![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ব্লগের নির্বাক পাঠীকা। ব্লগ পড়ে খুব ভাল লাগে। কিন্তু, রাগ হয় যখন দেখি মানুষ মিথ্যা কথা লিখে নিজেকে খুব জাহির করতে চায়।
সৈকত সাহেব . . . আপনি আমার মত পাঠক/পাঠীকাদের বোকা ভাবেন? গুগল, ফেসবুক, মাই-স্পেস বড় সাঙ্ঘাতিক জিনিশ। রাভেন তো আপনার পরিচয় বলেই দিয়েছে। এরপর ও কি আরো মিথ্যা বানাবেন?
আপনার সব যদি সত্যি হয়, তাহলে সব মুছার দরকার হল কেন? অতীত কি এত সহজে মুছা যায়? আপনার মুছে দেয়া লেখার কপি আছে। বলেন ত পোস্ট করে দেই।
ফেসবুক থেকেই বা গায়েব গেলেন কেন, বলবেন কি সারোয়ার সাহেব? ওখানে ট্যাঙ্কের পাশে দাড়ানো ছবিটা তো আপনারই, তাই না? '৯৮ র মিথ্যাচারী বুয়েট শিক্ষক কুলাঙারের বেশে দন্ডায়মান ছিলেন। ও রকম কদু-মার্কা মটুর যে কি জুটবে জানা আছে। যখন আপনার কল্পনার প্রেমকাহিনীর ২য়পর্ব পোস্ট করলেন তখনও ওটার প্রোফাইল তো জ্বলজ্বল করে বলছিল কে আপনি। আবার বলবেন না যে অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছি। কারন, আপনি মিথ্যাটাও ঠিক মত বলতে পারেন না। আবোল-তাবোল বকেন।
বলছেন যে আপনার চরিত্রহনন করা হচ্ছে, আপনার ত চরিত্র ই নাই। যা নাই তার আবার হনন কি?
অন্য পাঠকদের: খুব রাগ হচ্ছিল কারো মিথ্যে কথায় বিশ্ব্যাস করে। তাই অনেক কথা বলে ফেললাম। মাফ করবেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
উই পোকা বলেছেন: আসলে রাগটা সামলে রাখতে পারিনি।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫
চাচামিঞা বলেছেন: আপনার নিকটা আমার পছন্দ হয়েছে। উই পোকা, ক্রিয়েটিভ নিক!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
উই পোকা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৪৭
কালপুরুষ বলেছেন: স্বাগতম জানাতে ভয় হচ্ছে! ব্লগে উই পোকা! তবুও স্বাগতম। পুরোনো পান্ডুলিপিগুলো কাঠের বাক্সে রাখাটা নিরাপদ নয়। লোহার সিন্দুক খুঁজতে হবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১৫
উই পোকা বলেছেন: কিন্তু এ পোকার তো লোহার দাত (আধুনিক কি না)। লোহার সিন্দুক ও মনে হয়না নিরাপদ হবে।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
তামিম ইরফান বলেছেন: ঘ্যাটনা কি???????
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১৩
উই পোকা বলেছেন: ব্যাপার টা এখন বোঝানো কঠিন। কারণ, চেনা সৈকত তার নিজের গালভরা কাল্পনিক বায়োগ্রাফি মুছে ফেলেছেন। সেটা তে উনি নিজের বিবাহকে লুকিয়ে অবিবাহিত সেজে আমেরিকান মেয়েদের সাথে নিজের মনগড়া প্রেমকাহিনী লিখছিলেন। নিজের দোষেই তার পরিচয় ফাস হয়ে যায়। তিনি তা অস্বীকার করে ছাগলের মত আবোল-তাবোল বকতে থাকেন। তাতে তার পরিচয় পুরোটাই বেরিয়ে পড়ে।
শেষে তিনি তার চটিসম বায়োগ্রাফি মুছে ফেলেন। সেটা পড়লে আপনি সব বুঝতে পারতেন। আমার কাছে তার লেখাগুলো আছে। যদি চান তো এখানে পোস্ট করে দিতে পারি।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৫৪
অনিন্দিতা ০১ বলেছেন: চেনা ছৈকত ছায়েবের মেইন সমস্যা উনি ভাবেন যে উনি একাই ভাত খায় আর সবাই ঘাস খায়...।কিন্তু ঘটনা যে উল্টো এটা উনি বুঝেন না
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০০
অনিন্দিতা ০১ বলেছেন: চেনা ছৈকত ছায়েবের মেইন সমস্যা উনি ভাবেন যে উনি একাই ভাত খায় আর সবাই ঘাস খায়...।কিন্তু ঘটনা যে উল্টো এটা উনি বুঝেন না
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:০৭
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: ব্যাপারটা কি একটু বলেন তো| বুঝতে পারছি না কিচ্ছু|
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১২
উই পোকা বলেছেন: ব্যাপার টা এখন বোঝানো কঠিন। কারণ, চেনা সৈকত তার নিজের গালভরা কাল্পনিক বায়োগ্রাফি মুছে ফেলেছেন। সেটা তে উনি নিজের বিবাহকে লুকিয়ে অবিবাহিত সেজে আমেরিকান মেয়েদের সাথে নিজের মনগড়া প্রেমকাহিনী লিখছিলেন। নিজের দোষেই তার পরিচয় ফাস হয়ে যায়। তিনি তা অস্বীকার করে ছাগলের মত আবোল-তাবোল বকতে থাকেন। তাতে তার পরিচয় পুরোটাই বেরিয়ে পড়ে।
শেষে তিনি তার চটিসম বায়োগ্রাফি মুছে ফেলেন। সেটা পড়লে আপনি সব বুঝতে পারতেন। আমার কাছে তার লেখাগুলো আছে। যদি চান তো এখানে পোস্ট করে দিতে পারি।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৩
র্যাভেন বলেছেন: হুম
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১৬
রাহা বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম... বাংলাব্লগে..
