![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবই পারি, ভবিষ্যৎবাণী ছাড়া! (c) জিশান নিয়াজ
শেরাটনের সামনে পৌঁছানোর পর রীতিমতো হাঁপাচ্ছিলাম। আমার আবার দ্রুত হাঁটার অভ্যাস। মাথার উপর গনগনে রোদ। পাটকাঠিতে আগুন ধরিয়ে পিঁপড়ার বাসায় লাগিয়ে দিলে যেমন হয় ঠিক তেমন লাগতেছিলো। ক্যাপওয়ালা ট্রাফিক পুলিশ দেখি আমার দিকে তাকায়া মিটিমিটি হাসতেছে।
কাহিনি বুঝলাম না। আশেপাশে তাকায়া অন্য কাউরে পাইলাম না। আমি একাই দাঁড়ায়া আছি।
"আধাঘন্টা পর এই রোডটা ছাইড়া দিলাম।", শ্লেষ্মা জড়ানো কন্ঠে তিনি বললেন। মুখে রহস্যের হাসি হেসে পরিষ্কার করলেন ব্যাপারটা, "আপনার আসতে এক মিনিট দেরি হইছে। এখন আধা ঘন্টা অপেক্ষা করেন।"
লোকটার দেঁতো হাসি দেখে বিরক্ত লাগতেছিলো। ব্যাটা মজা নেয়ার জায়গা পাওনা! মানুষের পেইনে হাসা ছাড়া তোমাদের তো কিছু করতে দেখি না।
"এই জিনিসটা দেখতেছেন না? হাতে থাকলে মনে হয় বিশাল পাওয়ার।" হাতের লাল লাঠিটাকে ইঙ্গিত করে বলে চললেন তিনি। এইদিকে হুশহাশ গাড়ি ছুটছে। পেছনের সিটে ঠেস দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা লোকটা হঠাৎ গতিতে টালমাটাল হয়ে বিস্মিত দৃষ্টিতে আমাদের দেখতে লাগলো। আমি মনে মনে প্রমাদ গুণলাম। একে তো সহসা রাস্তা পার হওয়ার সম্ভাবনা নেই তার উপর এর বকবকানি যুক্ত হইছে। গোদের উপর বিষফোঁড়া। করুণ চোখে তার বকবক শুনতে লাগলাম।
"যা বলতেছিলাম। এই রাস্তায় কিন্তু আমরাই রাজা। যতবড় কুতুবই হও না কেন সালাম দিয়া যাইতে হবে।" বলতে বলতে লোকটা এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
"আচ্ছা। আপনারে দেখাই।" বলতে বলতে চলমান গাড়িগুলোকে তিনি লাঠি বাগিয়ে থামার সংকেত দেন। বিরক্তিতে হর্ন বাজিয়ে গাঁইগুই করে তারা। এই ফাঁকে আমি পা চালিয়ে রাস্তাটা পার হই। পেছনে ফিরে দেখি লোকটা আমাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে। মুখে তার স্মিত হাসি।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৬
অক্টোপাস পল বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ। শুকরিয়া।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: +
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ভালো।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০১
সুমন কর বলেছেন: শুভ নববর্ষ !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৫
সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: ভালই হয়েছে ।