নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্জুন

বাড়ি ঘর ছেড়ে এসেছি। একা থাকতে চেয়েছি, পারিনি। বৃষ্টির ফোটোগুলো জড়িয়ে ধরেছে। জোছনাগুলো তাড়া করে বেড়িয়েছে সারা রাত। একা থাকতে চেয়েছ, নিঃসঙ্গতা সঙ্গী করেছে। হতবাক হয়েছি। একা হতে পারিনি তবুও।

*অর্জুন*

ফেবু লিংকঃ www.facebook.com/ioolz

*অর্জুন* › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার ছেলেটির আত্মহত্যার পেছনে আপনি কি দায়ী হবেন?

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২





আজ ফল প্রকাশিত হয়েছে অনেকের। অনেকে হয়তো,ভাল রেসাল্ট করতে পারেনি। হতাস হয়ে পড়েছে। অনেকে অনেক কিছু করে ফেলবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে এই ধরণের সিদ্ধান্তের কথা শুনলে হাসির ছলে উড়িয়ে দিতাম। এখন সিরিয়াসলি নিই।



বছর পাঁচেক আগের কথা। তখনো নিজেকে গুছাতে পারিনি। টিউশনি করে কোনমতে চলতাম। আমার জীবনের সবছে বড় ভুল হলো, অনার্সে পড়া কালে বিয়ে করে ফেলেছিলাম। তাই, টিউশনি করানোর নেশাটা ছিলো। তখন একটা ছেলেকে পড়াতাম। নাম, সুমন। পড়ালেখাতে বেশ ভালো ছিলো। ছেলের বাবা-মাও বেশ ভালো ছিলো। দূর্ভাগ্যবশত, সুমন A+ মিস করেছিলো।



বেশ কয়েকদিন পরে সজীব নামের একটা ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে জানাল, সুমন আত্মহত্যা করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি সজীবকে তেমন চিনতাম না। তাই, কথাটা তেমন আমলে নিলাম না। তবুও মনটা কেমন জানি কেমন কেমন করতে লাগলো। অনেকক্ষণ অস্তিরতার মধ্য দিয়ে পার করলাম। শেষে না পেরে ছোটে গেলাম, সুমনের বাড়িতে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে দেখি, কেউ নেই। সবাই হসপিটাল গেছে। আমার হার্টবীট বেড়ে গেল। কেমন জানি অপরাধ বোধ করতে লাগলাম। আমার এই বোধের কারণ ছিলো শুধু একটি। আমি এই দূর্ঘটনার ব্যাপারটা জানতাম!



আমি ব্যাপারটাকে পাত্তা না দেওয়ার পেছনে যটেষ্ট কারণ ও ছিলো। ছেলেটিকে আমি চিনতাম। এত ভীতু ছেলে মৃত্যুর মত এমন সিদ্ধান্ত নেবে তা আমার মাথায় খেলে নি। আমি কেমন জানি অশহায় বোধ করতে লাগলাম। সাইকোলজির একজন ছাত্র হয়ে আমি আমার ছাত্রটিকে বুঝতে পারলাম না। আমি চরম বিরক্ত ছিলাম নিজের উপর!!



হসপিটালে কাটানো প্রতিটা সেকেন্ড আমার এখনো মনে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলেটিকে বাঁচানো গেল। কিন্তু সে এখন আর আগের মত নেই। সেদিন ও দেখে আসলাম। পাগলপ্রায় অবস্থা। একটি সুন্দর জীবন এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারি নি।



হুম, নষ্ট হয়েছে। এবং কঠিন ভাবে নষ্ট হয়েছে। যে জীবনকে সুন্দর করার জন্যে একটি ছেলে কঠোর পরিশ্রম করে A+ পাওয়ার জন্যে ইচ্ছে পোষণ করে, সে জীবনটাই ধংস করেছে সে। আমি আশ্চর্য্য রকম বিরক্ত ছিলাম।



কি হবে তোমার A+ দিয়ে?



ভালো ভার্সিটি বা মেডিকেলে পড়ার জন্যে যে A+ মাস্ট এমন তো না। বুয়েট সহ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় A+ দেখে। কিন্তু অন্য ভার্সিটিতে এটি মাস্ট না। শুধু দু’একটা নাম্বারের জোগান দেয়। সামনে ভাল করে পড়লে এই নাম্বার ম্যানেজ কোন ব্যাপার না। তাছাড়া, পরম সত্য কথা হলো, আমার চাচা ব্যবসা করে আমার চেয়ে অনেক ভাল পজিসনে আছেন। জীবনটা ছেলে খেলা নয়। প্লিজ বোকামি করবে না মোটেও।



