর্তকে উপভোগ করি অনুভূতির সবকটা দরজা খুলে দিয়ে! যাকে দুঃখ বলি, সেটাতো জীবনে চলার পাথেয়!
***আসলে কোন কমেন্ট করি নি, আমার ভাবনা শেয়ার করলাম আরকি!
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩১
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক। বেঁচে থাকাটাই অনেক আনন্দের!দুঃখ যখন কাবু করতে পারেনা বা দুঃখ কে কাঁচকলা দেখিয়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে সঁপে দিয়ে চলার নামই হয় তো দুঃখ বিলাস!
আমার দুঃখ গুলোকে আমি জয় করেছিলাম কোন কোন পন্থায় এটাই লিখতে গিয়ে নানা তর্ক বিতর্কে। হাহাহা
"যাকে দুঃখ বলি, সেটাতো জীবনে চলার পাথেয়! "ঠিক বলেছো একদম!!!
ভালো থেকো ছেলে!
৪৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১১
আমিই রূপক বলেছেন: আপনার দুঃখ বিলাস লইয়া যত মতামত তাহার চাপে পড়িয়া আমি আমার নিজস্ব মতামতই ভুলিয়া গিয়াছি। কি যেন বলিয়াছিলাম পূর্বে তাহা আর এখন মনে নাই। প্রথম হইতে পূনরায় পাঠ করিবার শক্তিও নাই। তাই কোনমতে কাজ সারিলাম। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাইলাম।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০
অপ্সরা বলেছেন: এখন মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মাঝে একখানা কথা শুনো, এত যে দুঃখ দুঃখ মৌলিক চাহিদা অন্ন বস্ত্র বলে চিল্লাচ্ছিলে । আমি বলতে চাইছিলাম আমার দুঃখগুলো আমি কোন কোন উপায়ে ভুলি। আমার কি মৌলিক চাহিদা না মেটানোর মত কোনো দুঃখের কথা বলেছিলাম ?? না আমি বলেছিলাম আমার একান্ত কোনো ব্যাক্তিগত দুখের কথা, যা আমি সেই ৫ বছর বয়স থেকেই ভুলে থাকবার পন্থা গুলো জেনে গেছিলাম।
তুমি কি বুঝলে আল্লাহ জানে। সেই নিয়ে শুরু করলে মৌলিক চাহিদা, অন্ন, বস্ত্র, সুখে থাকতে ভুতে কিলানো, আরো কত কিছু!! আরে বাবা সবার দুঃখ কি ঐ মৌলিক চাহিদাতেই সীমাবদ্ধ?? এতটুকু বুদ্ধি নিয়ে কি করে জগৎ চলবে? হাহাহাহা। এই বিচিত্র পৃথিবীতে বিচিত্র মানুষদের দুঃখগুলো তাই একেকজনের কাছে একেকরকম। একজনের কাছে যা পরম দুঃখ। অন্যের কাছে তাই হয়তো দুঃখবিলাস।
৪৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৭
সুরভিছায়া বলেছেন: আগে বলতে ভুলে গেছি , তোমার অনেক গর্ব করবার কথা , তুমি এমন একজন মায়ের মেয়ে , যে মা তোমাকে ভেসে যেতে বা হেরে যেতে দেন নি ,ভাগ্য তোমাকে ঠিক বঞ্চনা করেনি ,খানিকটা বাজিয়ে দেখেছে মা - মেয়েকে । ভাল থেকো অপ্সরা ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
অপ্সরা বলেছেন: একটু একটু গর্ব আছে হয়তোবা প্রছন্নভাবে।কোনোকোনো ক্ষেত্রে অহংকার ও বলতে পারো।যাইহোক সেসব ঠিক কি বেঠিক জানিনা। ভাবিও না এত কিছু। শুধু জীবন যাচ্ছে চলে জীবেনর নিয়মে!
৪৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৫
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: পোস্ট আর কমেন্টগুলো পড়ে অনেক কিছু জানা হলো.....।
ভালো থেকেন...অনেএএক.......।
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: আমার নিজেরও অনেক কিছু জানা হলো।হাহাহা!!
