নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজাকারমুক্ত ব্লগ : ভুলেও ঢুকিস না!!!

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

অমি রহমান পিয়াল

বন্ধুত্বে উদার, শত্রুতায় নির্মম : কিছু করার নাই, রাশির দোষ ........................ জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে মহানবীর (দঃ) সতর্কবাণী : শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)

অমি রহমান পিয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোকালটক, আনাল হক ও মনসুর হাল্লাজ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:২৮

সুব্লগার সুমন রহমান সেদিন একটা মজার পোস্ট দিলেন। নিজেকে লোকালটক দাবি করে Click This Link যদিও দাবিটা সত্যি না, কারণ লোকালটকের পরিচয় আমি জানি। হয়তো আরো কয়েকজন জানেন।



সুমন সেই পোস্টে মন্তব্যে বেশ কয়েকবার আনাল হক শব্দটা ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ কিন্তু আমিই লোকালটক না, অর্থ হচ্ছে আমিই খোদা। ফানাফিল্লাহর সেই স্তরে সুমন নিশ্চিতভাবেই জাননি যে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবেন, মজা করে করেছেন বোঝাই যায়।



তবে মনসুর হাল্লাজ মজা করেননি। তার এই উচ্চারণকে খুবই কঠোরভাবেই দমিয়ে দিতে চেয়েছিলো তখনকার খলিফা শাসিত মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ পরিষদ। করুণ সেই কাহিনী। মনে পড়ার কারণ একসময় মধ্যবিত্ত বাঙালীর ঘরে শরৎচন্দ্রের সেটের পাশাপাশি তাজকেরাতুল আওলিয়া নামে একটা সেটও শোভা পেতো।



আমার তখন বই পড়ার নেশা, যা পাই পড়ি। সেগুলাও পড়া হয়েছে। এবং মনসুর হাল্লাজের কাহিনীটা দাগ কেটে গিয়েছিলো। গল্পটা স্মরণ করতে আবার হাতাতে হয়েছে সেই ঘুনেকাটা লাইব্রেরী।





৮৫৮ খৃষ্টাব্দে ইরানের তুরে জন্ম নিয়েছিলেন হাল্লাজ। নানা বিষয়ের ওপর ৪৬টি বই লিখেছেন। সুফীজমের প্রচার করতে গিয়েই মূলত রাজপুরুষদের রোষে পরেন। ৪০ বছর বয়সে খোদাকে পাওয়ার জন্য ধ্যানমগ্ন হন তিনি। এই পর্যায়েই হাল্লাজ জিকির করা শুরু করেন আনাল হক- আমিই খোদা! এইবার বিপদে পড়লেন হাল্লাজ। কারণ এতো নিশ্চিত কুফরি! তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু তাতেও হাল্লাজের মুখ বন্ধ হয় না।



৮ মাস ৭ দিন জেল খাটার পর বাগদাদের বিখ্যাত আলেম হযরত জোনায়েদ বাগদাদীর ফতোয়া অনুসারে বাব এল তাকেরে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয় হাল্লাজের। ৬৮ বছর বয়সী হাল্লাজের হাত-পা এক এক করে কাটা হয়। তারপর শিরচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু উপস্থিত লোকজনকে অবাক করে তার প্রতিটি রক্তকণা থেকে নাকি উচ্চারিত হতে থাকে আনাল হক!



