![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ যে বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই তা হলো বর্তমান তরুণ তরুণীর
উপর সোশাল নেটওয়ার্কসের প্রভাব। তার আগে জানতে হবে সোশাল নেটওয়ার্কস সম্পর্কে আমরা কি জানি।
সোশাল নেটওয়ার্কস কি?
সোশাল নেটওয়ার্কস কেন?
সোশাল নেটওয়ার্কসের ব্যবহার কি বা ব্যবহারের উপকার ও অপকার কি?
তবে আজ আমরা সোশাল নেটওয়ার্কসের উপকার নিয়ে আলোচনা করবো না, অপকারের একটি দিক নিয়ে আলোচনা করবো। তা হলো বর্তমান তরুণ তরুণীর উপর সোশাল নেটওয়ার্কসের প্রভাব।
বর্তমান তরুণ তরুণীর উপর সোশাল নেটওয়ার্কসের প্রভাবটা কেমন পড়ছে তাতে পরে আসি।
আগে খুব অল্পতে জেনে নেই সোশাল নেটওয়ার্কস কি?
সোশাল নেটওয়ার্কস বলতে আমরা সাধারণত যা বুজি তা হলো সামাজিক যোগাযোগ বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অথবা সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থা যাই বলি না কেন। সোশাল নেটওয়ার্কস যা আছে তা হলো : Facebook.com, Whatsapps, Viber, E.Mail, Imo, Tengo, Line etc.মোট কথা হলো Internet চালিত।
সোশাল নেটওয়ার্কস কেন, তা হলো দ্বিতীয় প্রশ্র।
সময় সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে মানুষ সময়ের তুলনায় বেশি কাজ করতে চায়, আর যোগাযোগ হলো যেকোনো কাজের প্রথম মাধ্যম। বর্তমান সোশাল নেটওয়ার্কস খুব সহজে যেকোনো মানুষের হাতে পৌঁছে যায়। এবং খুব বেশি অল্প খরচে যোগাযোগ করা সম্ভব, সময় ও প্রযুক্তি তা সম্ভব করে দিয়েছে।
বর্তমান তরুণ তরুণীরা সোশাল নেটওয়ার্কসের আওতাধীন কিভাবে আসে তা হলো তৃতীয় প্রশ্ন?
শিক্ষার মান যেভাবে বেড়ে চলছে তারচেয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বেশি বেড়ে চলছে। সোশাল নেটওয়ার্কস প্রযুক্তির বড় একটা অংশ। শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত এবং
অশিক্ষিত ( শিক্ষ শব্দটা এইখানে শুধু মাএ অ্যাকাডেমি শিক্ষা বুজানো হয়েছে, আর অশিক্ষিত শব্দটা খুব বেমানান, ইচ্ছা না থাকা স্বত্তেও ব্যবহার করা হয়েছে ) সব তরুণ তরুণী সোশাল নেটওয়ার্কসের ব্যবহার জানে এবং করে। সোশাল নেটওয়ার্কস ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো স্মার্টফোন যা বাংলাদেশে মিনিমাম ২,০০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকায় সহজলভ্য । বর্তমান সময়ের জন্য এই টাকাটা খুব অল্প পরিমাণ, যে কেউ জোগাড় করতে পারে। একটা স্মার্ট ফোন বাজার থেকে ক্রয় করে তার মাঝে ইন্টারনেট কানেকশান দিয়ে দিলেই হলো।
বর্তমান তরুণ তরুণীর উপর সোশাল নেটওয়ার্কসের প্রভাবটা কেমন পড়ে?
তরুণ তরুণী প্রথমে সোশাল নেটওয়ার্কসের আওতাধীন এসে পরিচয় হয় পরস্পরের সাথে। চলতে থাকে পরিচয়ের সূএ ধরে আলাপচারিতা। খুব ধীরে ধীরে শুরু হতে থাকে বন্ধুত্ব। আস্তে আস্তে ব্যাপারটা পরিবার জানতে পারে এবং খুব স্বাভাবিক ভাবে নেয়। বন্ধুত্ব ভালো কথা, তা আর বন্ধুত্বে থাকে না কারণ তা স্বাভাবিক ভাবেই পরিণত হতে থাকে প্রেম ভালোবাসায়, যাকে আমরা প্রণয় ঘটিত ব্যাপার বলে জানি। তখনই শুরু হয় আসল প্রভাব। সারারাত চলতে থাকে সোশাল নেটওয়ার্কিং। পরস্পর পরস্পরের প্রতি প্রচন্ড ভাবে জড়িয়ে পড়ে আবেগজনিত কিছু মূহুর্তে এমন কি শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়ে যায় এই সোশাল নেটওয়ার্কিং এর পাল্লায় পড়ে। ব্যাপারটি আর থাকেনা দুজনার মধ্যে, ছড়িয়ে পড়ে পরিবার থেকে শুরু করে সারা সমাজ মহল্লায়। পরিবার ও সমাজ মেনে নিলে ভালো না নিলে মারাত্মক মানসিক ভাবে আহত হয় পরস্পর। শুরু হয় আরেক নারকীয় খেলা। যা মাঝেমাঝে আমরা ভাবতেও পারিনি। পারিবারিক ভাবে নেমে আসে মহাঅশান্তি, দুপরিবারের হয়তো কেউ মেনে নেয়, নয়তো কেউ মেনে নেয় না।
যার মূল কারণ হলো সোশাল নেটওয়ার্কিং বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।
©somewhere in net ltd.