তুমিও ভালো থেকো।
৫০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৯
রাশেদ বলেছেন: খাইছে!
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: কি খাইছে? কে খাইছে??????
৫১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০৭
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: লেখাটার প্রসংশা অবশ্যই করতে হয়। চমৎকার লিখেছেন তো বটে!!
যে মন্তব্যগুলো এসেছে সেগুলোও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
এটা ঠিক যে প্রতিটা মানুষের ভিতরে অন্য একস্বত্ত্বা লুকায়িত থাকে...................।
ভালো থাকুন
শুভেচ্ছা থাকলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চিটি আপু। তোমার মত একজন লেখিকা প্রশংসা করলে লজ্জা পাই। আমি যা মনে আসে তাই লিখি তোমার মত সুচিন্তিত লেখা না মোটেই।
অনেক অনেক ভালো থেকো।
৫২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৩
জেমসবন্ড বলেছেন: যার জীবনে কোন দুংখ নাই , সে বলে , ওহ ! লাইফটা একদম ডাল (মুসুরীর ডাল না প্রাণ ডাল ) ।
তবে, সত্যিকথা হল, দুংখে যাদের জীবন গড়া , মানুষ তাদের নাম ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: আর দুংখ ছাড়া মানুষগুলো বুঝি অমানুষ???
দুংখ ছাড়া কি মানুষ হয়??????
শুনিনি কখনও ..............
৫৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭
কালপুরুষ বলেছেন: আরে এই মেয়েতো দেখি দারুন লেখে। নিজের শখের কথাগুলো কেমন অকপটে বলে গেল অনায়াস ভঙ্গিতে। সুখ বিলাসই হোক আর দুঃখ বিলাস সবই মানুষের ভেতরের অনুভূতি। বাহ্যিক জীবনের নানা ঘটনা ও দৃশ্য মানুষের মনকে যেভাবে নাড়া দেয় মানুষও সেইভাবেই তার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে। তা সে দুঃখের মাধ্যমেই হোক বা সুখের মাধ্যমেই হোক। মানুষ কখনো বলে কয়ে সুখ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারেনা, যদি করেও সেটা আসল নয় অভিনয়। মানুষের ভেতরের অনুভূতির স্বাভাবিক প্রকাশটাই মানুষের চূড়ান্ত অভিব্যক্তি। তা হাসের ছলেই হোক বা কান্নার ছলে। খুব ভাল লাগলো তোমার অনুভূতির প্রকাশ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: তোমার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কালপুরুষ ভাইয়া।
আমার জীবনে সত্যি সত্যি শখের শেষ নেই যেন!! সুখ দুঃখ যাই বোলো আমি সব কিছু নিয়েই খুশি। সুখেই আছি মনে হয়।
আমি আপনার মাঝে আপনি হারা
আপনো সুরভে সারা
যেন আপনার মন আপনার প্রান আপনারে সঁপিয়াছি।
সুখে আছি সুখে আছি সখা আপনমনে!!
৫৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪১
নম্রতা বলেছেন: অপ্সরা তুমি সুন্দর লিখেছো !
আমার সুখ দুঃখের কথা ব্লগে লিখে শেষ করা যাবে না। একদিন বলব দেখা হলে ! ভাল থেকো !
