নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছুটে চলো অগ্রপথিক তোমার আপন পথে

অগ্রপথিক...

পথিক পথে পথে চলে, আর পথ পথিকের কথা বলে............

অগ্রপথিক... › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম নৌবাহিনীঃ সূচনা কাল

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫




হযরত উমর (রা) এর শাসনকাল। আলা ইবনে হাযরমী চাইছিলেন ইরানের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ইসলামী শাসনের অন্তর্ভুক্ত করা। কিন্তু তার এই ইচ্ছার পথে একমাত্র বাধা ছিল পারস্য উপসাগর। তাই নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হযরত উমর (রা) এর অনুমতি ছাড়াই নৌযান প্রেরণ করেন। কিন্তু মুসলমানরা পরাজিত হয়,কারণ একেতো তারা কখনো এর পূর্বে নৌযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নি, অন্যদিকে খলিফার অনুমতি ছাড়াই এ অভিজান চালানো হয়। এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে হযরত উমর (রা) তাকে বহিষ্কৃত করেণ এবং তার এলাকাকে হযরত সাদ ইবনে আবি উয়াক্কাস (রা) এর অধীন করে দেন।

অপরদিকে আমির মুয়াবিয়া (রা) ছিলেন সিরিয়া ও পশ্চিম জর্দানের গভর্নর। রোমান বাহিনীর সাথে প্রায় সময় উনার যুদ্ধ করতে হতো। আর রোমান বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার জন্য যে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনীর প্রয়োজন ছিল তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি উমর(রা) কাছে একটি নৌবাহিনী সংগঠিত করার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু হযরত উমর (রা) কাউকেই নৌবাহিনী গড়ার অনুমতি দেননি। উনার মত ছিল, তখনও নৌবাহিনী গড়ে তোলার উপযুক্ত সময় হয় নি।

হযরত উসমান (রা) এর খিলাফতকালে আমির মুয়াবিয়া (রা) পুনরায় মুসলিম নৌবাহিনী গঠনের প্রস্তাব করেন এবং বারবার এ বিষয়ে হযরত উসমান (রা)কে অনুরোধ করতে থাকেন। হযরত উসমান (রা) এই শর্তে তার আবেদন মঞ্জুর করেন যে, যারা স্বেচ্ছায় এই বাহিনীতে প্রবেশ করতে চাইবে শুধু মাত্র কেবল তাদেরকেই নিতে পারবেন আমির মুয়াবিয়া (রা), যারা রাজি রাজি হবে না তাদের যেন বাধ্য না করা হয়।

তারপর ২৮ হিজরীতে সৃষ্টি হয় নতুন ইতিহাসের, গোড়াপত্তন ঘটে মুসলিম নৌবাহিনীর। আমির মুয়াবিয়া (রা) ছিলেন এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা। প্রচণ্ড আগ্রহ ও উদ্দীপনার সাথে এই নতুন নৌবাহিনী পরীক্ষামূলক আক্রমণ করে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাসবাসী আমির মুয়াবিয়া (রা) এর কাছে সন্ধির প্রস্তাব পাঠায়। তিনি ৭০০০ স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে তাদের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন।

এরপর সূচনা হয় নতুন এক যুগের। স্থাপিত হতে থাকে জাহাজ তৈরির কারখানা (দারুস সানাআ যা পরিচিত তারসানা নামে)। মুসলিম নৌবাহিনীর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকত অন্য নৌবাহিনীগুলো। ভূ-মধ্যসাগর সবসময় ঘোলা থাকতো মুসলমান নৌবাহিনীর দ্বারা। ভূমধ্যসাগর, মারমোরা সাগর, ঈজীয়ান সাগর, কৃষ্ণ সাগরে কোন শক্তিই মুকাবিলা করতে পারতো না মুসলিম নৌবাহিনীর। কোন যুদ্ধজাহাজ ভুমধ্যসাগরে প্রবেশ করতে পারতো না মুসলিমদের অনুমতি ছাড়া, ইউরোপীয় সম্মিলিত নৌবাহিনীগুলো ভয়ে পালিয়ে বেড়াতো মুসলিম নৌবাহিনীর ভয়ে, যেমন ছোট ছোট পাখি পালিয়ে বেড়ায় বাজপাখির ভয়ে। পৃথিবী অবাক হয়ে চেয়ে থাকল এই নতুন শক্তির দিকে-----------