খুব কম ওলী মুসলমানদের হাতে এত নির্মমভাবে এবং কাফের সন্দেহে নিহত হয়েছেন। ইনফ্যাক্ট এই নির্মম মৃত্যুর পরও সেই মোজেজায় হাল্লাজ প্রমাণ করে যান তিনি আসলেই ওলী-আল্লাহ ছিলেন। প্রসঙ্গতই মনে পড়ছে মওলানা জালালউদ্দিন রুমির মুসা ও মেষপালক নামের কবিতাটা। বাংলা সারমর্মটা বলি। হযরত মুসা(আঃ) একবার পথ চলতে দেখতে পেলেন এক মেষপালক আবল তাবল বকছে- খোদা তুই আমার কচি খুকি তোকে আমি পায়ে নুপুর পড়াব, তোকে পিঠ চাপড়ে ঘুম পাড়িয়ে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। মুসা তো ভয়ংকর রাগকরলেন এই ব্লাসফেমিতে। তিনি মেষপালককে বেশ কড়া করে ধমকে দিলেন যে ঈশ্বরকে কোনো মানুষের রূপে কল্পনা করা শিরকের পর্যায়ে পড়ে, তিনি মোটেও ছোট বাচ্চা, নারী বা এ ধরণের কোনো আকৃতি না। এবং মেষ পালককে সঠিকভাবে প্রার্থনার নিয়ম শিখিয়ে দিলেন। তুষ্ঠ মনে এরপর মুসা এগোচ্ছেন, তখন ঐশী বাণী এলো- মুসা এটা তুমি কী করলে! আমার এক আশেককে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করলে!!



মুসা হতভম্ব। উনি জানতে চাইলেন কীভাবে? তখন উত্তর এল, ওই মেষপালক তার মতো করেই আমার প্রতি তার ভালোবাসা জানাচ্ছিল। তাতে ছিল আমার প্রতি তার প্রগাঢ় প্রেম। কিন্তু তুমি তাকে বিরত করলে। তোমাদের জাগতিক ভাষা ও চিন্তাভাবনার অনেক উর্ধে আমার জগত। তোমরা তাই দেখ যা আমি দেখাই, তাই জান যা আমি জানাই। কিন্তু আমি যা জানি ও বুঝি তা তোমরা জান না। নিশ্চয়ই আমি সর্বজ্ঞানী ।



মুসা অনুতপ্ত হলেন ও খুজে বের করলেন সেই মেষপালককে। কিন্তু সে আর আগের মতো নেই। আসলে আমরা খোদাকে যেভাবেই স্মরণ করি না কেন বা আমাদের প্রার্থনার ধরণটা যাই হোক না কেন উনি ঠিকই এর আন্তরিকতাটুকু ধরতে পারেন। অন্য মানুষের চোখে হয়তো তা ম্যানুয়েল নয়, কিন্তু তিনি তো সব জানেন!



ইংরেজিটা তুলে দিচ্ছি :



Moses heard a shepherd on

the road praying,



"God, where are you? I want to help You,

to fix Your shoes and comb Your hair.

I want to wash Your clothes

and pick the lice off. I want to bring You milk,

to kiss Your little hands and feet when it's time

for You to go to bed. I want to sweep Your room

and keep it neat. God, my sheep and goats

are Yours. All I can say, remembering You,

is ayyyy and ahhhhhhhhh."



Moses could stand it no longer.

"Who are you talking to?"



"The One who made us,

and made the earth and sky."



"Don't talk about shoes and socks with God!

And what's this with Your little hands

and feet? Such blasphemous familiarity sounds

like you are chatting with your uncles.



Only something that grows

needs milk. Only someone with feet needs shoes. Not God!

Even if you meant God's human representatives,

as when God said, 'I was sick and you did not

visit me," even then this tone would be foolish

and irreverent.



Use appropriate terms. Fatima is a fine name

for a woman, but if you call a man Fatima

it is an insult. Body-and-birth language

are right for us on this side of the river,

but not for addressing the Origin,

not for Allah."



The shepherd repented and tore his clothes and

sighed and wandered out into the desert.



A sudden revelation came then to Moses.

God's Voice:



You have separated Me from one of My own.

Did you come as a Prophet to unite,

or to sever?



I have given such a being a separate and unique way

of seeing and knowing and saying that knowledge.



What seems wrong to you is right for him.

What is poison to one is honey to someone else.



Purity and impurity, sloth and diligence in worship,

these mean nothing to Me.



I am apart from all that.

Ways of worshipping are not to be ranked as better

or worse than one another.



Hindus do Hindu things.

The Dravidian Muslims in India do what they do.

It's all praise, and it's all right.



It's not Me that's glorified in acts of worship.

It's the worshipers! I don't hear the words

they say. I look inside humility.



That broken-open lowliness is the Reality, not the language? Forget phraseology. I want burning, burning.



Be Friends

with your burning, burn up your thinking and your forms of expression.



