নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশীও না কমও না

ওমর মোহাম্মদ ফারুক

বেশীও না কমও না

ওমর মোহাম্মদ ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পয়গামে মুহাম্মাদী (সা.) ও সুলায়মান নদভী

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

অনেকদিন পাঠাগারে বসে কোন বই পড়া হয়না। নিয়ত করছি ‘পয়গামে মুহাম্মদী (সা)’ পড়বো। সাইয়্যেদ সুলায়মান নদভী’র লিখা। যার সম্পর্কে আনোয়ার শাহ্ কাশ্মিরী বলেছেন, “গাজ্জালী ও রাযীর ইলমকে জুনায়েদ ও শিবলীর যুহদের (দুনিয়া বিমুখতা) সাথে মিলানো হলে যা হয় তাই হলো সুলায়মান নদভী”। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পাঠাগার এ গেলাম। ভাবছি বস্তায় বস্তায় বই থাকবে। কিন্তু গিয়ে দেখি হাজার দুয়েক বই হবে। দৃষ্টির বিচারে সেখানে বই থেকে পাঠক বেশী। পাঠাগারে অন্তত ৫ জীবন পড়া যাবে মত করে বই থাকা উচিত। সুখের খবর- বইটি পাওয়া গেছে। বইটি মূলত ৮টি বক্তৃতার লিখিত অবস্থা। ৩টা পড়ার পর মনে হলো এই বই পড়লেই হবে না। কিছু বই পাশে রাখতে হয়। সময়ে সময়ে পড়ে কাঁদতে হয়। পড়া বন্ধ করে আন্দরকিল্লা গেলাম। অনেকদিন পর কলিজা ঠান্ডা করা একটা বই পড়লাম। সর্বশেষ পড়েছিলাম “দ্যা প্রপেট”।

----------------------------------------------------------------------------------
১. কার্লাইলের ভাষায়, “ইতিহাস নিচক মহান ব্যক্তিবর্গের জীবনী গ্রন্থের নাম”

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো, “ব্রাম্মন সমাজের ব্যার্থতার কারণ কি?” ঠাকুর উত্তরে বলেছিলেন, “ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে, এর পেছনে এমন কোন ব্যক্তির জীবন ও তাঁর বাস্তব চরিত্র ছিল না, যিনি আমাদের দৃষ্টির মধ্যমনি হতে পারতেন এবং আমাদের জন্য সততা ও সৎকর্মশীলতার জলজ্যান্ত নমুনায় পরিনত হতেন।”

৩. মদিনায় হিজরতের পর রাসূল সা: মুসলমানদের আদমশুমারী করে তাদের নামের তালিকা প্রনোয়ন করেন। উক্ত তালিকায় ১৫০০ এর মত নাম ছিলো।

৪. ১৯২৫ সাল অবধি কেবল ইউরোপে হযরত মুহাম্মদ সা: নিয়ে প্রায় ১৩’শ পুস্তক লিখা হয়েছে।

৫. “মূসার কাছে গরম মাথায় সবেগে সঞ্চালিত সাহসের আকর পাব, ঠান্ডা মাথায় ধীরলয়ে সঞ্চারিত নমনীয়তা পাব না। ঈসার দুনিয়ায় নমনীয়তার হীম শীতল নদী বয়ে গেছে। কিন্তু ধমনীতে উদ্দীপনা জাগাবার উত্তপ্ত তেজদীপ্ততা নেই। অথচ মানব জীবনে এ দুটি শক্তিরই ভারসাম্যপূর্ণ সমাবেশের আবশ্যকতা আছে। আর এ সমাবেশ কেবল মুহাম্মদের জীবনাদর্শেই সম্ভব।”

৬. “সকল নবীর জীবন এক একটি আদর্শের দোকান। আর মুহাম্মদের জীবন সকল আদর্শের বাজার”

৭. “যিনি পা ফুলে যাওয়া অবধি কিয়াম করতেন, যিনি রুকুতে গেলে মানুষরা ভাবতেন বোধয় সেজদার কথা ভুলে গেছেন, সেজদায় গেলে ভাবতেন হয়ত বিদায় নিয়েছেন, রোজা রাখা শুরু করলে ভাবতেন হয়ত রোজা রাখা আর বন্ধ করবেন না।”

৮. সাহাবাদের বলা ছিলো যে, “যদি কেউ ঋণ রেখে মারা যায় তাহলে আমাকে জানাবে, আমি তার ঋণ পরিশোধ করবো।”

৯. খায়বরের পর তিনি স্ত্রীদের বছরের শুরুতে ১ বছরের জন্য খরচ দিয়ে দিতেন।

১০. যিশুকে যখন শূলে চড়ানো হল তখন তিনি হয়রান হয়ে বলে চলেছেন, হে প্রভু, হে প্রভু এই বিপদে কেন আমাকে একা ছেড়ে দিলে? মুহাম্মদ সা: যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত তখন তার প্রশান্ত হৃদয় থেকে উৎসারিত হলো, ওগো আল্লাহ, ওগো আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু। ইতিহাস দুই কথাই সংরক্ষন করেছে। দুই কথা থেকে ভালোবাসার স্বাদ আর প্রেমের প্রশান্তি দেখার দায়িত্ব আপনাদের।
----------------------------------------------------------------------------------

