![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের দুঃখগুলো চোখের আড়াল হলেই দুঃখ মুছে যায় না।
বরং দুঃখের আঘাত পর্বের পর স্মৃতির পর্ব সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।দুঃখে যদি কেউ তৎক্ষণাৎ পক্ষঘাতগ্রস্থ হয় তবে তো বেঁচেই যায় বলা চলে কিন্তু যদি তৎক্ষণাৎ হৃদয়ের কোণে এসে আঘাত করে তবে তার যন্ত্রণা কুল কাঠে যেমন আগুন জ্বলে তার মত।
নিভবে না আবার দাউ দাউ করেও জ্বলবে না।
নিভু নিভু করে এমনভাবে জ্বলবে যার বিশাল ভয়ঙ্কর তীব্রতা দেখা যায়না কিন্তু এতো কঠিন ভয়ানক যে “হাতে নয় ভাতে মারার মত।
নিজের অক্ষমতার ছবি,ঢেলে দেয়া আবেগের অপব্যাবহারের চিত্র,স্বপ্ন বেঁচে দেয়ার করুন গল্প,সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার সুকরুন ইতিহাস,সময় স্রোতের মত ভাসিয়ে দেয়ার নিদারুণ নির্মম ছায়া সব কিছু জোয়ারের মত কুড়ে কুড়ে এসে আঘাত দেয়।
দুঃখের চেয়ে দুঃখ হল স্মৃতির আঙ্গিনা।হয়তো গানের কলি তাই হয়েছে
“স্মৃতির আঙ্গিনা জুড়ে প্রেম কাঁদে
বিশ্বাস ভেঙ্গে যায় আর্তনাদে”
রাতের আঁধার ভেঙ্গে মানুষ যখন ঘুমিয়ে যায় তখন স্মৃতিরা ঘুম থেকে উঠে এসে পড়ে গল্প করতে।যতই ঘুমের বাহানা ধরা হউক না কেন স্মৃতি গুলো কপালে হাত বুলিয়ে গল্প শুরু করে দেয়।
অদৃষ্টের খেলার আদিষ্ট হয়ে জীবন তখন উষ্ঠাগত হয়ে উঠে।
সকালে পাখিরা ডাকে,আর স্মৃতিগুলো রাতের পরে কাকের ডাক নিয়ে হাজির হয়।আবার সেই ম্যারম্যারে দিন আর বেঁচে থাকার তাগিদে ছুটে চলা।
না হাসতে চাওয়ার ঠোট জুড়ে কৃত্তিম হাসির আভা ছড়িয়েই বলে উঠতে হয়
“আমি ভালো আছি,আপনি ভালো তো?”
আর গান গেয়ে উঠে
“অনেক বেদনা ভরা আমার এই জীবন
আমি আর ব্যাথা পেতে চাই না
অনেক কেঁদেছি আমি এই জীবনে
করুণা পেতে আর চাই না”
(একজন এর জীবন অবলম্বনে লিখা)
©somewhere in net ltd.