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:০৮
উই পোকা বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:২৩
সাজিদ শাহরিয়ার বলেছেন: অই মাগী, চুপ থাক।অনেকদিন ধইরা দেখতাসি তোগো আবালপনা।ব্লগ তোগো বাল-ছাল লেখার জায়গা না। অন্য ব্লগারগো দেখ, তারা কি লেখে?
তোগো কুনোদিন ছবক দিবার পারলাম না।আপচুস।
১০ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
উই পোকা বলেছেন: গালি আমার আবার হজম হ্য়না। ব্লগে নয়, চিতা আমি আপনার সত্যিকারের জীবনে জ্বালাবো, যদি আপনি আমাদের সবার কাছে ক্ষমা না চান। আমেরিকার দক্ষিনেই থাকেন আর উত্তরেই যান, রক্ষা নাই।
ভেবেছিলাম আমিও ডাক্তার মানুষ, আপনার চিকিৎসা করতে পারব। কিন্তু গালি দিয়ে বসলেন। ঠিক করলাম সত্যিকার চিতা জ্বালবো। আপনার মুখাগ্নি করবেন আমার কলিগ-বান্ধবী, মানে আপনার বউ। নিশ্চ্য়ই ভাবছেন , , , "হাহ্ হা , , , সে তো এখন পাবনায়"। কোন অসুবিধা নাই। আমি শুধু ভাবছি timing টা নিয়ে।
কখন আপনি জ্বলবেন ভালো। কোন সাজেশন?
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৪:৩৬
-কিংবদন্তী বলেছেন: কিংবদন্তীর ভুবনে স্বাগতম
১১ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০২
উই পোকা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে শুভেচ্ছা।
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫১
কৌশিক বলেছেন: great drama miss
১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
উই পোকা বলেছেন: গালি আমার আবার হজম হ্য়না। ব্লগে নয়, চিতা আমি তার সত্যিকারের জীবনে জ্বালাবো, যদি সে আমাদের সবার কাছে ক্ষমা না চায়।
১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৪১
ধুসর স্বপ্ন বলেছেন: Click This Link
১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১০:১৫
রুখসানা তাজীন বলেছেন: আপনি তো অনিন্দিতা ০১। নয় কী?
১১ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০১
উই পোকা বলেছেন: নাহ
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫১
ধুসর স্বপ্ন বলেছেন: lol.....guess who is lying now....... Every body knows wipoka and Onindita01 are the same person.......
১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৫
ধুসর স্বপ্ন বলেছেন: নিজের ব্লগে এখন নিজেই মিথ্যাচারিতা করছেন?????
১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৬
ধুসর স্বপ্ন বলেছেন: খারাপ লাগছে না এখন???
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৩০
উই পোকা বলেছেন: না , , , লাগছে না। কারণ আমরা একই ব্যাক্তি নই। আমার বা অনিন্দিতার এমন কিছু হ্য়নি যে নিক পাল্টাতে হবে। আমাদের পার্থক্য আছে।
আমার লক্ষ্য হলো আপনার দেয়া গালির প্রতিশোধ নেয়া।
১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৩১
উই পোকা বলেছেন: ছৈকত ছাব (ওরফে সাজিদ শাহরিয়ার) একটি প্রমান মুছে ফেললেন - প্রফেসর কুয়াহারা সংক্রান্ত। হাহ্
আমার কাছে স্ক্রীণ প্রিন্ট আছে। উনার মুখগ্নীর সময় পোস্ট করা হবে।
আমি ধরেই নিচ্ছি উনি ওনার নোংরা গালির জন্য মাফ-টাফ চাইবেন না . . . ছার মানু তো!
২০| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৪০
উই পোকা বলেছেন: অচেনা সৈকতের চটি সমগ্র:
(পরে উনি এগুলো মুছে ফেলেন এবং সাজিদ শাহরিয়ারের রুপ নেন। ইদানিং ধুসর স্বপ্ন সেজেছেন)
পড়ার পর (আগে নয়) এই লিংক দেখতে পারেন।
Click This Link
টেক্সাস এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটি:প্রথম কয়েকদিন(১ম কিস্তি)
২৬ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:২১
আমেরিকার মাটিতে পা দিয়েছিলাম জুন মাসে। ডালাসের কাঠফাটা গরমে মনে হল আমাকে স্রেফ ওভেনে ঢুকিয়ে দেয়া হল।সেখান থেকে গ্রেহাউন্ডের বাসে করে কলেজস্টেশন। পুরা ৪০০ মাইল রাস্তা। বাস ভর্তি আমেরিকান ব্ল্যাকদের দেখে তো ভয়ে ভয়েই পুরা রাস্তা কাঁটা হয়ে ছিলাম।