Moses,

those who pay attention to ways of behaving

and speaking are one sort.



Lovers who burn are another."



Don't impose a property tax on a burned-out

village. Don't scold the Lover.

The "wrong" way he talks is better than

a hundred "right" ways of others.



Inside the Ka'aba it doesn't matter which direction

you point your prayer rug!



The ocean diver doesn't need snowshoes!

The Love-Religion has no code or doctrine.

Only God.



So the ruby has nothing engraved on it!

It doesn't need markings.



God began speaking deeper mysteries to Moses.

Vision and words, which cannot be recorded here,

were poured into and through him. He left himself

and came back. He went to Eternity and came back

here. This happened many times.



It's foolish of me to try and say this. If I did say it,

it would uproot our human intelligences.

It would shatter any writing pen.



Moses ran after the shepherd.

He followed the bewildering footprints,

in one place moving straight like a castle

across a chessboard. In another, sideways,

like a bishop.



Now surging like a wave cresting,

now sliding down like a fish, with always his feet

making geomancy symbols in the sand,

recording his wandering state.



Finally Moses caught up with him.

"I was wrong. God has revealed to me

that there are no rules for worship. Say whatever

and however your Loving tells you.

Your sweet blasphemy is the truest devotion.

Through you a whole world is freed.



Loosed your tongue and don't worry what

comes out. It's all the Light of the Spirit."



The shepherd replied, "Moses, Moses,

I've gone beyond even that. You applied the whip

and my horse shied and jumped out of itself.

The Divine Nature and my human nature

came together.



Bless your scolding hand and your arm.

I can't say what has happened. What I am saying

now is not my real condition. It can't be said."



The shepherd grew quiet.



When you look in a mirror, you see yourself,

not the state of the mirror. The flute player puts

breath into a flute, and who makes the music?

Not the flute. The Fluteplayer!



Whenever you speak praise or thanksgiving

to God, it's always like this dear shepherd's simplicity.



When you eventually see through the veils to

how things really are, you will keep saying

again and again, "This is certainly not like

we thought it was!"

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +২২/-৫

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৫

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: ....... আনাল হকের কাহিনীটা আগে থিকাই জানতাম .....

কিন্তু ব্লগের নাস্তিকরা তো এইবার ধরব আপনারে ঠিক মতো ..


পোষ্ট ভালো লাগলো ~

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধরার কিছু নাই। তারা আমার বন্ধুস্থানীয় মানুষ। আমি তাদের ঘাটাই না, তারাও আমারে ঘাটায় না

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৮

ঘনাদা বলেছেন: হাল্লাজের ফাঁসি...

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪১

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে যা পড়লাম তাতে দড়ি ব্যবহার করা হয় নাই সম্ভবত। হি ওয়াজ কাট ইন টু পিসেস

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৫

পথিক!!!!!!! বলেছেন: কবিতাটার জন্য ..সোকেজায়িত করা হলো

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: এইটার অসাধারণ একটা অনুবাদ ছাপা হইছিলো ব্রাত্য রাইসু সম্পাদিত প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায়। খুইজা পাই নাই আর

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫০

ঘনাদা বলেছেন: সম্ভবতঃ মূল শাস্তির আগে কব্জি কেটে ফেলা হয় নিয়ম মোতাবেক। তারপরে ফাঁসিতে।

তবে সঠিক ইনডিপেন্ডেন্ট রেফারেন্স পাওয়া মুশকিল।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সহমত

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৭

নাজিম উদদীন বলেছেন: আনাল হকের গল্প শুনেছি। :) লালনের গানেও আমিই খোদা টাইপের ভাবসাব আছে। মানুষ এরকম ভাবতেই পারে, আমি না থাকলে মুরশিদ আবার ক্যাঠা।

প্রতিটি রক্তকণা (লোহিত,শ্বেত, অণুচক্রিকা) থেকে শব্দ শোনা গেছে ?

আফসোস আমাদের যুগে এরকম বুজুরকি দেখার কোন সুযোগ নাই।

হক মাওলা। ইল্লাল্লাহ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: হাহাহা। কা'ম ডাউন ব্রো

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১১

পথিক!!!!!!! বলেছেন: প্রতিটি রক্তকণা (লোহিত,শ্বেত, অণুচক্রিকা) থেকে শব্দ শোনা গেছে ?

