![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবই পারি, ভবিষ্যৎবাণী ছাড়া! (c) জিশান নিয়াজ
অভিনন্দন রাজশাহীবাসী। লোক দেখানো নির্বাচনী উপহার হিসেবে হলেও আপনারা গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন। অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের প্রথম বিভাগীয় শহর হিসেবে গ্যাসের সংযোগ পেয়ে আপনারা সত্যিই সৌভাগ্যবান।
আপনাদের জন্য এই ঘটনাটা যেমন আনন্দের তেমনি বিষাদের আমাদের রংপুরবাসীদের জন্য। একটি অঞ্চল প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি নির্ভর হয়ে থাকতে পারেনা। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিল্প কারখানার। কিন্তু যথাযথ জ্বালানীর অভাবে মৃতবৎ আমাদের উন্নয়নের আদিম স্বপ্ন। ধান, গম, পাট ও তামাকের প্রধান উৎপাদনকারী হয়েও আমাদের কপালে অভাবের রাজটিকা শুধুমাত্র কৃষিজাত এসব পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানার অভাবে। একটা অঞ্চলে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতে প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের। যেটা আমাদের মতো দেশে মেটানো হয় প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রয়োজন সহজসাধ্য জ্বালানীর, পেট্রল-ডিজেলের অগ্নিমূল্যের কারণে ইতোমধ্যে কার্যকরী বিকল্প হয়ে উঠেছে সিএনজি। এই সুবিধাটাই হাভাতের মতো আমরা চাইছি। বহুবছর ধরেই সরকার বাহাদুরের কাছে করজোরে প্রার্থনা করছি।
দেশে বর্তমানে পঁচিশটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর ষোলআনা সুফল ভোগ করছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। অথচ মূল্যবান এই সম্পদ ব্যবহার করে সহজেই দেশের অবহেলিত উত্তরাঞ্চল তথা রংপুর বিভাগের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রংপুর বিভাগের কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় 'বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র'তে। যতদূর জানি তার সিংহভাগ পাঠানো হয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। ছোট একটা রাষ্ট্রে এত বৈষম্য থাকবে কেন?
বাংলাদেশকে নাকি বলা হয় 'Land of silent mines'! তাহলে এই খনিজ সম্পদ থেকে লাভ কী যদি না তা দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুষম উন্নয়নে লাগে? প্রতিবছর বাজেটে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়াবেন আর সারাদেশে বিশেষত রংপুর বিভাগে গ্যাসের সংযোগ দেবেন না তা হতে পারেনা। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটা সুষম উন্নয়নের রাষ্ট্র গঠনের জন্য। সিংহভাগ কৃষিপণ্য উৎপাদন করেও আমাদের গোলা হরিলুট করতে দেয়ার জন্য নয়। অবিলম্বে রংপুর বিভাগে গ্যাসের সংযোগ দিন। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখুন। পূর্বপুরুষ নুরুলদীনের সামান্য লাঠি-সড়কি সম্বল করে জেগে ওঠার ডাক কিন্তু আমরা আজো ভুলিনি।
০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
অক্টোপাস পল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৯
কলাবাগান১ বলেছেন: যুক্তিযুক্ত লিখা...... সচেতন লোকেরাই সমাজকে বদলে দিতে পারে
০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১৮
অক্টোপাস পল বলেছেন: আমিও তা বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১০
ইউক্লিড রনি বলেছেন: আমার কিন্ত মনে হয়না রংপুর, পার্বত্য চট্টগ্রামের মত পিছিয়ে পড়া। উত্তরবঙ্গে গ্যাসের খনি নেই বলেই হয়তো সংযোগ দেয়া অধিক খরচসাপেক্ষ। তারপর বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেয়া উচিৎ। একমত।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮
অক্টোপাস পল বলেছেন: গ্যাসক্ষেত্র নেই কথাটা ঠিক। তবে এদেশের গ্যাসে রংপুর অঞ্চলের মানুষের সমান অধিকার আছে। যেমন রংপুর বিভাগের কয়লাক্ষেত্রগুলোর ওপর আছে সারাদেশের। ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: রংপুরের সাইডে গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যা আছে, তা জানতাম না! মেয়র কি করে? মাছি মারে নাকি বইয়া বইয়া?
