![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেবু লিংকঃ www.facebook.com/ioolz
বছর আগের আমি আর এই ক'দিনের আমি-এর মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ বাড়িয়া চলিল। শারীরিক আর মানসিক পরিবর্তন ঢের বেশি লক্ষ্য করিতে লাগিলাম ক'দিন ধরিয়াই। চেহারার মলিনতা গ্রাস করিয়া কোন এক অজানা মরুর পাথুরে পুতুলের পুর্বরুপ যে হইয়াছি, তাহা এদ্দিন চোখে পড়িল না। আগের মত ভাব দেখাইয়া পথে চলিতেই শত বিড়ম্বনায় অসীন হইব চিন্তা করিতাম না। কিন্তু ধ্যান পাল্টিয়েছে। সময়ে আমি বড্ড পরিবর্তনে পড়িয়াছি। দু'মাস আগে ক্যামেরাম্যান বা ওমেনকে বলিতুম,
-ওহে দাদা/দিদি তোমার ক্যামেরাতো মশাই ডিএস এল আর নহে, কিঞ্চিত যুম করিয়া তৎক্ষণাৎ ফটু তুলিও। যাহাতে পেছনের দৃশ্যপট ঝাপসা হইয়া যায়।
নায়কের মত ফটু তুলিয়া সঞ্চয়ঘরে জমা রাখিতাম। কখনো অপেন করিয়া দেখিতাম। সে থেকে কতক বালিকা আমাকে তাহাদিগের ইংরেজি ভাষায় হিরো বলিয়া ডাকিত। আমি চোখ না ফিরাইয়া ভাব লইয়া হাঠা শুরু করিলে কতক ভাল লাগা কাজ করিত। বালিকা সমাজের এহেন পাগলামি আমার বড়াই খানা শুণ্যে তুলিয়া রাখিত। কিন্তু এই ক'দিনে চেহারার বেহাল দশায় তাহা শুন্য থেকে মর্তে কিংবা পাতালে গিয়া হৈ হৌল্লুড় করিবে নিশ্বিত জানি। তাই এখন ফটোগ্রাফারকে নির্দ্বিধায় বলিয়া বেড়ায়, দাদা আমি ফটো হাকিনা। তিনি কাকতুল্য প্রাণী হইয়া হা করিয়া কাঁ কাঁ করেন। আর আমি চোরের মত পালিয়া হাপাইয়া যায়।
সদ্য এক বন্ধু আমারে দেখিয়া কহিল, তুইত সালা জল্লাদের মুকুশ পড়েছিস। বাসায় আসিয়া জল্লাদ সমাজের জন্যে কেমন জানি মায়া হইতে লাগিল। মনে মনে কহিলাম, জল্লাদ কি আমারি মতন কদাকার! ফের ভাবিলাম, সব জল্লাদ কি একই চেহারার অধিকারি! বিজ্ঞানের প্রসিদ্ধির যুগে আমাকে অবস করিয়া দিল। হেতু জিজ্ঞাসায় মন উত্তর করিল, বিজ্ঞানের পড়ালেখায় আমি ব্যার্থ!
মেঘনাদবদ পড়িয়া নিজেকে রাম সাজাইয়া দিলাম। কেননা রাবনের ডিকশনারিতে রাম গাধা, কাপুরুষ। তদরুপ, রামায়ন পড়িয়া ভাবিলাম আমি রাবণ। কেননা নিজেকে ভিলেন ব্যাতিত অন্য কিছু মনে করিতে পারিনে। জিউসের হন্তারকের প্লানে নিজেকে সাজাইয়া নিই যখন গ্রিক সাহিত্ব্য গ্রাস করি।
এতটা পরিবর্তিত হইয়াছি যে...
নিজেকে নিজে ভুলে যায়!
©somewhere in net ltd.