কলেজস্টেশনে আসার পর মনে হল, ও হরি, এ যে আস্ত একটা গ্রাম। ইউনিভার্সিটি ছাড়া দেখার কিছুই নাই। তবে, এত বিশাল ইউনিভার্সিটি আগে দেখিও নাই, ৫২০০ একর জায়গা নিয়ে ৫০০০০ ছাত্রের এই বিশাল শিক্ষায়তন।
তখন আমি আমেরিকায় নতুন।যা দেখি তাই নতুন লাগে।ম্যাকডোনালডস, ওয়ালমার্ট থেকে শুরু করে শর্টস পরা স্বর্ণকেশী বালিকা, আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল আমি একটা বড়সড় থিয়েটারে মুভি দেখছি।
টেক্সাস এ এন্ড এম নিয়ে একটু বলে নেই-১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখান থেকে ৩৩০০০০ ছাত্র পাস করে বেরিয়েছে। টেক্সাসের ইউ. টি-অস্টিন এর সাথে যত প্রতিযোগীতা এই ইউনিভার্সিটির।আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলেোর মধ্যে এটি ১৪তম অবস্থানে।এখানকার ছাত্রদের বলা হ্য় 'Aggies'। এদের স্লোগান হচ্ছে, Gig'em Aggies। অর্থ অনেকটা এরকম, "ব্যাটাদের ফাঁইড়া ফালা"।
এখানে আসার পরপরই গ্রাজুয়েট ওরিয়েন্টেশন বলে একটা ব্যাপার হ্য়। তো সেদিন সকাল সকাল মান্জা মেরে গেলাম।ফলও পেলাম হাতে হাতে। লিফটে ওঠার সময় এক আমেরিকান রূপসীকে কায়দা করে নড করতেই সে আমার নাম-ধাম জিগগেস করে বসল।রেজিস্ট্রেশন করে বুথ থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখি সেও অপেক্ষা করছে আমার জন্য।বোকা বোকা ভাব নিয়ে বললাম, আমি তো এখানে কাউকে চিনি না, তোমার সাথে একটু থাকি? সম্মতি দিতেই আমাকে আর পায় কে? তার উপর আমি তুলা রাশির ছেলে, রূপসী কন্যার কথায় মরতেও রাজি।
অনুষ্ঠান শুরু হতে না হতেই দেখি বিশাল এক কুকুর নিয়ে দুই ক্যাডেট হাজির। আমি তো অবাক, ডগ স্কোয়াড এখানে কেন?তারপর শুনি, এই কুকুর নাকি এদের মাস্কট।কোন ক্লাসে যদি এটা ঢুকে ঘেউ ঘেউ করে, তাহলে সেদিনের মত ক্লাস ছুটি।তারপর আমি অনেকদিন ক্লাসে বসে মনে মনে চেয়েছি, কুকুরটা আসে না কেন? বিড়ালের সাথে বোধহয় আমার মিল আছে, তাই শিকে ছেঁড়ে নি কখনো।
যা হোক, আমি তো লটকে গেলাম সেই বালিকার সাথে, পুরা সুপার গ্লুর মত।বালিকা আবার নিরামিষভোজী, কাজেই মজার খাবারগুলেো ফেলে রেখে আমাকে খেতে হল 'ভেজী'(নাকি, ভিজা!!) স্যান্ডউইচ।সারাদিনই প্রোগ্রাম ছিল। বিকালের দিকে বালিকা বললো, আমি যদি পরে ওর সাথে দেখা করতে চাই, ফোন করে বুশ লাইব্রেরীর সামনে গেলেই চলবে।আমি ধর্মঘটিত ছ্যাঁকা খাওয়া পাবলিক('কাপুরুষের জবানবন্দী' দ্রষ্টব্য), সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরাই।শেষকালে এই ক্যাথলিক বালিকার জালেই যদি আটকাই, তাহলে আমার হৃদয়বালিকার দোষ কি ছিল? যা হোক, সেদিনকার মত ঘটনার এখানেই সমাপ্তি।
প্রথম দিন ক্লাসে গিয়ে দেখি আমি ছাড়া কোন বঙ্গসন্তান নাই। ক্লাস শুরু হওয়ার পর এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি রূপসী টেক্সান কন্যারা সংক্ষিপ্ততম শর্টস পরে হাতে স্টারবাকস এর কফি নিয়ে অবলীলায় সামনের চেয়ারে পা তুলে দিয়ে লেকচার শুনছে।অনেকদিন বুয়েটে ছিলাম, সারাজীবন স্যারদের ধমক খেতেই অভ্যস্ত।(টিচার হওয়ার পর অবশ্য সাহস করে দু-একজনকে ধমকও দিয়েছি) কাজেই, একটু অবাক হলাম।।যাইহোক, বুঝলাম, এটাই আমেরিকান কালচার।বুয়েটের ঝাড়ি-টাড়ি এখানে চলে না। যেহেতু, স্যারদের এখানে নাম ধরেই ডাকতে হয়, সেব্যাপারে লজ্জা পেয়েও লাভ নাই, আমেরিকান বন্ধুদের কাছে বেকুব সাজতে হবে।
প্রথম দিনেই বন্ধু জুটে গেল। বিশালদেহী এক জাম্বিয়ান, এনটেকে মুলেংগা।পরিচয়ের একটু পরেই পিঠে প্রমাণ সাইজ পিঠ-চাপড়ানি খেয়ে আমি তো পালাতে পারলে বাঁচি। এই অবস্হা থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসল আরেক টেক্সান বালিকা, ক্যানডিস।আমার ছোটখাট চেহারা দেখে বোধহ্য় তার একটু দয়া হচ্ছিল। যাহোক, বন্ধুদের সাথে স্টারবাকসে কফি আর মাফিন খেয়ে প্রথম দিনের ক্লাসের ইতি।
বিকালে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম, বাংলাদেশ থেকে কতদূরে এসে পড়লাম!!
