![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাহির বলে দূরে থাকুক, ভেতর বলে আসুক না,
ভেতর বলে দূরে থাকুক, বাহির বলে আসুক না।।"
রেহান ও আনিকার গল্প বলতে এলাম আজ। রেহান ও আনিকা, দুজনের মাঝেই তেমন কোনো কিছু খারাপ নেই। রেহান ঠিক ঠাক ছেলে আর আনিকাও বেশ ভালো। রেহান এখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে আর আনিকা বাংলাদেশে, মেডিকেল স্টুডেন্ট। পরিচয় ফেসবুকে। প্রায় ৬/৭ মাসের ভার্চুয়াল কন্টাক্ট ও সম্পর্কের চরম একটি পর্যায়ে ছুটিতে দেশে ফেরে রেহান। দেখা হয় দুজনের। ওরা টই টই করে ঘোরে বেশ কয়দিন, অনেক মজার সময় কাটে। একসম রেহানকে ফিরতে হয় অর নিজের জেলায়, পরিবারের কাছে, আনিকাকে ফেলে।
অনেকদিন পরে পরিচিত পরিবেশ আর মুখগুলো ফিরে পেয়ে রেহান ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। আড্ডা-গল্প আর পুরনো বন্ধুদের নিয়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে দিতে শুরু করে রেহান। এতে আনিকার স্পেস কমে যায় অনেক। আনিকাকে রেহান বুঝিয়ে বলে, আনিকা বোঝেও, কিন্তু মানতে পারেনা। তার ধারণা হতে থাকে, রেহানের ওকে ভালো লাগেনা আর! তাই "ইগনোর" করছে। এমনিতে প্রচন্ড অভিমানী ও অল্পতেই রেগে যাওয়া স্বভাব আনিকার, এসব মেনে ও মানিয়ে চলছিল রেহান, তবে সেসবের যেন বাঁধ ভেঙ্গে গেল। প্রচন্ড সন্দেহ প্রবন আনিকার মনে হতে লাগলো রেহান আর কারো সাথে ইনভলভড!
দেশে থাকার সময়টা তাই রেহানকে যখন-তখন ফোন করে সময় নিয়ে কথা বলার বায়না ধরত আনিকা। আবিদ সবসময় কথা বলতে পারত না সেভাবে। কখনো পরিবার, কখনো বন্ধুদের সাথে থাকা ছেলেটি ইগো থেকেই হোক বা প্রাইভেসি বোধ, কারো সামনে কথা বলতে কমফর্টেবল ফিল করতনা। এভাবে একটা মানসিক দূরত্ত্ব সৃষ্টি হয়, কারণ কথা না বললে আনিকা অনেক বেশি কান্নাকাটি করত ও এই কারণে প্রচন্ড ঝগড়া হতে শুরু হলো। রেহান ওর কান্না নিতে পারেনা, ওর অনেক কষ্ট হয়, তাই আনিকাকে চুপ করতে বলে, কিন্তু আনিকা অবুঝের মত কেঁদেই চলে। কষ্টের প্রচন্ডতা একসময় রাগে পরিনত হতে থাকে। সবসময় কোমল কথা বলা রেহানের কন্ঠ রুঢ় থেকে রুঢ়তর হতে থাকে। এসবের ইমপ্যাক্ট আনিকাকে আরো বেশি জেদী, অভিমানী ও রাগী করে তোলে। তার সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। আর এসবের সাফোকেসনে রেহান সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যেতে থাকে, হারিয়ে ফেলতে থাকে নিজেকে।
ঝগড়া বেশি হলে যা হয়, একসময় তা ব্রেকআপের আলোচনা পর্যন্ত গড়ায়। তবে, "ছেলেটিকে অনেক বেশি ভালবাসা মেয়েটি" এমন পরিস্থিতিতে পড়লেই ছেলেটিকে বোঝানো শুরু করে, ছেলেটিও "অনেক ভালবাসা মেয়েটিকে" ছেড়ে যেতে চায়না। তাই টিকে গিয়েছে ওদের রিলেশন, প্রায় এক বছরের বেশি।