আমি ছেলেটির এই পথ বেঁচে নেওয়ার পেছনে মা-বাবাকেও দায়ী করি। আমি জানি প্রতিটা মা-বাবা তাঁর ছেলে/মেয়ের জীবনে ছায়ার মত। আমার মা-বাবা আমার মত একজন অবাধ্য ছেলের জন্যে যা কিছু করেছে তা আমি কোনদিন ভুলতে পারবোনা এবং আমি ভুলতেও চাই না। আমি ওসব মনে করে কান্না করি। ভালো লাগে।

আমি ছেলে/মেয়েদের প্রতি ভালবাসা কি জিনিস জানি। আমার ছয় মাস বয়সের মেয়ে এরিন তার মায়ের মৃত্যুর এক মাস পরে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। সত্যি বলছি আমি এখনো মেয়েটাকে স্বপ্নে দেখার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আমি সন্তানদের প্রতি ভালবাসা কি জিনিস তা জানি। কারণ, আমি ভালবাসা পেয়েছি। আমি ভালবেসেছি।



তবুও বলছি, বাবা-মা দায়ী ছিলো এবং আমি হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আবার বলছি, মা-বাবার দোষ ছিলো। ছোট ছেলেটি পরীক্ষায় ভাল রেসাল্ট করে নি, সে কারণে সে যে ফিল করছে না, এমন নয় কিন্তু। সেও কষ্ট পায়। কারণ, তার পৃথিবীর একটি বিশেষ অংশ তার পড়ালেখা। তার পৃথিবীতে ধ্বস নামে। ঐ মুহুর্তে মা-বাবারা প্লিজ পাশে দাড়াবেন। আপনাদের প্রতিটা কথা তাদের অবচেতন মন কে গিয়ে আঘাত করে। দয়া করে সাহস দিবেন। গালি দিবেন না।

আর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, প্লিজ তোমরা তোমাদের পরবর্তী জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শেখ। তোমাদের জীবন এখনো অনেক বাকী। ভাল মানুষ হওয়ার পথ এখনো খোলা আছে। হতাস হয়ো না।



আজ ফল প্রকাশিত হয়েছে অনেকের। অনেকে হয়তো,ভাল রেসাল্ট করতে পারেনি। হতাস হয়ে পড়েছে। অনেকে অনেক কিছু করে ফেলবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে এই ধরণের সিদ্ধান্তের কথা শুনলে হাসির ছলে উড়িয়ে দিতাম। এখন সিরিয়াসলি নিই।



বছর পাঁচেক আগের কথা। তখনো নিজেকে গুছাতে পারিনি। টিউশনি করে কোনমতে চলতাম। আমার জীবনের সবছে বড় ভুল হলো, অনার্সে পড়া কালে বিয়ে করে ফেলেছিলাম। তাই, টিউশনি করানোর নেশাটা ছিলো। তখন একটা ছেলেকে পড়াতাম। নাম, সুমন। পড়ালেখাতে বেশ ভালো ছিলো। ছেলের বাবা-মাও বেশ ভালো ছিলো। দূর্ভাগ্যবশত, সুমন A+ মিস করেছিলো।



বেশ কয়েকদিন পরে সজীব নামের একটা ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে জানাল, সুমন আত্মহত্যা করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি সজীবকে তেমন চিনতাম না। তাই, কথাটা তেমন আমলে নিলাম না। তবুও মনটা কেমন জানি কেমন কেমন করতে লাগলো। অনেকক্ষণ অস্তিরতার মধ্য দিয়ে পার করলাম। শেষে না পেরে ছোটে গেলাম, সুমনের বাড়িতে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে দেখি, কেউ নেই। সবাই হসপিটাল গেছে। আমার হার্টবীট বেড়ে গেল। কেমন জানি অপরাধ বোধ করতে লাগলাম। আমার এই বোধের কারণ ছিলো শুধু একটি। আমি এই দূর্ঘটনার ব্যাপারটা জানতাম!



আমি ব্যাপারটাকে পাত্তা না দেওয়ার পেছনে যটেষ্ট কারণ ও ছিলো। ছেলেটিকে আমি চিনতাম। এত ভীতু ছেলে মৃত্যুর মত এমন সিদ্ধান্ত নেবে তা আমার মাথায় খেলে নি। আমি কেমন জানি অশহায় বোধ করতে লাগলাম। সাইকোলজির একজন ছাত্র হয়ে আমি আমার ছাত্রটিকে বুঝতে পারলাম না। আমি চরম বিরক্ত ছিলাম নিজের উপর!!



হসপিটালে কাটানো প্রতিটা সেকেন্ড আমার এখনো মনে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলেটিকে বাঁচানো গেল। কিন্তু সে এখন আর আগের মত নেই। সেদিন ও দেখে আসলাম। পাগলপ্রায় অবস্থা। একটি সুন্দর জীবন এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারি নি।



হুম, নষ্ট হয়েছে। এবং কঠিন ভাবে নষ্ট হয়েছে। যে জীবনকে সুন্দর করার জন্যে একটি ছেলে কঠোর পরিশ্রম করে A+ পাওয়ার জন্যে ইচ্ছে পোষণ করে, সে জীবনটাই ধংস করেছে সে। আমি আশ্চর্য্য রকম বিরক্ত ছিলাম।



কি হবে তোমার A+ দিয়ে?