(চলবে)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

বেলা শেষে বলেছেন: Very very super good works.
Up to next!!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০২

অগ্রপথিক... বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই আপনার লেখা গুলা আমার চরম লাগে... ১ মাস হল সামুতে আসছি... আমি আসাত পরে আপনার প্রথম এই পোষ্টটাই নজরে পরল... :)

ভাল লিখেছেন... ইসলামি ইতিহাস আমার তেমন জানা নেই তবে আপনার লেখা পড়ে বেশ জেনেছি স্বীকার করতে দ্বিধা নাই :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

অগ্রপথিক... বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ভালো লাগল ভাই, ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। ইসলামের অতীতের সোনালি দিনগুলো জেনে যেমন গর্ব হয়, এখনকার মুসলিমদের অবস্থা দেখলে সেরকমই খারাপ লাগে।

আপনি যে বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন তাতে খুব বেশী লেখা ব্লগে আমার চোখে পড়ে নি। ব্যাতিক্রমী বিষয়বস্তুর জন্যে আলাদা ধন্যবাদ।চালিয়ে যান।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ্পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম :)

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪২

পথহারা নাবিক বলেছেন: সুন্দর!! ইসলামের এইসব গৌরভময় কাহিনী শুনতে খুব লাগে!!

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

উজবুক ইশতি বলেছেন: ভালো লাগলো

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৩

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ভাল লাগল, শুভকামনা।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২০

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: চোলদের নৌশক্তি ছিল আশ্চর্য রকমের শক্তিশালী। সেটা গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। এই লেখাটির সমান্তরালভাবে সেই ইতিহাস লেখা হলে পুরনো দিনের নৌশক্তিতে মানুষের কীর্তি কাহিনী সামনে আসবে। এমনিতে নৌ শক্তি নৌ বাণিজ্য নিয়ে আমার বেশ উৎসাহ আছে। আপনার লেখাটা দ্রুত লিখে ফেলুন। তবে এতটুকু করে নয়। অনেক বেশি করে লিখুন। অপেক্ষায় থাকলাম।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: প্রাউড টু বি এ মুসলিম। :) :) :) :)

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্‍কার পোষ্ট ।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য । অনেক ভাল লাগলো

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভাল কাজ।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ইসলামের এইসব গৌরবময় কাহিনী শুনতে খুব লাগে!!







ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১

জামাল কুরাইশ বলেছেন: স্হল পথের জিহাদীদের চেয়ে নৌ-পথের জিহাদীদের মর্যাদা বহুগুন বেশী - অনেক প্রসিদ্ধ হাদিস দ্বারা স্বীকৃত। শক্তিশালী মেরিন থাকা কত প্রয়োজন তা বুঝতে মুসলিমদের কত সময় লাগবে আজ? রাসুল(স:) কেন মেরিন গড়, ক্রমাগত উন্নয়ন, বিধর্মীদের উন্নততর করার কথা বারবার বলেছেন তা সহজেই এখন বোধগম্য। আপনি বিস্তারিত লিখবেন দয়া করে, আমরা জানতে চাই ঠিক কোন কালে আমাদের মেরিন দূর্বল হওয়া শুরু হয়।

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

মদন বলেছেন: ++++++

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

হাতীর ডিম বলেছেন: চলুক :)

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১২

হাবা বাবা০০০১ হ্যাপী বলেছেন: খুব ভাল

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১৯

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনেক কিছু জানা গেল। চলতে থাকুক।

২১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: চলুক..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.