![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এক বন্ধুর সাথে আমি থাকি।আনে বলা চলে এক সাথেই থাকি।
তার আবার অনেক বন্ধু।সংখ্যা গুনতে গেলে হয়তো হিসাব রক্ষক লাগবে।যাই হউক সেই বন্ধুদের বেশীরভাগ (৯০ শতাংশ) আধুনিক মন মানসিকতা সম্পন্ন।
সবাই যখন বউ এর ছবি আপলোড দেয় তখন সে আর তার বন্ধুদের কেউ কেউ খুব মজা করে দেখে আবার কেউ কেউ রাগ আর ঘৃণা নিয়েও ভালো করে দেখে।এ নিয়ে আবার একে অপরের সাথে ফোনে গল্প স্বল্প হয়।আবার দেখে।আবার হাসি তামাশা।
এক সময় ডাইলগ শুনতাম “তোমার বউ আমার বউ,আমার বউ তোমার ভাবী”- আসলে চর্চা যখন এই তখন একজনের আর বউ নেই বউ হয়ে গেছে সকলের।
সবাই দেখছে ইচ্ছা মত।খায়েশ মিটিয়ে।তো বাকী আর কি?
জহুরুল হক নামের এক ভদ্র লোকের গল্প টা এখানে সংযুক্ত না করলে লিখাটা সম্ভবত অপূর্ণ থেকে যাবে।
তবে হা,গল্প কিন্তু গল্প নয়,বাস্তব ঘটনা।
“শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ মরহুম হাফেয মাওলানা আনিসুর রহমান সাহেব বংশাল কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস মসজিদ ও বংশাল পেয়ালাওয়ালা জামে মসজিদে দীর্ঘদিন খতীব ও ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ দীর্ঘ সময়ে অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বেশ অন্তরঙ্গ। অনেক হাজী সাহেবরা তার সাথে চা নাস্তা করত, গল্প করত। তো একবার তিনি এক বংশালবাসী হাজী সাহেবকে বলছেন, মনে বড় আশা ছিল কিন্তু মনে হয় এ আশা নিয়ে মরতে হবে। এ আশা কোনদিন পুরণ হবে না।
হাজী সাহেব শুনে তো অবাক, আরে মওলানা সাহেব কন কি? যদি আমার দ্বারা সম্ভব হয় তো কন? চেষ্টা করে দেহি?
না দোস্তা তোমার কাছে চাইলে তুমি যদি আবার মাইন্ড কর?
আরে কও কি মিয়া তুমি একটা কথা কইবা আর আমি মাইন্ড করুম। কও, যা কইবা ইনশা আল্লাহ তোমার আশা পুরণ করুম।
ঠিক তো? আবার ঘুইরা তো যাইবা না?
আরে না, কইয়াই দেহ না?
তো শোন, আমার বড় আশা আমার ভাবী সাহেবানরে সুন্দর কইরা সাজাইয়া গুজাইয়া আমার সামনে বসাইয়া দিবা আর আমি একবার মন ভইরা তারে দেখুম।
দূর মিয়া, হুজুর মানুষ অইয়া এমন কথা কউ, ফাইজলামী কইরো না, চোখে পরদা দেও, আল্লা থোদার ডর কি গেছে গা?
বলে রাগ করে বসল।
আরে দোস্ত, মাইন্ড করলা, আরে আমি তো একলা ঘরে দেখতে চাইলাম, তুমি তো কালকা রাইতে সারা মহল্লার সামনে বউরে সাজাইয়া লইয়া গেলা, আমি একলা আনিসুর রহমান দেখলেই তো দোষ আর কালকা কোন ব্যাটা কোন চোখে দেখছে তার কোন দোষ হয় নাই?
এবার হাজী সাহেব চুপ।”
“বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ”- আর বেগের পরিমাণ এত যে গাড়ির স্পিড বেশী হলে যেমন মাথার কাপড় উড়িয়ে নিয়ে যায়,চুল আর সব তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া এতো গতিসম্পন্ন যে নুন্যতম সেন্স ও কেড়ে নিয়েছে।
সীমাবদ্ধতার দরজা ভেঙ্গে সীমালঙ্ঘনের উঠোন যেভাবে খোলা হয়ে গেছে তাতে “ভালো” শব্দটি ঘৃণার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সমার্থক শব্দ বলেই মনে হয়।কার্বন এই ভালোর মাঝেই কালোগুলো কোষের ঝিল্লীর মত অবস্থান করছে।
“বন্ধু তোমার বউকে একান্তে শুধু দর্শনার্থে ২ ঘণ্টা দিতে রাজী তো ?”
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যদিও গল্পে বর্তমানে এমন সব কাজ কর্ম আছে যেগুলো আমরা স্বাভাবিক হিসেবে দেখি কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে সেগুলো স্বাভাবিক নাও হতে পারে। ঘরের অন্দর মহল কে ওপেন সোর্সে না আনাই ভাল। যদি কোন কারণে স্বামী- স্ত্রী মধ্যে ছাড়াছাড়ি কিংবা বনিবনা হয় তাহলে ছেলেদের চাইতে মেয়েরা ভিক্টিম বেশী হয়।
আর হুজুর মাওলানাদের নারী ঘটিত বিষয়গুলো অন্যান্য মানুষের মতই দেখা উচিত। আমাদের দেশে যদি কখনও হুজুর বা মাওলানারা নারী ঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ে তখন সমাজে হায় হায় রব একটু বেশি উঠে। আরে বাবা, তারা হুজুর হলেও মানুষ, তাদের কামভাব আছে, নারীর সঙ্গতা তারাও পেতে চায়। অনেকে রিপুকে দমন করতে পারলেও কিছু সংখ্ক পারে না।
যারা পারে না তাদের উচিত বেশী বেশী রোজা রাখা।