পাড়া, মহল্লায় ছোট ছোট কালেকশন স্টেজ বসে গেছে। যারা ১০০০/- টাকা মিলাদুন্নুবীর চাঁদা দিবেন বলে ঠিক করেছেন, শুধু তাদেরকে বলবো, ৮০০ টাকা দেন, ২০০ টাকা দিয়ে বইটা কিনুন। পড়ুন, পড়তে না জানলে কিনে কাউকে পড়তে দিন।

#ব্যক্তিত্ব #আদর্শ #মুহাম্মদ #সিরাত #রং #রিভিউ #শক্তিমান_লেখক

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

নতুন বলেছেন: ১০. যিশুকে যখন শূলে চড়ানো হল তখন তিনি হয়রান হয়ে বলে চলেছেন, হে প্রভু, হে প্রভু এই বিপদে কেন আমাকে একা ছেড়ে দিলে? মুহাম্মদ সা: যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত তখন তার প্রশান্ত হৃদয় থেকে উৎসারিত হলো, ওগো আল্লাহ, ওগো আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু। ইতিহাস দুই কথাই সংরক্ষন করেছে। দুই কথা থেকে ভালোবাসার স্বাদ আর প্রেমের প্রশান্তি দেখার দায়িত্ব আপনাদের।

ইসলামী বিশ্বাসে উপরের এই ঘটনা সত্য বলে বিশ্বাস করছেন?

ঈসা আ: কে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে তাই শূলে চড়ানো হলে তিনি তো আর যীশু না তাই তিনি তো প্রভুর কাছে এই ফরিয়াদ করতে পারেনা।

আর যদি বিশ্বাস করেন যে যীষুকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিলো তবে ঈসা আ: যে আসমানে আছে সেটা অবিশ্বাস করছেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: প্রকৃত সত্য আহলে ইলমদের কাছে জানা থাকলেও যারা কোরআন মানছে না, তাদের কাছে ইতিহাসের আলোকে কথা বলাই উচিত। যিশুকে জীবন সংরক্ষণে “আসমাউর রেজাল” নাই। তার জীবন ইতিহাসের আলোচনায় এক আহলে ইলম এর আলোচনায় আরেক। আমাদের আলোচনার বিষয় সিরাতে রাসুলুল্লাহ সাঃ, যিশু বেচেঁ আছেন নাকি মরে গেছেন তা নয়...

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই বই ফ্রি দিলে বেশি ভালো হবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না”

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর অলৌকিক গুণাবলির চেয়ে মানবিক গুণাবলির প্রচলন দরকার। কিন্তু বর্তমানে মানুষ তার (নবী মুহাম্মদ স.) এর অলৌকিক গুণাবলি শুণতে ইন্টারেস্টিং বোধ করে। যদিও আপনার পোষ্টে তার মানবিক গুণাবলি ফুটে উঠেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: 8-|

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২১

নতুন বলেছেন: ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯০
লেখক বলেছেন: প্রকৃত সত্য আহলে ইলমদের কাছে জানা থাকলেও যারা কোরআন মানছে না, তাদের কাছে ইতিহাসের আলোকে কথা বলাই উচিত। যিশুকে জীবন সংরক্ষণে “আসমাউর রেজাল” নাই। তার জীবন ইতিহাসের আলোচনায় এক আহলে ইলম এর আলোচনায় আরেক। আমাদের আলোচনার বিষয় সিরাতে রাসুলুল্লাহ সাঃ, যিশু বেচেঁ আছেন নাকি মরে গেছেন তা নয়...


যীষুর আসলে ঐতিহাসিক চরিত্র না, নিরপেক্ষ ইতিহাসে তার চরিত্রের উল্লেখ নেই কোথাও, আছে বাইবেল লেখকের ইতিহাসে।

কিন্তু ইসলামের মতানুসারে যদি উনি আসমানে থাকেন তবে উপরের ঘটনাটি মিথ্যা । আর উপরের ঘটনা সত্য ধরে নিলে ইসলামের ঘটনাটি মিথ্যা।

তাহলে আপনি কোন ঘটনাটি সবাইকে জানাবার চেস্টা করবেন? আপনার বিশ্বাস যেটা সত্যি ? নাকি প্রচলিত কাহিনি?

এই ঘটনা নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হলো এই রকমের অনেক ঘটনাই বাজারে প্রচলিত আছে ধমিয় কাহিনি হিসেবে এবং মানুষ বিশ্বাস করে... কিন্তু সেই গুলি বাইবেল থেকে আসা কিন্তু ইসলামী ঘটনা হিসেবেই অনেক মুসলমানেরা বিশ্বাস করে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: আপনি ব্যাপারটা ধরতে পারছেন না, এখানে পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ কে সত্য এবং শেষ নবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিহাসের আলোকে, স্বাভাবিক চিন্তার আলোকে। যদি আমরা সে বিষয়টা প্রমাণ করতে পারি তবে উচিত শেষ পয়গম্বর হিসেবে মুহাম্মদ সাঃ কে মেনে নেওয়া। আর মেনে নেওয়া হলে উনার আনিত কিতাবও মেনে নিতে হবে। তখন সত্য স্বাভাবিকভাবে পরিষ্কার হবে।

দয়া করে বইটি পড়ুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.