পিএইচডি করে কোন ঘন্টাটা হবে, সেটাও মনে হচ্ছিল।হঠাৎ এপার্টমেন্টের ফোনে কে যেন কল করলো। দেখি অরেলিয়া, সেই প্রথম দিনের পরিচিতা। ও এখানে নতুন, এসেছে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে।শহরটা ঘুরে দেখতে চায়, আমি রাজি থাকলে আমাকেও নিয়ে যাবে। আমি এদিকে মনে মনে অনুবাদ করে ইংরেজী বলি, বাঙালী উচ্চারণের কল্যাণে সেটারও অর্ধেকটাই টেক্সানরা বুঝে না।যা থাকে কপালে ভেবে রাজী হলাম।তাছাড়া আমার গাড়ী নাই,গাড়ী ছাড়া টেক্সাসে বেড়ানোর কথা চিন্তাই করা যায় না।
সেদিন ওর সাথে বুশ মিউজিয়াম, ব্রায়ান ডাউনটাউন(শুধু নামেই, আসলে পিচ্চি একটা জায়গা) আর শপিং মলটা দেখে ফেললাম।
রাতে বাড়ী ফিরে কার্পেটে শুয়ে শুয়ে(খাট কেনার পয়সা ছিল না) চিন্তা করলাম, অদ্ভূত মানুষের জীবন। ৫ দিন আগে পলাশী বাজারে রিক্সাআলার সাথে দামাদামি করছিলাম ভাড়া নিয়ে, আর আজকে কলেজস্টেশনে শপিং মলে ঘুরছি।আমার তখন অদ্ভূত অবস্থা, নিজের কোন সেলফোন নাই, বাসার সাথে বলতে গেলে যোগাযোগ বন্ধ।প্রতিদিন ক্লাস থেকে ফিরে কান্না পায়, মনে হয় সেমিস্টার শেষ হলেই বাংলাদেশে চলে যাব।শুধু ম্যাকডোনালডস খেয়ে আর কয়দিন থাকা যায়। বাইরের ঝাল-মসলাহীন খাবার খেতে অসহ্য লাগে।
প্রথম সেমিস্টার শেষ হতে হতে অবশ্য সবকিছুই ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু মনে হত, কত বছর ধরে আমি প্রিয় দেশটাকে দেখি না। কতদিন হাঁটি না আমি চেনা রাস্তায়, কতদিন দেখি না আমার প্রিয় মুখগুলো। এখন অনেকদিন হয়ে গেছে, বাংলাদেশকে এখনও খুব মিস করি।
===========================================
টেক্সাস এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটি:প্রথম কয়েকদিন(২য় কিস্তি)
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:১১
আমি একটা ক্লাস নিয়েছিলাম সিস্টেম ইন্জিনিয়ারীং থেকে। প্রথমদিনেই লক্ষ করলাম, ক্লাসে ইনডিয়ান আর চাইনীজদের সংখ্যাধিক্য।আগেই জানতাম, চাইনীজরা বেশী মিশুক না। আমি তো আসছি বুয়েট থেকে, গ্রুপ ফাইট ছাড়া পরীক্ষায় পাসও করতাম কি না সন্দেহ। তাই শুরু থেকেই সম্ভাব্য গ্রুপমেট খুঁজতে লাগলাম। হাতেগোনা কয়েকটা আমেরিকান ছিল, ওদের কাছে পাত্তা না পেয়ে ক্লাসের একমাত্র তুর্কী তরুণীর দিকে মনোযোগ দিলাম। যদিও ওর পোশাক দেখে বুঝি নাই, ও মুসলমান। একদিন লবিতে পাকড়াও করে আন্দাজে ঢিল মারলাম, একিন, তুমি তো মুসলিম, তাই না? ও অবাক চোখে তাকিয়ে বললো, আমার নাম জান কি ভাবে? মনে মনে বললাম, খুকি, বাঙালীদের তো চিনো নাই। আর একদিন সময় পেলে তোমার বাবা-মার নামও বের করে ফেলতাম। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সিগারেট ধরাল। আমি তো নন-স্মোকার। এইসব কড়া সিগারেটের গন্ধও সহ্য হয় না। কোনরকমে নাক-মুখ চেপে গ্রুপমেট হতে বললাম। রাজি হল।
পরের মিশন, একটা ভারতীয় ছেলে, অরূপ মহাপাত্র।উড়িষ্যার থেকে এসেছে।কথা বলে দেখলাম, বাঙলা বোঝে, বলতে পারে না।সহজেই রাজি হল।
ক্লাস শুরু হওয়ার ২ সপ্তাহ পরই ছিল রমজান মাস। আমি সাধারণত সবগূলাই রাখি। কিন্তু ১৬ ঘন্টা রোজা রাখতে গিয়ে খবর হয়ে গেল। একে তো প্রচন্ড গরম(৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস), তার উপর আমার অ্যাপার্টমেন্ট অনেক দূরে।মাঝে মাঝেই ইফতারের সময় ক্লাস হত।তখন সবচেয়ে কষ্ট লাগত, 'স্নিকারস' দিয়ে ইফতার করতে।
এক মাস রোজা শেষে আসল ঈদ। বাবা-মা ছেড়ে এটাই আমার প্রথম ঈদ।স্বাভাবিক নিয়মেই মন খারাপ হল।এখানে বাঙালী কম্যুনিটির জনসংখ্যা খারাপ না। ঈদে সাধারণত কোন বাসায় সবাই জড়ো হ্য়। সবাই বাসা থেকে রান্না-বান্না করে নিয়ে আসে।আমি ব্যাচেলর বলে মাফ পাই নাই।বিরিয়ানী রাঁধতে হয়েছে।বিকেলে এখান থেকে ৪০ মাইল দূরের 'লেক কনরো' ঘুরতে গিয়েছিলাম, অসাধারণ একটা লেক।
এবার, আমার বন্ধুদের কথায় ফিরে আসি। আমেরিকায় এত বছর থাকতে গিয়ে অনেকের সাথেই বন্ধুত্ব হয়েছে। অনেক অদ্ভূত কিসিমের মানুষজনের সাথে পরিচয় হয়েছে।এমনিই আমেরিকানরা মাথা পাগলা জাতি। কথা নাই, বার্তা নাই, ক্লাসের মধ্যে চিৎকার দিয়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে তো এদের মাথা পুরা আউলা হয়ে যায়, আমি যে রাস্তায় থাকতাম সেটার একদম মাথায় বেশ কয়েকটা নাইটক্লাব। শুক্রবারে এত লোকজনের ভীড় হয় যে রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হওয়া যায় না।গাড়ী বের করাও বিপদজনক, কারণ প্রায়ই ছেলে-মেয়েরা টলতে টলতে গাড়ীর সামনে এসে পড়ে। অবশ্য তাই বলে এদের খারাপ ভাবার মত কোন কারণ নাই। আমি এদের মধ্যে যে ভাল দিকগুলা দেখেছি তাতে এসব ব্যাপার অগ্রাহ্য করা যায়। এখানকার মেয়েরা অনেক পরোপকারী আর সৎ। আমাদের দেশের ডিজুস প্রজন্মের মেয়েদের চেয়ে এরা যে অনেক ভদ্র তাতে কোন সন্দেহ নাই।