ক'মাস পড়ে রেহান আবার প্রবাসে। দূরে গিয়ে হয়ত সব আগের মত হয়ে আসবে, আশা ছিল দুজনের মনেই। খুব কম যোগাযোগ হতে শুরু করল ওদের, কারণ রেহানের ফিরে এসে প্রচন্ড ব্যস্ততা দেখা দিল, যেটি খতে প্রলেপ ছিলনা, ছিল নুনের ছিটা। তবে চরম বিপত্তি হয় যখন একাডেমিক কিছু সমস্যা ও মানসিক টানাপড়ন এর সাথে প্রচন্ড আর্থিক কষ্টের সম্মুখীন হয় রেহান। সপ্তাহের বেশি যোগাযোগ হয়নি আনিকার সাথে। ছেলেটির ফোনটি হারিয়ে যায়, আর অনলাইন যোগাযোগ করার মত অবস্থা ওর ছিলনা সে মুহুর্তে। যা হোক, ওদের প্রায় দশ দিন কোনই যোগাযোগ হয়নি, এমন কখনো হতনা, ঝগড়া হলেও ওরা দিনের ভতরে মিটমাট করে নিত। সাধারণত খুব ব্যস্ততা না হলে বা আগে থেকে বলা না রাখা থাকলে রেহান একদিন পুরোটা না যোগাযোগ করে থাকেনি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, ওর পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
এই সময়ের ভেতরে আনিকা দেখতে পায়, ছেলেটির নিজ জেলায় বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরার কিছু ছবি, অবশ্যই ফেসবুকে। সেখানে তার মেয়ে বন্ধুদের সাথে তোলা কিছু ছবিও আনিকা দেখে। আনিকার বান্ধবীরা ওর কানে বিষ ঢালতেই থাকে, আনিকা প্রতিনিয়ত প্রচন্ড কষ্ট, অভিমান ও অবিশ্বাসে একদম শেষ হয়ে যাচ্ছিল।
ও, বলে রাখা ভালো, রেহান অনিকাদের বাসায় গিয়েছিল, পরিবারের সবাইকে ও চেনে ও রেহানকে ওর বাসার সবাই সহজভাবেই নিয়েছে।
তো দিন দশেক পরে রেহানের কল পেয়েও আনিকা ধরেনি। বারবার চেষ্টা করতে রেহানের ইচ্ছে করছিলনা, নিজেকে খুব অপরাধী লাগছিল, "কি বলব" এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে রেহান একা একে পুড়ছিল। তবু কথা তাকে একবার বলতেই হত, কথা বলল ওরা। প্রচন্ড অভিমানী একজনের সাথে কথা হয়না, কিছু বোঝার মত মানসিক অবস্থায় ছিলনা আনিকা। রেহানকে ও যাতা বলল, রেহান শুধু শুনেই গেল, কিছু বলার মত অবস্থা ওর ছিলনা। ব্রেক-আপ হলনা, তবে ব্রেক-আপ হয়ে গেল, মানসিক ভাবে রেহান ধরে নিল, আর হয়ত হবেনা।
রেহান মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছে, এমন সময় প্রায় দুই সপ্তাহ পরে, আবার আনিকার ফোন, ও সেদিন ফোন করেছিল রেহানকে অপমান করতে। সফলভাবে অপমান করে ও রেখে দিল, রেহান বলেছে, ও আনিকাকে ভালবাসে। আনিকার কন্ঠে কিছু একটা ছিল, যাতে বোঝা যাচ্ছিল, আনিকা আবার ফিরতে চায়।
আরো দু তিনবার ফোনে কথা হয়, প্রায় একমাস চলে যায় এরই মধ্যে। আনিকা এখনো রেহানকে সন্দেহ করে, এখনো অবিশ্বাস করে, মিথ্যেবাদী ভাবে তবে এখনো রেহানকেই ভালবাসে। আর শান্তিপ্রিয় রেহান আনিকাকে চায়, কিন্তু চায়না আনিকা কাঁদুক, ওর সাথ এসে আনিকা আবার কষ্ট পাক, ও চায় আনিকা বদলে যাক! তবে ও আগের অনিকাকেই সবথেকে বেশি মিস করে। এখন আনিকা অপেক্ষায় আছে রেহানের উত্তরের। তুমি কি চাও রেহান? রেহান বুঝতে পারেনা, শুধু বলে, তোমার সাথে থাকতে চাই, কিন্তু....... আমরা কি একসাথে থাকতে পারব?
