![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন একদিন প্রাত:কালে
মস্তবড় এক নদীর পাড়ে একটা শক্ত খন্ড একা পড়ে আছে দেখলাম,
আমি তার কাছে যাই এবং প্রশ্ন করি : কে তুমি ?
সে উত্তর দেয় : আমি পাথর।
সে তার নাম বলল, আমি তাকে চিনলাম না।
আমি আবারো তাকে প্রশ্ন করি : কোথায় জন্ম তোমার ?
সে উত্তর দেয় : ঐ নদীতেই।
তাকে মিথ্যাবাদী মনে হলো,
কারণ এতো গভীর পানিতে কখনো ঐ রকম শক্ত খন্ডের জন্ম হতে পারে না।
কৌতূহল হলো, ভাবলাম হয়তো উপরে শক্ত ভিতরে নরম সিক্ত।
তাকে ভাঙ্গতে শুরু করলাম এবং সে মিনতি করতে শুরু করলো তাকে না ভাঙ্গার জন্য।
আমি আবারো প্রশ্ন করি কেন?
সে খুব ধীর গলায় উত্তর দেয় : আমি খুব তৃষ্ণার্ত।
আমার খুব রাগ চাপে মাথায়,
এবার তাকে প্রচন্ড রকম মিথ্যাবাদী মনে হয়।
এতো বড় নদী পাশে রেখে সে তৃষ্ণার্ত।
আমি তাকে খুব ছোট করে ভাঙ্গতে থাকি আর সে আর্তনাদ করতে থাকে: আমি খুব তৃষ্ণার্ত আমাকে ভেঙ্গো না।
অপরাহ্ন কেটে যায়,
গোধূলি নেমে আসে।
তার আর্তনাদ খুব ধীর সন্তর্পণে বন্ধ হয়ে যায়।
আমি খুব ক্লান্ত হই এবং চূর্ণ বিচূর্ণর মাঝে পানির সন্ধান করি,
কোন পানির অস্তিত্ব নেই।
খুব অবাক হই এবং কষ্ট পাই,
তাকে শেষবারের মতো প্রশ্ন করি : কেন সে এতো পানির মাঝে জন্ম নিয়েও খুব শক্ত ও তৃষ্ণার্ত?
সে আমাকে খুব বিনয়ের সাথে উত্তর দেয় : যদি কোন কালে কোন দিন তোমাদের কম পড়ে।
সে চুপ হয়ে যায়।
তার আর্তনাদের কথা বারবার মনে পড়ে : আমি খুব তৃষ্ণার্ত আমাকে ভেঙ্গো না।
তার নীরবতা আর ভাঙ্গে না।
তার অস্তিত্ব চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায় আমার হাতে,
অস্তিত্ব বলে তার নীরবতাটুকু শুধু বাকি আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬
কালপুরুষ কালপুরুষ বলেছেন: ভালো লাগলো ++++