অবশ্য প্রথমে আমার তেমন আমেরিকান বন্ধু ছিল না। কারণ, এরা নিজেদের মধ্যেই কথা কম বলে। আর পার্টিতে না গেলে বন্ধু পাওয়া কঠিন।আমি কট্টর না হলেও ধর্ম মেনে চলি, পার্টিতে গিয়ে তো আর 'কোক' খাওয়া যায় না, রঙিন পানিই খেতে হয়,তাই আমার যাওয়াও হয় না।
অরেলিয়া মাঝে মাঝে ওয়াইন খায়, আমার সাথে মেশার পর সেটাও ছাড়ার চেষ্টা করছে।তাই, আমার তেমন অসুবিধা হ্য় না।সমস্যা হল, আমার তুর্কী বান্ধবী একিনকে নিয়ে, এমনিতে সে দিব্যি পর্ক আর বিয়ার খায়, পোশাক দেখে কেউ মুসলিম বলে ভুলেও ভাববে না, কিন্তু তুরস্ক-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরস্হায়ী করার জন্য সে হঠাৎ জোড়েসোড়ে চেষ্টা শুরু করল। আমি পড়লাম বিপদে, প্রথমে কিছু বুঝি নাই। এদের কালচার একটু অন্যরকম, দেখা হলেই চিৎকার দিয়ে জড়িয়ে ধরে, ছেলে-মেয়ে বিষয় না।সবই ঠিক ছিল, কিন্তু আমার জন্য যখন কয়েকদিন পর পর একিনের নিজের হাতে বানানো 'একমেক'(একরকম পিঠা) আসতে লাগল আমার জন্য, তখন একটু শংকিত হতে হল। তারপর একদিন সরাসরি বলে বসল।আমার আম্মা যদি এরকম মিনিস্কার্ট পরা পুত্রবধু দেখেন, তখন তার মুখের চেহারা কেমন হবে ভাবতেই হাসি পেল। এমনিই উনি ভয়ে আছেন উনার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে।
একিন আমার গ্রুপমেট, একসাথে প্রজেক্টের কাজ করি। ও তুরস্ক থেকে আসার কয়েকদিনের মধ্যে ওর ছেলেবন্ধুর সাথে ওর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। একদিন বাসস্টপে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে ওর দুঃখের কাহিনী শুনিয়েছিল। কিছু বলতে হয় সেজন্যই আমিও ওকে সান্তনা-টান্তনা দিয়েছিলাম।সেটা যে বুমেরাং হয়ে আমার দিকেই ফিরে আসবে কে জানত?আমিতো মহা মুশকিলে পড়লাম। মার্কিন কন্যারা 'জেলাসি' তে বঙ্গকন্যার চেয়েও সরেস।অরেলিয়া জানলে যে ঘাড়ে আমার মাথাটা থাকবে না, বলাই বাহুল্য। এমনিতেই ও একটু অন্যরকম, মার্কিন ছেলেদের ঠিক বিশ্বাস করে না বলেই এই অধমের সাথে তার এত দহরম-মহরম। এখন এসব জানলে ঠিক সীজারের মত বলে উঠবে, "ব্রুটাস, তুমিও.....।" সে আমার সহ্য হবে না।
একদিন 'টাকো বেল' এ খেতে খেতে একিনকে সরাসরি সব বললাম।ফলাফল, আধখাওয়া 'বুরিটো' ফেলে একিনের সবেগে প্রস্হান।আমার একমেক খাওয়া চিরতরে বন্ধ হল। অবশ্য পরে এক মহানুভব গ্রীক ছেলের কল্যাণে(সীজারের জাতভাই কিনা!!) আমি এই বিব্রতকর পরিস্হিতি থেকে রক্ষা পেলাম।সে ফ্রাইডে নাইটে একিনকে দেখে এতই মুগ্ধ হল, শনিবার বিকালে দেখলাম দুজনে টকটকে লাল শেভী কর্ভেটে করে ডিনার খেতে যাচ্ছে। আমি মনে মনে বললাম,'আলহামদুলিল্লাহ'।এখন একিনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক।
অনেকদিন এক প্রজেক্টে একসাথে কাজও করেছি।
২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৪১
সাজিদ শাহরিয়ার বলেছেন: হাউ ফানি!!!
হুমম, স্যারের লেখা তো পড়লাম। কই চটি তো মনে হচ্ছে না। আপনি বরং নীলক্ষেত থেকে চটি কিনে তুলনা করে দেখাতে পারেন।আমার মনে হয় স্যার লেখাটা ইন্টারেসটিং করার জন্য একটু কল্পনা মিশিয়েছেন।এর চেয়ে অনেকগুণ অশ্লীল লেখা ব্লগে আসে।আপনি কি ব্লগে নতুন?আর একটা কথা, আমি স্যার না। তবে বুয়েটে পড়ার সময় উনি আমার প্রিয় স্যার ছিলেন।কারণ, আর কাউকে এত স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি দেখিনি।আপনার বরং সাবধান হওয়া উচিত। অলরেডি, কিন্ত আমরা ২ জন প্রতিবাদ করেছি।হ্য়তো আরো আসছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৩
উই পোকা বলেছেন: আরো নিক বানাবেন না কি?
যত ভুল করবেন, ততই আমার জন্য ভালো।
চটির ব্যাপারটা বুঝলাম না। আপনার চটির definition মনে হচ্ছে আমার জানা definition টা থেকে ভিন্ন।
২২| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
সাজিদ শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল কথা, উই পোকাও কিন্তু নকল নিক। আরেকজন উইপোকা আগে থেকেই ব্লগে আছে।আপনি তো তিনি নন।
২৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১০
উই পোকা বলেছেন: ব্লগে কোন কিছু প্রমান করার ইচ্ছা আমার নাই। আপনার স্ত্রী আপনাকে চিনলেই আমার চলবে। ঐ কুয়াহারার পোস্ট (স্ক্রীণ প্রিন্ট) দেখেই সে যা বুঝার বুঝে নেবে। কি বলেন? আপনি কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি সব সুন্দর করে সাজিয়ে নেবো, আপনার কুৎসিত গালিটি (এই ব্লগে ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:২৩ এর কমেন্ট) সহ।
আমিই এখন "যা দেবী সর্বভুতেষু শক্তিরুপে সংস্হিতা" । শুধু ক্ষমা প্রার্থনায়ই আপনার মুক্তি।
২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:৩৬
ধুসর স্বপ্ন বলেছেন: >>লেখক বলেছেন: না , , , লাগছে না। কারণ আমরা একই ব্যাক্তি নই। আমার বা অনিন্দিতার এমন কিছু হ্য়নি যে নিক পাল্টাতে হবে। আমাদের পার্থক্য আছে।আমার লক্ষ্য হলো আপনার দেয়া গালির প্রতিশোধ নেয়া।
: তাহলে অনিন্দিতার কপি করা অচেনা সৈকতের ব্লগ আপনার কাছে গেল কেমনে??