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৯
অক্টোপাস পল বলেছেন: মেয়রের কাম না মামা এইটা। এইখানে সরকার বাহাদুরের সদয় দৃষ্টি লাগবো। আছস কেমন?
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভোলার শাহবাজপুরের ছোট একটি গ্যাসক্ষেত্র ছাড়া বাকী সব গ্যাসক্ষেত্র মূলত: বৃহত্তর সিলেট ও কুমিল্রায়। বৃহত্তর নোয়াখালীতে আছে ছোট ৩টি আর চট্টগ্রামে ছোট ২টি (সাগরসহ) গ্যাসক্ষেত্র। সহজে আনা সম্ভব বলে সেখানে গ্যাস আছে। তাও এমনিতে হয়নি। অনেক জায়গায় আণ্দোলন করে গ্যাস নিতে হয়েছে। বন্দরের কারণে গ্যাসের আগেই চট্টগ্রামে শিল্প গড়ে উঠেছিল। সেকারণে চট্টগ্রামে গ্যাস গেছে। আর ঢাকার নিকটবর্তী এলাকায় শিল্পায়ণ হয়েছে। যেসব জেলা থেকে গ্যাস আসে সেসব জেলা তথা সিলেট, কুমিল্লা বা নোয়াখালি এলাকায় (সেখানে গ্যাস গেছে কয়েক বছর আগে) শিল্পায়ণ হয়নি। অন্যদিকে যমুনা সেতু হবার আগে উত্তরবঙ্গে গ্যাস নেয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন গ্যাস ভাণ্ডারে টান পড়েছে। দূরত্বজনিত কারণে রংপুরে গ্যাস নেয়া কঠিন। যে চাপ থাকবে তাতে কারখানা চলা দূরের কথা, চুলাই ঠিকমত জ্বলবে না। আশুগন্জ আর এলেঙ্গায় কম্পেসার স্টেশান বসাবার কাজ চলছে। এরপর গ্যাসের চাপ বাড়লেও রংপুর নিতে আরও কম্পেসার লাগবে। ততদিনে গ্যাস কতটা বাকী থাকে তা দেখার বিষয়। রাজশাহীতে কোনাকুনি গ্যাস নেয়ায় কিছু চাপ থাকবে। তবে সেখানেও সমস্যা হবে। আবেগের ঠেলায় খুলনার বন্দর আর আগের শিল্পায়ণের সুত্রে খুলণায় গ্যাস লাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজ চলছেও। কিন্তু পাই্পই পড়ে থাকবে। গ্যাস কোথা থেকে যাবে আল্রা জানেন। মাঝখান থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশী টাকা খরচ হচ্ছে।
রংপুর এলাকার উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পথ হল কয়লা তুলে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১শ' মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। সেটা ওই অঞ্চলেই লাগে এবং সেখানেই থাকে। বরং যমুনার এইপার থেকেই বিদ্যুৎ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে অনেক আগে থেকে। সিরাজগঞ্জে গ্যাসভিত্তিক কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে তাতে উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছু বাড়বে।
রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের সত্যিই যদি উন্নতি চান তাহলে কয়লা তুলে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরীর জন্য আন্দোলন করুন। কয়লা উত্তোলন বিরোধী আন্দোলনই উত্তরবঙ্গের জন্য সুদূরপ্রসারী ক্ষতির কারণ হবে।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৫
অক্টোপাস পল বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মেয়র কি সরকারের সদয় দৃষ্টি আদায়ে কিছু করতে পারেনা? এইটা ওর দায়িত্তের মধ্যে পরেনা?
আছি ভালই। তুই কি রংপুরে? আসবি কবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৭
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: +