ভালো ভার্সিটি বা মেডিকেলে পড়ার জন্যে যে A+ মাস্ট এমন তো না। বুয়েট সহ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় A+ দেখে। কিন্তু অন্য ভার্সিটিতে এটি মাস্ট না। শুধু দু’একটা নাম্বারের জোগান দেয়। সামনে ভাল করে পড়লে এই নাম্বার ম্যানেজ কোন ব্যাপার না। তাছাড়া, পরম সত্য কথা হলো, আমার চাচা ব্যবসা করে আমার চেয়ে অনেক ভাল পজিসনে আছেন। জীবনটা ছেলে খেলা নয়। প্লিজ বোকামি করবে না মোটেও।



আমি ছেলেটির এই পথ বেঁচে নেওয়ার পেছনে মা-বাবাকেও দায়ী করি। আমি জানি প্রতিটা মা-বাবা তাঁর ছেলে/মেয়ের জীবনে ছায়ার মত। আমার মা-বাবা আমার মত একজন অবাধ্য ছেলের জন্যে যা কিছু করেছে তা আমি কোনদিন ভুলতে পারবোনা এবং আমি ভুলতেও চাই না। আমি ওসব মনে করে কান্না করি। ভালো লাগে।

আমি ছেলে/মেয়েদের প্রতি ভালবাসা কি জিনিস জানি। আমার ছয় মাস বয়সের মেয়ে এরিন তার মায়ের মৃত্যুর এক মাস পরে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। সত্যি বলছি আমি এখনো মেয়েটাকে স্বপ্নে দেখার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আমি সন্তানদের প্রতি ভালবাসা কি জিনিস তা জানি। কারণ, আমি ভালবাসা পেয়েছি। আমি ভালবেসেছি।



তবুও বলছি, বাবা-মা দায়ী ছিলো এবং আমি হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আবার বলছি, মা-বাবার দোষ ছিলো। ছোট ছেলেটি পরীক্ষায় ভাল রেসাল্ট করে নি, সে কারণে সে যে ফিল করছে না, এমন নয় কিন্তু। সেও কষ্ট পায়। কারণ, তার পৃথিবীর একটি বিশেষ অংশ তার পড়ালেখা। তার পৃথিবীতে ধ্বস নামে। ঐ মুহুর্তে মা-বাবারা প্লিজ পাশে দাড়াবেন। আপনাদের প্রতিটা কথা তাদের অবচেতন মন কে গিয়ে আঘাত করে। দয়া করে সাহস দিবেন। গালি দিবেন না।

আর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, প্লিজ তোমরা তোমাদের পরবর্তী জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শেখ। তোমাদের জীবন এখনো অনেক বাকী। ভাল মানুষ হওয়ার পথ এখনো খোলা আছে। হতাস হয়ো না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

রোহান খান বলেছেন: কথাগুলো কত যে কঠিন ভাবে দেখে শেখা তা বর্ননার প্রতিটি লাইনে লুকিয়ে আছে।
একটা কথা বুজলাম না -

"আমার ছয় মাস বয়সের মেয়ে এরিন তার মায়ের মৃত্যুর এক মাস পরে পৃথিবী থেকে চলে গেছে"

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

*অর্জুন* বলেছেন: আমার স্ত্রী সাকি মারা যাবার মাত্র এক মাস পর আমার মেয়েটিও আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। মেয়েটির বয়স মাত্র ছ'মাস ছিলো। নাম এরিন। সাকির রাখা নাম।

২| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

স্বস্তি২০১৩ বলেছেন: "আমার ছয় মাস বয়সের মেয়ে এরিন তার মায়ের মৃত্যুর এক মাস পরে পৃথিবী থেকে চলে গেছে"
কথাটা প্লিজ বুঝিয়ে বলুন।

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

*অর্জুন* বলেছেন: আমার স্ত্রী সাকি মারা যাবার মাত্র এক মাস পর আমার মেয়েটিও আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। মেয়েটির বয়স মাত্র ছ'মাস ছিলো। নাম এরিন। সাকির রাখা নাম।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

পংবাড়ী বলেছেন: স্কুলের প্রতিস্ঠান থাকতে হবে এসব দেখার জন্য

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

*অর্জুন* বলেছেন: মা-বাবা বিষয়গুলো দেখলে বেশ ভাল হয়। :)

৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

জঙ্গীবিমান বলেছেন: এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই লিখেছেন,তবে আপনার আবেগমিশ্রিত কথামালা ভালো লাগলো অর্জুন সাহেব

১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১২

*অর্জুন* বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.