নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আখ্যাত

আমি একজন মন্দ মানুষ বলেই নিজেকে জানি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার উদারতা।

আখ্যাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জৈবিক জীবনটি তাদের বৈচিত্রে ভরপুর

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৭


"বিয়ের জন্য বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার মত হৃদয়হীন কাজ আমি করবনা৷ কখন বিয়ে করবে, এটা তোমার স্বাধীনতা৷ নিজেকে বিয়ের যোগ্য মনে করলে বিয়ে করে ফেলতে পারো৷ তোমার বয়স কত বছর হলো, সেটা কোন ব্যাপার নয়৷
তবে সাবধান! জীবনেও কোনদিন ব্যভিচারের কাছেও যেওনা৷ যদি যাও, চূড়ান্ত যন্ত্রণার স্বাদ উপভোগ(!) করার জন্য তৈরি থেকো৷"


ব্যভিচার বিদ্বেষী মৌলবাদের খোলাখুলি হুশিয়ারী এটি। ব্যভিচার বান্ধব প্রগতিশীল ঘোষণাটি হলো-

"যৌনতার জন্য বিবাহের আবশ্যকতা আরোপ করার মত হৃদয়হীন কাজ আমি করবোনা৷ কখন কোথায় বসে কার সাথে কী করবে, সেটা তোমার স্বাধীনতা৷ নিজের দেহমনের প্রশান্তির জন্য যা করা দরকার, করে ফেলতে পারো৷ বয়স কোন বিষয় নয়৷
তবে সাবধান! ২১ (মেয়েদের ১৮) বছরের আগে বিয়ের কাছেও যেওনা৷ যদি যাও, বাল্যবিয়ের অমার্যনীয় পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য প্রস্তুত থেকো৷"



পুরুষ মাত্রেরই নারী প্রয়োজন, আর নারীর প্রয়োজন হয় পুরুষ। যে বলে, “আমার প্রয়োজন হয় না”, যুগ যুগ ধরে অবিবাহিত থাকার পক্ষে যে লোক, সে হয় ফেরেশতার চাইতেও পবিত্র মানুষ, নাহয় মিত্থুক ইবলিস শয়তান।

এই শাশ্বত প্রয়োজনটি পূরণের জন্য কেউ মৌলবাদী পন্থাটিকে(বিয়ে) বেছে নেয়, আর কেউ প্রগতিশীল উপায় অবলম্বন করে প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। আর কেউ কেউ পাশবিক পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করে।

১৮ বছরের কম বয়সের নারীদের জন্য বিয়ে হারাম(অবৈধ)। ২১ বছরের কম বয়সী নরদের জন্যও বিয়ে হারাম(নিষিদ্ধ)। আইন কি তাহলে নরনারীর শাশ্বত মানবিক অধিকারটি খর্ব করছে? মানবীয় মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পথে অমানবিকভাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? উত্তর, “না”। নরনারীর যা খুশি তাইই করার অনুমতি আছে, তবে তা প্রগতিশীল পদ্ধতিতে । মৌলবাদী পদ্ধতি(বিয়ে) গ্রহন করতে হলে নর ও নারীকে ২১ ও ১৮ বছর অপেক্ষা করতেই হবে।

ছাত্রসংগঠনের নেতানেত্রীদের জন্য বিয়ে করার অনুমতি নেই। অনুমতি দেয়নি দলীয় ব্যবস্থা। দলীয় ব্যবস্থা কি তাহলে ছাত্রনেতা ছাত্রনেত্রীদের শাশ্বত মৌলিক চাহিদাকে পদদলিত করেছে? দলীয় ব্যবস্থা কি এতটাই অমানবিক ও নিষ্ঠুর? উত্তর, “না”। ছাত্রনেতা ছাতনেত্রীদের সব ধরনের চাহিদা পূরণের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থনৈতিক জীবনের মত তাঁদের জৈবিক জীবনটিও রঙে রঙিন, মনোলোভা বৈচিত্রে ভরপুর।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

বলেছেন: কত বছর বয়সে বিয়ে করা যৌক্তিক মনে করেন???

