নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্জুন

বাড়ি ঘর ছেড়ে এসেছি। একা থাকতে চেয়েছি, পারিনি। বৃষ্টির ফোটোগুলো জড়িয়ে ধরেছে। জোছনাগুলো তাড়া করে বেড়িয়েছে সারা রাত। একা থাকতে চেয়েছ, নিঃসঙ্গতা সঙ্গী করেছে। হতবাক হয়েছি। একা হতে পারিনি তবুও।

*অর্জুন*

ফেবু লিংকঃ www.facebook.com/ioolz

*অর্জুন* › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি! যারা কোন কাজে আনন্দ পান না, তাদের জন্যে লিখলাম।;);)

১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

সবটা পড়লে কিছুটা সমাধান পাবেন। ;)





বসে আছি, জানালার পাশে। জানালা দিয়ে তাকালে আকাশ দেখা যায় না। কারণ, এদিকটাই সবটা সবুজে ঘেরা। কড়া রৌদ্দোরে গাছের সবুজকে গাড় সবুজ মনে হচ্ছে। কয়েকটা পাখি ডালে ডালে বাসা বেধেঁছে। খড় রঙের সাথে গাছের রঙ একাকার হয়ে পাখির বাসাটা একটা ধাধাঁ সৃষ্টি করেছে। এই বাসা দেখতে হলে মনের সামান্য গাড়তা দরকার। কিছু কল্পনা দরকার। বাইরের সবটা রোদে পোড়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখানটাই রোদ নেই। সামান্য অন্ধকার আছে, তবে এই অন্ধকার ভীতিকর না। বরং, আকাশটাকে একটা মেঘলা আভা দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর একটা দু'টা পাখির শব্দ শোনা যাচ্ছে। খুব মায়াবি শব্দ। এই শব্দ সামান্য কৌতুহল সৃষ্টি করছে। প্রকৃতি কৌতুহল সৃষ্টিতে ব্যাস্ত। শব্দটা কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। মনে হচ্ছে গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে বসে পা দোলিয়ে পুকুরে ঢিল ছোড়ঁছি আর পাশের জাম গাছের ডালে বসে দোয়েলটা গান শোনাচ্ছে। এদিকটাই পানির শব্দ তেমন একটা নেই। তবুও মনে হচ্ছে পানির আওয়াজ সবদিকে হৈ হৌল্লোড় করছে। আমার অবচেতন মন হয়তো এমনটা সৃষ্টি করেছে। তবে হে, কিছুক্ষণ পর পর গাছের পাতার মরমর শব্দ শোনা যাচ্ছে। হয়তো পাশের জঙ্গলের মত গাছ ঘেরা বাড়ির চারপাশ কোন গৃহিনীর হাতে শানিত হচ্ছে।



হয়তো তিনি অনেক বৃদ্ধা কেউ। হয়তো হাতের চাপ কমে গিয়েছে। হয়তো দূরে বৃদ্ধ দাদুটা তাকিয়ে আছেন আর খানিকটা হাচ্ছেন। বৃদ্ধের হার্টে সমস্যা, তবুও চাপ নিতে তিনি ভালবাসেন। কেননা তিনি শান্তি পাচ্ছেন। যে ইজি-চেয়ারে বসে আছেন তার পাশ ফিরে হয়তো তাকাতে কষ্ট হচ্ছে। হ্যা, তবুও তাকিয়ে আছেন। কারণ তিনি শান্তি পাচ্ছে।



আমি ভেবে শান্তি পাচ্ছি। আমারটা কল্পনার শান্তি আর তারঁটা কষ্টের শান্তি।



আচ্ছা শান্তি কত প্রকার?



হয়তো অনেক প্রকার...



হাসপাতালে বসে যখন মাথার একপাশ কাজ করছে না, তখন হঠাৎ ভিজুয়েল হেলুসিনেশন হলো। রোগী দেখলেন, তিনি সেড়ে উঠবেন। হাসপাতালের বিরক্তিকর বেডে হেসে উটলেন। হ্যা, তিনি শান্তি পেয়েছেন।



অনেকদিন পর বৃদ্ধ বাবা তার মৃত ছেলে কে স্বপ্নে দেখেছেন। কেদেঁ উটলেন। কিন্তু তিনি শান্তি পেয়েছেন। তার শান্তি ভীতিকর শান্তি নয়। বরং আবেগের শান্তি।



ফাসিঁর কাষ্টে কাল ঝুলে মারা যাবেন, তিনি জানেন। কিন্তু স্বপ্নে দেখলেন তিনি বাচঁবেন। স্বপ্ন থেকে উটে ভয়ে বসে আছেন। ঘাম আসা ভয় না। অন্যরকম ভয়। কারণ তিনি শান্তি পেয়েছেন। তার শান্তি ভয়ঙ্কর শান্তি।