এইটা বিশ্বাস করলাম না

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনি গল্পে বিশ্বাস করেন?

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৯

ঘনাদা বলেছেন: সিলেট থেকে ফেরার পথে ট্রেনে হয্রত শাহজালাল নিয়ে দু‌‌টা চটি বই কিনেছিলাম, কৌতুহল বশতঃ।

একই ঘটনার নানা রকম তথ্যবিভ্রাটপূর্ন বিবরন দেখে খারাপ লেগেছিলো।

একদিন ব্লগে তুলে দেবার ইচ্ছে আছে।

@পথিক!!!!!

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩০

রাজর্ষী বলেছেন: আনাল হকের শাব্দিক অর্থ হল আমিই সত্য।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬

রাশেদ বলেছেন: তাই নিকি! কত কিচ্ছা জানি না। :(

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯

বিডি আইডল বলেছেন: নিতাই ভট্র চইলা আসছে ফটোক নিয়া..

পোষ্টে +

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯

ইসানুর বলেছেন: হুমমম

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০০

নীড় সন্ধানি বলেছেন: ঘটনাটা কোথায় যেন পড়েছিলাম একটু অন্যভাবে। নতুন করে জানলাম আবার। আসলে সত্যি কি না কে জানে।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০২

এস্কিমো বলেছেন: খেয়াল করেছি। উনি মনে হয় না জেনেই কথাটা বলেছেন।

ফটো রেফারেন্স দেখে মজা লাগলো। বানর থেকে মানুষের বিবর্তনের ফটো দেখতে দেখতে সব ফটোই এদের কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয় :)

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫

নকীবুল বারী বলেছেন: হুমমমমমমমম............................থ্রি লিটল হার্মিট............

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

কালপুরুষ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। প্রশ্ন হলো লোকালটক কে?

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ইমাম মনসুর হাল্লাজ সুফিবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত মনীষী এবং 'সর্বশ্রেষ্ঠ সুফি শহীদ' বলে পরিচিত । সুফি পথপরিক্রমার চুরান্ত পর্যায়ে তিনি ঘোষনা করেন ‘আনাল হক ’ অর্থাৎ ‘আমি সত্য ’ । তিনি বলেন ‘আমি সত্য, কেননা আমি সত্য কর্তৃক অসত্য বলে বিবেচত হইনি ।' বস্তত, হাল্লাজ তন্মায়াবস্থায় ‘আমিই সত্য’ যখন উচ্চারন করেন, তখন এক বলিষ্ঠ ধর্মীয় অনুভুতি প্রকাশ করেন। এই অনুভুতির মধ্যে তিনি আল্লাহর সাথে একাত্ত্বতা অনুভব করেছেন ।

যা হোক , তার এই উক্তি ধর্মবিরোধী (কুফুরী) বলেই বিবেচিত হল প্রতিক্রিয়াশীল মোল্লারা দাবী করলেন বিচারের । ৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে তার বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় , সরকারী আইনজীবী তার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলেন কিন্তু অন্য একজন আইনজীবী হাল্লাজের পক্ষ সমর্থন করেন এ যুক্তিতে যে, মরমী উক্তি কে প্রচলিত আইনের মানদন্ডে বিচার করা যায় না । ৯১৩ খ্রীস্টাব্দে তাকে গ্রেফতার করে বাগদাদের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় । উক্ত আদালতে তাকে ফাতেমীদের একজন কারামাতীয়া এজেন্ট সাব্যস্ত করে ৯ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয় । উজির হামিদের নির্দেশ ও মালিকী কাজি আবু উমার সমর্থিত একটি ফতোয়ার বলে ৭ মাস মামলা চলার পর মনসুরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় । আনাল হক (‘আমিই সত্য’ বা আমিই খোদা ) ঘোষনার পেছনে হাল্লাজের নিজস্ব ব্যাখ্যা বা দর্শন ছিল কিন্তু বিরুদ্ধবাদীরা কিংবা ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ তার কোন বক্তব্য আমলে নেননি ,তারা তাকে হত্যা করেন বেত্রাঘাত, পীড়ন , অঙ্গচ্ছেদন, শিরোচ্ছেদন ও অগ্নিসংযোগে ।
Click This Link