আর আমি আপনাকে গালি দিলাম কবে? একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে চাপাবেন না। And dont be so dumb headed....
২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:০৮
উই পোকা বলেছেন: "তাহলে অনিন্দিতার কপি করা অচেনা সৈকতের ব্লগ আপনার কাছে গেল কেমনে?? "
ছেবলা সৈকতের লেজ দেখা যায়। তার ধারনা একমাত্র অনিন্দিতাই ব্লগ কপি করতে জানে।
আপনি আর ছৈকত যে একজনই সে তো আমার আগে পারভেজই বলে দিছে। সেই ব্লগ আপনি যথারীতি আপনি মুছে ফেলেছেন (এ এক আজব যন্ত্রনা . . . খালি ছেবলামী ভর্তি ব্লগ লেখে আর মুছে)।
ঐ ছার-মার্কা ঝাড়ি নিজের জন্যই রাখেন।
২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৫১
সাজিদ শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে একটা জিনিষ খেয়াল করলাম।বিনা কারণে, আপনি চিল্লাপাল্লা করছেন।আপনার মত ফালতু পাঠক/পাঠিকা আরো আছে এই ব্লগে।তার উপর, নিছেন মেয়ে নিক।এইজন্য, পোয়া বারো আপনার। আপনার দুর্গন্ধভরা বমি সবাই খেয়ে নিচ্ছে।
সন্দেহভরা মন আপনার। সবাইকেই ভাবছেন সৈকত।সাহিত্য বোধহয় পড়া হয় নাই আপনার কখনো। আপনি একটু পড়াশুনার অভ্যাস করলে পারেন।লেখক অনেক কিছুই লিখতে পারেন।কারণ লেখক সাংবাদিক নন।আর এসব লেখা খবরের রিপোর্ট না।
ব্লগটা আপনার শোয়ার ঘরও না। আপনি কিভাবে কাপড় পালটান সেটা মানুষকে দেখান কেন? কে কি লিখল, এটা নিয়ে যা করছেন সেটা লোক হাসানো ছাড়া আর কি?
অচেনা সৈকতের বন্ধু সংখ্যা কম না, ছাত্রও আছে যারা এই ব্লগে লিখে। শুধু শুধুই শত্রু বাড়াচ্ছেন।কিছু তো করতে পারবেনই না, খালি খালি সময় নষ্ট।একটা জিনিষ মনে রাখবেন, আপনি যে হাততালি পাছছেন তা শুধু মেয়ে বলে।বেশ্যাও আদৃত হয় লম্পটের কাছে, সেটা কি সম্মানজনক?
২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:০০
উই পোকা বলেছেন: কুয়াহারার পোস্টে ধরা খেয়ে মাথা গরম হইছে? না পাইরা গালি ? ওটা সময়মতই আইবে ব্যাখ্যা সহ।
কে বেশ্যা, কে লম্পট আর কে তাদের মিলনজাত সন্তান তা নির্ধারন করে তাদের কর্ম।
আপনার কর্মে বুঝিয়ে দিলেন যে আপনি উপরের এই তিন চরিত্রের মধ্যে ৩য় জন। সেজন্য যে পরিবেশে আপনি বড় হয়েছেন তাতে ২য় চরিত্রের পুরোটাই আপনার মাঝে বিদ্যমান। আর, মাথায় আছে চতুষ্পদির বিষ্টা। রাস্তাঘাট তো বটেই ব্লগে, চ্যাটেও মেয়ে দেখে মুখে লোল আসে। আর গালে চড় খেয়ে তাকে ১ম চরিত্রে নামিয়ে আনতে চান।
ভালো কথা ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮ (পোস্ট ২৮) এ ছ্যাবলাটা নিজেই বলেছে যে ঐ চটি গল্প কাল্পনিক না, সব সত্য।
Click This Link
২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪
অনিন্দিতা ০১ বলেছেন: কি যন্তনা
আমি আবার নাকি ্উই পুকা.।হে হে হে...।যারা এইডা ভাবতাচেন.।তাগো লাইগ্যা বলি...চৈকত চায়েব মেডিক্যাল, বুয়েট, ঢাবির মা্ইয়াগো কাচে যারপরনাই হিট.।উনার ছ্যাবলামো আচরনের জন্য.....কারও কুনো সন্দেহ থাকলে উনার ছাএঈ দের জিগাইতে পারেন...কয়দিন বল্গ না আচিলাম না..।এরমাঝে যে এতোকিচু ঘইটা গেচে দেইখ্যা মজাই লাগতাচে
২৭| ২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৫
উই পোকা বলেছেন: ঐ সব হাস্যকর ঘটনা আমরা অনেকেই জানি।
তার বন্ধু মহলের ধারনা যে অন্য ধর্মের এক মেয়ের প্রতি তার ভাল দুর্বলতা ছিল (তার যা চরিত্র . . . এখনো আছে কি না কে জানে)। ছাবলা ছারের নিক দুইটা খেয়াল করলেই এর ছড়াছড়ি দেখা যায়।
২৮| ২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০০
অনিন্দিতা ০১ বলেছেন: আপনি মনে হ্য় ওনার একদম শুরুর পোস্ট টা মিস করেছেন.।সেইখানে সেই মেয়ের কথা ছিলো.....।আমার অবাক লাগে প্রেম করে বিয়ে করা বউকে এতো অল্প সম্য়ে কিভাবে ১টা লোক ভুলে যায়
২৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২৭
অচেনা সৈকত বলেছেন: প্রিয় উইপোকা, আপনি বলেছিলেন আমার পত্নীকে লেখার প্রিন্ট পাঠাবেন।কিন্তু এখনো পাঠাননি কেন সেটা বুঝলাম না। আমার পরীক্ষা-টরীক্ষা সব শেষ হয়ে গেল, কিন্তু আপনার আচমকা আঘাত আসল না কেন? আর আপনার বান্ধবী আমার ১ম পত্নী নন, ২য় পত্নী। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য যখন জানেন না, তখন আপনার এই দাবী বিশ্বাসযোগ্য নয়। অন্য ধর্মের মেয়ে বলে যাকে তাচ্ছিল্য করছেন তিনি আমার ১মা পত্নী, উনার সম্পর্কে এখন থেকে সম্মান দেখিয়ে কথা বলবেন আশা করি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:৪৮
