![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা বলে ইসলাম নারিদের কে ঘরের ভিতরে ঠেকে দিয়েছে , যারা বলে ইসলামে নারিরা বন্ধী ,
তাদের জেনে রাখা উচিত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের উপর নবুয়ত আসার পর সর্ব প্রথম যিনি মুসলিম হন তিনি নারী< খাদিজা রাঃ> , ইসলামের ইতিহাসে নিজের ইমান রক্ষা করার জন্য যিনি সর্ব প্রথম শহীদ হন, তিনিও নারী < সুমাইয়া রাঃ>
ঠিক তেমনি পরিবার থেকে শুরু করে যুদ্ধ ক্ষেত্র পর্যন্ত নারীরা ছিলেন অগ্রগামী, যারা বলে ইসলাম নারিদের কে তার অধিকার দেয় নি তাদের জন্য নিছের এই মহিলার জীবনী একটি কষেঠাঘাত,
তাহলে চলুন পরে নেই, অহুদ যুদ্ধে কি ঘটেছিল ঃ
'' উহুদের যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কে উম্মে আমারা রা. বলেন,”আহতদের পানি পান করানোর জন্য আমি এক মশক পানি নিয়ে উহুদের দিকে রওয়ানা হই । তখন আমার বয়স ছিল তেতাল্লিশ বছর । আমার দুই ছেলে উহুদের যু্দ্ধে অংশ নিয়েছে । উহুদ প্রান্তরে প্রথম মুসলিম বাহিনী জয় লাভ করে । কিন্তু পরে পরাজয়ের বরণ করতে যাচ্ছিলো । মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) আঘাত পেলেন এবং কাফিররা তাকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছিলো । আমি এ অবস্হায় দ্রুতগতিতে রাসুল সা. –এর কাছে চলে গেলাম । আমি তার সামনে দাড়িয়ে কাফিরদের হামলা প্রতিহত করতে থাকি । প্রথমে আমার কাছে ঢাল ছিল না । আমি ঢাল তলোয়ার সংগ্রহ করি । আমি এগুলোর মাধ্যমে কাফিরদের হামলা প্রতিহত করতে থাকি ।
আমার কোমড়ে একটা কাপড়ের মধ্যে অনেকগুলি নেকড়া বাধাঁ রেখেছিলাম । সেগুলো পুড়িয়ে ভষ্ম করে আহতদের ক্ষতস্হানে লাগিয়ে দিতাম । আমি নিজে ১২-১৩ টি স্হানে আঘাত পাই । তার মধ্যে একটি ছিল আমার কাঁধের উপর বড় ধরণের ক্ষত । উহুদের যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী আরেক মহিলা উম্মে সায়িদ রা. আমার কাঁধের উপর এই গভীর ক্ষত দেখে জানতে চিয়েছিলেন । আমি তাকে বলেছিলাম : উহুদের যুদ্ধের সময় মুসলিম বাহিনী পেরেশান হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছিলো । তখন ইবনে কামিয়া নামক কাফির এই বলে অগ্রসর হতে লাগলো, কেহ আমাকে বলে দাও : মুহাম্মদ কোথায় ? কারণ সে বেঁচে গেলে আমাদের কোন রক্ষা নেই । আমি মুসআব বিন উমাইর (রা.)-সহ কয়েকজন মুজাহিদকে সাথে নিয়ে এই বেআদবের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলি । এই কাফির আমার কাঁধে আঘাত করে । আমিও এই বেআদবের উপর কয়েক বার তলোয়ার ব্যবহার করি । কিন্তু তার শরীরের লোহার পোষাক থাকায় আমার তলোয়ার ব্যবহার কোন আজে আসলো না । আমার এই আঘাতটা এত মারাত্মক ছিল যে, এক বছর যাবত এই ক্ষত শুকায় নাই । এর মধ্যে হামরাউল আসাদ- এর জিহাদ অংশ নেয়ার ডাক এলো । আমিও কোমড় বেধে প্রস্তত হতে চাইলাম । কিন্তু এই ক্ষত তখনও তাজা থাকায় অংশ নিজে পারলাম না। মুহাম্মদ (সা.) এই জিহাদ সমাপ্ত করে মদিনায় এসে আমাকে সবার আগে খোজ করেন । তিনি আমার সুস্হতার খবর নেন । আমার অবস্হা আগের চেয়ে ভাল হওয়ায় তিনি স্বস্তিবোধ করেন । উহুদের যুদ্ধে আমি আরো অনেক স্হানে আঘাত পাই । আসল ব্যাপার হলো, কাফিররা ছিল অশ্বারোহী সৈনিক । আর আমরা ছিলাম মূলত পদাতিক বাহিনী । তারা যদি আমাদের মতো পদাতিক বাহিনী হতে তাহলে শক্তি পরীক্ষা সঠিকভাবে যাচাই করা যেতো । যখন কোন ঘোড় সওয়ার আমার উপর হামলা করত, তখন আমি তা ঢালের সাহায্যে প্রতিহত করতাম । যখন সে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটতো, তখন আমি তলোয়ার দিয়ে ঘোড়ার পায়ে আঘাত করে ঘোড়া ও কাফির সৈন্যকে মাটিতে ফেলে দিতাম । ঠিক এধরণের অবস্হাতে মুহাম্মদ (সা.) আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল আনসারী (রা.)-কে পাঠান । আমি আর আমার ছেলে মিলে কাফিরদের জাহান্নামে পাঠানো শুরু করলাম । হঠাৎ আমার এই ছেলে বাম বাহুতে আঘাত পেলো । রক্তের স্রোত বইতে শুরু করলো । আমি আমার কোমড় হতে তাড়াতাড়ি নেকড়া বের করে পট্টি বেধে দিলাম । আর ছেলেকে বল্লাম : “যাও । বাবা ! জিহাদ করতে থাকো আর এই বেঈমানগুলোকে হত্যা কর । মুহাম্মদ (সা.) আমাদের এই অবস্হা দেখে বল্লেন,উম্মে আমারা তোমার মতো সাহস আর কার থাকতে পারে । তারপর তিনি আমাদের জন্য দুয়া করলেন । এক সময় জনৈক কাফির আসলো যে আমার ছেলেকে আঘাত করেছিলো । মুহাম্মদ (সা.) এই লোকটাকে দেখে বল্লেন, এই লোকটাই না সেই লোক যিনি তোমার ছেলেকে আঘাত করে রক্ত বের করে ফেলেছিলো । আমি তাড়াতাড়ি অগ্রসর হয়ে এই বেঈমানটার হাটুতে আঘাত করি । সাথে সাথে সে ধরাশায়ী হয়ে যায় । তারপর আমরা অগ্রসর হয়ে তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই । মুহাম্মদ (সা.) এই ব্যাপারটি দুর হতে লক্ষ করলেন । তিনি বল্লেন, তুমি তো প্রতিশোধ নিলে, তাই না ? আমি বল্লাম : হুজুর (সা.)! আমার জন্য দুয়া করুন । আমি আপনাদের সাথে জান্নাতে থাকতে চাই । দুনিয়াতে আমার উপর কোন মশিবত আসুক না কেন তাতে আমার কোন পরওয়া নেই । তারপর মুহাম্মদ (সা.) আমাদের পরিবারের জন্য ও সব মুসলিমদের কল্যাণের জন্য দুয়া করলেন । ”
আল্লাহ এমন হাজারো মা ও নারীকে ইসলামের কবুল করুন, তাদের ত্যাগ ই ইসলামকে আজ এত দূর নিয়ে এসেছে, ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
তারিন রহমান বলেছেন: +