রেহানের এই দোটানা কথা আনিকাকে কষ্ট দেয়, আনিকা কেঁদে ফেলে। কিন্তু আজকে ও কাঁদছে বলে যদি রেহান ওর জীবনে ফিরে যায়, আনিকাকে যদি আরো বেশি কাঁদতে হয়? রেহানকে যদি আরো কষ্ট পেতে হয়? কি করবে রেহান?
ফিরে যাওয়ার মাঝে কি ফিরে পাওয়া হবে সবকিছু? নাকি অনেক বেশি হারিয়ে ফেলেছে ওরা ইতিমধ্যেই? রেহানের মন আনিকাকে চায়, কিন্তু রেহানের বাউন্ডুলে মন শান্তি খুঁজে ফিরছে.....
ও পথ হেঁটে চলেছে, শান্তি ও আনিকার সাথে যদি একবারেই দেখা হত.........
আনিকা এখনো অপেক্ষায়, কি বলবে রেহান ওকে?
"তোমায় ভালোবেসেছি অনেক বেশি,
তাই মনে রেখেছি তোমার হাসি।
আমার অশ্রু কষ্ট দেয় জানি,
তোমার অশ্রুতে কষ্ট বেশি.................."
___________________________________________________
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: এটা কিন্তু সেটা না, এটা আরেকটা, তবে পরবেন অবশ্যই, খালি পড়লে হবেনা, আমার লাস্ট Question এর উত্তর দিতে হবে ভাইয়া, নিলে কিন্তু কানমু
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
মেঘের দেশে স্বপ্নডানা বলেছেন: "TO BE OR NOT TO BE, THAT IS THE QUESTION !!! প্রশ্নটির উত্তর শুধুই রেহান দিতে পারে....... আমার মতে রেহানের ফিরে যাওয়া উচিত, কিছু হবার ভয়ে কিছু না করে থাকাটা বোকামি বলব... দারুন গল্প...
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
লোনলিফাইটার বলেছেন: +++
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, মন্তব্যের জন্যে ........... ভালো থাকবেন
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
মাক্স বলেছেন: আপনিতো সুন্দর গল্প লিখেন?
গল্প নাকি সত্য?
++++
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সত্যের মত গল্প,
গল্পের মত সত্য .....
ভাইয়া প্রসংশার জন্যে কৃতজ্ঞতা.....
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৩
ছোট্ট নিথী বলেছেন: একটু বেশী ভালো লাগলো। +++
এতটা রিয়ালিস্টিক হয়েছে যে, একটু পর পর নিজের নাম দেখে মনে হচ্ছিলো, এটা যেন আমারই কাহিনী!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার নাম!? আনিকা!? :!>
উমম সত্যি ঘটনা, সত্যি নাম... কিছু করার ছিলনা......
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো....
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯
ছোট্ট নিথী বলেছেন: নিথী আমার ডাকনাম।
ফেবুর 'আনিকা নাওয়ার ওয়াহিদ' কিন্তু আমিই!! এটা আপনি বুঝেননি????
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বুঝবনা কেন!! বুঝেছি তো!! কিন্তু আপনি সবসময়ের জন্যে নিথী, ছোট্ট নিথী!
Like Bond !!!