উই পোকা বলেছেন: আমি বলেছি একটি অন্য ধর্মের মেয়ের প্রতি আপনার দুর্বলতার কথা। তাচ্ছিল্য টা কোথায় করলাম, লাইন / লিন্কটা দিন তো দেখি।
রোজার মাসেও (২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮) মিথ্যা? আপনার বড় জোর একটা করে মিড-টার্ম গেছে। পরীক্ষা-টরীক্ষা সব শেষ হ্য়নি।
আপনার পত্নীর ও তো পরিক্ষা ডিসেম্বরে। তার আগে আমি ওকে বিরক্ত করতে চাই না। উতলা হবেন না। আপনার ব্যবস্থা হবে।
৩০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৭
অচেনা সৈকত বলেছেন: কি ব্যাপার, ইতরামি থামিয়ে দিলেন কেন? সাহস থাকে তো সামনে আসুন।আপনাকে প্রকাশ্যে চ্যালেন্জ জানাচ্ছি। আপনার মত ইতর, নরকের কীট ব্লগার যারা ব্লগে না লেখে শুধু নোংরামি করতে জানে তাদের শায়েস্তা করার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। আর আমার ভাই-বেরাদরও এ ব্লগে কম না। আমার ১মা পত্নীকে অপমান করার শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে। আর পারেন তো আপনার চেলা-চামুন্ডা ব্লগারদেরও নিয়ে আসুন। লড়াই হোক। আমি আমার মুছে দেয়া পোস্টটা আবার দিব। দেখি আপনার মত ইতর কি করতে পারে আমার?আর আপনাকে সামনাসামনি পেলে আপনি শারীরিকভাবে আহত হবেন, এটা নিশ্চিত।
০৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:০০
উই পোকা বলেছেন: আপনার কল্পনার সেই ১মা পত্নীকে অপমান কোথায়, কি ভাবে করলাম তা উল্লেখ করুন।
সাজিদ শাহরিয়ার সেজে আমাকে যা যা বলেছেন তার শাস্তি আপনি পাবেন ব্লগের বাইরে, আপনার সত্যিকার জীবনে। যেখানে আপনার একমাত্র পত্নী রুখসানা নাজনীন বিদ্যমান।
"আর আপনাকে সামনাসামনি পেলে আপনি শারীরিকভাবে আহত হবেন, এটা নিশ্চিত। " -- আপনার হুমকি আমি গ্রহন করলাম। যে কি না রাতে একা ঘরে থাকতে পারে না, সে দেয় হুমকি। হা হা প গে।
আগে আপনাকে সামনাসামনি পেলেও, কিছু বলিনি। এবার তা হবে না, আপনি আপনার অংগহানীর জন্য প্রস্তত থাকবেন।
৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: আপনার দুই গালে চড় নয়, জুতোর বাড়ি মারা উচিত।
০৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:৩০
উই পোকা বলেছেন: একেই বলে চোরের মার বড় গলা।
আপনার একমাত্র পত্নী নর্থ ডাকোটার ফারগো তে পৌছে সানন্দে আপনার গালের উপরে কাব্যিক ছন্দে কাজটি করবেন।
৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:২৫
উই পোকা বলেছেন: @ চেনা সৈকত: আপনার কল্পনার সেই ১মা পত্নীকে অপমান কোথায়, কি ভাবে করলাম তার প্রমান দেয়ার আগে কোন ফালতু কমেন্ট করবেন না।
৩৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:০৪
অচেনা সৈকত বলেছেন: ফারহানা নাজনীন, অনেক বড় বড় কথা বলছেন। জাপানের সাপ-ব্যাং কেমন লাগছে?আর কাঁচা মাছ?
১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৪৮
উই পোকা বলেছেন: ফালতু কমেন্ট করবেন না।
যেটা বলা হইছে সেটা করেন। আপনার কল্পনার সেই ১মা পত্নীকে অপমান কোথায়, কি ভাবে করলাম তার প্রমান দেন।
ছ্যাবলাকুব (ছ্যাবলা আর বেকুব) ! আমাকে আর অনিন্দিতাকে আপনার শ্যালিকা ভাবছেন না কি ?
বুঝতে অসুবিধা হয়না Texas A&M থেকে কেন চলে যেতে হলো।
আবার বলি, ফালতু কমেন্ট করবেন না। যেটা বলা হইছে সেটা করেন। আপনার কল্পনার সেই ১মা পত্নীকে অপমান কোথায়, কি ভাবে করলাম তার প্রমান দেন।
৩৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৩৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: নাম বলে দিলাম বলে এত রাগ হয়ে গেল!!! আহা, সামনাসামনি এত খাতির দেখান আর ভেতরে ভেতরে এই!!! ছি ছি ছি, আপনি এত্ত খারাপ। আপনার ছবি আর বায়োডাটা ব্লগে পাবলিশ করে দিই ?কেমন হবে ব্যাপারটা, বলেন তো?যারা উপকারীর অপকার করে তাদের কি বলে জানেন তো?কৃতঘ্ন।আপনি সেটাই।
৩৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:২৮
পারভেজ বলেছেন: এই ব্যাপারটা খুব ছেলে মানুষী পর্যায়ে চলে গেছে! সবাই এতো ভালো লিখে। লেখালেখি নিয়েই নাহয় সমালোচনা চলুক?
৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:৫১
উই পোকা বলেছেন: আবার বলি, ফালতু কমেন্ট করবেন না। যেটা বলা হইছে সেটা করেন। আপনার কল্পনার সেই ১মা পত্নীকে অপমান কোথায়, কি ভাবে করলাম তার প্রমান দেন।
আমি আর আপনার ফারহানা নাজনীন এক ব্যক্তি না। আমি সে হলে এতো লেখা-লেখি করে সময় নষ্ট করতাম না, সরাসরি আপনার পত্নীকে আপনার কীর্তি দেখিয়ে দিতাম। আপনি তার কি কি উপকার করেছেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। তবে, আপনার কাছ থেকে কোনদিন কোন উপকার নেবার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়নি আমার জীবনে।
যেটার প্রমান চেয়েছি সেটা কোথায়? নাই? না থাকলে বলেন যে নাই। কথা ঘুরানোর দরকার কি ? হম্বিতম্বি করে জুতা মারতে চাইলেন, সেটা নিজের গালেই মারুন।
@পারভেজ: লিখতে দোষ হবে কেন? কিন্তু নিজেকে নিয়ে ঢাক পিটাতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া, সেটাতে ধরা খেয়ে অন্য নিক্ নিয়ে গালি দেয়া, হামবড়া ভাব দেখানো, এসব কি? আপনার খারাপ লাগবে না যখন আপনি জানবেন যার (নিজেকে নিয়ে) লেখা পড়ে আপনি তাকে extra-ordinary ভেবেছেন তার কাহিনী গুলো মিথ্যা?
৩৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
উই পোকা বলেছেন: আমাদের চেনা ছৈকত ছাহেব এখন বেশ সংযত ভাবে লেখালেখি করেন দেখে ভালো লাগলো। আগের সেই নিজেকে নিয়ে হামবড়া বক্তব্য, আর কাল্পনিক রুপবতী নিয়ে লোল-ফেলানো গল্প কমে এসেছে। পাঠককে আর আগের মত বিভ্রান্ত করা হচ্ছে না।
একটা মজার জিনিশ না বলে পারছি না। কিছু দিন আগে সে বুয়েট নিয়ে একটা লেখা পোষ্ট করেছিল। কিন্তু, সেটাতে ভুল যুক্তি থাকায় পাঠকদের কমেন্ট গুলা সুবিধার হ্য়নি। সেজন্যে সে লেখাটা মুছে ফেলে। থাকলে সমস্যাটা কি হতো জানি না?
তবে কথায় আছে না কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না। নিজের নোংরা মনের মাধুরী মিশিয়ে উল্টা-পাল্টা কমেন্ট করার জন্য তাকে সাময়িক বিতাড়ন করা হল।
৩৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
আরিয়ানা বলেছেন: হাই!! আপনার পাতায় আসতেও আমার নিজেকে ছোট করছি বলে মনে হয়। তবু আসলাম আপনাকে কিছু কথা বলবার জন্য। এই যে বলছি কথা গুলো তাতেও আমার নিজেকে ছোট করছি বলে মনে হচ্ছে। তবু না বলে পারলাম না কারন আপনি যা করছেন তা মানুষ টয়লেটে করে। আপনি বোধহয় ব্লগটাকে আপনার টয়লেট মনে করেছেন। আর ভুলে গেছেন আমরা যারা দেখছি আপনার লেখা তারা আপনি কি করছেন টয়লেটে শুধু তাই জানছিনা বরং টয়লেটে আপনাকে কেমন দেখা যায় তাও দেখছি।
তাই মনে করিয়ে দিচ্ছি এটা আপনার পারসোনাল টয়লেট নয়। এখানে আপনার নোংড়ামির সাথে সাথে আপনার নগ্নতাও আমরা দেখি। আপনার পারসোনাল কোন নোংড়ামি সৈকতের সাথে থাকলে সেটা পারসোনালি সারবেন। ব্লগের পরিবেশ নোংড়া করবেন না প্লিজ।
আপনার কথামতো একজন লেখক যদি প্রেমের গল্পো ১০০টা লেখেন তাহলে তো ধরে নিতে হবে তিনি লম্পট। এবং সেই মতে রবিঠাকুর তো তাহলে চুরান্ত পর্যায়ে লম্পট। লেখক গল্প লেখেন পাঠকদের ভাল লাগবার জন্য তাতে রং চড়িয়ে। তাতে কেউ কখনো লেখককে লম্পট বলেছে বলে এই প্রথম দেখলাম। আর আপনি যদি বলেন আপনি সৈকতকে আমরা চাইতে বেশি চেনেন তাহলে আমার কিছু বলাটাও হাস্যকর লাগছে।
এনি ওয়ে এর পর আমার পরিচিত করো কাছ থেকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য বের করে আমার গেয়ে কাদা ছেটাবার চেষ্টা করবেন সেটা এক্সপেক্ট করব কারন আপনার বাবা/মা বোধহয় আপনাকে ঐ শিক্ষাই দিয়েছে তার প্রমান আপনার ব্লগ পড়লেই বোঝা যায়। কোথায় কেমন বিহেভ করতে হয় তা আপনি যানেন বলে মনে হয় না।
আপনার নিজের কোন ভদ্র লেখা এখনো দেখিনি। বোঝা যায় সৈকতকে পারসোনালি এ্যটাক করার জন্য আপনি বল্গে এসেছেন। কই প্রলয়ের ঘটনার উপর তো আপনার একটাও মন্তব্য দেখলামনা।
আপনার চাইতে বয়সে আমি বড় বলেই আপনাকে এসব বলতেও আমার নিজেকে ছোট করছি বলে বার বার মনে হচ্ছে তবু বললাম যদি আপনার এতটুকু আত্বসন্মান বোধ থেকে থাকে তবে বুঝবেন কেন বলেছি।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫
পারভেজ বলেছেন: সৈকতকে নিয়ে যতো পোস্ট আসবে ততো গুরুত্ব পাবে! মিথ্যাচার বলুন, হামবড়াই বলুন, এসব বাস্তবে যেমন সত্যি, ব্লগেও তেমন সত্যি। ঘুরে ফিরে আসবেই। খুব কি প্রয়োজনীয়তা আছে উল্লেখের? লেখালিখিতে স্বাগতম