আরো পাছঁহাজার টাকা পেলে অসুস্থ বাবাকে বাচাঁতে পারবেন। কিন্তু সারাদিন মিলে ৫০০ আয় করেছেন। তবুও তিনি হাসছেন। তার হাসি শান্তির হাসি। আর এই শান্তি অপূর্ণ শান্তি। আশার শান্তি।



ছোট বাবুটা বাবাকে হারিয়েছে। দূর থেকে আমাকে দেখেছে। আমার সাথে তার দেখা হয়েছিলো, যখন তার সাথে তার বাবা ছিলো। কান্নার মাঝেও সে হাসি ফোটিয়ে তোলল। কারণ সে শান্তি পেয়েছে। তার শান্তি ও আশার শান্তি।



অনেকদিন পরে ছেলে বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছে। মা তাকে জড়িয়ে কেদেঁ উটলেন। হ্যা, এটিও আবেগের শান্তি।



মানুষ শান্তি পেতে চায়। সারাজীবন দুঃখ কষ্টে উপার্জন করে সঞ্চয় করে। কারণ, সে তার ছেলে মেয়েদের শান্তি দিতেও চাই। সে শান্তির গুরুত্বও বোঝে।



অনেকের ধারণা, এই শান্তি খুব জটিল একটা জিনিশ। তার ধারণার কারণ, সে শান্তির জন্যেই কষ্ট করে। সারারাত পড়ে। কারণ, সকালের পরীক্ষার ফলাফল যাতে শান্তির যোগান দেয়।



এই লেখাটা লিখেছি অশান্তিতে পড়ার জন্যে, যাতে কিছু শান্তির উপায় সবসময় মনে থাকে। প্রথমেই আমার ডাইরির কিছু পাতা সরাসরি লিখবো। তারপর সরাসরি বলবো, কিভাবে কষ্ট ত্যাগ করে শান্তি পাওয়া যায়।



ডাইরির লেখা-১

__________________



"তাহার সহিত ঘুরিতে ঘুরিতে আমি চট্টগ্রাম শহরের কাজির ঢেউড়িতে পৌছিলাম। তখন সূর্য্যি সবে ঘুমিয়া পড়িলো। সে বিসিজি ট্রাস্ট মেডিকেল থেকে আসিয়াছে আজ। বিসিজি ট্রাস্ট থেকে থেকে শহরে আসিতে দু' বা তিন ঘন্টা ব্যায় হয়। মেডিকেল ছাত্র বলিয়া আমার ঐ বন্ধুর সময় কম, আমি জানিতাম। তাহলে এত দূরত্ব পার করিয়া এখানে আসার অর্থ কি হইতে পারে?



আমি সাইকোলজিতে কাচাঁ। তাহার চেহারা দেখিয়া তাহার ব্যাখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু আমার বিশ্বাস করিবার যোগ্যতা ঢেড় বেশি। তাহাকে সরাসরি জিজ্ঞাসিলাম, দোস্ত তোমার কি আনন্দের ঘাটতি পড়িয়াছে। তাহার উত্তরে যাহা জানিতে পারিলাম, তাহার সারমর্ম হইলো, সে মেডিকেল পড়ালেখা নিয়া চিন্তাতে আছে। শান্তি পাইতেছে না।



কিছুক্ষণ হাটিয়া আমরা শিশুপার্কের বৃদ্ধ গাছটির নিছে আসন পাতিয়ে বসিলাম। সময় হইবে মনে করিয়া প্রস্তুতি লইয়াছি।



আমি তাহারে কহিতে শুরু করিলাম। কহিলাম,



*রিকশাওয়ালা দেখিয়াছ?

-দেখিয়াছি।

*আচ্ছা সে যদি রিকশা চালাইবার সময় মনে করে সে যাত্রির মত মজা পাইতেছে তাহলে কি সে বিরক্ত হইবে?

-না।

*আচ্ছা সন্ধ্যের হাওয়া খাইতে তুমি বাহির হইয়াছ। মনে হইলো রিকশা ভ্রমণ করিবে। রিকশাই উটিয়া তুমি বসিয়াছ। তোমার কি বিরক্ত লাগিবে?

-না।

*ধরো, তুমি বসিয়া বসিয়া ফিল্ম দেখিতেছ। বড় ভাই আসিয়া কহিল, বের হইতে হবে কোন কাজে। তুমি রিকশাতে উটিয়াছো কাজটি সাধনের জন্যে যাইতেছো। তোমার কি আনন্দ লাগিবে?

-না।

*পাইলট প্লেন চালাইয়া মজা পাইতেছেনা। কিন্তু যাত্রি মজা পাইতেছে। কারণ জান কি?