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম নম্রতা । বুঝতে পারছি আমি শুধুমাত্র যে দুঃখের কথাটা বলেছি, আমার সে দুঃখের সাথে তোমারও কোথাও হ্য়তো মিল আছে।
আমি তো শুধু একটা দুঃখই বলেছি মাত্র। আরো কত শত দুঃখ বুকে চেপে আজ এখানে এলাম। থাকুক নাহয় সেসব কথা। সুখ নিয়েই সুখী হতে চেস্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ভালো থেকো নম্রতা পৃথিবীর যেখানে যে প্রান্তেই থাকোনা কেনো, অনেক অনেক ভালো থেকো।
৫৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮
নীলদ্বীপের স্বপ্নকন্যা বলেছেন: এখানে তো দেখি জীবনদর্শণ আর মনস্তত্বের উপর অনেক গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়ে গেলো।অনেককিছু জানা হলো। সময় স্বল্পতার কারণে সবগুলো মন্তব্য পড়তে পারলাম না।
তবে হিমালয় ভাইয়ার সাথে আমি এবেপারে একমত -
*"প্রত্যেক মানুষই নিজেকে নিয়ে অদ্ভুত কিছু ফ্যান্টাসিতে ভুগে, প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে "মাইন্ড গেম" খেলে , নিজেকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা,ব্যতিক্রম ভেবে পুলকিত হতে চায়।।।আসলে একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রিতে সবাই ব্যতিক্রম অন্যের সাপেক্ষে, এটাকে আমি বলতে চাই স্বাতন্ত্র।।। তবে greater respect এ সবাই একই রকম, আসলে ব্যতিক্রম বলে আমরা যাকে ভাবছি সেটা হচ্ছে "অতি common" এর একটু অপ্রচলিত রূপ।।।।তাই এই রহস্য-রহস্য খেলাটা লিঙ্গ নিরপেক্ষ, বরং বলা যেতে পারে এই রহস্যটুকুই বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।।।"
আর আপু...দুঃখবিলাস এর একটা ভাল পেইন কিলার আমার মনে হয় "কল্পনাবিলাস / স্বপ্নবিলাস"। অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে এটা অনেক কার্যকর !
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: নীলদ্বীপের স্বপ্নকন্যা সবাগতম তোমাকে। তুমি এত সুন্দর নিক কোথা থেকে পেয়েছো?? তোমার নিক দেখেই বুঝা যায় কি পরিমান কল্পনা বিলাসী তুমি।
যাই হোক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি কি কি ফ্যান্টাসিতে ভুগি জানলে হয়তো তুমি হাসবে। অবশ্য তুমি বলেছো সবাই কোনো না কোনো ভাবেই ব্যতিক্রম অন্যের সাপেক্ষে। তাই হয়তো যে কারো ফ্যান্টাসি জানতে পেলেই আমরা হাসবো।
তবে, কল্পনা বিলাসকে আমি সব থেকে ভালো পেইন কিলার ভাবিনা। আমি সবচাইতে তৃপ্ত হই সৃষ্টিতে। কিছু না কিছু সৃষ্টিতে আমার অনেক অনেক ব্যথার পূজা সমাপিত হয়।যেমন ধর খুব মন খারাপ হলে একটা ছবি একে ফেলা, নয়তো একটা নতুন নাচ তুলে ফেলা, নয়তোবা একটা নতুন লেখা, হতে পারে একটা ছোট্ট পুতুল বানিয়ে ফেলা। সবই হতে হবে নিজের হাতে।
অনেক ভালো থেকো স্বপ্নকন্যা স্বপ্নদেরকে নিয়ে।
৫৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৭:২৪
মে ঘ দূ ত বলেছেন: বাহবা! অনেক কিছু জানা হয়ে গেল এক পোষ্ট আর মন্তব্য থেকে। হিমালয়ের এক শতকপূর্তি পোষ্টে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বলেছিলাম, বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের গুণের কারণে তার পোষ্টের চাইতেও মন্তব্যগুলো পড়া হয় বেশি। নিজে তার ভিন্নমত পোষণ করলেও তার মন্তব্য থেকে বরাবরেই নতুন কিছু জানা যায়।
কোথায় যেন শুনেছিলাম, হাসি হচ্ছে মনের ব্যায়াম। বেশি বেশি করে মনের ব্যায়াম করে মনকে হাসিখুশি রাখুন আর আপনার চারপাশকে আলোকিত করুন। ভালো না হয়ে সে যাবে কোথায়।
৫৭| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হিমালয় হলো ১০১% সৎ একজন মানুষ। তার কোনো কাজেই কোনো ফাঁকিঝুকি খুঁজে পাবেনা। তার বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্য দেখে ও আরো নানা কিছুতেই সেটাই বুঝা যায়।
অনেক ধন্যবাদ এতগুলো পূরানো লেখা পড়বার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৪
ফ্রুলিংক্স বলেছেন: ভাল্লাগছে
(এক মন্তব্যেই এত্তো বড় লেখা)
মিনুছে কি বা আসে যায়??