নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৈরি সঙ্কটে পায়ে কুড়াল

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১০

একটা প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করতে গেলেই ঘাপলা তৈরি হয়।ফলে সত্যটা তার মর্যাদা এবং বিশ্বস্ততা হারায় কেবল ঐসব উপস্থাপনার কারণে।এর ফলে কিছু লোক সুবিধাজনক স্থানে উঠে আসে এবং সুবিধা নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ধারায় চলার পর একসময় দেখা যায় ৯০% সুবিধাবাদী হয়ে উঠে।এরপর একদল আসে তারা আবার কাটছাট করতে করতে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে মৌলিক বিশ্বাসও সংকুচিত করে ফেলে কিন্তু ঐ সত্যটা আর তার স্বরুপ দেখতে পায়না।

বর্তমানে ইসলামের পরিস্থিতি এরকম হয়ে গেছে।
অতিরঞ্জন আর সস্তা আবেগে আলেম শ্রেণীও হাবুডুবু খাচ্ছে, ফলে কোন সিদ্ধান্তই যথোপযুক্ত নিতে পারছেনা।

প্রথমে যখন চিনে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটলো তখন গজব বলে চালিয়ে দিলো,এরপর আমেরিকা,ব্রিটেন,ফ্রান্স,স্পেন এগুলো মুসলমানের শত্রু বলে গজবেই সীমাবদ্ধ রাখলো। এরপরে যখন মধ্য প্রাচ্য, ইরান, সৌদি আরব ধরল তখন শিয়া,সৌদি সরকার ইসলাম বিরুধী বলে চালিয়ে দিলো।
এখন বাংলাদেশে আসলো।মসজিদ বন্ধ হতে লাগলো।তখন জীবনে মসজিদে না যাওয়া ব্যাক্তিও আল্লাহর গজবের থেকে মুক্তি পেতে মসজিদে ভোঁ দৌড় দিলো।এখন যখন মসজিদের ইমাম আক্রন্ত হচ্ছে, মুহতামিম আক্রান্ত হচ্ছে তখন দুটো মত দেখা দিলো
★আলেম সমাজঃ আল্লাহ ইমানদারকে পরীক্ষা করছেন।
★মুক্তমনা সমাজঃ গাধায় জল খায় কিন্তু ঘোলা করে খায়।

এখন এ নিয়ে একদল আবার ক্ষেপবে,মুজাহিদ সমাজে জাগরণ পড়ে যাবে।

অথচ করোনার শুরুতে যদি একটি ফয়সালায় আসতো তখন এ ঝামেলায় পড়তে হতোনা।

আমার কাছে একটি বাক্যই এই সমস্যার মুল কারণ সেটা হলো "করোনার কারণে সমস্ত পাপাচার বন্ধ হয়েছে।" এই বাক্যটি। এই একটি বাক্যের উপর ভিত্তি করে যতরকম গুজব ছড়িয়েছে তা আমাদের ইমেজকে নষ্ট করেছে। যখন যৌন পল্লী বন্ধ হলো তখন জোর গলায় আওয়াজ তুলেছে এখন মসজিদ বন্ধ করতে ওপাশেও আওয়াজ হবে না এটা কিভাবে সম্ভব। এরকম পরিস্থিতি ঘোলাটে করার কোন মানে ছিলোনা।ব্যাক্তি মত প্রচার বাংলাদেশে ইসলামি পরিবেশকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে চলছে।

পরিশেষে একটি কথাঃ
আবেগ ভালো অন্ধ আবেগ ভালোনা।আরব আমিরাত,মক্কা-মদিনা,কুয়েতের বিরোধিতা না করে যদি কুরআন সুন্নাহর আলোক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন উম্মাহ'র ইমেজে ঘাটতি হতোনা।

এখন আপনারা বলবেন, শুকনো বনে আগুন লাগলে কাচা বনও পুড়ে।
তারা বলবে, গাধায় জল খায় কিন্তু ঘোলা করে খায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

আল-ইকরাম বলেছেন: আপনার লেথাটি পড়ে ভাল লাগলো। ধর্মভীরুতা বা ধর্মান্ধতা আর সত্যিকার অর্থে আলেম তথা ইসলামী জ্ঞানে জ্ঞানী হওয়া এবং সেই জ্ঞানকে জাগতিক নানা সমস্যার সমাধানে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো এক বিষয় নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আল্লাহ্’র রাসূল (সঃ) জাগতিক কোন্ পরিস্থিতিতে কি পন্থা অবলম্বন করেছেন তা আমাদের আলেম সমাজ ভাল করেই অবগত আছেন। তবু তাঁরা কেন যে তা অনূসরণ করেন না তা বোধগোম্য নয়। অন্যের বিপদ দেখে তিরস্কার না করে, তা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত; দ্রুত সাবধান হওয়া জরুরী। নইলে ঐ একই বিপদ তিরস্কারকারীদের জীবনে কী ভয়াবহ রূপে আসতে পারে তারই ‍উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালা আমাদের সকলকে বিচক্ষণতার সাথে ইহলৌকিক জীবন যাপন ও পারলৌকিক পূর্ণ্য সঞ্চয়ের তৌফিক দান করুন (আমিন)। শুভ কামনা রইল।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪

অধীতি বলেছেন: ধন্যযোগ এবং ভালোবাসা

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। তবে আবেগ দিয়ে কবিতা লেখা যায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

অধীতি বলেছেন: কথাটা আমার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আপনিও বোধয় আমাকেই বল্লেন।আসলে বুঝতে পারতেছিনা আপনার মন্তব্য কাকে উদ্দেশ্য করে।যতটা মনে হচ্ছে আমাকে নিয়েই।কারণ এটা আবেগ দিয়েই লিখছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.