-না।



কারণ হলো, পাইলট বা রিকশাওয়ালা বা তুমি কাজটাকে কাজ হিসেবে লইয়াছ। কাজ মনে করিয়া কাজ করিতেছো বলিয়া কষ্ট পাইতেছো। শান্তি মনে করিয়া সাধন করো। সত্যিই শান্তি পাইবে।"





ডাইরি লেখা-২

____________



"আমি বসিয়া আছি। মাঝে মধ্যে রুমমেটের দিকে খেয়াল করিতেছি। আমি সাধারণত এত খেয়াল করিনা। এই বার খেয়াল বেশি করিতেছি কারণ দুইটা...



১. মনে হইতেছে রুমমেট আগের চেয়ে দুঃচিন্তাই কছে।

২. গতরাতে তার সমস্যা সংক্রান্ত একটা স্বপ্ন দেখিয়াছি।



আমার দুই ভাবনাকে যুক্তি দেওয়ার মত। কারণ, দুই দিন ধরিয়া সাইকোলজি নিয়া ভাবিতেছি। আমি জানি এদিকটাই আমার জ্ঞান সামান্য বাড়িয়াছে। আর তাছাড়া নিজের সামান্য 'ই এস পি' বাড়িয়াছে। স্বপ্নে যাহা দেখি তাহা অহেতুক নাও হতে পারে। সুতরাং তাহাকে সরাসরি প্রশ্ন করিলাম, তাহার সমস্যা আছে নাকি!



সে উত্তর করিলো না। আমি তাহার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক হইবার মত একটা কথা আন্দাজে ছুড়িলাম। দেখি কথা মিলিয়া গিয়াছে। সে আমার সাথে কথা বলিতে চাহিল। কারণ, মানুষ দুঃখ বুঝাইয়া আনন্দ পাই।



তাহার ভাষ্য শুনিয়া বুঝিলাম, তাহার গার্লফ্রেন্ডের সহিত তাহার বিচ্ছেদ ঘটিবার কারণ, তাহার(তনয়ার) বিয়ে হইবে। আর সে কারণে সে চাহিতেছে সে বিচ্ছেদ ঘটাইবে। কিন্তু পারিতেছে না। তাহার মনে অশান্তি।



আমি আমার রুমমেটের চেয়ে বয়সে বড়। তাহার মাথায় হাত বুলাইয়া কহিলাম, শান্তি চাও?



সে কহিল, হ্যা।



আমি তাহাকে কহিলাম, তুমি মেয়েটার খুট ধরা আরম্ভ করিয়া দাও আর খাতার পাতায় লিখিয়া ফেল। দেখিবে, বিচ্ছেদের বেদনা তোমার কাছে শান্তি হইয়া টিকরাইবে।"





উপরে ডাইরির দুইটি ঘটনা তোলে ধরেছি। প্রথম ঘটনাতে পজিটিবলি শান্তি অর্জনের ট্রিক্স সংক্রান্ত আর ২য় টা নেগেটিবলি শান্তি অর্জনের ট্রিক্স।



হুম, আপনি যদি শান্তি পেতে চান তাহলে দুইটা উপায়ই ব্যাবহার করতে পারেন।



যে শান্তির জন্যে আপনি আজ এত ব্যতিত, আমি জানি সে শান্তি আপনি সহযে পেতে পারেন। কারণ, শান্তি একধরণের মানসিক ব্যাপার। শান্তি যদি শারিরিক কিছু হতো তাহলে হসপিটালের বেডে বসে কেউ শান্তি পেতোনা।



আপনি বিরক্তিকর ভাবে বসে আছেন। মনে করুন শান্তিতে আছেন। দেখবেন, শান্তি পাচ্ছেন। যে সিএনজি ভাড়ার জন্যে ঝগড়া করছেন, তার সাথে শান্ত হয়ে কতক্ষণ কথা বলুন। দেখবেন শান্তি পাচ্ছেন। শান্ত হোন, দেখবেন শান্তি পাচ্ছেন।



তারপরও কারো শান্তি পেতে প্রবলেম হলে আমাকে বলুন। আপনাকে একটি সুন্দর সমাধান দেবো। ভাল থাকবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: সুরা রাদঃ বজ্রনাদঃ কোরআন ১৩:২৮

Sura: Rad: The Thunder: Quran 13:28


Translation :Muhsin Khan

Those who believe (in the Oneness of Allah - Islamic Monotheism), and whose hearts find rest in the remembrance of Allah, Verily, in the remembrance of Allah do hearts find rest.


যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।

১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

*অর্জুন* বলেছেন: হুম, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমুহ শান্তি পায়। আমি এই চরম সত্যের বিপক্ষে বলি নি।

২| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে শান্তি পেয়েছি ।

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

*অর্জুন* বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে শান্তি পেলাম। :)

৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর পোষ্ট। ভালো লাগল। আমি ফেসবুকে দিলাম আমার স্ট্যাটাসে।

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

*অর্জুন* বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.