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুজ্জামান মানিক, বিস্তারিত সংযুক্তির জন্য

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

মুকুল বলেছেন: লোকালটকও সত্য, আমিও সত্য, আপনিও সত্য। ;)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আবার কয় ;)

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮

সেলটিক সাগর বলেছেন:
মুসা অনুতপ্ত হলেন ও খুজে বের করলেন সেই মেষপালককে।কিন্তু সে আর আগের মতো নেই।
----------------------------------------------

মেষপালকের কি হয়েছিল হযরত মুসা'র সাথে কথা বলার পরে?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৩

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: মুসার ধাতানি খাইয়া সে ভাবের জগত থেকে বিচ্যুত হয়ে বাস্তব জগতে ফিরছে। মুসা যখন তারে আবার পাইলেন, তখন বড্ড দেরী হইয়া গেছে। মেষপালকের ভাষায়-
"Moses, Moses,
I've gone beyond even that. You applied the whip
and my horse shied and jumped out of itself.
The Divine Nature and my human nature
came together.

Bless your scolding hand and your arm.
I can't say what has happened. What I am saying
now is not my real condition. It can't be said."

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অকাটমুর্খ বলেছেন: লোকালটকে পরিচয়টা আড়ালে পড়ে গেলো এই লেখায়:)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: পরিচয় জাইনা কি হবে। সে কি ক্ষতিকর কিছু? যদি না হয়, তাহলে তার প্রাইভেসিরে সম্মাণ দিতে কি সমস্যা?

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
আমি জানি, বারবার ভুল জায়গায় তীর ছোঁড়া হচ্ছে। অভিজ্ঞ তীরন্দাজ পিয়াল ভাইও এই জায়গায় এসে ফেল। আমাকে শনাক্ত করা জনাব এতো সহজ নয়। যদি কেউ সত্যিই কনফিডেন্ট থাকেন, আমার মেইলবক্স তো খোলাই আছে, মেইল চালাচালির জন্য সাত গিগাবাইট জায়গা খালি এখনো। তো, হয়ে যাক বাজি! আমি জানি, বারবার ভুল জায়গায় তীর ছোঁড়া হচ্ছে। অভিজ্ঞ তীরন্দাজ পিয়াল ভাইও এই জায়গায় এসে ফেল। আমাকে শনাক্ত করা জনাব এতো সহজ নয়। যদি কেউ সত্যিই কনফিডেন্ট থাকেন, আমার মেইলবক্স তো খোলাই আছে, মেইল চালাচালির জন্য সাত গিগাবাইট জায়গা খালি এখনো। তো, হয়ে যাক বাজি! ;)

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: জানতাম না। আমি আসলেই মূর্খ।

২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৩

সুমন রহমান বলেছেন: পোস্টটাকে পছন্দের তালিকায় নিলাম। আনাল হক-এর পিয়ালকৃত ব্যাখ্যা এবং মন্তব্যের অংশে আদানপ্রদান... সব মিলিয়ে।

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১০

শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: আমি কিন্তু লোকালটক না। তবে আমি মাসুম এইটা সত্য

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

ভালো-মানুষ বলেছেন: রাজর্ষীর সাথে একমত। ভাবছি, তাহলে ইরানীরা বেচারাকে এভাবে মারলো! না বুঝেই?

কবিতাটা দারুন।

নোট নেয়া হল - সম্মানিত বিডিআইডল আর এস্কিমোর মন্তব্য।

আসলেই তো লোকালটক লোকটা কে!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ইরানীরা মারেনাই। বাগদাদ তো ইরানের অংশ ছিলো না। তখন মুসলিম খেলাফত বাগদাদ কেন্দ্রীক ছিলো

২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

শিমুল সালাহ্উদ্দিন বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। ভালোলাগা জানালাম। শুভকামনা।

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৫

িজসান বলেছেন: আপনা কেআমার কমপিউটরে অটো রান ধরেছে ।ভালো সাজেসন এর আসায় রইলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.