নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতাবাদী

ওলিনোমান

আমি মানবতাবাদে বিশ্বাসী

ওলিনোমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মাটি থেকে আমার সৃষ্টি....

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭





(আর আমি তো মানুষককে পয়দা করেছি মাটির মালমশলা থেকে, পরে তাকে নূতফা করে নিরাপদ জায়গায় রাখি, তার পর, নূতফাকে করি জমাট রক্ত, জমাট রক্তকে করি পিন্ড এবং পিন্ডটাকে বানাই হাড়। তার পর, হাড়কে মাংস দিয়ে ঢেকে দেই, সবশেষে এটাকে অন্য আরেক রকম বানাই)।..... (সূরা মুমেনুন-১২-১৪)

যে মাটি থেকে আমার সৃষ্টি,
যে মাটি দিয়ে আমাকে আচ্ছাদিত করা হয়েছে,
সে মাটিতে একদিন আমি গভীরভাবে মিশে যাব।
আমার মাংস রক্তের সাথে গলে মিশে যাবে মাটির কণার সাথে,
আমার হাড়ে পোকা মাকড়ের বাসা হবে,
তাও এক সময় শেষ হয়ে যাবে।
আমি খুব বেশি পিপাসিত হবো, যন্ত্রণায় কাতরাবো, হয়তো মারাত্মক ভয় পাবো সূচিভেদ্য অন্ধকারে।
তবু,

যে থেকে আমার সৃষ্টি,
যে মাটি দিয়ে আমাকে আচ্ছাদিত করা হয়েছে,
সে মাটিতে একদিন আমি গভীরভাবে মিশে যাব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: (আর আমি তো মানুষককে পয়দা করেছি মাটির মালমশলা থেকে, পরে থাকে নূটফা করে নিরাপদ জায়গায় রাখি, তার পর, নূটফাকে করি জমাট রক্ত, জমাট রক্তকে করি পিন্ড এবং পিন্ডটাকে বানাই হাড়। তার পর, হাড়কে মাংস দিয়ে ঢেকে দেই, সবশেষে এটাকে অন্য আরেক রকম বানাই)।..... (সূরা মুমেনুন-১২-১৪)

অনুবাদে আমার কেমন জানি মনে হয়;
মাটির মালমশলা- পরে থাকে নূটফা করে নিরাপদ জায়গায়- জমাট রক্ত- পিন্ড- হাড়; এই পর্যন্ত সার্কেল টিক আছে অর্থাৎ পর্যায়ক্রমে একট থেকে আরেকটা রুপান্তর হচ্ছে।

কিন্তু তার পর, হাড়কে মাংস দিয়ে ঢেকে এখানে হার থেকে কি মাংসে পরিণত হয়েছে নাকি মাংস আলাদা কোন উপাদান থেকে তৈরি হয়েছে। আপনার অনুবাদ থেকে বোঝা যায় মাংস আলাদাভাবে স্থান থেকে এনে তা হাড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
যদি আলাদা কোন উপাদান থেকে তৈরি হয় তাহলে মানুষ যে শুধুমাত্র মাটি থেকে সৃষ্টি এই মত টিকে না। কারণ আপনার অনুবাদ অনুযায়ী হাড় থেকে মাংসে রুপান্তরের কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।

আমি আবারও বলছি, আপনার অনুবাদে আছে হাড়কে মাংস দিয়ে ঢেকে দেই অর্থাৎ একটি জিনিষ কে আরেক টি জিনিষ দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছে। একটি থেকে আরেকটি রুপান্তর হয়নি।

আমার মনে হয়, আপনি বা যারা অনুবাদ করেছেন তারা মূল অর্থ ব্যবহার করতে পারেন নি। অথবা এর বৈজ্ঞানিক পরিভাষা তাদের জানা ছিল না।

আমারও নেই। তবে আপনাদের অনুবাদে গড়মিল আছে এটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ওলিনোমান বলেছেন: মাংস আলাদা স্থান থেকে আনলে কি তা মাটি হতে পারেনা, আলাদা স্থান মানেতো আলাদা উপাদান নয়, হয়তো মৌলিক ভাবে এক। তারপরও আমি আরো ভালোভাবে কয়েকটা অনুবাদ দেখে নেব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত ভালো ভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:

অবশেষে মিশে যাব মাটির গভীরে আমি
মাটি হবে অন্তহীন পথের আবাস,
ধুলোয় জড়িয়ে যাবে আমার শরীরখানি
আহ্ কত অনাদরে, পরিচয় লাশ!

এখানে ছিলাম, কত জাঁকালো জীবন
মানুষের মমতায় কত কোলাহল!
হায়! আজ কেউ নেই একাকি অনাথ
মাটির সখ্যতা শুধু আর সব ছল।

বন্ধু হারিয়ে গেল প্রিয়জন সেও দূরে
খবর নেয়ার মত কেউ নেই আর!
আপন কেবলি সেই চির চেনা প্রভূ-রব
তিনি শুধু, তিনি শুধু, তিনিই আমার!

লেখকের প্রতি নিচের বোল্ড করা শব্দগুলো ঠিক করে দিতে অনুরোধ থাকল। ক্রমিক নং দিয়ে সঠিক শব্দ দেয়া হয়েছে:

(আর আমি তো মানুষককে পয়দা করেছি মাটির মালমশলা থেকে, পরে থাকে নূটফা করে নিরাপদ জায়গায় রাখি, তার পর, নূটফাকে করি জমাট রক্ত, জমাট রক্তকে করি পিন্ড এবং পিন্ডটাকে বানাই হাড়। তার পর, হাড়কে মাংস দিয়ে ঢেকে দেই, সবশেষে এটাকে অন্য আরেক রকম বানাই)।..... (সূরা মুমেনুন-১২-১৪)

১. তাকে
২. নূতফা
৩. নূতফাকে

গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আসার জন্য মোবারকবাদ।

আমার ব্লগ-কুটিরে আগাম স্বাগত।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ওলিনোমান বলেছেন: আপনার কবিতাটা হৃদয়ে দাগ কেটে গেল, ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগা+

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

ওলিনোমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.