নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশীও না কমও না

ওমর মোহাম্মদ ফারুক

বেশীও না কমও না

ওমর মোহাম্মদ ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজের সাথে সংসার

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৮

ব্যাক্তিসত্তায় আকিব সাহেব একজন ভালো মানুষ। উনি উনার স্ত্রীকে বললেন, আবদুল্লাহর মা, তুমি একজন জান্নাতি মানুষের সাথে সংসার করছো! এই কথা আমি এই জন্য বলছি যে, আমার মনে হয় আমি যখন কোন ভালো কাজ করি তখন আমি বেহেস্তে আছি। আবার যখন খারাপ কাজ করি তখন মনে হয় জান্নাতের দায়োয়ান রেদওয়ানের সাথে ঝগড়া করে জাহান্নামে জ্বলতে বের হয়ে হয়েছি। আবদুল্লাহর মা, যখনই আমি এই যাত্রায় বের হবো তখনই তুমি আমাকে মায়া দিও, মায়ার জালে আটকে রাখিও। আমার শরীয়তকে ভুলে তোমার শরীয়ত মেনে চলিও।

আবদুল্লাহর মা মুচকি হেসে বলে, “মা অধ্ধায়াকা রাব্বুকা ওমা ক্বালা”১

আকিব সাহেব লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে বলে উঠলেন, “লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাযযলীমিন”২

হঠাৎ আকিব সাহেবের মেয়ে এসে বললো, বাবা তোমার আগামীকালের জন্য তৈরী করা রুটিনটা খুব সুন্দর। সব কাজ নামাজের আগে পরে। আকিব সাহেব তার মেয়েকে বুকে টেনে নিয়ে বলল, ”আম্মাজান, এই রুটিনটা আমার জীবনের রাস্তা জান্নাতের দিকে করে দিয়েছে। আম্মাজান, আমি আপনারে যেমন পচন্দ করি এই রুটিনটাকেও তেমন পচন্দ করি।” আকিব সাহেবের রুটিনটা ছিলো এমনঃ

১. ফজরের আগে তাহাজ্জুদ পড়া।
২. ফজরের পরে সূরা ক্বাফ এর ৩৪-৩৭ আয়াতের তাফসীর।
নয়টার আগে পাক সাফ হয়ে বাড়ী থেকে বের হওয়া। ১০টায় আজাদ চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক।
৩. যোহরের আগে ’বিদায় হজ্বের ভাষণ’ পড়া।
৪. যোহরের পর খাওয়া দাওয়া ও আরাম করা।
৫. আসরের আগে ব্যাবসা বানিজ্যের খোজ খবর নেওয়া।
৬. আসরের পর হক সাহেবের সাথে হাটাহাটি করা।
৭. মাগরিবের পর মাদ্রাসার খোজ খবর নেওয়া।
৮. ইশার আগে জাবের সাহেবকে দেখতে যাওয়া।
৯. ইশার পর আবদুল্লাহর মায়ের সাথে ঝগড়াঝাঁটি করা।
রাতের খাবার শেষে লেখালেখিতে বসা। ”বিদায় হজ্বের ভাষণ - একটি মোজেযা” সিরিজের ১০ম পর্ব লিখে শেষ করা।
১০. অযু করে ঘুমিয়ে পড়া।

ভালো থাকুক আকিব সাহেবের সংসার।
----------------------------------------------
১. সূরা দুহা- আয়াত ৩
২. সূরা আমবিয়া- আয়াত ৮৭

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদের তাওফিক দিন। আমীন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২০

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: আমিন

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম রুটিন মতো চলতে পারলে বেশ হতো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: বেশ হোক।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

ক্স বলেছেন: মৌসুমি অঞ্চলের দেশে এই রুটিন কাজ করবেনা। এখানে ডিসেম্বরে আসর আর মাগরিবের মধ্যে এক ঘন্টারও কম সময় মেলে। যে তার স্ত্রীকে বলে, "আমি জান্নাতি" সে তো অহংকারী। সে আবার জান্নাতি হয় কি করে?
জান্নাতি-জাহান্নামীর ফয়সালা তো আল্লাহ করবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: এই রুটিন কেন কাজ করতে হবে? যার যার মত যার যার রুটিন কাজ করুক। একজন মানুষ নিজেকে জান্নাতি ভাবতেই পারে। আপনি কি জাহান্নামি ভাবতে বলছেন? ফয়সালা আল্লাহর হাতে। আমরা তো আশাবাদী থাকতে পারি। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, “লা ইয়াজলিমু রাব্বুকা আহাদা” অর্থ “আপনার রব কারো প্রতি জুলুম করবেন না”। সূরা কাহাফ, আয়াত ৪৯

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০১

ক্স বলেছেন: কেউ যদি নিজের আমলের ব্যাপারে খুব আত্মবিশ্বাসী হয়ে তা সবাইকে বলে বেড়ায়, তবে সে নিঃসন্দেহে অহংকারী। মানব জাতির মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে নিষ্পাপ ব্যক্তি ছিলেন বিশ্বনবী (সঃ)। আল্লাহ্‌র সিনা চাকের মাধ্যমে তাকে গুনাহ মুক্ত করেছিলেন। তিনিও সব সময় তওবার উপর থাকতেন। গহীন রাতে উঠে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে জায়নামাজ ভিজিয়ে ফেলতেন। আল্লাহ্‌র ভয়ে সব সময় সন্ত্রস্ত থাকতেন। আশারায়ে মুবাশশারা - যারা দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন, তারাও উঠতে বসতে আল্লাহ্‌র কাছে মাফ চাইতেন।

আর তাদের তুলনায় আকিব সাহেব কি এমন আমল করে ফেলেছেন যে স্ত্রীকে ঘোষণা করে দিলেন "তুমি একজন জান্নাতি মানুষের সাথে সংসার করছ"। আখিরাতের ভয় যার অন্তরে আছে, সে কোনমতেই নিজেকে জান্নাতি দাবি করতে পারেনা। কেউ এমন দাবি করলে সে নিঃসন্দেহে অহংকারী - এবং অহংকারীকে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: এটা একটা গল্প। কে কাকে বলে বেড়াবে? তাছাড়া উনি তার স্ত্রী সাথে কিছু বলতেই পারেন। আবার দোয়ায়ে ইউনুছও পড়ছেন। ধূর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.