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮
রীতিমত লিয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা কিন্তু সেটা না, এটা আরেকটা
সেটা কোনটা? পরতে চাই।
এইটা ভাল হয়েছে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আরেকটা বেসাইজ গল্প লিখেছি, সেটাও দেব, আপনারাদেরকে জ্বালানোর কোনো সীমা রাখবোনা!!!
এইটা ভালো লেগছে জেনে ধন্যবাদ জানালাম!!!!
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আপনার বেসাইজ গল্পের অপেক্ষায় রইলাম
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অন্নেক ধন্যবাদ ভাই, ঠিক সাহস পাচ্ছিনা, কারেকশন করছি ওটা...সময় পাচ্ছিনা ফানিয়ালায়জিং এর!!!
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
ছোট্ট নিথী বলেছেন: হাহাহা, আপনার কমেন্টটা পড়ে কিছুক্ষণ টেবিল চাপড়ায় হাসলাম!! Like bond, like a boss!!! হাহাহাহাহাহাহাহা...
তাও অনেক ধন্যবাদ, আমি ছোট্ট নিথীই থাকতে চাই!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: Exactly !!! Like a boss !!
তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, আপনি বড় হবেন না? যখন অনেক বড় হয়ে যাবেন তখন তো নিক চেঞ্জ করতে পারবেন না(সামু অত দয়ালু না), তখন কি করবেন?
নাকি এনাউন্স করে দিবেন, "আজ থেকে আমি বড় নিথী" ??
পারলে জানিয়ে যাবেন !!!
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
ছোট্ট নিথী বলেছেন: বড় তো হব, তবে আপনাদের কাছে ছোট রয়ে যাব। :!> :!>
আমার ৩/৪বছরের গুলটি গুলটি ভাগ্নেরাও আমাকে শুধু মাম্মান না ডেকে, ছোট্ট মাম্মান ডাকে।
ওদের কাছেই আমি ছোট্ট রয়ে গেলাম তো, সামুতে থাকতে কি দোষ!! :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#>
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নোপ! একদমই দোষের কিছু না!!
নজরুল ইসলাম তো যুবক থাকতে বলেছেন!! মনের দিক থেকে থাকা সম্ভব!! :!> :!>
কাজী নজরুল ইসলামের ফিলোসপিকে আপনি কয়েক ডিগ্রী আপগ্রেড করে ছোট থাকিবার ব্রত নিয়েছেন। ইহা যে কত বেশি মহান তা আর বলতে!!!
১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০
ছোট্ট নিথী বলেছেন: হিহিহিহিহি!!!
মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল।
মোরা বিধাতার মত নির্ভয় মোরা প্রকৃতির মত সচ্ছল।।
মোরা আকাশের মত বাধাহীন,
মোরা মরু-সঞ্চার বেদুঈন,
মোরা জানি না কো রাজা রাজ-আইন,
মোরা পরি না শাসক-উদখল।
মোরা বন্ধন-হীন জন্ম-স্বাধীন, চিন্তা মুক্ত শতদল।
মোরা সিন্ধু-জোয়ার কল কল,
মোরা পাগলাঝোরার ঝরা জল!!!
:!> :!> :!> :!>
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: খাইছে!! প্রতিবাদী জনতা জেগে উঠেছে!!!
পালাওওওওওওওওওওওওও
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নজরুল আমার খুব ভালো লাগার জিনিস...... :!> :#>
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
ছোট্ট নিথী বলেছেন: কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!
কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!
কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি’ হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!-
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
আর আমি হলাম কবিতা পাগল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ, ইন্নালিল্লাহ,
এটার আমি চাই হিল্লে!!
কবিতায় আস্ত ডুবিয়ে,
ধরেছেন তো বেশ চুবিয়ে।
কি করি এখন, কই যাই আমি,
কবিতার থেকে বেশি নাই কিছু দামী,
জবাবে কি লিখি, বুঝছিনা তাই,
ছোট্ট নিথী বেটার আমি পালিয়ে যাই!?
