![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাই বোনের মধ্যে কথোপকথন ..
.
- এই ভাইয়া।
- কোন সাড়া শব্দ নাই।
- এই ভাইয়া ওঠ। [ধাক্কা মেরে]
- কোন কথা নাই।[বিঘোরে
ঘুমাচ্ছে]
.
কোন দিশা না পেয়ে বোনটা
তার ভাইয়ের গায়ের উপর পানির
ছিটাতে লাগর। গায়ে ঠান্ডা
অনুভূত হওয়াই ভাইটা আড়মোড়
ভেঙ্গে.....
.
- হু কে? কী? কখন? কোথায়? কী
হইছে?
- তোর ঘাড় ভেঙ্গে গেছে।
- কই? ঘাড় তো আমার ঠিকই আছে।
আর তুই কিরে? একটু শান্তি করে
ঘুমুতেও দিবি না??
- আমি তোর যম। বেলা কয়টা
বাজে দেখছিস??
- কেমনে দেখুম। মুই তো ঘুমুতে
আছিলাম। [একটু আহ্লাদি স্বরে]
- ঘড়ি দেখ। সাড়ে নয়টা বাজে ।
কলেজ রেখে আসবি না??
- ওহ ! মনেই ছিল না। আচ্ছা তুই
রেডি হয়ে নে, আমি ফ্রেশ হয়ে
নাস্তা করে আসতেছি।
- হু। তাড়াতাড়ি কর।
.
এই গল্পের ভাইটা হলাম আমি আর
বোনটা আমার কিউট ১ মাত্র
ছোট বোন।রোজ রোজ তাকে
আমার কলেজে রেখে আসতে
হবে। আর আমার ঘুমটাও ভাঙে
তার ডাকেই। যদি কোন কাজ
থাকে আর সেজন্য যদি বলি আজ
পারব না। তবে তো সে
রাজকন্যা থেকে রাগ কন্যা হয়ে
যায়।সেদিন আর আমার ভাগ্যে
তার সাথে কথা বলা যুটে না।
[ভাবছেন রাজকন্যা টা আবার
কে আরে মশাই বোনটার কথা
বলছি তো]
.
একদিন কলেজ রেখে আসার সময়..
তার কথা....
.
- ভাইয়া চারশত টাকা দে।
- কেন??
- এমনিতেই।দিবি কিনা বল??
- না। দেব না।[ রাগানোর জন্য]
- ওকে। থাক লাগবে না।[মনটা
খারাপ করে]
- হু।
.
যানি পাগলিটা খুব অভিমান
করেছে।তবুও তখন দিলাম না।
বাড়ি এসে আমার সাথে কথাও
বলে নাই।এবার চুপিচুপি তার
ব্যাগে পাঁচশ টাকা রেখে
দিলাম ওকে না জানিয়ে।
অভিমানের কারনে পরদিন
কলেজে সে একাই গেছে।
আমাকে ডাকেও নাই।
.
কলেজ থেকে এসে সরাসরি
আমার ঘরে.......
- ভাইয়া তুমি টাকা
দিয়েছিলে? আমাকে বলো নাই
কেন??
- হ্যা দিয়েছিলাম।আর এমনি ই
বলি নাই। তবে ভাবছি একটা
কথা।
- কি কথা?
- আরে সিরিয়াস কিছু না।
ভাবছি আজ সূর্য টা কোন দিক
থেকে উঠেছে??
- কেন?? পূর্ব দিকেই তো উঠেছে।
- না এমনি। আমার পাগলি আপুটা
আমাকে তুমি করে বলছে কেন??
- ভাইয়া তুমি না।[লজ্জা পেয়ে]
- এই পাগলি তোর টাকা লাগবে
আর আমি টাকা দেব না। তা কি
হয়?
- হু। বাদ দাও।আর এগুলো ধরো।
- কী এগুলো??
- এই তোমার বাকি একশ টাকা
আর একটা ঘড়ি।
ওই দিন কলেজ থেকে আসার সময়
ঘড়িটা দেখছিলাম ভাবলাম
তোমার টাকায় তোমাকেই
ঘড়িটা গিফ্ট দেব।এবার এটা
পড়ো আর বলো কেমন হয়েছে
ঘড়িটা??
- খুব সুন্দর হয়েছে। তুই পড়িয়ে দে।
[সাথে চারশ টাকা ও দিলাম]
ও ঘড়িটা পড়িয়ে দিল।
আর বল্ল যে
- টাকা কেন??
- রাখ তোর কাজে লাগবে।
- ভাইয়া তুমি কতও ভাল।
একেবারে আমার লক্ষি ভাইয়া।
- হইছে । আর পাম দেওয়া লাগবে
না।
- হুহ।
.
এভাবেই আমাদের ভাইবোরের
সম্পর্ক চলছিল।
.
বছর তির পর।
.
মা বাবা ওর বিয়ের জন্য পাত্র
খুজতে লাগল।খুজে খুজে ভাল
পাত্রও পাওয়া গেল। বিয়ে ঠিক
হয়ে গেল।
.
বিয়ের দিন
.
সারাদিন টুকটাক কাজকর্ম
করলাম। কিন্তু বিদায়ের সময় আর
ঐ দিকে গেলাম না। চলে
গেলাম ছাদে। ছাদ থেকে
শুনতেছি পাগলি বোনটা
কাদতেছে। আমারও চোখ বেয়ে
নোনা জলের ধারা ঝরছে।এই
পাগলিবোনটা ছাড়া যে
আমাকে থাকতে হবে তা ভাবি
নাই কখনও। তবু মনটাকে শান্তনা
দিলাম। "একটা মেয়ে তো
সারা জীবন তার বাবার
বাড়িতে কাটাতে পারে না"।
.
২ বছর পর
.
আজ পাগলিটা হাসপাতালে।
আমাদের ১ টা কিউট রাজকন্যা
উপহার দিছে সে। কিন্তু ওর শ্বশুর,
শ্বাশুরি,ওর বর, মা, বাবা ,আমি.
.সবাই কাদছি।বোনটা আর নেই।
নিজে চলে গেল কিন্তু দিয়ে
গেল ভালবাসার ১ টা সোনার
হরিণ।ভালবাসার দিনগুলি যে
কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে
যায়? ?
.
না ভালবাসা শেষ হয় নাই। এক
ভালবাসা বিদায় নিছে ঠিকই
তবে আগমন হয়েছে নতুন
ভালবাসার। যেটা পূর্বের
ভালবাসাকে নতুন রুপে নতুন
সাজে পুনরুজ্জিবীত করেছে।
ওহ রাজকন্যার নাম টা হল
"নীলিমা"। সারাক্ষন
দুষ্টামিতে মেতে থাকে। হ্যা ও
কথা বলতে শিখেছে। সেদিন
আমারে বলল যে,...
.
- মামা মামা । দেখ আমি আজ না
দেখলাম আমাদের বাড়ির পাশে
যে পুকুর টা আছে না।ওটাতে
আগুন ধরেছিল"।[কত সুন্দর সত্তি
কথা]
- হ্যা রে মা দেখলাম তো।
- মাম্মা তুমি না খুব ভাল।
- হুম।
.
.
দোয়া করিয়েন আমার
ভাগিনিটা জন্য।একে যেন
আবার বোনটার মত হারাতে না
হয়। চলুক না তার দুষ্টামির সাথে
আমার ভালবাসা।
.
ফিলিংস: মামা হইছিরে! কেউ
ভাগিনীটাকে ১ টা সত্তি কথা
শেখা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
আনাল হক্ব বলেছেন: ফেসবুকীয় লেখা।