![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ল্যাপটপটা অন হয়ে পড়ে আছে বিছানার এক পাশে, কেন অন করে ছিলাম তাও মনে নেই।
রাতটা বড্ড নিষ্টুর, কোন ভাবেই শেষ হতে চায় না। সিগারেট একটার পর একটা চলতে থাকে, মেঝেতে শূন্য পানির বোতলটা পড়ে লুটোপুটি খায়, আর আমি সারারাত পায়চারী করি আমার রুমে। পৃথিবীর সমস্ত শূন্যতা ভর করে আমার মাঝে। হুসকির বোতলটা শূন্যতায় হাহাকার করছে, এক গ্লাস আধা গ্লাস করে তাকেও শূন্যতায় ভরিয়ে দিয়েছি। একটা সিগারেট আর কত ক্ষণ জ্বলে? ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় শূন্যে মলিয়ে যায় কয়েক মুহূর্তে হাতে পড়ে থাকে তার ফ্লিটারটা। জ্বলন্ত ফ্লিটারটা হাতে চেপে ধরি, মাংস পুড়ার গন্ধ নাকে লাগে, ভালো লাগে। তবু রাত শেষ হয়না। মাংস পুড়ার সাথে সাথে রক্তে অ্যালকোহলের ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। রক্ত বারবার স্লোগান দিতে থাকে "আরো অ্যালকোহল চাই, আরো মদ চাই, ৮আরো চাই, আরো। হুসকির বোতলটা শূন্যতায় হাহাকার করছে, এক গ্লাস আধা গ্লাস করে কবেই শেষ করে দিয়েছি। আমার প্রচন্ড রাগ আসে আমার রক্তে প্রতি, হতে একটা আর্মি নাইফ নেই, বসিয়ে দেই অন্য হাতের শিরা উপশিরায়, ফিনকি দিয়ে রক্ত বাইরে বেরিয়ে আসে। তাতে রক্তের স্লোগান আরো বেড়ে যায়, খুব বিরক্ত লাগে। উচ্চ মাএার কয়েকটা সিডেটিব এম্পুল রক্তে ডেলে দেই তাতেও তারা শান্ত হয়না। আজ আমার রক্ত আমার নিউরন আমার প্রতিকূলগামী। আমি তাদের কে শান্ত করতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না।
প্রচন্ড ভাবে রক্ত আর নিউরন যন্ত্রণা দিতে শুরু করলো। আরো কয়েক বার আর্মি নাইফটা হাতে বুকে বসিয়ে দেই আর কালচে রক্ত বিছানায় পড়তে থাকে, অবাক কান্ড় কালচে রক্তের লাল বড় বড় দাগ বিছানায় ঝল মল করছে, দেখতে খুব ভালো লাগছে। রক্তের প্রতিকূলতাতো থামতে চাইছে না তারা স্লোগান দিয়েই যাচ্ছে।
তার পর হাতের কাছে পেলাম ভেনমের (সাপের বিষ) এম্পল এবং ভয়াল, সব গুলা ভেঙ্গে একটা ৫০ সিসি সিরিঞ্জ ভরে রক্ত প্রবেশ করাই। তার পর ধীরে ধীরে রক্ত শান্ত হথে শুরু করল।
কিন্তু আমি পড়ে আছি আমার শূন্যতা নিয়ে।
রাত শেষ হচ্ছে না, বসে আছি ইজি চেয়ারটাতে।
রক্ত ফিনকি দিয়ে বিছানায় আর মেঝেতে গড়িয়ে যাচ্ছে।
তবু রাত শেষ হয়না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
ওলিনোমান বলেছেন: ধন্যবা
লেখাটা পড়ার জন্য,
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা আপনার লেখার সাথে আমার খুব চেনা
একজন মানুষের কথা মনে হোল। সে এখন
কাল সাঁপের বিঁষেই হয়ত সুস্থ আছে। হয়ত
ভালই আছে হয়ত নাই। তবুও তাকে চিনি
বলেই মনে হয়। কয়েক বার কাছে থেকে
দেখেই চিনতে পেরেছিলাম।