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: ভাল্লাগলো না
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমিতো একটা প্রশ্ন করেছিলাম, ভালো লাগার জন্যে দেইনি অবশ্য, অনুগ্রহ করে যদি ওটার উত্তর দিতেন....
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
ছোট্ট নিথী বলেছেন: যাও পালিয়ে যাও,
লেপের তলে চুপটি করে,
মুড়ি-ভাজা খাও!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মুড়ি নেই, লেপ নেই,
আমি এখন সাইবেরিয়াতে নেই!
বাংলাদেশ থেকেও বেশ দুরেই!!
পালাচ্ছি এটা কনফার্ম যদিও,
কবিতায় হেরেছি, জেনে রাখিও!
১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১
ছোট্ট নিথী বলেছেন: ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে
দয়াহীন সংসারে---
তারা বলে গেল `ক্ষমা করো সবে', বলে গেল `ভালোবাসো---
অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো'।
বরণীয় তারা, স্মরণীয় তার, তবুও বাহির-দ্বারে
আজি দুর্দিনে ফিরানু তাদের ব্যর্থ নমস্কারে॥
আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা কপটরাত্রি-ছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে।
আমি যে দেখেছি--- প্রতিকারহীন, শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
আমি যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রনায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে॥
কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃসপ্নের তলে।
তাই তো তোমায়? শুধাই অশ্রুজলে---
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভাল?
আজকের মত ছেড়ে দিলাম!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আচ্ছা এই কবিতা কার? অনেক অনেক অনেক অনেক ভালো লাগলো!!! আপনার ??
না হলে কার জানাবেন প্লিজজজ
১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৭ম ভালোলাগা
+++++++++++++
নিথী পিচ্চি দেখি আমার সাথে ঝগড়া কৈরা না পাইরা এখন আপনেরে পিডাইতাসে হিক হিক
@নিথী
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কবিতার নিচে আমাকে আধা কবর দিছে, আমার মাথা বাইরে, বাকিটা বালির তলে, ব্রাদার হেল্প!! বাইরে আসতে সাহায্য করেন!!!
অনেক ধনিয়া পাতা ব্রো!!!
১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: আনিকা এখনো অপেক্ষায়, কি বলবে রেহান ওকে?
রেহান কি বলবে সেটা তো আমি জানিনা। সো কোনো উত্তর দিতে পারলাম না। সরি
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমিও নির্বাক!
১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
ছোট্ট নিথী বলেছেন: @অলি ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথের কবিতা, প্রশ্ন(পরিশেষ)।
@বুড়া অপূর্ণদা, তোমারে তো পিটায় লাল বানায় আসলাম তোমার ব্লগে। সেখানে জবাব না দিয়ে এখানে কেন আসছ পার্ট মারতে!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: এ নগন্য,
হলো ধন্য,
জানিতে পারিয়া!!!
নিথী has transformed to an Angry bird !!
সবাইকে মারের উপরে রেখেছ!!!!!
:#>
১৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
ছোট্ট নিথী বলেছেন: হিহিহিহিহি, মাইর খাওয়ার মত কাজ করলে মাইর তো দিবই!!!
নিথী the angry bird!!!
নামটা পছন্দ হইসে!!!
:!>
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নাম পছন্দ হওয়াতে অনুমতি ছাড়াই অফিশিয়াল করে দেওয়া হলো। (c)
২০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
ছোট্ট নিথী বলেছেন: হাহাহাহাহা, কিন্তু এটা খুব কম মানুষই বিশ্বাস করবে!!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পিটায় পিটায় সবাইকে তক্তা করে দেয়ার ক্ষমতা তো রয়েছেই, শুধু প্রয়োগ করে এই নামের স্বার্থকতা দেওয়া আর কি!!
২১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ছোট্ট নিথী বলেছেন: হিহিহিহিহিহি!!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন:
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আপনের নিজের কাহিনী নাকি এইডা?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হে হে হে , কমুনা !
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: রাতে পড়বনে