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

আখ্যাত বলেছেন:

সবার ক্ষেত্রে একই রকম নিয়ম না
ছেলেঃ যে বয়সে পৌছলে ইভটিজিং ব্যভিচার এবং ধর্ষণ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়।
মেয়েঃ যে বয়সে পৌঁছলে লিটনেরর ফ্লাটে, বলধা-বোটানিক্যালে যাওয়া অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়

আমার ভুল ধরিয়ে উপকৃত করার আবেদন রইল

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নর - নারীর, একে অপরের আকর্ষণ, টান প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই। এটা সবকালেই ছিলো, আছে, থাকিবে।

আকর্ষণ, প্রয়োজন মেটানোর ধর্মীয় পদ্ধতি আর প্রগতিশীল পদ্ধতি নিয়ে যেটা বললেন, ধর্মীয় পদ্ধতিতে বিয়ের ব্যাপারে বয়স কোনো সমস্যা নয়। ব্যক্তি নিজেকে বিয়ের উপযুক্ত মনে করলেই বিয়ে করতে পারবে। (আমি যতটা জানি বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করিতেই ইসলামে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য হয়। এই বয়সে, মন আকুপাকু বেশি করে। আমাদের বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা, জনসংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনায় এই বয়সে, অর্থাৎ ২১ এর নিচে ছেলেদের বিয়ে করাটা কতটা যৌক্তিক?!
দ্বিতীয়ত,
মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই দেখা যায় ১৫ বছরে মেয়েকে ৩০-৩৫+ বছরের পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের মতামতের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বাল্যবিবাহ আইন, এসব সমস্যা কিছুটা কমাচ্ছে।)

প্রগতিশীলদের করা নিয়ম দেশের গড় মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে করা, এটার খারাপ কিছু আমি দেখছি না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫০

আখ্যাত বলেছেন: জুনায়েদ ভাই বলেছেন: ১৫ বছরে মেয়েকে ৩০-৩৫+ বছরের পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের মতামতের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

মেয়ের মতামতের তোয়াক্কা না করাটা অত্যন্ত অমানবিক ও অধার্মিক লোকদের কাজ, মেয়ের বয়স ১৫ হোক আর ৪৫ হোক।
তবে মেয়ের মত থাকলে বয়সবৈসম্যকেও সমাজ মেনে নেয় কখনো কখনো।
মহানবী (সঃ) এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন দৃষ্টান্ত।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে যত দেরীতে করা যায় ততই ভালো।
প্রতিটা ছেলে মেয়ের লেখা পড়া শেষ করে, নিজেকে যোগ্য করে এবং নিজের পায়ের নিচের মাটিটা শক্ত করার পরই বিয়ে করা উচিত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬

আখ্যাত বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে যত দেরীতে করা যায় ততই ভালো।
ব্রাদার, বঙ্গবন্ধু কি ভুল করেছিলেন?
আমি তা মনে করি না।

ছেলেমেয়ে বিয়ে করে পাল্লা দিয়ে লেখা পড়া করুক। একসাথে এসাইনমেন্ট করুক, নোট তৈরি করুক। পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের পায়ের নিচের মাটিটা শক্ত করুক, সমস্যা কী?

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখার আসল উদ্দেশ কি ছাত্র নেতাদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা?
পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো ছাত্রদের ক্ষমতা দখলের লাঠিয়াল বাননোর মতো ছাত্র-রাজনীতি চালু নাই।উন্নত দেশে ছাত্ররা সংগঠন করে নিজেদের পড়াশোনা আর সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ের জন্য।
বিরোধীদের চাপাতি-গজারী দিয়ে মেরে শায়েস্তা করার জন্য না।
তাই সেসব দেশে এসব গুরুত্বপূর্ণ না।
আর এদেশে ব্যাভ্ভচার করলে -যা এখন সবাই করে- কোনো সমস্যা নাই,কিন্ত যতো সমস্যা বিয়ে করলে!!!!
বিচিত্র এই জাতি !!!!

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই দেখা যায় ১৫ বছরে মেয়েকে ৩০-৩৫+ বছরের পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের মতামতের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বাল্যবিবাহ আইন, এসব সমস্যা কিছুটা কমাচ্ছে।) [/sb এটা ব্যাতিক্রম ছাড়া এখন দেশের কোথায় হচ্ছে??????

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

আখ্যাত বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.