নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতাবাদী

ওলিনোমান

আমি মানবতাবাদে বিশ্বাসী

ওলিনোমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদকে কি ইসলাম সমর্থন করে?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৮




জঙ্গিবাদকে কি ইসলাম সমর্থন করে অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? এই প্রশ্ন গুলা জানার আগে জানতে হবে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি বা সন্ত্রাস কি?

প্রথম সন্ত্রাস দিয়েই শুরু করি। সন্ত্রাস শব্দটি এসেছে এাস শব্দ থেকে। যার মানে হল ভয় ভীতি। এই ভয় ভীতি দিয়ে সাধারন মানুষের জান ও মালের ক্ষয় ক্ষতি যে করে থাকে বলা হয় সন্ত্রাসী। এখন কথা হলো জঙ্গিবাদ নিয়ে।
জঙ্গিবাদ হল সংঘবব্ধ ও পরিকল্পিত ভাবে ভয় ভীতির মাধ্যমে সাধারন মানুষের জান ও মালের ক্ষয় ক্ষতি করে থাকে।

এখন প্রশ্ন হল ইসলাম কি জঙ্গিবাদ বা ঐ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে, না কি বলে? আমরা সাধারনত ইসলামিক আইন বা নিয়ম বিধি নিষেধ খোজতে গেলে কুরান ও হাদিসের সাহায্য নেই। তাই কোরান কি বলে দেখি।

সূরা মায়িদা, আয়াত: ৩২ এ লেখা আছে যে,

'' কেউ কাউকে মানুষ হত্যার অপরাধ ছাড়া হত্যা করলে সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলো। আর কেউ কারো প্রাণ বাঁচালে সে যেন গোটা মানবজাতিকে বাঁচালো। ''

এই আয়াত দ্বারা কি প্রমাণ বা প্রতীয়মান হয়? কোন মানুষ অন্য কোন মানুষ হত্যার অপরাধ ব্যতীত যদি কাউকে হত্যা করে তাহলে সমস্ত মানবজাতির হত্যার অপরাধের সামিল। আর সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা তো কোন সাধারন অপরাধ হতে পারে না,
কঠোর আইন।


আরো একটি কঠোর আইনের কথা উল্লেখ আছে সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯১ এ আছে

'' ফিতনা বা সন্ত্রাস হত্যার চেয়েও ভয়াবহ। '' এই আয়াতের দ্বারা কি প্রমাণ হয়? ইসলাম কি সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদে সমর্থন করে? নিশ্চিয় না। ঝগড়া ফেসাদ বা সন্ত্রাসী ভয় ভীতি হত্যার চেয়েও বেশি ভয়ংকর। আরো নির্দেশ দেওয়া আছে সূরা আরাফ, আয়াত ৫৬ তে

'' দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর সেখানে বিপর্যয় বা সন্ত্রাস সৃষ্টি করো না....। ''

এই আয়াতে স্পষ্ট রূপে নিষেধ যে দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর সেখানে বিপর্যয় বা সন্ত্রাস সৃষ্টি অথবা জঙ্গিবাদ করা যাবেনা। ইসলামে কখনো বিপর্যয় বা সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বা জঙ্গিবাদে সমর্থন করে না। বারবার নিষেধ করে দিয়েছে। শুধু নিষেধ করেই থেমে যাননি, কঠোর পান্সিমেন্টের কথাও বলা হয়েছে। যারা এই ধরণের কর্মকাণ্ড করে থাকে তাদের ইসলামে কোন স্থান নেই।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি যেটাকে জঙ্গিবাদ বলছেন সেটা তো যারা জঙ্গিবাদ করছে তাদের কাছ আপোসহীন জিহাদ। আল্লাহর আদেশ-
’তোমরা লড়াই চালিয়ে যাও ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না ফেতনা দুরিভূত হয়, এবং আল্লাহর দ্বিন কায়েম হয়’
আপনি বলছেন- তারা নিরিহ মানুষ হত্যা করছে, তাদের ব্যখ্যায় তো এ লোকগুলো মানব রচিত আইন মানে। তাদের ভাষায়- আল্লাহর আইন যারা মানে না তারা আল্লাহর আইনের পথে প্রতিবন্ধক।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪২

ওলিনোমান বলেছেন: বলেছেন: প্রতিবন্ধক হলেও কাউকে মারা যাবেনা জিহাদ বা লড়াই মানেই তো
কাউকে মেরে ফেলা নয়। শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি চ্যালেস করে বলতে পারি। কোরানের কথাও উল্লেখ নাই যে ইসলাম জঙ্গিবাদ সাপোর্ট করে।
এর সবই হচ্ছে নাস্তেকদের ভুল ধারণা। ইহুদী নাসাড়াদের কাছে থেকে টাকা খেয়ে নাস্তিকরা শুধু এসব বলে।
ইসলাম মানে হচ্ছে শ্বান্তি।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৯

ওলিনোমান বলেছেন: বলেছেন: ঠিক বলেছেন, একদম ঠিক। শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: লড়াই বা যুদ্ধ মানে মানুষ মারা নয়, এ কেমন কথা বললেন? যুদ্ধ মানেই তা মারামরি, সেখানে আপনি মারবেন আপনাকেও হয়ত মরতে হবে। জঙ্গিরা লড়াই করছে, তারা নিজেরা মরছে এবং অন্যদের মারছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

ওলিনোমান বলেছেন: আবারো মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,
তবে লড়াই, যুদ্ধ বা জিহাদ বহু ধরণের হতে পারে।
নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা জিহাদ করা সবচে বড়
জিহাদ বা যুদ্ধ যেখানে কোন মানুষ মারামারির প্রয়োজন হয়না।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: ডিফেন্স করার ক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের প্রান বাচাতে আক্রমনকারীকে হত্যা করেন সেটা ভিন্ন কথা এই যেমন মায়ানমারে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে এখন যদি তারা নিজের প্রান বাচাতে বৌদ্ধদের কল্লায় কোপ দেয় তাদের দোষ দেয়া যাবে না, ইসলাম ডিভেন্স করার ক্ষেত্রেই বুঝিয়েছে কিন্তু অল্প বিদ্যা ভয়ংকারীরা এটাকে ভুল ব্যাখ্যা করছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

ওলিনোমান বলেছেন: Many many thanks for your analytical thinking.
Best of luck... take care.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.